উত্তর ২৪ পরগনা: ফসল খেয়ে ফেলছে গবাদি পশু। তা থেকে নিস্তার পেতে এবার প্রাচীন খোঁয়াড় প্রথা চালুর দাবি তুললেন কৃষকরা। হাসনাবাদের একটি গ্রামের কৃষকরা নিতান্তই বেকায়দায় পড়ে এই দাবি তুলেছেন।
কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহেশ’ গল্পের মর্মস্পর্শী কাহিনীর কথা সকলেই জানেন। সেখানে চিন্তিত মুখে ঘরে বসে ছিলেন গফুর মিঞাঁ। বেলা গড়িয়ে গেলেও মহেশের খোঁজ নেই। সারাদিন খোঁজার পর বাড়ি ফিরে আমিনা জানায় মহেশকে দরিয়াপুরের খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়েছে। সেই খোঁয়াড়’ই ফিরিয়ে আনার দাবি তুললেন হাসনাবাদের মনোহরপুর সহ কয়েকটি এলাকর কৃষকরা।
আরও পড়ুন: বাইকের পিছন থেকে শুঁড় দিয়ে টেনে নামিয়ে আনল! হাতির হানায় ফের মৃত্যু
সোজা কথায় বললে খোঁয়াড় হল গবাদি পশুদের জেলখানা। কোনও গবাদি পশু কৃষকের ক্ষেতে ঢুকে ফসল নষ্ট করলে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তখন সেই গবাদি পশুটিকে ধরে এলাকার খোঁয়াড়ে ভরে দিতেন। এক্ষেত্রে পশুর মালিককে ফসলের ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা দিতে হতো। তবে খোঁয়াড় থেকে ছাড়া পেত পশুটি।
অবশ্য কবেই সেই খোঁয়াড় প্রথা উঠে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগই এই বিষয় সম্বন্ধে সচেতন নয়। হাসনাবাদের কৃষকরা নিজেদের ফসলের ক্ষতি ঠেকাতেই এই দাবি তুলেছেন, ফিরিয়ে আনতে চাইছেন পুরানো ব্যবস্থা।
জুলফিকার মোল্যা