Tag Archives: Cattle

Cattle Ambulance Service: গবাদিপশুদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স! এক ফোনে সমাধান, জেনে রাখুন নম্বর

মালদহ: গবাদিপশুর চিকিৎসা পরিষেবায় অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করলেই দ্রুত মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা। আপনাকে অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে কোথায় যেতে হবে না। বরং আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। শুধুমাত্র ফোন করে জানতে হবে কোথায় কী হয়েছে।

মালদহে চালু হওয়া গবাদিপশুর এই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আছে টোল ফ্রি নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করলেই দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স সহ মেডিকেল টিম পৌঁছে যাবে। গবাদিপশুর চিকিৎসার জন্য এই অ্যাম্বুলেন্সের টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৯৬২। গরু, ছাগল সহ অন্যান্য গবাদিপশু গুরুতর অসুস্থ হলে এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে পশু চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলায় ঘুরে ঘুরে আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকি। অনেক সময় অসুস্থ গবাদি পশুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই এই উদ্যোগ। সেখানে ফোন আসলেই আমরা পরিষেবা দিতে ছুটে যাই।

আর‌ও পড়ুন: গোটা গ্রামের ভরসা এখন তিনি, রোহিনীর দেখানো পথেই পা সবার

এই অ্যাম্বুলেন্সে গবাদি পশুদের চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম গোটা জেলা ঘুরে বেড়ায়। কোথাও কোনও এমার্জেন্সি কল এলেই ছুটে গিয়ে সেখানে গবাদি পশুদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে বহু গবাদি পশুর মালিক তাঁদের অসুস্থ গবাদি পশুদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন।

হরষিত সিংহ

Cattle Prison: প্রাচীন খোঁয়াড় প্রথা জানেন! সেই প্রথা চালুর দাবি উস্কে দিল কৃষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ফসল খেয়ে ফেলছে গবাদি পশু। তা থেকে নিস্তার পেতে এবার প্রাচীন খোঁয়াড় প্রথা চালুর দাবি তুললেন কৃষকরা। হাসনাবাদের একটি গ্রামের কৃষকরা নিতান্তই বেকায়দায় পড়ে এই দাবি তুলেছেন।

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহেশ’ গল্পের মর্মস্পর্শী কাহিনীর কথা সকলেই জানেন। সেখানে চিন্তিত মুখে ঘরে বসে ছিলেন গফুর মিঞাঁ। বেলা গড়িয়ে গেলেও মহেশের খোঁজ নেই। সারাদিন খোঁজার পর বাড়ি ফিরে আমিনা জানায় মহেশকে দরিয়াপুরের খোঁয়াড়ে দেওয়া হয়েছে। সেই খোঁয়াড়’ই ফিরিয়ে আনার দাবি তুললেন হাসনাবাদের মনোহরপুর সহ কয়েকটি এলাকর কৃষকরা।

আর‌ও পড়ুন: বাইকের পিছন থেকে শুঁড় দিয়ে টেনে নামিয়ে আনল! হাতির হানায় ফের মৃত্যু

সোজা কথায় বললে খোঁয়াড় হল গবাদি পশুদের জেলখানা। কোনও গবাদি পশু কৃষকের ক্ষেতে ঢুকে ফসল নষ্ট করলে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তখন সেই গবাদি পশুটিকে ধরে এলাকার খোঁয়াড়ে ভরে দিতেন। এক্ষেত্রে পশুর মালিককে ফসলের ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা দিতে হতো। তবে খোঁয়াড় থেকে ছাড়া পেত পশুটি।

অবশ্য কবেই সেই খোঁয়াড় প্রথা উঠে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগই এই বিষয় সম্বন্ধে সচেতন নয়। হাসনাবাদের কৃষকরা নিজেদের ফসলের ক্ষতি ঠেকাতেই এই দাবি তুলেছেন, ফিরিয়ে আনতে চাইছেন পুরানো ব্যবস্থা।

জুলফিকার মোল্যা

Money Making Tips: এই প্রাণী প্রতিপালন করে মালামাল হবেন আপনিও, জানেন কী?

পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতেগোনা কয়েকটি ছাগল নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। প্রথাকথিতভাবে ধান চাষ না করে পশু প্রতিপালনে জোর দিয়ে মাসিক বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ জুটছে এক যুবকের। বর্তমান যুবক প্রজন্মকে দিচ্ছে স্বনির্ভরতার দিশা।

দেশীয় প্রজাতি ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক প্রজাতির ছাগলের চাষ করে বার্ষিক মালামাল হচ্ছেন এক যুবক। বর্তমানে চাকুরীর মন্দা বাজারে ব্যবসার দিকে ঝোঁক বাড়লেও, সঠিক পদ্ধতিতে পশু পালন করে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বছর ২৬ এর যুবক শুভজ্যোতি মাইতি দিচ্ছেন স্বনির্ভরতার পথ।

আরও পড়ুন: স্বল্প খরচে এবং অল্প পরিশ্রমে হচ্ছে বিরাট টাকার লাভ !

প্রসঙ্গত বছর দেড়েক আগে হাতেগোনা মাত্র আট থেকে দশটা দেশী ছাগল নিয়ে প্রতিপালন শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার ফার্মে রয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি ছাগল। যা বিক্রি করে বার্ষিক বেশ লাভ জুটছে তার। দেড় বছরে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ মিলেছে এই ছাগল প্রতিপালন করে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৪ নং খানামোহন অঞ্চলের গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা শুভজ্যোতি মাইতি। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ছাগল প্রতিপালন করে যুব প্রজন্ম কে দিচ্ছে স্বনির্ভরতার দিশা। প্রসঙ্গত সামান্য পরিচর্যা এবং খরচে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল প্রতিপালন করে পাশে বেশ লাভ মেলে।

আরও পড়ুন: মাত্র এক টাকা খরচ করে লাভ হবে দশ টাকা ! কোথায় ?

সঠিক ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে পশু পালন, রোগ অসুখ নিরাময় শিক্ষা, এ সকল নানা বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে তিনি শুরু করেন গোটারি ফার্ম। বর্তমানে তার এই ফার্মে প্রায় ৭০ খানা দেশীয় সহ একাধিক প্রজাতির ছাগল রয়েছে। দেশী ছাগল বা ব্ল্যাক বেঙ্গল এর পাশাপশি বারবারি, রাজস্থানের প্রজাতি গুজরি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল নিয়ে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রতিপালন শুরু করেন তিনি। পাশাপশি, ফাঁকা জমিতে ভুট্টা ও ঘাস চাষ করে, কম খরচে প্রতিপালন করা ছাগলদের খাবারের যোগান দিচ্ছেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই সম্পূর্ণ ভাবে গোটারি ফার্মে নিজেকে নিয়োজিত করে, আরও বৃহৎ ফার্ম করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ডেবরার যুবক শুভজ্যতি। বেকার যুবক যুবতীদের পশু পালনের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার আশাও দেখাচ্ছেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ