Tag Archives: purulia news

Purulia News : রঙে রঙে রঙিল আকাশ…., পলাশের টানে পুরুলিয়ায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

পুরুলিয়া : লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। এই জেলা বড়ই বৈচিত্রপূর্ণ। ছয় ঋতুতে ছয় রকম রূপে সেজে ওঠে এই জেলা। বসন্তকালে এই জেলার রূপ আরও অনেকখানি ফুটে ওঠে। কারণ এই সময়তেই পুরুলিয়া‌ পলাশের রঙে রাঙা হয়ে ওঠে। লাল পলাশের আভায় চারিদিক অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। ‌তাইতো এখানে পলাশ দেখতে ভিড় জমান বহু পর্যটক। সারাবছর কম-বেশি পর্যটকদের আনাগোনা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে হয়ে থাকলেও। ‌ বসন্তকালে পর্যটকদের ভিড় আরও বেড়ে যায়। ‌

মূলত পলাশের টানেই বহু পর্যটক এই সময় পুরুলিয়া ছুটে আসেন। ‌ কারণ পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র এই জেলাতেই এত সুন্দর পলাশের রূপ দেখতে পাওয়া যায়। সেই কারণেই বসন্তে পুরুলিয়ার প্ল্যান করে থাকেন বহু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা। ‌এ বিষয়ে পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকেরা বলেন , গোটা পুরুলিয়া জেলা পলাশে ভরে গিয়েছে। পুরুলিয়ার এই রূপ তাদের খুবই ভাল লাগছে। ‌তারা এত সুন্দর পলাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। এই পলাশের টানেই তারা ছুটে এসেছেন। ভীষণই আনন্দ উপভোগ করছেন তারা।

কমবেশি সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা পুরুলিয়ায় হয়ে থাকলেও বসন্তে অন্যরকম ট্যুরিজমের আমেজ উপভোগ করতে আসেন পর্যটকেরা। তাই এই সময় বহু আগে থেকেই হোটেল , রিসোর্ট , হোমস্টে গুলি বুকিং হয়ে থাকে। ‌ ছোট বড় ব্যবসায়ীরাও বাড়তি রোজগারের আশায় থাকেন এই সময়।

কারণ অনেকেরই বসন্ত উৎসবে শান্তিনিকেতনের রুট বদল হয়ে পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পুরুলিয়া। লাল পলাশের অপরূপ সৌন্দর্যের টানে তাই ছুটে আসেন ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা।

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়

Purulia News: চলছে ঝড়-জলের তাণ্ডব! বৃষ্টির দাপটে ধসে গেল বাড়ির একাংশ

পুরুলিয়ায় ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব। আর তাতেই পুরুলিয়ার ঝালদায় ভেঙে পড়ল বাড়ি। কোনও রকম প্রাণে বাঁচেন বাড়ির সদস্যরা।

Purulia News : বসন্তে পুরুলিয়া প্ল্যান? দোলের লম্বা ছুটি আসছে! অবশ্যই টেস্ট করে দেখুন এই থালি!

পুরুলিয়া : ভোজন রসিক মানুষেরা খাবারের উপর বরাবরই দুর্বল। তাই খাদ্যপ্রেমীরা বরাবরই খাবারের প্রেমে পড়েন। পঞ্চব্যঞ্জনে ভুরিভোজে বাঙালি সর্বদা এগিয়ে। তার জন্য বিশেষ কোনও পার্বণের প্রয়োজন পড়ে না। ভোজন রসিক বাঙ্গালিদের কাছে ভুঁড়িভোজের ক্ষেত্রে সারাটা বছরই পার্বণ। খাবার ব্যাপারে বাঙালীর কোনওনা নেই। আমিষ-নিরামিষ, মাছ, মাংস, টক,ঝাল, মিষ্টি যে কোনও কিছু দিয়েই তারা জমিয়ে ভুরিভোজ সেরে ফেলতে পারে।

তাইতো তাদের সন্ধানে থাকে পেটপুজোর নানান ঠিকানা। আর সেই সমস্ত মানুষদের জন্য এবার লাল মাটির জেলার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ভুরিভোজের একটি সেরা ঠিকানা হল, অযোধ্যা পাহাড়ের একটি বেসরকারি বিলাসবহুল রিসর্টের রেস্তোরাতে নিয়ে আসা হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু খাবার।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী! সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে হাওয়া! ঝড়-জল সতর্কতা জেলায় জেলায়! কী হবে কলকাতায়? জানিয়ে দিল আলিপুর

একেবারে ষোল আনা বাঙালি মানভূইয়া ও উপজাতিদের থালি নিয়ে আসা হয়েছে এই খাদ্য তালিকায়। পর্যটকদের পাতে উষ্ণতা ছড়িয়ে মাটির ঘ্রাণদিতে এখানে কাঠের উনুনে রান্না করা হয়। সমস্ত বাটা মশলা দিয়ে রান্না করা হয় এখানে। তিন ধরনের থালিতে এই বাঙালি খাবারের ভ্যারাইটি এসেছে। কাঁসার থালা গ্লাস বাটিতে এই থালি পরিবেশন করা হচ্ছে। মাটিতে বসে উঁচু টুলে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের পরনে থাকছে ধুতি পাঞ্জাবি ও কোমরে থাকছে গামছা।

এ বিষয়ে ওই রেস্তোরাঁ সেফ বলেন, অযোধ্যা পাহাড়ের মানুষদের যে মানভূম খাবার রয়েছে সেটাকেই আমরা থালির মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে পর্যটকেরা অযোধ্যা পাহাড়ের অথেন্টিক খাবারের স্বাদ পেতে পারেন। মরশুমের বিভিন্ন সবজি ও শাক থাকে এই থালিতে। আদিবাসী কালচার ও আদিবাসী খাওয়া-দাওয়ায় ছোঁয়া রয়েছে এই রেস্তোরাঁয়। মাত্র ৫৫০ টাকা থেকে এই থালি শুরু হচ্ছে। এই রিসোর্টে যারা থাকছেন তাদের জন্য তো এই থালির ব্যবস্থা রয়েছেই এছাড়াও দূর থেকে আশা পর্যটকেরাও এই থালির স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।

অযোধ্যা পাহাড়ে সারাটা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বছরে যে কোনও সময়ই পর্যটকেরা প্ল্যান করে থাকেন অযোধ্যা পাহাড়ের জন্য। সামনেই বসন্ত উৎসব এই সময়টাতে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল আরও বাড়ে। তাই এবারে অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে আশা পর্যটকদের জন্য রয়েছে পুরুলিয়ার এই ট্রাডিশনাল থালি। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের মধ্যে এই থালির যথেষ্ট সাড়া মিলেছে।

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়

Purulia News : গরাম থাম থেকে হনুমান মন্দির  , প্রচারে বাদ নেই কোনও কিছুই!

পুরুলিয়া : আর কিছুদিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। ‌ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। আর তারপর থেকেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারের ময়দানে নেমেছে। ‌ভোট ময়দানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। সকলেই নিজেদের মত করে লড়াইয়ে প্রস্তুত। ‌ বুধবার পুরুলিয়ায় শাসক শিবিরের ভোট প্রচারে দেখা গেল অভিনব রূপ। প্রায় ১০ হাজারি ব্যান্ডপার্টির আয়োজন করা হয়েছিল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর ভোট প্রচারে। আর তা দেখে রীতিমত অবাক শহরবাসী।

বজরংবলীর মন্দির থেকে গরামথান। সূর্য দেবতা থেকে সাঁই বাবা। ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত বাদ দিলেন না পূজার্চনা। নিজের কর্মসূচি পর্বে মন্দিরের মাথা ঠেকান প্রার্থী। এই দিন শহর পুরুলিয়ার জুবলি ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রচার কাজ পুজোর মধ্যে দিয়ে এই মিছিলে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত।

আরও পড়ুন : এখন হয়ত নজর পড়ছে না, কিন্তু সব আলো কেড়ে নিতে পারে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র! কেন জানেন?

‌এ বিষয়ে প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত বলেন , শাসক দল মানেই সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা তাই সমস্ত মন্দিরে পুজো দিয়ে এই প্রচার কাজে সূচনা হয়েছিল। পুরুলিয়ার ঐতিহ্য যে কোনও শুভ কাজ জাঁক জমকের সঙ্গে করা। তাই এই বিপুল আয়োজন হয়েছিল। তাই এই বিপুলসংখ্যক ব্যান্ডপার্টির আয়োজন মানুষ উৎসাহিত হয়েই করেছিল এটা দলগতভাবে করা হয়নি।

এই দিন তৃণমূল প্রার্থী শান্তির মাহাতর প্রচারে সেজে উঠেছিল গোটা শহর। এই দিনের মিছিলের আয়োজন হয়েছিল বিরাট। ‌

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই মিছিল দেখে মনে হচ্ছিল বারাত। ‌ অবাক হয়ে দেখেছে শহরবাসী। ‌

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News : ‘ওয়ান স্টেশন-ওয়ান প্রোডাক্ট’,পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশের মধ্যে দিয়ে পর্যটনের বার্তা

পুরুলিয়া : আর কিছুদিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন তারই আগে ১০-টি নয়া বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা করল ভারতীয় রেল। মঙ্গলবার আমেদাবাদ থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকায় রেলের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সঙ্গে ১০ টি বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে ১০-টি বন্ধে ভারত ট্রেন চলবে তার মধ্যে রয়েছে রাঁচি-বারানসী বন্দে ভারত। এই ট্রেন পুরুলিয়ার পাশে বোকারো ছুঁয়ে যাবে।প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে রেলের যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল ‘ওয়ান স্টেশন-ওয়ান প্রোডাক্ট’। এই প্রকল্পে ১৫০০ টি স্টল ও ট্রলির সূচনা করা হয়। অর্থাৎ দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গার হস্তশিল্পকে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্টেশনে তুলে ধরা হবে।

এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে হস্তশিল্পীরা স্টেশনেই একটি আলাদা বাজার পাবেন। তাদের বেশ কিছুটা বাড়তি রোজগার হবে। আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। প্রান্তিক এলাকার হস্তশিল্পীদের আয়ের সুযোগ করে দিতে এই প্রকল্পের সূচনা ভারতীয় রেলের। এ বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, ‘ওয়ান স্টেশন-ওয়ান প্রোডাক্ট’ পুরুলিয়া স্টেশনে করা হয়েছে এতে এই এলাকার ছৌ শিল্প অনেকটাই সমৃদ্ধ হবে। শিল্পীদের বিকল্প রোজগারের রাস্তা তৈরি হবে। এ বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার আদ্রা ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম বলেন , আপাতত একটি স্টল পুরুলিয়া স্টেশনে করা হয়েছে এছাড়াও দুটি ট্রলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে সমস্ত শিল্পীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত বা যারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আয়তায় রয়েছে তাদের বানানো হস্তশিল্প এই স্টল গুলিতে বিক্রি হবে। ‌তার জন্য তাদেরকে আবেদন করতে হবে। শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতেই এই অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে রেল।

আরও পড়ুন : ফের রেলের তরফে সুখবর পুরুলিয়ার জন্য, এক গুচ্ছ নয়া প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস

এ বিষয়ে ওই স্টলের ব্যবসায়ী বলেন , সরকারিভাবে আবেদন করে তারা স্টলে মুখোশের বিক্রি করতে পারছেন। ‌ এতে অনেকটাই উপকার হয়েছে তাদের। ‌ মূলত পুরুলিয়ার ঐতিহ্য ছৌ-এর বিভিন্ন ভ্যারাইটি রয়েছে।

দেশের হস্ত শিল্পীদের আর্থ সামাজিকভাবে পাশে দাঁড়াতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। ‌

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রডাক্ট এর মধ্যে দিয়ে অনেকটাই উপকৃত হবে শিল্পীরা,এমনটাই আশা করছেন পুরুলিয়ার মুখোশ শিল্পীরা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News : ফের রেলের তরফে সুখবর পুরুলিয়ার জন্য, এক গুচ্ছ নয়া প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস

পুরুলিয়া : যাত্রী সুবিধার্থে একের পর এক নয়া প্রকল্পের সূচনা করছে ভারতীয় রেল। এবার সেখানেই আরও বেশকিছু নয়া সংযোজন হল। আর কিছুদিন পরেই লোকসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট বেজে উঠবে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তাতেও প্রস্তুতি চলছে জোর কদম। ‌ আর এরই মাঝে দশটি নয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর সূচনা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। পাশাপাশি ৮৫ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়।

যে দশটি নয়া বন্ধে ভারতের সূচনা হচ্ছে তার মধ্যে সরাসরি বাংলায় রয়েছে একটি বন্দে ভারত। এই ট্রেন ছুটবে রাঁচি বারাণসী রুটে, পুরুলিয়া সংলগ্ন বোকারো স্টেশন হয়ে যাবে এই ট্রেন।এ বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন , বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও দশটি বন্ধে ভারত ট্রেনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পুরুলিয়ার কাছাকাছি রয়েছে বোকারো স্টেশন সেখান থেকেই এই বন্দে ভারতের সুবিধা পেতে পারবে জঙ্গলমহলের মানুষেরা।

আরও পড়ুন : তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা, ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা এ বার খুব সহজেই পৌঁছে যাবেন গৌরীনাথ ধাম

এছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন হল। লালমাটি জেলা পুরুলিয়াতে ইতিপূর্বেই বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা হয়েছে। ‌ প্রতিদিনই পুরুলিয়া থেকে এই ট্রেন হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই ট্রেনের সূচনা হওয়ায় উপকৃত হয়েছে বহু মানুষ।

সুবিধা হয়েছে পর্যটকদেরও। এবার পুরুলিয়া সংলগ্ন বোকারো স্টেশন থেকে রাচি বন্দে ভারতের সুবিধা নিতে পারবে, পুরুলিয়াবাসীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এক কথায়, পুরুলিয়ার মানুষকেফের একবার খুশীর খবর দিল ভারতীয় রেল।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Women Safety Gadgets: ‘এই’ টর্চেই মুশকিল আসান! সামান্য মনে হলেও দুর্দান্ত কাজ, ব্যাগে রাখতেন ভুলবেন না মহিলারা

পুরুলিয়া: প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি ও সভ্যতার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আজও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা। অনেক সময়তেই বিভিন্ন কাজে রাত করে বাড়ি ফিরতে হয় মেয়েদের। ‌সেক্ষেত্রে একা থাকলে ভয়-ভীতি সৃষ্টি হয় মনে। ‌মেয়েদের এই আতঙ্ক কাটাতেই ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উপায় নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে মানুষ। এরকমই একটি অদ্ভুত সুরক্ষার উপকরণ এর হদিশ মিলল পুরুলিয়াতে। পুরুলিয়ার এক বাসিন্দা নারী সুরক্ষায় একটি উপকরণএনে বিক্রি করছেন। এবং এই উপকরণের বেশ ভালই সাড়া মিলছে পুরুলিয়ায়।

সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরের জিইএল চার্চ ময়দানে তিন দিনব্যাপী জেলা হস্তশিল্প, তাঁত ও সরোজগার মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মেলাতে ওই ব্যবসায়ী একটি স্টলও দিয়েছিলেন। ‌যেখানে ডেমো করে দেখানো হয়েছিল নারী সুরক্ষার সেই উপকরণের। উৎসুক মহিলা ও পুরুষরা ভিড় করে সেই উপকরণ দেখেন। এ বিষয়ে ওই ব্যবসায়ী বলেন , তার কাছে অনেক ধরনের সেফটি টুল রয়েছে। কিন্তু মহিলাদের জন্য বিশেষ একটি টর্চ রয়েছে। কোনও বিপদে পড়লে এই টর্চের সাহায্যে নিজেদের সুরক্ষা নিজেরাই করতে পারবেন মহিলারা।

আরও পড়ুন-         মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

এই সেফটি টুল ব্যবহার করা খুবই সহজ। মেলা ছাড়াও রাঘবপুরে তার একটি দোকান রয়েছে সেখান থেকেও এই গ্যাজেট যে কেউ কিনতে পারে।এ বিষয়ে মেলায় আসা মহিলারা বলেন , তারা এর আগে এই ধরনের সেফটি গ্যাজেট কোনও মেলায় দেখেনি। নারীদের সুরক্ষার জন্য এই গ্যাজেট ভীষণই উপকারী। ‌

আরও পড়ুন-        মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

বহু ক্ষেত্রেই কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায় মহিলাদের। এছাড়াও নানাবিধ কারণে অনেক সময় রাত বিরেতে একা ফিরতে হয় অনেক মেয়েদের। তাই সেই সময় যদি এই ধরনের কোনও সুরক্ষার উপকরণ তাদের কাছে থাকে তাহলে মনের বল বেশ খানিকটা বেড়ে যায়।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News: নদীর বালি খুঁড়ে… নেই কোনও নলকূপ, তৃষ্ণা মেটাতে এ কী করেন এই গ্রামের বাসিন্দারা? দেখলে অবাক হয়ে যাবেন

পুরুলিয়া: জলই জীবন। জল ছাড়া বাঁচতে পারেনা কোনও প্রাণী। কিন্তু আজও বহু জায়গায় পানীয় জলের যথাযথ সংযোগ নেই। জলের যোগান করতে নানান পন্থা অবলম্বন করতে হয় অনেককে। যেখানে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উন্নতি ঘটে চলেছে সেখানে আজও পানীয় জলের যোগান করতে মাটি খুঁড়তে হয় পুরুলিয়ার একটি গ্রামের মানুষদের। ‌

শুনতে অবাক লাগলেও তৃষ্ণা মেটাতে তারা এই পথই অবলম্বন করে চলেছেন। ‌নদীর জলের উপরেই ভরসা করে থাকতে হচ্ছে তাদের। পুরুলিয়ার ঝালদা ২ ব্লকের গোঠরি গ্রামের বাসিন্দাদের এমনই করুণ দশা।

আরও পড়ুন: শিবরাত্রিতে জলাভিষেকের সঠিক নিয়ম জানেন? সমস্ত বাধা বিপত্তি নিমেষেই দূর হবে

গ্ৰামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে গ্রামে নেই কোনও নলকূপ। তাই মহিলারা প্রতিদিন সকাল বিকাল নদীর উপর বালিতে গর্ত করে জল বের করে সেই জল বাটি বা থালি দিয়ে তুলে নিয়ে আসে। এরপর সেই জল রান্নার কাজে ও পানীয় জলের কাজে ব্যবহার করেন তারা।

এটা একদিন বা দুদিনের সমস্যা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এ গ্রামের মানুষদের। চরম জল কষ্টে ভুগছেন তারা। বেঁচে থাকা সম্বল পানীয় জলটুকু পাচ্ছে না তারা। গ্রামে কোনওরূপভাবে পানীয় জলের সুযোগ সুবিধা নেই ।

এ বিষয়ে গ্রামের মহিলারা বলেন “আমাদের কোনও কল নেই। আমরা এই ভাবে নদীর বালি গর্ত করে জল সংগ্ৰহ করে আনি । আমাদের একটা জলের হাঁড়ি ভরতে আধঘণ্টা থেকে এক ঘন্টা দাঁড়াতে হয়, তবে আমরা জল পাই । আমাদের জলের খুব কষ্ট। আমরা জলের জন্য সময় মতো রান্না করে খেতে পারি না। আমরা চাইছি যেন আমাদের বাড়ি বাড়ি টাইম কল ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

খরা প্রবণ জেলা পুরুলিয়া তার মধ্যে আবার এই গ্রামে নেই নলকূপ। নেই কোনও পানীয় জলের সংস্থান। পানীয় জল না থাকায় তাদের জীবনযাপনটাও কেমন যেন খরা হয়ে উঠেছে। যেখানে সরকারিভাবে জলের জন্য একাধিক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আজও পুরুলিয়ার এই গ্রাম জল কষ্টে ভুগছে।

কোনওরকম হেলদোল নেই প্রশাসনের। ঝালদা দুই ব্লকের গোঠরি গ্রামের অসহায় বাসিন্দারা কি আদৌ জলের সুবিধা পাবে, নাকি চিরজীবন তাদের এই নদীর গর্ত খুঁড়ে জল বার করে জীবন যাপন করতে হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Women’s Day Special: ছৌ নাচই যেন শক্তি! অনন্যা এক নারীর কাহিনী, জানলে অবাক হবেন

পুরুলিয়া: লাল মাটির জেলা পুরুলিয়ার ঐতিহ্য হল ছৌ। বিশ্বের দরবারে পুরুলিয়া জায়গা করে নিয়েছে তার ছৌ-এর জন্যই। আর এই ছৌ নৃত্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন এই রাঢ় বাংলার হত দরিদ্র পরিবারের ছৌ শিল্পীরা। মূলত ছৌ শিল্পী বললে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুরুষ শিল্পী‌। যারা বিভিন্ন চরিত্রের মুখোশ পরে বিভিন্ন আঙ্গিকে নাচ এবং নাট্যাভিনয় করে ছৌ চিত্রনাট্যকে তুলে ধরেন। তবে দীর্ঘদিনের এই ছৌ নৃত্যের ধারার বদল ঘটিয়েছেন পুরুলিয়ার এক ভূমিকন্যা। বীররসের ছৌ নৃত্য পরিবেশন করে দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। পুরুলিয়ার প্রথম মহিলা ছৌ নিত্য শিল্পী হিসাবে পেয়েছেন একের পর এক সম্মান। আজ দেশ-বিদেশের মানুষেরা এক ডাকে চেনেন পুরুলিয়ার বলরামপুরের মালডি গ্রামের মহিলা ছৌ নৃত্য শিল্পী মৌসুমী চৌধুরীকে। চলার পথে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে তিনি নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। সমাজের বাঁকা চোখের মুখে পড়েও কখনও হার মেনে যাননি তিনি। ‌

বীররসের পৌরুষদীপ্ত নাচ নেচে তিনি ছৌ নৃত্যকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। ‌পাশাপাশি দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছৌ নৃত্যের প্রশিক্ষণও দিয়েছেন তিনি। মৌসুমী জানান , ছেলেবেলা থেকেই ছৌ নাচের প্রতি তাঁর বিরাট টান । এই ছৌ নৃত্যের ধারাকে বজায় রাখতেই তাঁর এই পথে চলা। মহিলারা যে কোনও ভাবেই পুরুষদের থেকে কম নয়, সেই চিন্তা ধারাকে সামনে রেখেই বীররসের ছৌ নাচ। নারী দিবসের মহিলাদের হার না মানার বার্তা দেন তিনি।

আরও পড়ুন: সব সামলে রাস্তায় ফুল বিক্রি, মা-মেয়ের লড়াই চোখে জল আনবে

আরও পড়ুন: সেতু তবে এর কোন‌ও পিলার নেই! নৌকায় ভাসা ইংরেজ আমলের ঐতিহ্য আজও বহমান ঘাটালে

মৌসুমী চৌধুরীর প্রতিটা পদক্ষেপে পাশে থেকেছেন তাঁর বাবা জগন্নাথ চৌধুরী। ‌ ছৌ-এর প্রশিক্ষণ দেন তিনি। ছেলেদের একটি ছৌ দলের প্রশিক্ষণ দিতে , দিতে মেয়ের ছৌ-এর প্রতি আগ্রহ ছোটবেলাতেই দেখছিলেন তিনি।‌ তারপরেই মেয়ের চলার পথের সর্বক্ষেত্রের সঙ্গী হয়েছেন তিনি। আজ তাঁদের পরিবারের মেয়ে দেশের, দশের মানুষের মন জয় করতে পারছেন। সেই দেখে আবেগে বুক ভরে ওঠে মৌসুমী চৌধুরীর ঠাকুমারও। ‌ নাতনিকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন তিনি। ‌প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে হয়েও মৌসুমীর ছৌ-এর প্রতি আবেগ দেখে কখনওতার চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁর মা রুবি চৌধুরী। সব সময় মেয়ের পাশে থেকেছেন তিনি।

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়

Purulia News : মাত্র ২৫ টাকায় বার্গার! কোথায় মিলছে এই লোভনীয় অফার… শিগগির জানুন

পুরুলিয়া : এবার নজির গড়লেন পুরুলিয়ার দুই মহিলা।  দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে পুরুলিয়া শহরের সদরপাড়া দুর্গা মন্দিরের সামনে রয়েছে তাঁদের একটি বার্গারের দোকান। মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে পুরুলিয়ার মতো শহরে তারা বার্গার বিক্রি করেন। শুধু বার্গার নয় পাশাপাশি রয়েছে মোমো ও অন্যান্য স্ন্যাকস আইটেম। সংসার সামলানোর পাশাপাশি তাঁরা দুজনেই এই দোকানটি চালান। ‌

ছোট্ট ঠেলাগাড়ির উপরে রয়েছে। তারা এই গাড়িকে রোজ বাড়ি থেকে ব্যবসার জায়গা পর্যন্ত নিয়ে যান। কোনরকম সহযোগিতা ছাড়াই রোজ তারা এই ঠেলাগাড়ি নিয়ে এসে নিজেদের ব্যবসা করেন। কর্ণধার পুতুল মোদক বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই একই জায়গায় তাঁরা এই দোকান চালাচ্ছেন। ‌ দুই বন্ধু মিলে এই দোকান শুরু করেছিলেন। সংসার সামলানোর পাশাপাশি তারা এই দোকান চালাচ্ছেন পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। তাঁদের দোকানের বার্গার সকলেই ভীষণ পছন্দ করেন। মান বজায় রেখেই করে কম দামে তারা জিনিস দিচ্ছেন।

প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ পিস বার্গার বিক্রি হয় তাঁদের। ‌এছাড়াও মোমোরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আগামী দিনের তাঁরা এই ব্যবসাকে আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন। গুড়িয়া শর্মা জানান , পুরুলিয়া শহরে ২৫ টাকার বিনিময়ে আর কোথাও বার্গার পাওয়া যায় না। এই বার্গারের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, এই বার্গারের স্বাদ অতুলনীয়। ফলে এটি যে আপাতত হটকেক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।