Tag Archives: Rajasthan Royals

RCB vs RR: আজ কোহলি বনাম বাটলার যুদ্ধ, বাগিচা শহরে গোলাপি ঝড় তুলতে চায় রাজস্থান

বেঙ্গালুরু: দুটো দলের প্রধান শক্তি ওপেনাররাই। জস বাটলার ও যশস্বী জয়সওয়ালের দিকেই বড় রানের জন্য তাকিয়ে রাজস্থান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে আবার ভরসা দিচ্ছেন ফাফ ডু প্লেসি ও বিরাট কোহলি। সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় গোড়ার দিকেই রয়েছেন দু’জনে। চিন্নাস্বামীতে রবিবার বিকেলে টক্কর তাই দুই দলের ওপেনারদেরই।

ছয় ম্যাচে রাজস্থানের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সঞ্জু স্যামসনের দলের নেট রান-রেটও রীতিমতো ভালো (১.০৪৩)। সমসংখ্যক ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরের পকেটে ৬ পয়েন্ট। ডু’প্লেসিরা নেট রানরেটেও (-০.০৬৮) অনেক পিছিয়ে। তবে শেষ ম্যাচে ১৫৫ রানের টার্গেটও তাড়া করতে পারেনি রাজস্থান। ১০ রানে হেরেছে তারা। অন্যদিকে, ২৪ রানে পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী আরসিবি’র।

সেই বিচারে টগবগে থাকার কথা হোম টিমেরই। ওপেনিংয়ে বাটলার-যশস্বী ঝড় তুললেও রাজস্থানকে চিন্তায় রাখছে মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতার অভাব। অধিনায়ক সঞ্জু ও ক্যারিবিয়ান শিমরন হেটমায়ার রান করেছেন ঠিকই, তবে কেউই নিয়মিতভাবে রান পাননি। দেবদূত পাদিক্কাল ও রিয়ান পরাগ আবার প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ। পেস বোলিংয়ে ট্রেন্ট বোল্ট সেরা অস্ত্র রয়্যালসদের।

পাওয়ার প্লে চলাকালীন আঘাত হানছেনও বাঁহাতি পেসার। ডু’প্লেসি ও কোহলিরকে নিশ্চিতভাবেই চ্যালেঞ্জ জানাবেন তিনি। সন্দীপ শর্মার অভিজ্ঞতাও ওজন বাড়াচ্ছে বোলিংয়ের। স্পিন বিভাগে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উপস্থিতি বৈচিত্র্য বাড়াচ্ছে। শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও দরকারে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন অ্যাশ।

তবে লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল সেরা ছন্দে নেই। বেশি রান দিয়ে ফেলছেন তিনি। ডু’প্লেসি ও কোহলি উভয়ের ব্যাট থেকেই এখনও পর্যন্ত এসেছে চারটি হাফ-সেঞ্চুরি। তবে ভিকে’র স্ট্রাইক রেট নিয়ে ফিসফাস চলছে। সমালোচকদের বক্তব্য, স্পিনের বিরুদ্ধে রানের গতি বাড়াতে পারছেন না তিনি।

আসলে আরসিবি মিডল অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছাড়া নির্ভরযোগ্য কেউ না থাকাও হয়তো বিরাটের ক্রিজে টিকে থাকতে চাওয়ার কারণ। দীনেশ কার্তিক, শাহবাজ আহমেদ, মহীপাল লোমরোর, সুয়শ প্রভু দেশাইরা ঝড় তুলতে ব্যর্থ। তবে বাটলার-যশস্বীকে নিশ্চিতভাবেই চাপে রাখবেন মহম্মদ সিরাজ। ছয় ম্যাচে তাঁর পকেটে ১২ উইকেট।

Viral Video: ধনশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ! ফিল্মি কায়দায় কাকে প্রেম নিবেদন করলেন চাহল, ভাইরাল ভিডিও

জয়পুর: ভারতীয় ক্রিকেট দলের দম্পতিদের মধ্যে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তারকা লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহল ও ধনশ্রী ভার্মা। বিয়ের আগে প্রেম চলাকালীন থেকেই আলোচনায় এই জুটি। মাঝে একবার তাদের সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে তা যে শুধুই গুজব, তা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন চাহল-ধনশ্রী জুটি। এবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ করছেন যুজবেন্দ্র চাহল। তাহলে কী চাহল-ধনশ্রী জুটির বিচ্ছেদ আসন্ন?

তবে ভয়ের কোনও কারণ নেই। পুরো কাণ্ডটাই মজার ছলে। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সম্পূর্ণ মজার ছেলে। যুজবেন্দ্র চাহলের আইপিএল দল রাজস্থান রয়্যালসের তরফ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন চাহল। সঙ্গে রয়েছেন জস বাটলার। কোলে রয়েছে বাটলারের মেয়ে। সেখানেই দেখা যায় বাটলারকে মজার ছলে প্রপোজ করছেন চাহল। বলেন, ‘‘জস ভাই, তোমাকে ভালবাসি। গত বছর যখন তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তখন থেকেই তোমার জন্য আমার মন কেমন করে। রোজ রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখি। তুমি কি আমার সঙ্গে ডেটে যাবে?’’ সেই সময় আশেপাশে উপস্থিত প্লেয়ারদেরও হাসতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ IPL 2023: কোন দল হবে আইপিএল ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন, এনার ভবিষ্যদ্বাণী শুনলে চমকে যাবেন

এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। চাহল ও বাটলরের মজার ভিডিও নেট দুনিয়ায় হাসির রোল তুলেছে। ভিডিওটিতে পরেছে অসংখ্য লাইক ও কমেন্ট। রাজস্থান রয়্যালসে জস বাটলার ও যুজবেন্দ্র চাহলের সম্পর্কে খুবই ভালো। দুজনকে গত মরসুমেও নানা মজা করতে দেখা গিয়েছে। শুধু বাটলার নয়, স্ত্রী ধনশ্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মজাদার ভিডিও শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এক, দুই, তিনজন ফিল্ডার একই জায়গায়! ঋদ্ধিমানের ক্যাচ নিয়ে নাটক আইপিএলে

মুম্বই: আইপিএলের ১৬তম মরশুমের ২৩ তম লিগ ম্যাচটি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানস এবং রাজস্থান রয়্যালস-এর মধ্যে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহার ক্যাচ ধরতে গিয়ে চূড়ান্ত নাটক।

আরও পড়ুন- Venkatesh Iyer: বিধ্বংসী শতরান ভেঙ্কটেশ আইয়রের, কেকেআরের হয়ে লিখলেন নতুন ইতিহাস

ট্রেন্ট বোল্টের বলে ঋদ্ধিমান সাহা বড় শট খেলার চেষ্টা করেন। মিস হিট হওয়ায় বল সোজা হাওয়া। ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুরেল এবং শিমরন হেটমায়ার- রাজস্থানের তিনজন ফিল্ডার ক্যাচ করতে দৌড়ে আসেন। বল স্যামসনের গ্লাভসে লাগার পর বাউন্স করে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন্ট বোল্ট ক্যাচ নেন।

এই ম্যাচে মাত্র ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর ক্যাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গত মরশুমে এই মাঠেই ফাইনাল ম্যাচে গুজরাটের বিরুদ্ধে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে।

আরও পড়ুন- ঈশান, সূর্যের ব্যাটে উড়ে গেল কেকেআর, আইপিএলের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মুম্বই

এদিন প্রথমে ব্যাট করে গুজরাট তোলে সাত উইকেটে ১৭৭ রান। শুভমান গিল ৪৫ ও ডেভিড মিলার ৪৬ রান করেন। জবাবে রাজস্থান ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

রাজস্থানের ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন ৬০ রান করেন। সিমরন হেটমায়ার করেন ৫৬ রান। এবার আইপিএলে লাগাতার দুরন্ত পারফর্ম করছে রাজস্থান। অনেকই বলছেন তারাই এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার। তবে এখনও অনেকটা সময় বাকি।

GT vs RR: গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া রাজস্থান, হার্দিক বনাম সঞ্জু লড়াই

আহমেদাবাদ: ২০২২ আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে একতরফা ম্যাচে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল গুজরাত। তারপর রবিবার ফের মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। খেতাবি লড়াইয়ে হারের বদলা নিতে মরিয়া সঞ্জু স্যামসনরা। শুধু ফাইনাল নয়, গত মরশুমে তিনবারের সাক্ষাতের সবক’টিতে রাজস্থানকে হারিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। তাদের বিরুদ্ধে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড বজায় রাখাই লক্ষ্য গুজরাত টাইটান্সের।

চলতি আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে টেবিলের শীর্ষে তারা। ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডারে বড় ভরসা জস বাটলার। চার ম্যাচে ২০৪ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে আছেন তিনি। এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফেরাতে না পারলে কপালে দুঃখ রয়েছে গুজরাতের। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছেন যশস্বী জয়সওয়ালও।

আরও পড়ুন – Virat Kohli: সৌরভের সঙ্গে হাত মেলালেন না বিরাট, পুরনো জ্বালা ভোলেননি! ভাইরাল ভিডিও

তাছাড়া ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন তো আছেনই। রাজস্থানের মিডল অর্ডারে ভরসা জোগাচ্ছেন দেবদূত পাদিক্কাল, শিমরন হেটমায়ার ও অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। পাশাপাশি রাজস্থানের স্পিন বিভাগ খুবই শক্তিশালী। ১০ উইকেট ঝুলিতে ভরে এখন পার্পল ক্যাপের মালিক যুজবেন্দ্র চাহাল। যুজিকে যোগ্য সঙ্গত করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অ্যাডাম জাম্পা।

দুরন্ত ছন্দে আছেন কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্টও। সবমিলিয়ে ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে দলটির। অন্যদিকে, গুজরাতের পয়েন্টও রাজস্থানের সমান ৬। তবে রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তিন নম্বরে টাইটান্স। রবিবার জিতে শীর্ষস্থান দখলের সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা শুভমান গিল।

সম্প্রতি স্বপ্নের ফর্মে আছেন এই তরুণ তুর্কী। ৪ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৮৩ রান। সবচেয়ে বড় কথা, দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস গড়ে তুলতে করতে সক্ষম এই ওপেনার। অপর ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাও ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ভিত গড়ে দিচ্ছেন। তবে চলতি আসরে টাইটান্সের বড় আবিস্কার সাই সুদর্শন।

SRH vs RR: চাহালের ঘূর্ণিতে কাবু সানরাইজার্স, বিশাল জয় দিয়ে যাত্রা শুরু রাজস্থানের

রাজস্থান জয়ী ৭২ রানে

হায়দারাবাদ: রাজস্থান রয়েলস যখন প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বিশাল রান তুলেছিল, তখনই বোঝা গিয়েছিল এই রান তাড়া করা মোটেও সহজ নয় সানরাইজার্স দলের পক্ষে। যদি টপ অর্ডারে দুজন অসাধারণ কিছু করত, তবু একটা আশা থাকত। কিন্তু প্রথম থেকেই উইকেট হারাল সানরাইজার্স। ট্রেনট বোল্ট বোল্ড করলেন অভিষেক শর্মাকে। রাহুল ত্রিপাঠী সেই বোল্টের বলেই খাতা না খুলে ফিরে গেলেন।

কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন মায়াঅঙ্ক আগরওয়াল। ২৭ করে আউট হয়ে গেলেন চাহালের বলে। এরপর ব্রুক (১৩), ওয়াশিংটন (১), ফিলিপস (৮) কেউ দাঁড়াতে পারলেন না। এরপর বাকিটা নিয়ে আর বিশেষ কিছু লেখার নেই। চাহাল দুরন্ত বল করে ৪ উইকেট তুলে নিলেন। অশ্বিন বল হাতে চাপে রাখলেন ব্যাটসম্যানদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেমেই রাজস্থান রয়েলস দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করল।

টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমার। রাজস্থানের দুই ওপেনার জয়েসওয়াল এবং বাটলার প্রথম থেকেই ঝড় তুললেন। বিশেষ করে জস বাটলার। আইপিএলে এর আগে তার বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি ছিল। আজ যেভাবে শুরু করলেন বাটলার তাতে মনে হচ্ছিল আবার একটি সেঞ্চুরি আসতে চলেছে আইপিএলে। ২২ বলে ৫৪ করে ফিরে গেলেন।

সাতটা বাউন্ডারি এবং তিনটি ছক্কা ছিল ইনিংসে। স্টাইক রেট ছিল ২৪৫। যতক্ষণ ছিলেন মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল হায়দরাবাদের। আফগান পেসার ফারুকির বলে বোল্ড হলেন ইংরেজ তারকা। স্বস্তি পেল সানরাইজার্স। প্রথম ছয় ওভারেই ৮৫ তুলে ফেলল রাজস্থান। এরপর ৫০ পূর্ণ করে ফেললেন জয়েসওয়াল। ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত ফর্ম আইপিএলে বজায় রাখলেন তিনি

। ফারুকির বলেই মারতে গিয়ে আউট হলেন ৫৪ করে। উমরান মালিক এদিন দুরন্ত কিছু বল করতে না পারলেও একটি স্বপ্নের ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন দেবদত্ত পারিকালকে। শেষ পর্যন্ত ২০০ রান পেরিয়ে গিয়েছিল রাজস্থান। তবে ম্যাচটা এভাবে আত্মসমর্পণ করবে সানরাইজার্স এতটা আশা করা যায়নি। গতবার তাদের পারফরমেন্স অত্যন্ত খারাপ ছিল।

এবারও প্রথম ম্যাচে সেই ধারা বজায় থাকল। গতবারের রানার্স আপ রাজস্থান আবার নিজেদের জাত চিনিয়ে দিল। এরপর হয়তো সানরাইজার্স দলে মারকরাম যোগ দেবেন। কিন্তু তাতেও কতটা তাদের উন্নতি হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা যে দলের সঙ্গে যুক্ত তাদের ব্যাটিং এমন কেন সেটাই আশ্চর্যের ব্যাপার।

SRH vs RR: বাটলার এবং অধিনায়ক সঞ্জুর ব্যাটে হায়দারাবাদের বিপক্ষে বিশাল রান রাজস্থানের!

হায়দরাবাদ: নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেমেই রাজস্থান রয়েলস দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করল। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমার। রাজস্থানের দুই ওপেনার জয়েসওয়াল এবং বাটলার প্রথম থেকেই ঝড় তুললেন। বিশেষ করে জস বাটলার। আইপিএলে এর আগে তার বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি ছিল।

আজ যেভাবে শুরু করলেন বাটলার তাতে মনে হচ্ছিল আবার একটি সেঞ্চুরি আসতে চলেছে আইপিএলে। ২২ বলে ৫৪ করে ফিরে গেলেন। সাতটা বাউন্ডারি এবং তিনটি ছক্কা ছিল ইনিংসে। স্টাইক রেট ছিল ২৪৫। যতক্ষণ ছিলেন মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল হায়দরাবাদের। আফগান পেসার ফারুকির বলে বোল্ড হলেন ইংরেজ তারকা। স্বস্তি পেল সানরাইজার্স।

প্রথম ছয় ওভারেই ৮৫ তুলে ফেলল রাজস্থান। এরপর ৫০ পূর্ণ করে ফেললেন জয়েসওয়াল। ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত ফর্ম আইপিএলে বজায় রাখলেন তিনি। ফারুকির বলেই মারতে গিয়ে আউট হলেন ৫৪ করে। উমরান মালিক এদিন দুরন্ত কিছু বল করতে না পারলেও একটি স্বপ্নের ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন দেবদত্ত পারিকালকে। নিজের ৫০ পূর্ণ করে ফেললেন অধিনায়ক সঞ্জু। অন্যদিকে ছিলেন ক্যারিবিয়ান হেটমায়ার। শেষ পর্যন্ত দুজনে মিলে দলের রান ২০০ পার করলেন।

SRH vs RR: বাটলার, অশ্বিনদের রাজস্থানের সামনে আজ উমরানের হায়দারাবাদ, ফেভারিট রয়েলস

হায়দরাবাদ: আইপিএলের উদ্বোধনী আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেটাই শেষবার। আর কখনও খেতাবের স্বাদ পায়নি তারা। গতবার সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বে ফাইনালে উঠেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল গুজরাত টাইটান্সের কাছে হেরে। সেই হতাশা ভুলে এবার চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনে মরিয়া বাটলার-অশ্বিনরা। শনিবার উপ্পলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে রয়্যালস ব্রিগেড। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

শক্তির বিচারে এই ম্যাচে কিছুটা হলেও এগিয়ে থেকে নামবে রাজস্থান। ব্যাটিংয়ে তাদের প্রধান ভরসা জস বাটলার। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক সেট হয়ে গেলে প্রতিপক্ষ শিবিরের কপালে দুঃখ রয়েছে। গত মরশুমে ৮৬৩ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছিলেন তিনি। সেই ছন্দ এবারও ধরে রাখতে প্রত্যয়ী বাটলার। তাঁর সঙ্গে ওপেন করবেন সম্ভবত যশস্বী জয়সওয়াল।

এছাড়া রয়েছেন সঞ্জু স্যামসন, শিমরন হেটমায়ার, দেবদূত পাদিক্কালের মতো তারকা ব্যাটসম্যান। রাজস্থানের বোলিংও বেশ শক্তিশালী। পেস বিভাগে ট্রেন্ট বোল্ট, কুলদীপ সেনের সঙ্গে আছেন ওবেড ম্যাকয়। আর স্পিন বোলিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গত মরশুমে ২৭টি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জিতেছিলেন চাহাল।

অন্যদিকে, শেষ দুই মরশুমে সানরাইজার্সের পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার মতো নয়। ২০২১ সালের লাস্ট বয় গতবার টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল আট নম্বর স্থানে। এবারও তাদের টিম কম্বিনেশন খুব একটা আশা জাগিয়ে তুলছে না। কেন উইলিয়ামসনকে ছেড়ে দিয়ে হায়দরাবাদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে আইডেন মার্করামকে। তিনি এখনও ভারতে এসে পৌঁছননি।

তাই প্রথম ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ভুবনেশ্বর কুমার। সানরাইজার্সের ব্যাটিংয়ে গভীরতার অভাব রয়েছে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ইরানি কাপে রান পাননি। তবে রাহুল ত্রিপাঠি, গ্লেন ফিলিপসের উপর ভরসা করাই যায়। হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের প্রধান শক্তি পেস বিভাগ। অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমারকে সঙ্গত করতে তৈরি স্পিডস্টার উমরান মালিক এবং টি নটরাজন। আর স্পিন বিভাগে আছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।

IPL 2023: আইপিএলের আগে জোর ধাক্কা রাজস্থান রয়্যালসের, ছিটকে গেলেন তারকা ক্রিকেটার

জয়পুর: ২০০৮ সালের পর মাঝে ১৪ বছরের ব্যবধান। ২০২২ সালের আইপিএলে দ্বিতীয়বারের জন্য ফাইনালে পৌছেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ফাইনালে যদিও গুজরাট টাইটানসের কাছে হেরে বিদায় হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সঞ্জু স্যামসনের দলকে। রাজস্থান রয়্যালসের রানার্স হওয়ার পেছনে যে সকল ক্রিকেটারদের বড় ভূমিকা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। দলের বোলিং অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান শক্তি ছিলেন এই ডান হাতি পেসার। তবে ২০২৩ সালে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে পাচ্ছে না রাজস্থান।

চোটের কারণে আইপিএল ২০২৩ থেকে ছিটকে গেলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। পিঠের চোটের কারণে কাবু তিনি। অস্ত্রপচার করেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তরুণ পেসার। ট্যুইট করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা জানিয়েছেন,”চোটের কারণে এত ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে পারছি না। তার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আশা করছি তাড়াতাড়ি আবার মাঠে ফিরতে পারব।” ২০২২-এর মেগা নিলামে ১০ কোটি টাকা খরচ করে প্রসিদ্ধকে দলে নিয়েছিল রাজস্থান। গত আইপিএলে ১৭ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন। এবার তাকে না পাওয়া রাজস্থান রয়্যালসের কাছে বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ Lionel Messi: ফের ‘বর্ষসেরা ফুটবলার’ হলেন লিওনেল মেসি, হারিয়ে দিলেন এমবাপে-নেইমার-রোনাল্ডোকে

প্রসঙ্গত, সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ভালো পারফর্মও করছিলেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ড এ দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দলের সিরিজ চলাকালীন পিঠে চোট পান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। চোটের কারণে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে। অস্ত্রোপচার করার পরও এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। সুস্থ হতে আরও ২ মাসের মত লাগতে পারে। তারপর ফিট হতে ও মাঠে ফিরতে আরও সময়। ফলে এখও দীর্ঘসময় ২২ গজ থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে।

RR vs RCB, Jos Buttler : জস আবার বস! চতুর্থ শতরানে কোহলিদের উড়িয়ে ফাইনালে তুললেন রাজস্থানকে

#আমেদাবাদ: কয়েকদিন আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে গুজরাতের বিপক্ষে ৮৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল গুজরাত। কিন্তু তিনি যে কোয়ালিফায়ার দুইয়ে চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না সেটাও জানা ছিল। জস বাটলার আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান সেটা সকলেই জানেন।

কিন্তু এবারের আইপিএলে অসাধারণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন তিনি। তিনটে শতরান করার পর একটুখানি ফর্ম হারিয়েছিলেন। কিন্তু প্লে অফ শুরু হতেই চেনা ছন্দে ইংলিশ তারকা। আজকেও আমেদাবাদের মাঠে বিরাট কোহলির দলের বিরুদ্ধে বাটলার ম্যাজিক দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। প্রথমদিকে কয়েকটা ওভার একটু দেখে নিলেন। তারপর সিরাজ, শাহবাজ, হাজেলউড – কাউকে ছাড়লেন না।

যেমন খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন, তেমনই লুজ বল পেলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন সহজে। যেন ম্যাচটা শেষ করে উঠবেন প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন বাটলার। যশস্বী জয়সওয়াল আউট হয়ে যাওয়ার পরেও সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে এগিয়ে গেলেন। বুঝিয়ে দিলেন এমনি এমনি এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ স্কোরার নন তিনি।

বাটলারের ব্যাট থেকে একটি করে বাউন্ডারি আসছিল, আর বিরাট কোহলি, ডু প্লেসিদের দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়ছিল। একাই আরসিবির হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন ম্যাচ। অন্যদিকে অধিনায়ক সঞ্জু তাকে সমর্থন দিলেন। পেস বা স্পিন কিছুই যেন কাবু করতে পারছিল না বাটলারকে।

বাটলার কেন খুনে ব্যাটসম্যান আবার প্রমাণ পাওয়া গেল। তবে ৬৬ রানের মাথায় এদিন জীবন ফিরে পেলেন বাটলার। হর্ষলের বলে সহজ ক্যাচ মিস করলেন দীনেশ কার্তিক।

RR vs RCB : ফাইনালে ওঠার পথে কোহলিদের ব্যাকফুটে রাখল বোল্ট, কৃষ্ণদের দুরন্ত বোলিং

#আমেদাবাদ: লিগ পর্বের ম্যাচে আরসিবির কাছে হেরে গেলেও আইপিএল কোয়ালিফায়ার টু তে ছেড়ে কথা বলবে না রাজস্থান, সেটা জানা ছিল। আমেদাবাদের মাঠে টস ভাগ্য ছিল তাদের সঙ্গে। জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক, সেটা প্রমাণ হতে বেশি সময় লাগেনি। দ্বিতীয় ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ তুলে নিলেন বিরাট কোহলিকে।

অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা বল কন্ট্রোল করতে পারেননি কোহলি। এদিন তার সংগ্রহ মাত্র ৭। আবার বড় মঞ্চে ব্যর্থতা কিং কোহলির। দলের অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি (২৫) করে ফিরে গেলেন। লড়াই চালিয়ে গেলেন রজত পতিদার। ঠিকঠাক টাইমিং হচ্ছিল না। তবুও মধ্যপ্রদেশের ব্যাটসম্যান ভরসা দিলেন।

সঙ্গে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু তিনিও সহজে বড় শট খেলতে ব্যর্থ। বোল্টের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ করে। দুরন্ত ক্যাচ নিলেন ম্যাক কয়। আসলে এদিন রাজস্থানের বোলাররা হোমওয়ার্ক করে নেমেছিলেন কোহলি, ফ্যাফ ডু প্লেসি, ম্যাক্সওয়েলদের বিপক্ষে।

প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, চাহাল, বোল্ট, অশ্বিনরা হাত খোলার বিশেষ জায়গা দিলেন না আরসিবি ব্যাটসম্যানদের। বলের লাইন এবং লেন্থ সঠিক জায়গায় রাখলেন তারা। একমাত্র রজত পতিদার ছাড়া স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক ইনিংস খেলতে ব্যর্থ অধিকাংশ ব্যাটসম্যান।

বোলিং ইউনিট হিসেবে এদিন রাজস্থান বুদ্ধিমত্তার পরিচয় রাখল। অনেকেই তাদের আন্ডারডগ মনে করেছিল। কিন্তু রাজস্থান নক আউটে চিরকাল বড় দল সেটা আবার প্রমাণ করল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং ম্যাক কয় ইডেনে ব্যর্থ হলেও আজকে আমেদাবাদে দুরন্ত বোলিং করলেন দুজনেই। গতির বদলে চাপে ফেলে দিলেন ব্যাটসম্যানদের।