Tag Archives: Jos Buttler

KKR vs RR: নারিনের পাল্টা শতরানে কেকেআরের জয়ের গ্রাস কেড়ে নিলেন একা বাটলার, রুদ্ধশ্বাস জয় রাজস্থানের

কলকাতা: কাজে এল না সুনীল নারিনের শতরান। পাল্টা শতরানে কেকেআরের জয়ের গ্রাস কার্যত একার হাতে কেড়ে নিলেন জস বাটলার। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লাস্ট ওভার লাস্ট বল ফিনিশ করে আরও একবার রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের নায়ক জস বাটলার। ৬০ বলে ১০৭ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বাটলার। জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় গম্ভীর ও কেকেআর প্লেয়ারদের পাশাপাশি হতাশ দেখায় শাহরুখ খানকেও। এই ম্যাচ জয়ের ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল সঞ্জু স্যামসনের দল।

ইডেনে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। এদিন শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। গতম্যাচের নায়ক ফিল সল্ট ১০ রান করে আউট হন। তবে এদিন বিধ্বংসী ছন্দে ছিলেন সুনীল নারিন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন আংক্রিশ রঘুবংশী। তিনিও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন।

রঘুবংশী ৩০ রান করে আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আইয়ার, আন্দ্রে রাসেলরা এদিন রান পাননি। তবে নিজের মারকাটারি ইনিংস জারি রাখেন সুনীল নারিন। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে বোল্টের শিকার হন নারিন। ১৩টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। শেষের দিকে ফের মারাকাটির ব্যাটিং করে রিঙ্কু সিং। ২০ করেন রিঙ্কু। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে কেকেআর।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল ১৯ ও সঞ্জু স্যামসন ১২ রান করে আউট হন। এরপর ৫০ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ করেন রিয়ান পরাগ ও জস বাটলার। ১৪ বলে ৩৪ করে সাজঘরে ফেরেন পরাগ। এরপর একদিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। অশ্বিন ৮, ধ্রুব জুরেল ২ ও হেটমায়ার শূন্য রানে আউট হন।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ে বড় চমক! রোহিতের পার্টনার কে? জেনে নিন বিস্তারিত

একদিকে থেকে উইকেট পড়লেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান বাটলার। একটা সময় রাজস্থানের ওভার পিছু প্রয়োজনীয় রানরেট ১৬-র বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাটলার ও রভম্যান পাওয়েলের বিধ্বংসী ইনিংস ম্যাচে ফেরায় রাজস্থানকে। পাওয়েল ১৩ বলে ২৬ করে আউট হলেও দলকে একা টানেন বাটলার। কেকেআর বোলারদের তুলোধনা করে নিজের শতরান পূরণ করেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। শেষ বলে ম্যাচ ফিনিশ করেন বাটলার।

RCB vs RR: কোহলির পাল্টা শতরান বাটলারের, আরসিবিকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে রাজস্থান

বিরাট কোহলি লড়াই ও সেঞ্চুরিও আরসিবিকে ফেরাতে পারল না জয়ের রাস্তায়। কোহলির পাল্টা সেঞ্চুরি করলেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন সঞ্জু স্যামসন। দুই তারকার ব্যাটিংয়ে ভর করে ঘরের মাঠে সহজ জয় পেল রাজস্থান রয়্যালস। পরপর চার ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষেস্থানও দখল করল রাজস্থান। আরসিবির ১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে রাজস্থান।

ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ওপেনি জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন দুই আরসিবি তারকা বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। শতরানের পার্টনারশিপ করেন। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট খেলেন কোহলি ও ডুপ্লেসি। ১২৫ রান ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন দুজনে। ৪৪ রান করে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি।

অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান বিরাট কোহলি। আইপিএলে নিজের অষ্টম শতরান করেন কোহলি। স্লগ ওভারে সেভাবে কেউ সাথ দিতে পারেনি কোহলির। ফলে একটা সময় মনে হচ্ছিল ২০০-র বেশি স্কোর করবে আরসিবি। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান করে আরসিবি। ৭২ বলে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ১২টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো বিরাট ইনিংস।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। দ্বিতীয় উইকেটে অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েন জস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন দুজনে। শতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। ১৪৮ রানের ম্যাচ উইনিং পার্টনারশিপ করেন দুই তারকা ব্যাটার। যা এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ৬৯ রান করে আউট হন সঞ্জু স্যামসন।

আরও পড়ুনঃ KKR News: আরও বাড়ল আন্দ্রে রাসেলর ‘শক্তি’! সিএসকে ম্যাচের আগে বড় কথা বলে দিলেন কেকেআর তারকা

রাজস্থান অধিনায়ক ফিরলেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান জস বাটলার। তবে রিয়ান পরাগ ও ধ্রুব জুরেল এদিন রান পাননি। শেষের দিকে জস বাটলারকে সঙ্গ দেন শিমরন হেটমায়ার। জয়ের জন্য রাজস্থানের জন্য যখন ১ রান দরকার ৯৪-তে ব্যাট করছিলেন বাটলার। ছয় মেরে নিজের শতরান পূরণ করেন ও দলকে জয় এনে দেন। ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় রাজস্থান।

Jos Buttler: জস আবার বস! বাটলার ঝড়ে সানরাইজার্সকে পিটিয়ে চামড়া গুটিয়ে দিল রাজস্থান

জয়পুর: জস বাটলার এতদিন নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না। কিন্তু রবিবার রাতে জয়পুরের মাঠে রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন ইংলিশ তারকা। প্রথম থেকেই দুরন্ত ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকেন ইংলিশ ওপেনার। সানরাইজার্স বোলারদের নিয়ে ছেলে খেলা করলেন। বোঝা গেল তিনি যেদিন ছন্দে থাকবেন, সেদিন রক্তচাপ বেড়ে যাবে বিপক্ষ দলের।

এবারের আইপিএল বেশ কিছু ভালো ম্যাচ উপহার দিয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু জস বাটলার ছন্দে না থাকায় অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর মন খারাপ ছিল। আধুনিক ক্রিকেটের সাদা বলে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান একেবারেই সঙ্গে নেই রাজস্থানের জার্সিতে। তার দাম দিতে হচ্ছে গোলাপি জার্সিধারীদের। চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। শেষ দু’টি ম্যাচে হেরে চাপে তারা।

এমন পরিস্থিতিতে রবিবার সানরাইজার্সের মুখোমুখি হবে রাজস্থান। হারের হ্যাটট্রিক এড়ানোই লক্ষ্য সঞ্জু স্যামসনদের। সেটা তা করতে পারবে কিনা বোঝা যাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ শেষের পর। তবে প্রথম ইনিংসে বাটলার যে ব্যাটিং উপহার দিলেন তাতে তার ভক্তদের মন খুশি হয়ে যাওয়া উচিত। তাকে যোগ্য সহায়তা করলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। জয়সওয়াল আজ ভালো শুরু করেও ৩৫ রানে আউট হয়ে যান।

তবে সেঞ্চুরি করতে পারলেন না বাটলার। ৫৯ বলে ৯৫ করে আউট হয়ে গেলেন। শেষ দুটি ওভার নটরাজন এবং ভুবনেশ্বর বেশ ভালো বল করলেন। তবে সঞ্জু বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে দলের রান নিয়ে গেলেন ২১৪।

 

Viral Video: ধনশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ! ফিল্মি কায়দায় কাকে প্রেম নিবেদন করলেন চাহল, ভাইরাল ভিডিও

জয়পুর: ভারতীয় ক্রিকেট দলের দম্পতিদের মধ্যে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তারকা লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহল ও ধনশ্রী ভার্মা। বিয়ের আগে প্রেম চলাকালীন থেকেই আলোচনায় এই জুটি। মাঝে একবার তাদের সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে তা যে শুধুই গুজব, তা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন চাহল-ধনশ্রী জুটি। এবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ করছেন যুজবেন্দ্র চাহল। তাহলে কী চাহল-ধনশ্রী জুটির বিচ্ছেদ আসন্ন?

তবে ভয়ের কোনও কারণ নেই। পুরো কাণ্ডটাই মজার ছলে। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সম্পূর্ণ মজার ছেলে। যুজবেন্দ্র চাহলের আইপিএল দল রাজস্থান রয়্যালসের তরফ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন চাহল। সঙ্গে রয়েছেন জস বাটলার। কোলে রয়েছে বাটলারের মেয়ে। সেখানেই দেখা যায় বাটলারকে মজার ছলে প্রপোজ করছেন চাহল। বলেন, ‘‘জস ভাই, তোমাকে ভালবাসি। গত বছর যখন তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তখন থেকেই তোমার জন্য আমার মন কেমন করে। রোজ রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখি। তুমি কি আমার সঙ্গে ডেটে যাবে?’’ সেই সময় আশেপাশে উপস্থিত প্লেয়ারদেরও হাসতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ IPL 2023: কোন দল হবে আইপিএল ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন, এনার ভবিষ্যদ্বাণী শুনলে চমকে যাবেন

এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। চাহল ও বাটলরের মজার ভিডিও নেট দুনিয়ায় হাসির রোল তুলেছে। ভিডিওটিতে পরেছে অসংখ্য লাইক ও কমেন্ট। রাজস্থান রয়্যালসে জস বাটলার ও যুজবেন্দ্র চাহলের সম্পর্কে খুবই ভালো। দুজনকে গত মরসুমেও নানা মজা করতে দেখা গিয়েছে। শুধু বাটলার নয়, স্ত্রী ধনশ্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মজাদার ভিডিও শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ক্রিকেটের পর এবার ফুটবলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন! বাটলারদের দেখে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন হ্যারি, ফোদেনরা

#লন্ডন: ক্রিকেট বিশ্বে এখন রমরমা ইংরেজদের। যেভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেদের অন্য মাত্রায় তুলে এনেছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা, তার প্রশংসা না করে থাকা যায় না। বাটলার থেকে বেন স্টোকস, মইন আলি থেকে স্যাম কারান – অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইংল্যান্ড বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের শক্তি।

এবার ক্রিকেট থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার চেষ্টা করছে ইংলিশ ফুটবল দল। হ্যারি কেন, রহিম স্টার্লিং, ফিল ফোদেন, হ্যারি ম্যাগুয়েররা মনে করেন কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আজ পর্যন্ত একবারই ১৯৬৬ সালে ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে হেরে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল ইংরেজরা।

আরও পড়ুন – ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে চূড়ান্ত অপমানিত রোনাল্ডো! বোমা ফাটালেন পর্তুগিজ মহাতারকা

কিন্তু এবার ইংল্যান্ড আগের থেকে অনেক তৈরি। শেষবার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও রানার্স আপ হয়েছিল তারা। প্রচুর ফুটবলার রয়েছে যারা নিজের দক্ষতায় খেলার ভোল বদলে দিতে পারে। মাউন্ট, রাইস, লুক শ নিজেদের দিনে ম্যাচ উইনার। ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথ গেট জানেন কোচ হিসেবে এবার তার শেষ সুযোগ।

দলে সেভাবে চোট আঘাত নেই। হ্যারি কেন জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক জস বাটলার তাকে টেক্সট মেসেজ করে বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটা পুরো দলের কাছে দারুন মোটিভেশন হিসেবে কাজ করবে কাতারে। ক্রিকেটে পারলে ফুটবলে কেন নয়?

তাই ৫৬ বছর পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কিনা সেটাই দেখার। হ্যারি কেন নিজে মনে করেন ইংল্যান্ড কমপ্লিট দল। প্রত্যেকে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া। ফুটবলার হিসেবে এটাই হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। তাই ইংলিশ অধিনায়ক হিসেবে হ্যারি কেন প্রেরণা পাচ্ছেন জস বাটলার, বেন স্টোকসদের দেখে।

একজন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক, অপরজনের কাছে বিশ্বজয়ের হাতছানি, কী কথা হল দুজনের

#অ্যাডিলেড: ২০০৯ সালের পর আরও একবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড দল। ২০১৯ সালে প্রথমবার ৫০ ওভারে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রিটিশর। অধিনায়র ছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। ৩ বছরের ব্যবধানে আরও একবার বিশ্বজয়ের হাতছানি জস বাটলারের দলের সামনে। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারতকে হারানোর পর ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথা হল জস বাটলারের।

সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইেকেটে হারের পর একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকার দেন জস বাটলার। সেখানে সঞ্চালক ও বাটলার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। সেখানেই নিজের দলের এদিনের ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন বাটলার। মেগা ফাইনালে নামার আগে বাটলারকে মর্গ্যান কোনও টিপস দেবেন কিনা সেটা জানতে চান সঞ্চালক। জবাবে বাটলারের প্রশংসা করে মর্গ্যান বলেন, ইংল্যান্ড ফাইনালে,’এর থেকে বেশি ভালো কিছু হতে পারেনা।’ এছাড়া মর্গ্যান বলেন,’আমি এই লোকটিকে কোন উপদেশ দিতে পারি না – সে আজ তার সর্বকালের সেরা খেলায় অধিনায়কত্ব করেছে।’ বাটলারের অধিনায়কত্বে মর্গ্যান যে ভরসা রাখছে, আলাদা করে টিপসের কোনও প্রয়োজন নেই সেটাই বুঝিয়ে দেন ইয়ন মর্গ্যান।

প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫০ রান করেন বিরাট কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ব্রিটিশ লায়ন্সরা। ৮৬ রান করে অ্যালেক্স হেলস ও ৮০ রান করে জস বাটলার অপরাজিত থাকেন।

 

Jos Buttler vs Rashid Khan : আইপিএল ফাইনালে আজ `খুনে’ বাটলারকে থামাতে গুজরাতের সেরা বাজি রশিদ খান

#আমেদাবাদ: কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কয়েকদিন আগে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলায় রাজস্থান রয়্যালস হেরে গিয়েছিল গুজরাতের কাছে। সেভাবে কেউ বড় রান না পেলেও দেখিয়ে দিয়েছিলেন জস বাটলার। ক্রিকেটের নন্দনকানন দেখেছিল তার অনবদ্য ব্যাটিং। ৮৯ রানের ইনিংস লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল রাজস্থানকে। কিন্তু বোলিং ব্যর্থতার জন্য সেদিন জয় আসেনি রাজস্থানের।

আজ কয়েকটা দিন পর আবার সেই ম্যাচ। দুই প্রতিবেশী রাজ্য মুখোমুখি আইপিএল ফাইনালে। ক্রিকেটার এবং পণ্ডিতদের অনুসারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত। কিন্তু রাজস্থান দলে রয়েছেন জস বাটলার। এবারের আইপিএলে যিনি সর্বোচ্চ স্কোরার। ৮০০ র বেশি রান করে বসে আছেন।

বিরাট কোহলির আরসিবিকে একাই শেষ করে দিয়েছিলেন শেষ ম্যাচে। আধুনিক সাদা বলের ক্রিকেট পৃথিবীর অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান এই বাটলার। কাজ থাকে আটকাতে মরিয়া থাকবে গুজরাত সেটা জানা কথা। আমেদাবাদে ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া হার্দিক পান্ডিয়ার দল। জস বাটলারকে তাড়াতাড়ি আউট করতে না পারলে সেই সম্ভাবনা ধাক্কা খেতে পারে।

তাই গুজরাত শিবিরে এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ইংরেজ ব্যাটসম্যান বাটলার রুদ্র মূর্তি ধারণ করলে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাত দিশেহারা হয়ে পড়বে। তাকে থামানোর সেরা বাজি হতে পারেন রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনার জানেন বাটলার কোথায় দুর্বল। ফাস্ট বোলিং তিনি যতটা উপভোগ করেন, স্পিন ততটা নয়।

তাই আজ বাটলারকে আউট করতে প্রথমেই রশিদ খানের হাতি বল তুলে দিলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ফ্লাইট এবং লুপে তাকে বোকা বানানোর ফাঁদ পাতবেন রশিদ। কিন্তু যদি ভাগ্যের সহায়তা পান বাটলার তাহলে গুজরাতের যাবতীয় প্ল্যানিং ভেস্তে যেতে পারে।

একবার ছন্দ পেয়ে গেলে তাকে আটকানো মুশকিল। তাই আজ ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য বাটলার বনাম রশিদ লড়াইটা উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে।

Jos Buttler, IPL : পাঁচটা শতরান লক্ষ্য বাটলারের! ফাইনালে ফের ঝড় তুলতে চান ইংরেজ তারকা

#আমেদাবাদ: তিনি নিজের ছন্দে থাকলে কি করতে পারেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এবারের আইপিএলে। কিন্তু চারটে সেঞ্চুরি করে সন্তুষ্ট নন জস বাটলার। পঞ্চম সেঞ্চুরি করতে চান ইংরেজ তারকা। ফাইনালে যদি সেঞ্চুরি করতে পারেন এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন, তবেই পরিশ্রমের মূল্য পাবেন মনে করেন তিনি। যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেবে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাতের।

আইপিএল শুরুর আগে নিলামে তাঁকে ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা বড় ছিল, সেটা প্রতি ম্যাচেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন জস বাটলার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাঁর দুরন্ত শতরানের জেরেই ফাইনালে উঠে গেল রাজস্থান। এবারের আইপিএলে চারটি শতরান করে ফেললেন বাটলার। ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলীকে। রানের বিচারেও যেখানে রয়েছেন, সেখানে অন্য কারওর তাঁকে ছোঁয়া কার্যত অসম্ভব।

ফলে কমলা টুপিও প্রায় নিশ্চিত তাঁর। ফাইনালে উঠে বাটলারের মুখেও প্রয়াত শেন ওয়ার্নের কথা, যাঁর অধীনে প্রথম বার ফাইনালে উঠেছিল রাজস্থান। বাটলার বললেন, রাজস্থানে শেন ওয়ার্নের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। প্রথম মরসুমেই আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। ফাইনালে ওকে প্রচণ্ড মিস করব। কিন্তু এটাও জানি, ওয়ার্ন নিশ্চয়ই উপর থেকে আমাদের দেখছে।

নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে বাটলার জানালেন, মরসুমটা যে এ রকম যেতে পারে, সেটা ভাবতেই পারেননি। ম্যাচের পর বললেন, এই মরসুমে খুবই কম প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। তবে হ্যাঁ, শক্তি ছিল অনেক। আজ ফাইনালে উঠতে পেরে মনে হচ্ছে, ভালই খেলেছি। এই মরসুমটা দুটো অর্ধে ভাগ করতে চাই।

একটা ভাল গিয়েছে। এখন খারাপ। আমার কাছের মানুষ যারা, সেই কুমার সঙ্গকারা এবং ট্রেভর পেনির সঙ্গে খোলামনে অনেক কথা বলতে পেরেছি। কেন কথা বলতে হল এই দু’জনের সঙ্গে? বাটলারের ব্যাখ্যা, মরসুমে মাঝপথে এসে আচমকাই চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।

মনঃসংযোগ বিক্ষিপ্ত হচ্ছিল। সপ্তাহখানেক আগে এই দু’জনের সঙ্গে কথা বলি। সত্যি বলতে, কলকাতায় যাওয়ার আগে অনেক খোলামনে গিয়েছিলাম। ওই দিনের ম্যাচে যে আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাই, সেটাই আমাদের সাহায্য করেছে।

RR vs RCB, Jos Buttler : জস আবার বস! চতুর্থ শতরানে কোহলিদের উড়িয়ে ফাইনালে তুললেন রাজস্থানকে

#আমেদাবাদ: কয়েকদিন আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে গুজরাতের বিপক্ষে ৮৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল গুজরাত। কিন্তু তিনি যে কোয়ালিফায়ার দুইয়ে চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না সেটাও জানা ছিল। জস বাটলার আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান সেটা সকলেই জানেন।

কিন্তু এবারের আইপিএলে অসাধারণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন তিনি। তিনটে শতরান করার পর একটুখানি ফর্ম হারিয়েছিলেন। কিন্তু প্লে অফ শুরু হতেই চেনা ছন্দে ইংলিশ তারকা। আজকেও আমেদাবাদের মাঠে বিরাট কোহলির দলের বিরুদ্ধে বাটলার ম্যাজিক দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। প্রথমদিকে কয়েকটা ওভার একটু দেখে নিলেন। তারপর সিরাজ, শাহবাজ, হাজেলউড – কাউকে ছাড়লেন না।

যেমন খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন, তেমনই লুজ বল পেলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন সহজে। যেন ম্যাচটা শেষ করে উঠবেন প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন বাটলার। যশস্বী জয়সওয়াল আউট হয়ে যাওয়ার পরেও সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে এগিয়ে গেলেন। বুঝিয়ে দিলেন এমনি এমনি এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ স্কোরার নন তিনি।

বাটলারের ব্যাট থেকে একটি করে বাউন্ডারি আসছিল, আর বিরাট কোহলি, ডু প্লেসিদের দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়ছিল। একাই আরসিবির হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন ম্যাচ। অন্যদিকে অধিনায়ক সঞ্জু তাকে সমর্থন দিলেন। পেস বা স্পিন কিছুই যেন কাবু করতে পারছিল না বাটলারকে।

বাটলার কেন খুনে ব্যাটসম্যান আবার প্রমাণ পাওয়া গেল। তবে ৬৬ রানের মাথায় এদিন জীবন ফিরে পেলেন বাটলার। হর্ষলের বলে সহজ ক্যাচ মিস করলেন দীনেশ কার্তিক।

Jos Buttler, IPL play off : ইডেনে বাটলার ঝড়! পিটিয়ে ছাতু করলেন গুজরাতের শামি, ইয়াশদের

#কলকাতা: কালবৈশাখী বা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও কিছুই হয়নি। ফলে সিটি অফ জয় কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা মঙ্গলবার ইডেনে প্লে-অফ কোয়ালিফায়ার তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন। সাক্ষী থাকলেন জস বাটলার ঝড়ের। ইংরেজ ব্যাটসম্যান এদিন ৫৬ বলে ৮৯ রানের ইনিংস উপহার দিলেন। এক ডজন বাউন্ডারি, দুটি ওভার বাউন্ডারি। ইডেনে ফের স্বমহিমায় বাটলার।

আরও পড়ুন – Sanju Samson, Eden Gardens : মারকাটারি ইনিংসে ইডেনের দর্শকদের মন জয় করে নিলেন সঞ্জু স্যামসন

প্রথমদিকে কিছুটা থিতু হলেন। শেষ কয়েকটা ওভারে শামি, ইয়াশ, হার্দিকদের পিটিয়ে ছাতু করলেন। আন্দ্রে রাসেল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল – আইপিএলের ইতিহাসে এসব বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যতটা আলোচনা হয়, ততটা হয়তো হয় না তাকে ঘিরে। কিন্তু তিনি বাকিদের থেকে কম নন, সেটা পরিসংখ্যান দেখলেই পরিষ্কার।

মঙ্গলবার থেকে ইডেনে শুরু হচ্ছে এবারের আইপিএলের নক আউট পর্ব। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাত টাইটানসের মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস। পর পর দুই ম্যাচ জিতে লিগ তালিকায় দুইয়ে শেষ করে প্রথমবার কোয়ালিফায়ার-১ খেলতে নামছে রাজস্থান। তবে তাঁর আগে দলের চিন্তার বিষয় জোস বাটলারের ফর্ম। অরেঞ্জ ক্যাপ’র মালিক জস বাটলার মরশুমের প্রথমার্ধে দারুণ ফর্মে ছিলেন।

মরশুমে তিনটি শতরান ও তিনটি অর্ধশতরানসহ ১৪৭-র স্ট্রাইক রেটে ৬২৯ রান করেছেন বাটলার। প্লে-অফের আগে ফর্মে ফেরার পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। আবার বড় রানের লক্ষ্যে মরশুমের প্রথম দিককার ইনিংসগুলি থেকেই আত্মবিশ্বাসের খোঁজে ছিলেন বাটলার।

কোয়ালিফায়ার-১ নামার আগে দিন তিনি জানান, আমি এবারের আইপিএলে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও, শেষ কয়েকটি ম্যাচ নিয়ে হতাশ। প্রথমার্ধে আমি সম্ভবত নিজের কেরিয়ারের সেরা ক্রিকেটটা খেলছিলাম। আজ আবার ক্রিকেটের নন্দনকানন দেখল আধুনিক যুগের অন্যতম খুনে ব্যাটসম্যান বাটলারের দানবীয় মার।

ওভার শেষ না হয়ে গেলে হয়তো চলতি আইপিএলে নিজের তৃতীয় শতরান তুলে নিতে পারতেন। বাটলারের ব্যাট যখন শাসন করছে বোলারদের, তখন ইডেনের দর্শকরা আনন্দে আত্মহারা। বহুদিনের ক্রিকেট তৃষ্ণা মিটিয়ে দিলেন বাটলার।