Tag Archives: Raksha-Kali Puja

Raksha-Kali Puja: অন্ধকারে হয় বিসর্জন! ফিরে তাকায় না কেউ! রক্ষাকালীর কাহিনি অবাক করবে!

পূর্ব বর্ধমান: পুজো হয় সাড়ম্বরে, তবে লোকচক্ষুর আড়ালে আলো ছাড়াই হয় প্রতিমার বিসর্জন। কৌশিকী অমাবস্যায় নয়, চৈত্র মাসের এই অমাবস্যায় উৎসবের আমেজ এই গ্রাম জুড়ে। মঙ্গলবার রক্ষকালী পুজোকে কেন্দ্র করে সেজে উঠল গোটা গ্রাম।কয়েক শতাব্দী ধরে নিজস্ব নিয়ম রীতি মেনে দেবী রক্ষকালীর আরাধনা হয়ে আসছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে। পুজোর রয়েছে এক আলাদা বৈশিষ্ট্যও।

পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি গ্রাম দেওয়াশীন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রাম জুড়ে বর্তমানে উৎসবের আমেজ। মঙ্গলবার রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে গোটা দেওয়াশীন গ্রাম। পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের প্রধান উৎসবই হল এই রক্ষাকালী পুজো।

চৈত্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় এই পুজোটি। গ্রামবাসীদের পাশে নিয়ে, বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করে দেওয়াশীন অগ্রগামী ক্লাব। গ্রামের এই পুজো প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তি সুশীল ব্যানার্জি জানান, “এটাই তাঁদের প্রধান পুজো । এই কটা দিন তাঁরা আনন্দের সঙ্গে কাটান। পুজোর আগে থেকে পুজো শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকে চরম ব্যস্ততা। পুজো দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমান বহু মানুষ। “

আরও পড়ুন: লাল না হলুদ তরমুজ খাবেন? ক্যানসারের যম এই ফল! জানুন

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে এক সময় নাকি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এই এলাকা। সেই সময় জৈনক সাধকের হাত ধরে এই পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীকালে সেই পুজোই হয়ে ওঠে গোটা গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব। পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়াশীন গ্রামের এই রক্ষাকালী পুজোকে ঘিরে আলোর মালায় সেজে ওঠে গ্রামের একাংশ। রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যে হতেই শুরু হয় ভক্ত তথা স্থানীয় মানুষদের আনাগোনা।

আরও পড়ুন: যা চাইবেন তাই পাবেন! সুতোয় বেঁধে দিন হাতি-ঘোড়া! এই মন্দিরে ছুটছে বহু মানুষ

দেওয়াশীনের এই রক্ষাকালী পুজোর রয়েছে এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সাড়ম্বরে দেবীর পুজো হলেও, দেবী রক্ষাকালীর বিসর্জন হয় লোক চক্ষুর আড়ালে, আলো ছাড়াই।এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিরা আরও জানান, “কোনও রকম বৈদ্যুতিক আলো, মশাল, লাইট ছাড়াই অন্ধকারে দেবী প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। এছাড়াও দেবী প্রতিমা পুকুরে বিসর্জন করার পর আর কেউ ঘুরে তাকায় না পুকুরের দিকে। এটাই নাকি পুজোর রীতি, যা পূর্ব পুরুষের আমল থেকে চলে আসছে।”

তবে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেলেও, রক্ষাকালী পুজোকে ঘিরে যে মেলা বসে, তা থাকে তিন থেকে চারদিন। কেবল মেলাই নয়, কালী পুজোকে ঘিরে বসে যাত্রার আসর। সব মিলিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের পরেও বর্তমানে উৎসবের রেশ গোটা গ্রাম জুড়ে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী