Tag Archives: Rape Case

Crime news: একাধিক বার ধর্ষণ করেছিল প্রৌঢ়, ‘বাঁচতে’ ধর্ষককে খুন করে আটক নাবালক

মুজফফরনগর: নাবালককে নিয়মিত ধর্ষণ করছিল প্রৌঢ়, ‘বাঁচতে’ অভিযুক্ত ধর্ষককে খুন করল ১৫ বছরের কিশোর। মুজফফরনগরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: হার্দিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্নের মুখে নাতাশা, কী উত্তর দিলেন তিনি?

অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে প্রৌঢ় সেই নাবালককে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিল। প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ২০ মে, পুলিশের নজরে আসার পরেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। নাবালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃদ্ধের পরিবার পুলিশে অভিযোগ করার পরে অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন: কোথায়, কখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রিমল, গতিবেগই বা কত হবে? আপডেট দিল হাওয়া অফিস

এলাকার পুলিশ সুপার আদিত্য বনসল বলেছেন, “কয়েক সপ্তাহ আগে মৃত প্রৌঢ় কিশোরকে নির্যাতন করে এবং তার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখে”। পুলিশ সুপার আরও বলেন, “কিশোরকে ব্ল্যাকমেল এবং শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছিল। সোমবার আবার সেই প্রৌঢ় কিশোরকে বাড়িতে আসতে জোর করেন, না এলে ভিডিয়ো অনলাইনে আপলোড করে দেওয়ারও হুমকি দেন। তার পরেই সামনে পড়ে থাকা একটি ধারালো বস্তু দিয়ে সেই প্রৌঢ়ের গলা এবং মাথায় আঘাত করে”।

৪০ বছর আগে প্রেমিকার মায়ের অভিযোগের জের, কিন্তু একটিমাত্র ভুলের কারণে আজ জেলবন্দি বৃদ্ধ

মুম্বই: ভালবেসে প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন। জন্মেছিল ওই দম্পতির চার সন্তানও। কিন্তু ৪০ বছর আগে করা একটা ভুলের মাসুল গুনতে হচ্ছে সেই প্রেমিককে। আসলে ওই ভুলের জেরে ফেঁসে গিয়ে এখন জেলে বন্দি তিনি। তবে যিনি তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, অর্থাৎ তাঁর সেই প্রেমিকা আর ইহলোকে নেই। বিষয়টা ঠিক কী?

বর্তমানে ৭০ বছর বয়স দাউদ বান্দু খানের। ১৯৮৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী কন্যার প্রেমে পড়েছিলেন দাউদ বান্দু খান (Dawood Bandu Khan)। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ নিয়ে আসেন প্রেমিকার মা। নাবালিকা কন্যাকে দাউদ যৌন হয়রানি করেছেন, বলে অভিযোগ জানান তিনি। তবে সেই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অবশ্য তাঁকেই বিয়ে করেন দাউদ বান্দু খান। তবে সেই প্রেমিকার সঙ্গে নিজের বিয়ে এবং শাশুড়ির সঙ্গে সমস্যা মিটমাট হওয়ার কথা তিনি পুলিশ ও আদালতকে জানাতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। এমনকী, পুলিশকে না জানিয়ে তিনি আগ্রায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন– সামনে এল মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলের বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট, তাদের নম্বর দেখলে চমকে যাবেন !

এখন মুম্বই পুলিশ উত্তর প্রদেশের আগ্রা থেকে গত ৪০ বছর ধরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় পলাতক দাউদ বান্দু খানকে গ্রেফতার করেছে। আসলে তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি, সেই কারণেই আদালত তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেছিল। এদিকে সবথেকে বড় সমস্যার বিষয়টি হল, অভিযুক্তের স্ত্রী এবং শাশুড়িও এখন আর ইহলোকে নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেই অভিযোগও তুলে নেওয়ার আর কেউ নেই। যার জেরে বৃদ্ধ দাউদকে এখন সেই পুরনো যৌন হয়রানির মামলার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

শাশুড়ি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছিলেন:

পুলিশ জানিয়েছে যে, ১৯৮৪ সালে দাউদ খান এবং তাঁর প্রেমিকা (যিনি তখন ১৭ বছর বয়সী ছিলেন এবং পরে দাউদের স্ত্রী হয়েছিলেন) পাশাপাশি বাড়িতেই থাকতেন। সেই সময় তাঁরা মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের ভিপি রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। দাউদ বান্দু খান সোনা গলানোর কাজ করতেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর। পাশের বাড়ির কিশোরী কন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যদিও মেয়েটির মা সেই প্রেমের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। ফলে ডিবি মার্গ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পরেই দাউদ খানকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও কোনওক্রমে জামিন পেতে সক্ষম হন দাউদ। এরপর তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। অবশেষে প্রেমিকা সাবালিকা হলে তাঁকে বিয়ে করে নেন দাউদ।

আরও পড়ুন– এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ান বাতিলের জের, কলকাতা বিমানবন্দরে সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী!

খানের সবচেয়ে বড় ভুল কী ছিল?

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বইয়েই ওই দম্পতির প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তাঁরা কাউকে কিছু না জানিয়ে আগ্রা চলে যান। একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন যে, আগ্রায় যাওয়ার আগে হওয়ার আগে তাঁদের উভয়েরই (দাউদ এবং তাঁর বান্ধবী তথা স্ত্রী) পুলিশ এবং আদালতকে জানানো উচিত ছিল যে, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে এবং তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এর ফলে বছরের পর বছর ধরে মামলাটি চলতে থাকে। বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জারি করতে থাকে। অথচ দাউদ আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। সেই কারণে আদালত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ‘পলাতক’ বলেও ঘোষণা করে দেয়।

আরও পড়ুন– আর মাত্র কয়েকদিন, তারপরেই গোচর করবেন শুক্র; এর প্রভাবে মালামাল হতে চলেছে এইসব রাশি

৪০ বছর পর যেভাবে খানের নাম প্রকাশ্যে আসে:

আসলে মুম্বই পুলিশ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পলাতকদের খুঁজে বার করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে, তখনই দাউদ বান্দু খানের নাম প্রকাশ্যে আসে। ডিবি মার্গ পুলিশ জানিয়েছে যে, খানের ব্যাপারে তাদের কোনও ধারণাই ছিল না, কারণ তিনি দুই দশক আগে কাউকে না জানিয়ে নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, এদিকে যিনি মামলা করেছিলেন অর্থাৎ তাঁর স্ত্রীর মা-ও মারা গিয়েছেন। ফলে দাউদ কোথায় থাকতেন, তা আমাদের বলার কেউ ছিল না।

এক শ্যেফের জন্য সামনে আসে দাউদের নাম:

সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর বিজয় ঘোরপাড়ের তত্ত্বাবধানে কনস্টেবল বিনোদ রানে এই মামলায় কাজ করতে শুরু করেন এবং এলাকায় ইনফর্মারদের খোঁজ করেন। পুলিশের কাছে দাউদের পুরনো ঠিকানা ছিল, কিন্তু তিনি কোথায়, সেই বিষয়ে কেউই জানতেন না। তাই পুলিশ প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজ করতে শুরু করে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একজন শ্যেফ সম্পর্কে তথ্য হাতে আসে। আসলে এই শ্যেফকে প্রায় বছর দশেক আগে নিজের ছেলের বিয়েতে রান্নাবান্না করার জন্য আগ্রায় ডেকেছিলেন দাউদ।

৪০ বছর পর পুলিশ কীভাবে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছল?

পুলিশ ওই শ্যেফের সন্ধান করে। এরপরে তাঁর কাছ থেকেই দাউদের নম্বর পেয়ে রবিবার আগ্রায় পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে বাড়ি থেকেই খুঁজে পাওয়া যায় তাঁকে। এরপর দাউদ খানকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দাউদ খান দাবি করেন, তিনি ভেবেছিলেন যে, নির্যাতিতাকে বিয়ে করার পর মামলাটি বন্ধ হয়ে যাবে। পুলিশের দাবি, দাউদ জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী ২০১১ সালে মারা গিয়েছেন। এমনকী স্ত্রীর ডেথ সার্টিফিকেটও তিনি পুলিশকে দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে দাউদ খানকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং তিনি জেলে রয়েছেন। একজন অফিসার বলেন যে, “দাউদ খান প্রায় ৪০ বছর আগে নিজের বিয়ের কথা আদালতকে না জানিয়ে একটি মস্ত বড় ভুল করেছিলেন। শিগগিরই ওই মামলার কার্যবিধি শুরু হতে পারে।”