Tag Archives: omg news

নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের নামে সন্তানের নামকরণ করেছিলেন স্ত্রী, জানতেন না স্বামী; ছোটবেলার বন্ধুই করলেন আসল রহস্য ফাঁস

বিয়ের পরে বেশিরভাগ মানুষ অতীত ভুলে এগিয়ে যান। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বিয়ের পরেও অতীতের স্মৃতিতেই আটকে থাকেন। আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে স্বামী-স্ত্রীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইলেন এক ব্যক্তি। আসলে হাইস্কুলে থাকাকালীন যাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, সেই প্রেমিকের নামেই সন্তানের নাম রেখেছেন ওই মহিলা। যা শুনে বেশ আঘাতই পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। শুধু তা-ই নয়, ওই মহিলা এই সত্য অবশ্য স্বামীর কাছ থেকে সযত্নে লুকিয়েই রেখেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তা দিনের আলোর মতো সামনে এসেছে। ওই ব্যক্তি জানালেন কীভাবে তিনি ও তাঁর স্ত্রী শপিংয়ে বেরিয়েছিলেন, আর স্ত্রীর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ায় এই সত্য প্রকাশ্যে এসেছে। রেডিটে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি। যদিও তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা প্রকাশ্যে আনেননি।

আরও পড়ুন– নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে উঠলেন বর, কনে বিদায় দেখতে উপচে পড়ল ভিড় ! হতবাক পুলিশও

রেডিটে ওই ব্যক্তি লিখেছেন যে, “একদিন শপিংয়ে গিয়ে আমার স্ত্রীর স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাবার্তায় ওই বন্ধু আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমাদের সন্তান রয়েছে কি না! আমার স্ত্রী বলেন যে, এক ছেলে রয়েছে আমাদের। কিন্তু ওই বন্ধু আমাদের পুত্রের নাম জিজ্ঞাসা করতেই আমার স্ত্রী অস্বস্তিতে পড়ে যান। এরপর আমিই আমাদের ছেলের নাম বলি। সেই নামটি শোনার পরেই আমার স্ত্রীর বান্ধবীর মুখে ফুটে ওঠে এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি। তিনি আমার স্ত্রীকে বলেন, মানে তোর প্রাক্তন প্রেমিকের মতো।”

আরও পড়ুন- সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ সফরে খিদে-তৃষ্ণা চেপে বসেছিলেন যাত্রী! বিমান সেবিকা খাবার-জল দিতে এলেও নিতে চাননি; তারপরেই ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড…

এরপরে ওই ব্যক্তি আরও বলেন যে, “আমাদের পুত্রের নাম খুবই অনন্য। এমনকী আমি ওই নামের কাউকেই দেখিনি। এখন আমার স্ত্রী এটা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না। মনে হচ্ছে যে, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আর আমি ওকে ঘৃণা করি। মনে হচ্ছে যেন, আমার মাথায় একটা স্যুইচ অন করে দেওয়া হয়েছে। আর আমি নিজের স্ত্রীকে আগের মতো ভাবতে পারছি না।”

ওই ব্যক্তির বক্তব্য, “একদিন আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমি আমার প্রাক্তন প্রেমিকার নামে আমাদের কন্যার নাম রাখলে তুমি কী করতে? অথচ সে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ওই নাম রাখতে অস্বীকার করেন। নামের বিষয়ে আলোচনা করার সময় আমি আসলে জানতাম না যে, ওর হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রেমিকের নাম ছিল সেটা। আমি যদিও জানতাম যে, হাইস্কুলে ওর এক প্রেমিক ছিল। অথচ ও কখনওই তার নাম বলেনি। তাদের সম্পর্ক ছিল মাত্র ২ বছরের জন্য। বারংবার প্রশ্ন করায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে তিনি দুঃখিত। কিন্তু তাঁর মনে হয় না যে, এটা কোনও বড় বিষয়। এরপর ওই ব্যক্তি বলেন যে, স্ত্রীর কথা শুনে আমি তাজ্জব হয়ে যাই। এরপর আমি জানতে চাই যে, সে এখনও তার প্রাক্তন প্রেমিককে ভালবাসে কি না। ও বলে, হ্যাঁ। এরপর সে আরও বলে যে, আমি ওকে ভালবাসি। কিন্তু তোমার প্রতি আমার যে ভালবাসা, তেমনটা প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতি নেই।”

অবশ্য এই ঘটনার কথা জানতেন ওই ব্যক্তির স্ত্রীর পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবেরা। এমনটাই রেডিটে জানিয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তি আরও জানান, “এখন আমি আমার পুত্রের নাম পরিবর্তন করতে চাইছি। কিন্তু স্ত্রী সেটা চাইছে না।” এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া দিয়ে বেশিরভাগ নেটিজেনই ওই ব্যক্তিকে স্ত্রীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

৩ ঘণ্টার জন্য মৃত্যু হয় তরুণীর, প্রাণ ফিরে পাওয়ার পর বললেন, ‘অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম, ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হল’

মৃত্যুর পর কী হয়? কোথায় যায় মানুষ? ‘দেবযান’ উপন্যাসে এই নিয়ে কল্পনার জাল বুনেছিলেন সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অন্য লোকের। যেখানে চিন্তার স্তরে বাঁধা থাকে সব কিছু। কিন্তু সত্যিই কী তেমনটাই হয়?

মারিয়ান্দ্রি কার্ডেনাস ২৪ বছরের তরুণী। তিনি দাবি করেছেন, ৩ ঘণ্টার জন্য তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তিনি অন্য জগতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ঈশ্বরের সঙ্গে দেখাও হয়েছে তাঁর। তিনিই মারিয়ান্দ্রিকে পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়েছেন। সেই ৩ ঘণ্টার অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন তরুণী। বিভূতিভূষণের ‘দেবযান’-এর চেয়ে যা কোনও অংশে কম রোমাঞ্চকর নয়।

আরও পড়ুন– ‘অহঙ্কার এসে যায়…’ ইগোকে দমিয়ে রেখে খেলাকে সম্মান দিতেই সাফল্য, প্রধানমন্ত্রীকে বললেন বিরাট

৩ ঘণ্টার মৃত্যু: মারিয়ান্দ্রি কার্ডেনাস পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার। বাড়ি থেকে কাজ করেন। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও কম্পিউটারের সামনে বসেছিলেন মারিয়ান্দ্রি। আচমকাই দম বন্ধ হয়ে আসে। শরীর অসাড় হয়ে যায়। জ্ঞান হারান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মারিয়ান্দ্রিকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, কোমায় চলে গিয়েছেন তিনি।

ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিয়ান্দ্রি বলেছেন, “ডাক্তাররা বলছেন, উনি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, এটাই আমার শোনা শেষ কথা। ইহজগতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয় আমার। পরমুহূর্তে অন্য জগতে পৌঁছে যাই।’’

আরও পড়ুন– ভারতের সবথেকে ধনী স্বর্ণকারের নাম জানেন কি? বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিতে পছন্দ করেন, বড় ব্র্যান্ডদেরও দিচ্ছেন টক্কর

“ওখানে ঈশ্বরকে দেখেছি”: মারিয়ান্দ্রি জানিয়েছেন, ওখানে চাঁদ বা সূর্যের আলো ছাড়াও এক ধরনের মায়াবী আলোয় চারপাশ ভেসে যাচ্ছিল। তিনি বলছেন, “থরে থরে খাবার সাজানো, সে সব কোনওদিন চোখেও দেখেননি তিনি। মানুষেরা সব আলোর অবয়বে ঘুরছে। যেন প্রদীপের এক একটা শিখা। সবাই মনে মনে কথা বলছে। কারও ঠোঁট নড়ছে না। আগের জীবনের কথা আমার কিছু মনে ছিল না”।

এরপরই ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয় মারিয়ান্দ্রির। তিনি বলেছেন, “সমগ্র বায়ুমণ্ডলকে যেন আলোকিত করে রেখেছেন ঈশ্বর। তাঁকে দেখে খুব খুশি মনে হচ্ছিল। মুখে হাসি লেগে রয়েছে। সবার সঙ্গে কথা বলছেন আর হাসছেন। সেখানে আমায় স্বাগত জানানো হয়। আমার খুব ভাল লাগছিল। নিশ্চিন্তে ছিলাম”।

ঈশ্বর বললেন, ‘‘ফিরে যাও, এখনও সময় হয়নি”: মারিয়ান্দ্রি দাবি করেছেন, ঈশ্বর তাঁকে বলেন, তোমাকে পৃথিবীতে ফিরে যেতে হবে। এখানে আসার সময় হয়নি। স্বর্গে ৩ ঘণ্টা ছিলেন তিনি। পৃথিবীতে ততক্ষণে ৩ দিন কেটে গিয়েছে। ইহজগতে ফেরার পরই কোমা থেকে জেগে ওঠেন মারিয়ান্দ্রি। পরের দিনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরের জগত দেখানোর জন্য ঈশ্বর তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মারিয়ান্দ্রি।

বেতন চার কোটি! বিনামূল্যে থাকার জন্য মিলবে প্রাসাদোপম বাড়িও, অথচ এই চাকরি কেউই করতে চাইছেন না; কিন্তু কেন?

সিডনি: জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে চাকরির এমন ঘাটতি দেখা দিয়েছে যে, একটি পদেই লক্ষাধিক প্রার্থী আবেদন করছেন। অনেককেই তখন হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। এমনকী, উচ্চশিক্ষিত মানুষও কম টাকার বিনিময়ে চাকরি করতে প্রস্তুত। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু চাকরি রয়েছে, যা থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করা সম্ভব। সেই সঙ্গে বসবাস করার জন্য বাড়িও পাওয়া যায়। অথচ এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেউ এমন চাকরি করতে চান না।

এই তো গত বছরই অস্ট্রেলিয়ায় এমনই একটি চাকরি নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। সেই চাকরির জন্য বেতন ছিল ৪.৮ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ওই চাকরিতে বিনামূল্যে থাকার জন্য একটি প্রাসাদোপম বাড়িও দেওয়া হচ্ছিল। অথচ কেউ তা করতে আগ্রহী হয়নি। তবে পরে অবশ্য ওই চাকরির জন্য একজন প্রার্থী পাওয়া গিয়েছিল এবং এই শূন্য পদও পূরণ করা গিয়েছে।

আরও পড়ুন– নেশার ঘোরে মাত্র ‘১০৫ টাকা’ দিয়ে কিনেছিলেন শস্যের গোলা; এখন সেটাই হয়ে উঠেছে এক দম্পতির সাধের আস্তানা

দ্য সান ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় কোয়ারাডিং (Quairading, Australia) নামে একটি জায়গা রয়েছে। যেখানে মূলত কৃষকরাই বসবাস করেন। আর কৃষিকাজই এখানকার মানুষের একমাত্র পেশা। তবে এই জায়গায় নেই কোনও চিকিৎসক। আসলে শহর থেকে অনেকটাই দূরবর্তী স্থানে হওয়ায় কোনও ডাক্তারই এখানে আসতে চান না। ফলে দেশের রাজধানী পার্থ থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গার মানুষ সব সময়ই ডাক্তার খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ সেখানকার জেনারেল প্র্যাক্টিশনারের চুক্তি শেষ হয়েছিল। কিন্তু তাঁর জায়গায় অন্য কোনও চিকিৎসক পাওয়া যায়নি।

ডাক্তার নিয়োগের জন্য:

চিকিৎসকের চাকরিতে প্রার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য দুর্দান্ত আকর্ষণীয় অফারও দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল যে, বার্ষিক ৪.৮ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে থাকার জন্য দেওয়া হবে একটি বিলাসবহুল ৪টি বেডরুমের একটি বাড়িও। কিন্তু দূরত্বের কারণে এখানে কেউ আসতে চাননি। আসলে এই জায়গায় প্রায় ৬০০ জন মানুষ ছিলেন, যাঁদের একজন ডাক্তারের প্রয়োজন ছিল। শুধু জানুয়ারি মাসে বেতন এবং বাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব দিতেই অনেকে আবেদনপত্র পাঠান। দ্য সান ওয়েবসাইটের সঙ্গে কথা বলার সময় এখানকার কাউন্সিলর বলেন যে, অনেক প্রার্থীকে পরখ করার পরেই একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন– মোট ব্যবসার পরিমাণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি, বন্ধন ব্যাঙ্কের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশিত

অস্ট্রেলিয়ায় ডাক্তারের ঘাটতি হবে:

কাউন্সিলর বেশ কিছু ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছিলেন যে, ডাক্তার না পাওয়া গেলে মেডিক্যাল ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ওষুধের দোকানগুলিও বন্ধ হয়ে যাবে। যা অনেক রোগীর জন্যই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অস্ট্রেলিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, আগামী এক দশকে অস্ট্রেলিয়ায় ১০ হাজারেরও বেশি জেনারেল ফিজিশিয়ানের প্রয়োজন হবে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ডাক্তারদের চাহিদা ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে এত টাকা দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র চিকিৎসকদের অভাব পূরণ করতে। অথচ তারপরেও এখানে ডাক্তার পাওয়া দুষ্কর!

নেশার ঘোরে মাত্র ‘১০৫ টাকা’ দিয়ে কিনেছিলেন শস্যের গোলা; এখন সেটাই হয়ে উঠেছে এক দম্পতির সাধের আস্তানা

কেউ কেউ বিলাসবহুল সাধের বাড়ি বানাতে সারা জীবন ধরে শুধু উপার্জনই করে যান। অথচ আবার কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের সৃজনশীলাতাকে কাজে লাগিয়ে সস্তা বাড়িকেও নয়নাভিরাম করে তুলতে পারেন। আজ এমন এক ব্যক্তির কথা বলব, যিনি মাত্র ১০৫ টাকায় একটি বাড়ি কিনেছেন। (Photo Credit: Youtube)
কেউ কেউ বিলাসবহুল সাধের বাড়ি বানাতে সারা জীবন ধরে শুধু উপার্জনই করে যান। অথচ আবার কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের সৃজনশীলাতাকে কাজে লাগিয়ে সস্তা বাড়িকেও নয়নাভিরাম করে তুলতে পারেন। আজ এমন এক ব্যক্তির কথা বলব, যিনি মাত্র ১০৫ টাকায় একটি বাড়ি কিনেছেন। (Photo Credit: You tube)
টাকার অঙ্কটা শুনে অনেকেই ভিরমি খাবেন ঠিকই! তবে বিষয়টা একেবারেই সত্যি। ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের এক ব্যক্তি অত কম টাকায় বাড়িটি কিনেছেন। তবে তা নিয়ে তাঁর কোনওরকম আক্ষেপ নেই। স্ত্রীর সঙ্গে সেই বাড়িতেই দিব্যি বাস করেন তিনি। (Photo Credit: You Tube)
টাকার অঙ্কটা শুনে অনেকেই ভিরমি খাবেন ঠিকই! তবে বিষয়টা একেবারেই সত্যি। ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের এক ব্যক্তি অত কম টাকায় বাড়িটি কিনেছেন। তবে তা নিয়ে তাঁর কোনওরকম আক্ষেপ নেই। স্ত্রীর সঙ্গে সেই বাড়িতেই দিব্যি বাস করেন তিনি। (Photo Credit: You Tube)
দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা বব ক্যাম্পবেল এবং তার স্ত্রী ক্যারল অ্যান যে বাড়িটিতে থাকেন, সেটি দেখে কারও বিশ্বাসই হবে না যে, এর দাম মাত্র ১০৫ টাকা। (Photo Credit: You Tube)
দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা বব ক্যাম্পবেল এবং তার স্ত্রী ক্যারল অ্যান যে বাড়িটিতে থাকেন, সেটি দেখে কারও বিশ্বাসই হবে না যে, এর দাম মাত্র ১০৫ টাকা। (Photo Credit: You Tube)
গৃহকর্তা বব নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি অনলাইন ট্রেডিং সাইট ইবে-তে একেবারে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িটি পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু মজার বিষয় হল, মাত্র ১ পাউন্ড অর্থাৎ ১০৫ টাকা দিয়ে বব আসলে একটি শস্য রাখার গোলা কিনেছিলেন। আর শস্যের এই গোলাটিকেই ওই দম্পতি একসঙ্গে মিলে সাধের বাড়ি বানিয়ে তুলেছেন। এই কাজে তাঁদের সময় লেগেছে ৬ বছর। আর খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকার একটু বেশি। (Photo Credit: You Tube)
গৃহকর্তা বব নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি অনলাইন ট্রেডিং সাইট ইবে-তে একেবারে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িটি পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু মজার বিষয় হল, মাত্র ১ পাউন্ড অর্থাৎ ১০৫ টাকা দিয়ে বব আসলে একটি শস্য রাখার গোলা কিনেছিলেন। আর শস্যের এই গোলাটিকেই ওই দম্পতি একসঙ্গে মিলে সাধের বাড়ি বানিয়ে তুলেছেন। এই কাজে তাঁদের সময় লেগেছে ৬ বছর। আর খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকার একটু বেশি। (Photo Credit: You Tube)
আসলে বব এবং ক্যারল সৃজনশীলতার মাধ্যমেই জায়গাটির ভোল একেবারে বদলে দিয়েছিলেন। পুরনো বোতল এবং প্যালেট ব্যবহার করে বাড়িটির দেওয়াল তৈরি করেছেন তাঁরা। রান্নাঘরে ওভেন, হব, কেটলি এবং সিঙ্কের মতো সমস্ত সরঞ্জামই রয়েছে। রয়েছে শোওয়ার ব্যবস্থাও। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই দেখা মিলবে একটি বিছানার। (Photo Credit: You Tube)
আসলে বব এবং ক্যারল সৃজনশীলতার মাধ্যমেই জায়গাটির ভোল একেবারে বদলে দিয়েছিলেন। পুরনো বোতল এবং প্যালেট ব্যবহার করে বাড়িটির দেওয়াল তৈরি করেছেন তাঁরা। রান্নাঘরে ওভেন, হব, কেটলি এবং সিঙ্কের মতো সমস্ত সরঞ্জামই রয়েছে। রয়েছে শোওয়ার ব্যবস্থাও। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই দেখা মিলবে একটি বিছানার। (Photo Credit: You Tube)
লিভিং বিগ ইন আ টাইনি হাউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই দম্পতি বলেছিলেন যে, যদিও ক্যারল প্রথমে স্বামীর এই কাণ্ড একেবারেই পছন্দ করেননি। তবে বিগত ৫ বছর ধরে তাঁরা প্রকৃতির কোলে নিজেদের অভিনব বাড়িতে বসবাস করছেন। বাড়ির আশপাশে প্রচুর গাছপালা রোপণ করেছেন, এমনকী একটি পুকুরও কাটিয়েছেন। (Photo Credit: You Tube)
লিভিং বিগ ইন আ টাইনি হাউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই দম্পতি বলেছিলেন যে, যদিও ক্যারল প্রথমে স্বামীর এই কাণ্ড একেবারেই পছন্দ করেননি। তবে বিগত ৫ বছর ধরে তাঁরা প্রকৃতির কোলে নিজেদের অভিনব বাড়িতে বসবাস করছেন। বাড়ির আশপাশে প্রচুর গাছপালা রোপণ করেছেন, এমনকী একটি পুকুরও কাটিয়েছেন। (Photo Credit: You Tube)
আসলে প্রথমে এটিকে একটি শিল্পকর্ম হিসাবেই রাখতে চেয়েছিলেন বব। তবে পরে অবশ্য সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেন তাঁরা। শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, বাড়িটির উচ্চতা মাত্র ৪ মিটার। আর এখানকার সব কিছুই নজর কাড়বে। পুরনো গ্যাসের বোতল দিয়ে বানানো হয়েছে ফায়ারপ্লেস এবং সিমেন্টের একটি টুকরোকে ব্যবহার করা হয় ডাইনিং টেবিল হিসেবে। (Photo Credit: You Tube)
আসলে প্রথমে এটিকে একটি শিল্পকর্ম হিসাবেই রাখতে চেয়েছিলেন বব। তবে পরে অবশ্য সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেন তাঁরা। শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, বাড়িটির উচ্চতা মাত্র ৪ মিটার। আর এখানকার সব কিছুই নজর কাড়বে। পুরনো গ্যাসের বোতল দিয়ে বানানো হয়েছে ফায়ারপ্লেস এবং সিমেন্টের একটি টুকরোকে ব্যবহার করা হয় ডাইনিং টেবিল হিসেবে। (Photo Credit: You Tube)

৪০ বছর আগে প্রেমিকার মায়ের অভিযোগের জের, কিন্তু একটিমাত্র ভুলের কারণে আজ জেলবন্দি বৃদ্ধ

মুম্বই: ভালবেসে প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন। জন্মেছিল ওই দম্পতির চার সন্তানও। কিন্তু ৪০ বছর আগে করা একটা ভুলের মাসুল গুনতে হচ্ছে সেই প্রেমিককে। আসলে ওই ভুলের জেরে ফেঁসে গিয়ে এখন জেলে বন্দি তিনি। তবে যিনি তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, অর্থাৎ তাঁর সেই প্রেমিকা আর ইহলোকে নেই। বিষয়টা ঠিক কী?

বর্তমানে ৭০ বছর বয়স দাউদ বান্দু খানের। ১৯৮৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী কন্যার প্রেমে পড়েছিলেন দাউদ বান্দু খান (Dawood Bandu Khan)। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ নিয়ে আসেন প্রেমিকার মা। নাবালিকা কন্যাকে দাউদ যৌন হয়রানি করেছেন, বলে অভিযোগ জানান তিনি। তবে সেই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অবশ্য তাঁকেই বিয়ে করেন দাউদ বান্দু খান। তবে সেই প্রেমিকার সঙ্গে নিজের বিয়ে এবং শাশুড়ির সঙ্গে সমস্যা মিটমাট হওয়ার কথা তিনি পুলিশ ও আদালতকে জানাতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। এমনকী, পুলিশকে না জানিয়ে তিনি আগ্রায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন– সামনে এল মাফিয়া আতিক আহমেদের দুই ছেলের বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট, তাদের নম্বর দেখলে চমকে যাবেন !

এখন মুম্বই পুলিশ উত্তর প্রদেশের আগ্রা থেকে গত ৪০ বছর ধরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় পলাতক দাউদ বান্দু খানকে গ্রেফতার করেছে। আসলে তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি, সেই কারণেই আদালত তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেছিল। এদিকে সবথেকে বড় সমস্যার বিষয়টি হল, অভিযুক্তের স্ত্রী এবং শাশুড়িও এখন আর ইহলোকে নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেই অভিযোগও তুলে নেওয়ার আর কেউ নেই। যার জেরে বৃদ্ধ দাউদকে এখন সেই পুরনো যৌন হয়রানির মামলার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

শাশুড়ি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছিলেন:

পুলিশ জানিয়েছে যে, ১৯৮৪ সালে দাউদ খান এবং তাঁর প্রেমিকা (যিনি তখন ১৭ বছর বয়সী ছিলেন এবং পরে দাউদের স্ত্রী হয়েছিলেন) পাশাপাশি বাড়িতেই থাকতেন। সেই সময় তাঁরা মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের ভিপি রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। দাউদ বান্দু খান সোনা গলানোর কাজ করতেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর। পাশের বাড়ির কিশোরী কন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যদিও মেয়েটির মা সেই প্রেমের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। ফলে ডিবি মার্গ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পরেই দাউদ খানকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও কোনওক্রমে জামিন পেতে সক্ষম হন দাউদ। এরপর তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। অবশেষে প্রেমিকা সাবালিকা হলে তাঁকে বিয়ে করে নেন দাউদ।

আরও পড়ুন– এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ান বাতিলের জের, কলকাতা বিমানবন্দরে সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী!

খানের সবচেয়ে বড় ভুল কী ছিল?

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বইয়েই ওই দম্পতির প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তাঁরা কাউকে কিছু না জানিয়ে আগ্রা চলে যান। একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন যে, আগ্রায় যাওয়ার আগে হওয়ার আগে তাঁদের উভয়েরই (দাউদ এবং তাঁর বান্ধবী তথা স্ত্রী) পুলিশ এবং আদালতকে জানানো উচিত ছিল যে, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে এবং তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এর ফলে বছরের পর বছর ধরে মামলাটি চলতে থাকে। বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জারি করতে থাকে। অথচ দাউদ আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। সেই কারণে আদালত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ‘পলাতক’ বলেও ঘোষণা করে দেয়।

আরও পড়ুন– আর মাত্র কয়েকদিন, তারপরেই গোচর করবেন শুক্র; এর প্রভাবে মালামাল হতে চলেছে এইসব রাশি

৪০ বছর পর যেভাবে খানের নাম প্রকাশ্যে আসে:

আসলে মুম্বই পুলিশ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পলাতকদের খুঁজে বার করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে, তখনই দাউদ বান্দু খানের নাম প্রকাশ্যে আসে। ডিবি মার্গ পুলিশ জানিয়েছে যে, খানের ব্যাপারে তাদের কোনও ধারণাই ছিল না, কারণ তিনি দুই দশক আগে কাউকে না জানিয়ে নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, এদিকে যিনি মামলা করেছিলেন অর্থাৎ তাঁর স্ত্রীর মা-ও মারা গিয়েছেন। ফলে দাউদ কোথায় থাকতেন, তা আমাদের বলার কেউ ছিল না।

এক শ্যেফের জন্য সামনে আসে দাউদের নাম:

সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর বিজয় ঘোরপাড়ের তত্ত্বাবধানে কনস্টেবল বিনোদ রানে এই মামলায় কাজ করতে শুরু করেন এবং এলাকায় ইনফর্মারদের খোঁজ করেন। পুলিশের কাছে দাউদের পুরনো ঠিকানা ছিল, কিন্তু তিনি কোথায়, সেই বিষয়ে কেউই জানতেন না। তাই পুলিশ প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজ করতে শুরু করে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একজন শ্যেফ সম্পর্কে তথ্য হাতে আসে। আসলে এই শ্যেফকে প্রায় বছর দশেক আগে নিজের ছেলের বিয়েতে রান্নাবান্না করার জন্য আগ্রায় ডেকেছিলেন দাউদ।

৪০ বছর পর পুলিশ কীভাবে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছল?

পুলিশ ওই শ্যেফের সন্ধান করে। এরপরে তাঁর কাছ থেকেই দাউদের নম্বর পেয়ে রবিবার আগ্রায় পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে বাড়ি থেকেই খুঁজে পাওয়া যায় তাঁকে। এরপর দাউদ খানকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দাউদ খান দাবি করেন, তিনি ভেবেছিলেন যে, নির্যাতিতাকে বিয়ে করার পর মামলাটি বন্ধ হয়ে যাবে। পুলিশের দাবি, দাউদ জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী ২০১১ সালে মারা গিয়েছেন। এমনকী স্ত্রীর ডেথ সার্টিফিকেটও তিনি পুলিশকে দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে দাউদ খানকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং তিনি জেলে রয়েছেন। একজন অফিসার বলেন যে, “দাউদ খান প্রায় ৪০ বছর আগে নিজের বিয়ের কথা আদালতকে না জানিয়ে একটি মস্ত বড় ভুল করেছিলেন। শিগগিরই ওই মামলার কার্যবিধি শুরু হতে পারে।”