Tag Archives: SC RG Kar Case

Hooghly News: লোকাল ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজোয় নিত্যযাত্রীদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’এর স্লোগান

হুগলি: ফুল দিয়ে সাজানো ট্রেনের কামরা। হাওড়াগামী কাটোয়া লোকাল তখন ছুটছে পরের স্টেশনের দিকে। এর মধ্যেই হচ্ছে মন্ত্রপাঠ। চলন্ত ট্রেনের কামরাতেই হল পুজো। পুজোর পর নিত্যযাত্রীদের মিস্টি বিতরণ। হই হই করে ট্রেনের কামরার ভেতরেই পালিত হল বিশ্বকর্মা পুজো, ‘সঙ্গে উঠল উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। এ যেন এক অভিনব বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজন।

পুজোর আয়োজক হলেন ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা। কাটোয়া থেকে ৫:৪৫ এ রওনা দেয় হাওড়া কাটোয়া লোকাল। হাওড়া পৌঁছায় ৮:৪৫ এ। দীর্ঘ ১৪৫ কিলোমিটার রাস্তা প্রতিদিন যাতায়াত করতে গিয়ে নিত্যযাত্রীরা কখন যেন বন্ধু হয়ে গেছেন একে অপরের। তাঁরাই নিজেরা চাঁদা তুলে প্রতি বছর পুজোর আয়োজন করেন লোকাল ট্রেনের চার নম্বর কামরার মধ্যে। দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে চলে আসছে তাদের এই পুজোর আয়োজন। এই বছরও বাদ পড়েনি পুজোর, লোকাল ট্রেনের মধ্যে পুজোর সঙ্গে উঠেছে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”- এর স্লোগান।

আরও পড়ুন- ‘আপনার শুনানির দিকে তাকিয়ে দেশ! এখানে কী করছেন?’ চন্দ্রচূড়কে অনুষ্ঠানে দেখে চমকালেন ঊষা

পুজোর মধ্যেও তাঁরা বিচার চাইছেন কেবল। সেই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন অন্যান্য কামরার সহযাত্রীদের কাছেও। মঙ্গলবার সকালে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের মূর্তি এনে স্থাপন করা হয় ট্রেনের কামরার মধ্যে। ফুল, সিকলি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় ট্রেনের গোটা কামরা। সমস্ত নিয়ম-কানুন রীতি নীতি মেনে মন্ত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে চলে বিশ্বকর্মা পুজো।

এই বিষয়ে এক নিত্যযাত্রী জানান, রোদ জল ঝড় বর্ষা সবসময় নিত্যযাত্রীরা একসঙ্গেই থাকেন। এখানে কেউ বা কলকাতা বড় বাজারের খুব কম বেতনের কোন দোকানে হেলপারের কাজ করেন, কেউ আবার সরকারি বড় অফিসার, কেউ সাংবাদিক, কেউ বা কলেজ পড়ুয়া। কিন্তু এই তিন ঘন্টার যাত্রা পথে তাদের একটাই পরিচয়— তাঁরা সবাই নিত্যযাত্রী।

আরও পড়ুন- ‘১৮ থেকে ২৩…ওরা তো আবেগপ্রবণ, ওদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য’ রাজ্যকে পরামর্শ বিচারপতির

প্রতি দিনের যাত্রা পথে যাতে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেই কারণেই বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজন করে আসছেন তারা। অন্যদিকে আরজিকরের ঘটনার এখনো ফলপ্রসু বিচার মেলেনি। তাই বিশ্বকর্মা পূজার মধ্যেই আরজিকরের নির্যাতিতা তরুনীর ধর্ষণ খুনের আসামিদের ন্যায্য বিচারের দাবিতে উঠে তাদের প্রতিবাদের স্লোগান।

রাহী হালদার

Usha Uthup On RG Kar Hearing:’আপনার শুনানির দিকে তাকিয়ে দেশ! এখানে কী করছেন?’ চন্দ্রচূড়কে অনুষ্ঠানে দেখে চমকালেন ঊষা

নয়া দিল্লি:  সিএনএন নিউজ 18-এর নারী শক্তি কনক্লেভে এসে প্রবীণ গায়িকা ঊষা উত্থুপের সঙ্গে মোলাকাত হল ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। আড্ডা দিচ্ছিলেন বিনোদন ও রাজনীতির জগতের দুই তারকা। নিউজ 18-এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, ঊষা এবং চন্দ্রচূড়কে একসঙ্গে একটি গান গাইতে দেখা গিয়েছে সোমবার সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে। এরই মধ্যে ঊষা তুললেন আরজি কর মামলার প্রসঙ্গ।

আরও পড়ুন- ‘ওরা বাচ্চা ছেলেমেয়ে…’ জুনিয়র ডাক্তারদের কর্তব্য মনে করিয়ে কী বললেন ফিরহাদ?

মানি কন্ট্রোল সাংবাদিক চন্দ্র আর. শ্রীকান্ত এক্স-এ লিখেছেন, “গত সন্ধ্যায় সিজেআই চন্দ্রচূড়কে অনুষ্ঠানে দেখে ঊষা বললেন, ‘আপনি একটি অনুষ্ঠানে কী করছেন? আপনি আদালতে নেই কেন? কলকাতার মামলায় আপনার সিদ্ধান্ত কবে ঘোষণা করছেন? গোটা দুনিয়া অপেক্ষায়!'”

গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। বিচারের দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতিতে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলার তদারকি করছে। চন্দ্রচূড়ই তদন্ত শেষে ন্যায়বিচার প্রদান করবেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের আবেগপ্রবণতার উল্লেখ করে রাজ্যকে তাঁদের রক্ষা করার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন- ‘১৮ থেকে ২৩…ওরা তো আবেগপ্রবণ, ওদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য’ রাজ্যকে পরামর্শ বিচারপতির

আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। সিবিআই তদন্তের ভার নেওয়ার পর টালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিজিৎ মন্ডলকে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে। তার আগে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, এবং অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাই। এই পরিস্থিতিতে দেশের সকলেরই চোখ নির্যাতিতার বিচারে। ঊষাও সে কথাই মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতিকে।
ঊষা সেই অনুষ্ঠানে যদিও একমাত্র বলিউড ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। কিরণ খের, সিকান্দার খের, ভূমি পেডনেকার, রসিকা দুগাল এবং শেফালি শাহও আলো করেছিলেন আসর।

RG Kar Case: দুর্নীতির পর্বত! আরও বড় তথ্য উঠে আসবে আজই? সুদীপ্ত রায়ের বাংলোয় তল্লাশি চালাছচ্ছে ইডি

হুগলি: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা ও শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এখন ইডির আতশকাচের তলায়। পাশাপাশি আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। উত্তর কলকাতা ছাড়াও হুগলির দাদপুরের বাংলো বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হুগলির দাতপুর এলাকার যে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি সেই বাড়ি ছিল সত্যেন্দ্র নন্দী নামক এক জনৈক্য ব্যক্তির। যিনি নিজের চেষ্টায় দাদপুর গ্রামের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন এবং গ্রামের স্বার্থেই ওই বাড়িটি তিনি হস্তান্তর করেছিলেন কারণ সেখানে গড়ে ওঠার কথা একটি হাসপাতাল। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, হাসপাতাল হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়ে উঠেনি। বরং যা হয়েছে তা হলসুদীপ্ত রায়ের বাংলো বাড়ি।

আরও পড়ুনঃ এই ১৩ দুর্দান্ত সুস্বাদু খাবার ক্যালসিয়ামের জন্য ‘বেস্ট’, ওষুধ ছাড়াই ঘাটতি পূরণ, লৌহকঠিন হাড়

সাদা উঁচু পাঁচিল দেওয়া বাগানবাড়ি কালো রঙের গেটে লেখা বসু রয়। ভেতরে একটি ছোট জলাশয় রয়েছে। সেখানে হাঁস মুরগি এবং খরগোশের মতো পোষ্য রয়েছে। সেই বাড়িতেই মঙ্গলবার সকাল আট’টা নাগাদ তল্লাশি অভিযানে ঢুকে ইডির আধিকারিক। পাঁচটি গাড়িতে করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে আধিকারিকদের দলটি গেট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। এরপর কেয়ারটেকারকে ডেকে এনে চাবি খুলে ভেতরে ঢোকে।

আরও পড়ুনঃ পুজোয় কিন্তু এবার চমকে দেবে দিঘা! বাকি জায়গা ভুলে যাবেন নিশ্চিত! কী হবে এই সৈকত শহরে?

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুদীপ্ত রায় তার বাংলয়ে মাঝেমধ্যেই আসেন। রবিবার ছুটির দিনে তাকে দেখা যায়। তার রাজনৈতিক সহকর্মী তাদেরকেও মাঝেমধ্যেই দেখা যেত এই বাংলোতে। গত বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত রায় সিঁথির মোড়ের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল সিবিআই। বিধায়কের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই হুগলির দাদপুর এর এই বাংলোর খোঁজ মেলে বলে জানা যায়।

রাহী হালদার

SC RG Kar Case: চার্জশিট গঠন করতে কতদিন লাগবে? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়

নয়াদিল্লি: শুরু হয়ে গিয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। শুনানির শুরুতেই এদিন নিয়মমাফিক দ্বিতীয় তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। এরপর খুঁটিয়ে সেই রিপোর্ট করে দেখেন বিচারপতিরা। পরেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান চার্জশিট জমা দিতে কত দিন লাগবে।

প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের সলিসিটর জেনারেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথম গ্রেফতারির ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করার কথা। এই প্রসঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়’।

আরও পড়ুন: সন্দীপ অতীত…! সাতসকালে এবার কার বাড়িতে ইডি? র‍্যাডারে আর কারা? বিরাট বাহিনী নিয়ে পৌঁছল টিম

সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্ট পড়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের আরও পর্যবেক্ষণ, “সিবিআইয়ের তদন্ত ঘুমিয়ে যায়নি। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা প্রকাশ্যে আনতে পারব না তদন্তের গতিপ্রকৃতি। আগামী দিনের তদন্তের গতিপ্রকৃতির যাতে জিওপার্ডাইজড না করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”