ব্যবসা-বাণিজ্য মাসে মাসে টাকা রাখছেন ? আগে জেনে নিন কত বছরের জন্য একটা SIP করা উচিত ! Gallery April 21, 2024 Bangla Digital Desk সম্প্রতি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে SIP বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ সকলেই গতানুগতিক বিনিয়োগের মাধ্যমের পাশাপাশি অল্প অল্প করে এসআইপি-তে টাকা রাখছেন ৷ SIP-তে রিটার্ন মাকেট লিঙ্কড বলে কিছুটা রিস্ক থেকে যায় ৷ কিন্তু ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের স্কিমগুলির থেকে রিটার্ন অনেকটাই বেশি হওয়ায় অনেকেই এখন এই অল্প রিস্ক নিচ্ছেন ৷ এসআইপি হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করার জন্য প্রচুর মিউচুয়াল ফান্ড ডিস্ট্রিবিউটর, ব্যাঙ্ক, মোবাইল অ্যাপ এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এসআইপি-তে প্রতি মাসে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা রাখতে হবে ৷ কিন্তু ঠিক কত বছর ধরে এসআইপি-তে টাকা রাখবেন এটা অনেকের মনে একটি বড় প্রশ্ন ৷ অর্থাৎ ঠিক কত বছর পর আপনি টাকা তুলে নিলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ৷ আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিনিয়োগকারীর আর্থিক লক্ষ্য বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্য, ম্যাক্রো বা বাজার পরিস্থিতি, প্রস্থান লোড এবং ট্যাক্স দায় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কী করা উচিত? টাকা তোলা বা রিডেম্পশনের আগে লক ইন পিরিয়ড দেখতে হবে। এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম এসআইপি ৩ বছর পর, দ্বিতীয় এসআইপি ৩ বছর এক মাস পর রিডিম করা যেতে পারে। যদি ফান্ড ভাল পারফর্ম করে এবং অবিলম্বে টাকার দরকার না থাকে তাহলে প্রথম এসআইপি থেকে চার বছর পর টাকা তোলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিছু ফান্ড নির্দিষ্ট সময়ের আগে রিডিম করলে ১ শতাংশ এক্সিট লোড দিতে হয়। ইক্যুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রে সাধারণত ১ বছর মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ এক বছরের আগে টাকা তুললে এক্সিট লোড দিতে হবে। তাৎক্ষণিক অর্থের প্রয়োজন না থাকলে এক্সিট লোডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে টাকা তোলা উচিত নয়। ট্যাক্সেশনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ অর্জনের চিন্তা করা উচিত। যা ইক্যুইটি ফান্ডের জন্য ১০ শতাংশ (এক বছর পর) এবং সূচিকরণের পরে (৩ বছর পর) ২০ শতাংশ। রিডিমের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আর্থিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কি না দেখতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ (এসটিসিজি) এবং দীর্ঘ মেয়াদী মূলধন লাভের (এলটিসিজি) জন্য বিভিন্ন করের হার রয়েছে। এলটিসিজি করের হার সাধারণত এসটিসিজি হারের চেয়ে কম হয় কারণ করদাতাদের দীর্ঘমেয়াদে তাদের বিনিয়োগ ধরে রাখতে উৎসাহিত করে। মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট থেকে প্রাপ্ত লাভ হোল্ডিং সময়ের উপর ভিত্তি করে এলটিসিজি বা এসটিসিজি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তাই রিডিমের সময় এটাও মাথায় রাখতে হয়। এই কর সঞ্চয় সামগ্রিক পোর্টফোলিও রিটার্নের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP-তে বিনিয়োগ করছেন? ১৫x১৫x১৫ রুল জানলেই কেল্লা ফতে, কোটিপতি হবেন সহজেই Gallery April 20, 2024 Bangla Digital Desk ‘টাকাই টাকাকে আকর্ষণ করে’। মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে এই বাক্য প্রবাদের মতো। প্রত্যেকেই মোটা টাকা রোজগার করতে চান। মিউচুয়াল ফান্ডে সেই সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের তুলনায় খুব সহজে কোটিপতি হতে পারেন বিনিয়োগকারী। মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত। ফলে ঝুঁকি রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের মাধ্যমে সেই ঝুঁকি কমানোও যায়। বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা কম ঝুঁকিতে ১ কোটি টাকার কর্পাস তৈরির এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ১৫x১৫x১৫ রুল। ১৫x১৫x১৫ রুলে তিনটি বিষয় রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ, মেয়াদ এবং প্রত্যাশিত রিটার্ন। সোজা কথায়, ১৫ হাজার টাকা টানা ১৫ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। এবং রিটার্নের হার হতে হবে ১৫ শতাংশ। তাহলেই ১ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি হবে। মিউচুয়াল ফান্ডে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা মেলে। সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে জমা হয়। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগ করলে অল্প পরিমাণ টাকাও কম্পাউন্ডিংয়ের মাধ্যমে বড় কর্পাস তৈরি করে। নিজেদের ওয়েবসাইটে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছে নিপ্পন মিউচুয়াল ফান্ড। দেখা যাচ্ছে, প্রথম ১৫ বছরে যে পরিমাণ বিনিয়োগে ১ কোটি টাকা হয়, চক্রবৃদ্ধি হারে পরের ১৫ বছরে সেটাই ১০ কোটি টাকা হয়ে যাচ্ছে। ১৫x১৫x১৫ রুলে কীভাবে ১ কোটি টাকা হবে: ধরা যাক কেউ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার এসআইপি করলেন। তাহলে তাঁর মোট বিনিয়োগ দাঁড়াল ২৭ লাখ টাকা। এখন ১৫ শতাংশ সুদের হার ধরলে আনুমানিক মুনাফা হচ্ছে ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সুদ এবং আসল মিলিয়ে মোট ১.০১ কোটি টাকার রিটার্ন হাতে পাবেন তিনি। OmniScience Capital-এর সিইও এবং চিফ ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট ড. বিকাশ গুপ্ত বলছেন, “বর্তমানে প্রতি মাসে যে টাকা খরচ হয়, অবসর গ্রহণে তার ৫০০ থেকে ৬০০ গুণ টাকা দরকার। তবেই কোনও রকম ঝুঁকি ছাড়াই বৃদ্ধ বয়স কাটাতে পারবেন বিনিয়োগকারী। টাকাপয়সা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না”। এর কারণ হল মুদ্রাস্ফীতি। আজ ১০০ টাকায় যে জিনিস পাওয়া যাচ্ছে, ২০ বছর পর সেটা কিনতে গেলে ১৫০ টাকা খরচ করতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডই মুদ্রাস্ফীতিকে হারানোর মতো রিটার্ন দিতে পারে বলে মনে করেন ড. বিকাশ গুপ্ত।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP কি সত্যিই ১০০% সুরক্ষিত ? তাই টাকা খাটানোর আগেই আপনার যা জানা দরকার Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk এসআইপি মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। অনেক সময় বিনিয়োগের জন্য হাতে মোটা টাকা থাকে না। তখন এসআইপি-ই ভরসা। মিউচুয়াল ফান্ডের সঙ্গে এসআইপি সেটআপ করে দিলে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেবিট হয়ে যায়। বিনিয়োগ চলতে থাকে, মূলধন বাড়তে থাকে। তবে এসআইপি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন, এসআইপি সুরক্ষিত নয়। সত্যিই কি তাই? একদম না। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য এসআইপি সবচেয়ে নিরাপদ। বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে মিউচুয়াল ফান্ডে এক সঙ্গে মোটা টাকা টাকা বিনিয়োগ করা যায়। কিন্তু বাজার পড়লে লোকসান। আসলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চাইলে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। একে বলে ‘টাইমিং দ্য মার্কেট’। কিন্তু এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে ‘বাজারের সময়’ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। বাজার প্রতি মাসে ওঠে বা নামে। কিন্তু যেহেতে প্রতি মাসেই অল্প অল্প বিনিয়োগ, তাই গায়ে লাগে না। দীর্ঘমেয়াদে ধরলে বিনিয়োগকারী যে টাকা বিনিয়োগ করবেন তার উচ্চ এবং নিম্ন গড় ধরা হবে। একে বলে ‘রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং’। এসআইপির পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যায়। যদিও ব্যাপারটা জটিল। তবে এই সমস্যারও সমাধান আছে। বিনিয়োগকারী যত টাকা বাড়াতে চান, সেই পরিমাণ দিয়ে একটা নতুন এসআইপি শুরু করতে পারেন। ধরা যাক কেউ প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার এসআইপি করেছেন। তিনি সেটা বাড়িয়ে ১২ হাজার করতে চান। এখন তাঁকে ওই মিচুয়াল ফান্ডেই ২ হাজার টাকার নতুন এসআইপি করতে হবে। তবে অনেক ফান্ড বিভিন্ন কারণে নতুন এসআইপি নেওয়া বন্ধ করে দেয়। তেমনটা হলে টাকার পরিমাণ বাড়ানো যাবে না। তবে ভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডে নতুন এসআইপি শুরু করা যাবে। মাথায় রাখতে হবে, দীর্ঘমেয়াদি এসআইপিই লাভজনক। ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। ‘কখন হাতে টাকা আসবে তারপর বিনিয়োগ করব’, এই ভেবে বসে না থেকে যা আছে তাই দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে হয়। এতে দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়। সময় বেশি মানে, সুদও বেশি। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে স্বল্পমেয়াদি বাজারের অস্থিরতা প্রভাব ফেলতে পারে না। এটাও ভাল দিক।
ব্যবসা-বাণিজ্য How to Become Rich: রোজ মাত্র ১০০ টাকা লাগবে, ওটাই করে তুলবে কোটিপতি, দেখে নিন কীভাবে Gallery April 17, 2024 Bangla Digital Desk একজন মধ্যবিত্তের কাছে কোটিপতি হওয়া একটি বড় স্বপ্ন। এই শ্রেণীর লোকেরা তাদের মাসিক আয় থেকে অল্প পরিমাণ সঞ্চয় করে তাদের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করে, কারণ তাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আয়ের সামান্য উৎসের সঙ্গে তারা চায় যে তাদের বিনিয়োগ তাদের উচ্চ রিটার্ন দেয় এবং সর্বোপরি তা যেন নেতিবাচক না হয়ে যায়। ভাল আয়ের লক্ষ্যে একজন ব্যক্তির জন্য, SIP অর্থাৎ সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এসআইপি বিনিয়োগের জন্য, যে কেউ প্রতি মাসে নিজেদের বেতন থেকে নিজেদের সঞ্চয়ের একটি ছোট অংশ বিনিয়োগ করতে পারেন, মিউচুয়াল ফান্ডে গড় রিটার্ন ১২ শতাংশ। যদিও এই রিটার্ন সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। কেউ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি SIP মিউচুয়াল ফান্ড প্ল্যানে টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাঁর কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এমনকি কেউ যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা সঞ্চয় করেন, তাহলেও কয়েক বছরে নিজেকে কোটিপতি বানাতে পারেন, যা অনেক আর্থিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়। দৈনিক ১০০ টাকা সঞ্চয় করে কোটিপতি হওয়ার উপায় – কেউ যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা সঞ্চয় করেন, তাহলে তিনি মাসে ৩,০০০ টাকা সাশ্রয় করবেন। কেউ এই পরিমাণ টাকা যদি SIP-তে ৩০ বছর ধরে একটানা বিনিয়োগ করেন, তাহলে এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুসারে, তিনি ৩০ বছরে মাত্র ১০,৮০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন, যেখানে ১২ শতাংশে ৯৫,০৯,৭৪১ টাকা ফেরত পাবেন। এমন পরিস্থিতিতে, ৩০ বছর পরে তিনি ১,০৫,৮৯,৭৪১ টাকার মালিক হবেন। প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করার পরেও, কেউ যদি প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা সাশ্রয় করেন, তাহলে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। আর্থিক নিয়ম বলে যে নিজেদের আয়ের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত এবং এটি কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করা উচিত। এমনকি কেউ যদি মাসে ১৫,০০০ টাকা উপার্জন করেন, তাহলে সেই পরিমাণের ২০ শতাংশ হল ৩,০০০ টাকা, নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য, সেই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা উচিত। যেহেতু কারও আয় স্থির থাকবে না এবং এটি সময়ের সঙ্গে বাড়বে, তাই নিজেদের বেতন বৃদ্ধি পেলে একবার এসআইপিতে মাসে ৩,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা কারও পক্ষে কঠিন হবে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP Calculator: ৬০ বছরে কোটিপতি হতে চান ? তাহলে আপনার বয়স অনুযায়ী কত টাকার SIP করবেন ? বুঝে নিন হিসেব Gallery April 16, 2024 Bangla Digital Desk একজন ব্যক্তি সাধারণত ৬০ বছর বয়সে অবসর নেন। এখন যদি কারও বয়স ২৫ বছর হয়, তাহলে তিনি ৬০-২৫ = ৩৫ বছর, বয়স ৩০ বছর হলে ৬০-৩০ = ৩০ বছর এবং বয়স ৩৫ বছর হলে ৬০-৩৫ = ২৫ বছর কাজ করবেন। এই পরিস্থিতিতে অবসর তহবিল জমা করার জন্য সেই ব্যক্তি হাতে এত বছরই পাচ্ছেন। এখন বয়স অনুযায়ী কত টাকার এসআইপি করা উচিত, তার তালিকা রইল এখানে। বয়স যদি ২৫ বছর হয় এবং ৩৫ বছর চাকরিজীবন বাকি থাকে, তাহলে মাত্র ২ হাজার টাকার এসআইপি করে তিনি কোটি টাকার মালিক হতে পারেন। এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৩৫ বছর একটানা ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে গেলে, মোট জমার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮,৪০,০০০ টাকা। এখন ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে সুদ হিসেবে মিলবে ১,২১,৫০,৫৩৮ টাকা। অর্থাৎ ৬০ বছর বয়সে তিনি সুদ এবং আসল মিলিয়ে পাবেন ১,২৯,৯০,৫৩৮ টাকা। এখন চাকরির মেয়াদ ৩০ বছর বাকি থাকলে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকার এসআইপি করতে হবে। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ টানা ৩০ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। এই সময় মোট জমা টাকার পরিমাণ হবে ১০,৮০,০০০ টাকা। ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে এর উপর সুদ মিলবে ৯৫,০৯,৭৪১ টাকা। অর্থাৎ ৬০ বছর বয়সে সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি ১,০৫,৮৯,৭৪১ টাকার মালিক হবেন। বয়স যদি ৩৫ বছর হয় এবং চাকরিজীবনের মাত্র ২৫ বছর বাকি থাকে তাহলে কমপক্ষে ৬ হাজার টাকার এসআইপি শুরু করা উচিত। একটানা ২৫ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। এই সময় মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮,০০,০০০ টাকা। ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে এর উপর সুদ হিসেবে মিলবে ৯৫,৮৫,৮১১ টাকা। ৬০ বছরে বিনিয়োগ করা টাকা এবং সুদ সহ হাতে আসবে ১,১৩,৮৫,৮১১ টাকা। বলে রাখা ভাল, মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়। বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এতে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। রিটার্ন নিশ্চিত করা যায় না। তবে সরাসরি স্টকে বিনিয়োগের চেয়ে এতে ঝুঁকি কম বলে মনে করা হয়। এছাড়া, এর গড় রিটার্ন ধরা হয় ১২ শতাংশ, যা যে কোনও সরকারি স্কিমের তুলনায় অনেক ভাল। চক্রবৃদ্ধির সুবিধার কারণে এসআইপিতে বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ে। দীর্ঘমেয়াদি এসআইপি সম্পদ সৃষ্টির জন্য লাভজনক বলে মনে করা হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP Investment: ৩ হাজার টাকার SIP করবেন না কি ৫ হাজার টাকার? কোথায় বেশি লাভ, দেখুন পুরো হিসেব Gallery April 13, 2024 Bangla Digital Desk মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি আছে। কিন্তু রিটার্নও বেশি। মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে পারে। এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ তাই ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয়। মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত। ফলে বাজারের ওঠানামায় বিনিয়োগ প্রভাবিত হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে অন্য যে কোনও স্কিমের তুলনায় লাভজনক। এসআইপি মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। প্রতি মাসে নির্দিষ্টি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অনেকটা রেকারিং ডিপোজিটের মতো। যাইহোক, এসআইপিতে কমপাউন্ডিং সুদের সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং মেয়াদ, এই দুটো যত বাড়বে, লাভের পরিমাণও তত বাড়বে। এখন প্রশ্ন হল, ৩ হাজার না কি ৫ হাজার, এসআইপি-র মাধ্যমে কত টাকা বিনিয়োগ লাভজনক? ধরা যাক, কেউ প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকার এসআইপি করলেন। এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, দশ বছর মেয়াদে তাঁর মোট জমার পরিমাণ হবে ৩,৬০,০০০ টাকা। ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে সুদ হিসেবে তিনি পাবেন ৩,৩৭,০১৭ টাকা। অর্থাৎ সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি হাতে পাবেন ৬,৯৭,০১৭ টাকা। মেয়াদ যদি ১০ বছরের বদলে টানা ১৫ বছর করা হয়, তাহলে রিটার্ন দাঁড়াবে ১৫,১৩,৭২৮ টাকা। মোট জমার পরিমাণ ৫,৪০,০০ টাকা এবং সুদ হিসেবে হাতে আসছে ৯,৭৩,৭২৮ টাকা। এবার যদি কেউ ৩ হাজার টাকার বদলে ৫ হাজার টাকার এসআইপি করেন, তাহলে একই মেয়াদে অর্থাৎ দশ বছরে তাঁর মোট জমার পরিমাণ হবে ৬ লাখ টাকা। সুদের হার আগের মতো ১২ শতাংশই ধরলে, তিনি সুদ হিসেবে পাবেন, ৫,৬১, ৬৯৫ টাকা। অর্থাৎ মোট রিটার্ন মিলবে ১১,৬১,৬৯৫ টাকা। একইভাবে যদি ১৫ বছর মেয়াদে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে ২৫,২২, ৮৮০ টাকা রিটার্ন মিলবে। এক্ষেত্রে জমার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। সুদ হিসেবে মিলছে ১৬,২২,৮৮০ টাকা। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, দশ বছর মেয়াদে ২ হাজার টাকা বাড়তি বিনিয়োগ রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রায় ৫ লাখ টাকার পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। এটাই কম্পাউন্ডিংয়ের মজা। মেয়াদ এবং বিনিয়োগ বেশি হলে রিটার্নও বৃদ্ধি পাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য মাসে ৫০০০ টাকার SIP করে পেয়ে যেতে পারেন ৫.২২ কোটি টাকা, দেখে নিন কীভাবে Gallery April 12, 2024 Bangla Digital Desk কোটিপতি হতে এবং মিউচুয়াল ফান্ড সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের (SIPs) মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করতে স্পষ্ট আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ঝুঁকি সহনশীলতা এবং বিনিয়োগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ SIP বেছে নেওয়ার মাধ্যমে শুরু করা উচিত। ব্যক্তিগত ফিনান্স বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে তাড়াতাড়ি শুরু করুন, সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকুন এবং সময়ের সঙ্গে অবদান বাড়াতে SIP স্টেপ-আপের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করুন। শৃঙ্খলা এবং প্রতিশ্রুতি সহ, এসআইপি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ আহরণ এবং আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের একটি দিক সরবরাহ করে। ট্রান্সসেন্ড ক্যাপিটালের ডিরেক্টর কার্তিক জাভেরি, মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি)-এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ আহরণের সম্ভাবনার ওপর জোর দেন৷ তিনি জানিয়েছেন যে, “এসআইপিগুলি বিনিয়োগকারীদের ইক্যুইটি বাজারের দ্বারা অফার করা গড় আয়ে ট্যাপ করার সুযোগ দেয়। SIP-এর মাধ্যমে সুশৃঙ্খল বিনিয়োগের মাধ্যমে, বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য সংস্থা তৈরি করতে পারে।” মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি ক্যালকুলেটর: দীর্ঘমেয়াদে চক্রবৃদ্ধির ম্যাজিকট্রান্সসেন্ড ক্যাপিটালের ডিরেক্টর কার্তিক জাভেরি দীর্ঘমেয়াদী এসআইপিগুলির চক্রবৃদ্ধি সুবিধাগুলির উপর জোর দেন। যেখানে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সুদের উপর সুদ অর্জন করেন, এই সুবিধাগুলি সর্বাধিক করার জন্য বিনিয়োগের সময়কালকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। অর্থ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, বিনিয়োগকারীরা যাঁরা ১৫-বছর বা তার বেশি বিনিয়োগের দিগন্তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁরা তাঁদের বিনিয়োগে ১৫ শতাংশ বা তার বেশি রিটার্ন আশা করতে পারেন। মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে ধনী হওয়া যায় এসআইপি বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন এবং ধনী হওয়ার কৌশল সম্পর্কে, অপটিমা মানি ম্যানেজার-এর এমডি এবং সিইও পঙ্কজ মথপাল, এসআইপি স্টেপ-আপ টুলের কার্যকারিতার ওপর জোর দেন। তিনি জানিয়েছেন যে, “এই মাসিক স্টেপ-আপ প্ল্যানের অধীনে, মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি বিনিয়োগকারীদের তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মাসিক এসআইপি অবদানগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।” মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি ক্যালকুলেটর পছন্দসই ফলাফল অর্জনের জন্য, একটি ১৫ শতাংশ বার্ষিক এসআইপি স্টেপ-আপ রেট বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, আনুমানিক ৫০০০ টাকার একটি মাসিক এসআইপি শুরু করে এবং ১৫ শতাংশের বার্ষিক এসআইপি স্টেপ-আপ বজায় রেখে, ১৫ শতাংশ বার্ষিক মিউচুয়াল ফান্ড রিটার্ন সহ, বিনিয়োগকারীরা ২৫ বছরে প্রায় ৫.২২ কোটি টাকার তহবিল গড়ে তুলতে পারেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য SIP Investments: প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে SIP তে রাখছেন ? জানেন ১০ বছর পর কত টাকা পাবেন ? দেখে নিন হিসেব Gallery April 10, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান সময়ে সকলেই চান এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে যেখান থেকে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। এর জন্য এখন অনেকেরই অনেক প্রথম পছন্দ মিউচুয়াল ফান্ড। মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে বিনিয়োগ করে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। কিন্তু, SIP-তে লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে তবেই মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। SIP-তে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ বছর পরে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। SIP-তে প্রতি মাসে যে কোনও পরিমাণ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে। লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে ভাল লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-কে বিনিয়োগের একটি ভাল বিকল্প হিসাবে মনে করা হয়। কারণ SIP এখন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। কেউ যদি SIP-তে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি ১০ বছর পরে ৩.৮২ লক্ষ টাকা পেতে পারেন। অর্থাৎ লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করলে, ১০ বছরে তিনি মোট ১.২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবেন। অর্থাৎ ১০ বছরে তাঁর লাভ হবে ২.৬২ লক্ষ টাকা। এই হিসাবের মাধ্যমে SIP-তে বার্ষিক রিটার্ন ২০% ধরা হয়েছে। এই রিটার্ন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হারে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু, লাভ হওয়ার সম্ভাবনা সবসময় খুবই বেশি। সুতরাং ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে বিনিয়োগ করলে, ১০ বছরে সেই টাকা ৩.৮২ লক্ষ টাকা হয়ে যেতে পারে। এর জন্য SIP-তে নিয়মিত ভাবে বিনিয়োগ করে যেতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের SIP হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। এখানে শৃঙ্খলাগত ভাবে বিনিয়োগ করে গেলে, লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগকারীর লাভ হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সুতরাং কেউ যদি আজ থেকেই SIP-তে বিনিয়োগ করা শুরু করেন, তাহলে ভবিষ্যতে তিনি একটি মোটা টাকার তহবিল গড়ে তুলতে পারেন। এর জন্য তাঁকে লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips For Women: প্রতি মাসে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করে গৃহিণীরা সহজেই পেয়ে যাবেন লাখ লাখ টাকা Gallery April 3, 2024 Bangla Digital Desk গৃহিণীদের অর্থ সঞ্চয় করার অভ্যাস রয়েছে। তাঁদের এই সঞ্চিত অর্থ একটি জরুরি তহবিলের মতো। কিন্তু সব সময়ে জমার পরিমাণ বাড়ে না, বরং তা অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ব্যয় করা হয়। এমতাবস্থায় সঞ্চিত টাকা বাড়িতে জমা না করে কোথাও বিনিয়োগ করা ভাল। এমন অনেকগুলি স্কিম রয়েছে যা বিনিয়োগে খুব ভাল সুদ দেয়। চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে, বিনিয়োগের অর্থ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এমনকি যদি প্রতি মাসে মাত্র ৫০০ টাকা সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করা হয়, গৃহিণীরা কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার তহবিল তৈরি করতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে লাখপতি হওয়া সম্ভব – গৃহিণীরা যদি এসআইপি-তে মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে কয়েক বছরে তাঁরা এত অল্প পরিমাণ বিনিয়োগেও লক্ষ লক্ষ টাকা যোগ করতে পারেন সংসারে। SIP-এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। এতে, দীর্ঘমেয়াদে গড় রিটার্ন ১২ শতাংশ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা অন্য যে কোনও স্কিমের চেয়ে অনেক ভাল। গৃহিণীরা যদি ১০ বছরের জন্য প্রতি মাসে মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাঁরা মোট ৬০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন এবং শুধুমাত্র সুদের থেকে ৫৬,১৭০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এইভাবে, ১০ বছরে প্রতি মাসে মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করে, মোট ১,১৬,১৭০ টাকা আয় করতে পারেন। প্রতি মাসে ৫০০ টাকা ২০ বছরে ৫ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে – যদি এই বিনিয়োগ ১৫ বছর বা ২০ বছর ধরে চলতে থাকে, তবে রিটার্ন আরও ভাল হবে। প্রতি মাসে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করলে, ১৫ বছরে ৯০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা হবে, তবে এর সুদ হবে ১,৬২,২৮৮ টাকা, যা বিনিয়োগকৃত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকৃত পরিমাণ এবং সুদ সহ, মোট ২,৫২,২৮৮ টাকা পাবেন গৃহিণীরা। একই বিনিয়োগ ২০ বছর ধরে চলতে থাকলে, মোট বিনিয়োগ হবে ১,২০,০০০ টাকা এবং এর সুদ হবে ৩,৭৯,৫৭৪ টাকা৷ তার মানে বিনিয়োগের টাকা দ্বিগুণের বেশি হবে। বিনিয়োগকৃত পরিমাণ এবং সুদ সহ মোট ৪,৯৯,৫৭৪ টাকা অর্থাৎ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। এইভাবে, খুব অল্প সময়েই নিজেকে লাখপতি করতে পারেন গৃহিণীরা, যেখানে বিনিয়োগ বেশি হলে আরও দ্রুত তহবিল যোগ করা যায়।
ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: ৩০ বছর বয়সীদের জন্য সুপারহিট SIP প্ল্যান; ৩০০০ টাকা বিনিয়োগে পেয়ে যাবেন ৪.৫০ কোটি টাকা Gallery March 28, 2024 Bangla Digital Desk যত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করা যায়, ততই ভাল। কিন্তু, এটা কোনও নিয়ম নয়। বিনিয়োগে দেরি হলেও কৌশল ঠিক থাকলে অর্থ উপার্জন হবেই। কারণ SIP ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্যও সেরা। এখানে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন ১০০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে। ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৩০ বছরের জন্য রেখে দিতে হবে। এটি দিয়ে অবসর পরিকল্পনাও করা হবে। ৩০ বছর পর নিজেদের কাছে ৪.১৭ কোটি টাকা থাকবে। এরপর রিটার্ন এত বড় হবে যে, শুধুমাত্র সুদ থেকে ৩.৫৮ কোটি টাকা লাভ হবে। কেউ যদি অর্থ উপার্জন করতে চান, তবে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল সবচেয়ে ভাল কাজ করে। নিজেদের আয় থেকে প্রয়োজনীয় খরচগুলি সরাতে হবে এবং তারপরে দৈনিক মাত্র ১০০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে। এই সঞ্চয় প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে হবে। পদ্ধতিগত বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিজেদের অর্থকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে এবং রিটার্ন সেই অর্থকে বাড়িয়ে তুলবে। ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড একটি ভাল বিকল্প –বিনিয়োগ উপদেষ্টার মতে, কেউ যদি একটি বড় তহবিল চান তবে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। যদি একজন বিনিয়োগকারী ৩০ বছর বয়সে ৩০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং ৩০ বছর ধরে নিয়মিত বিনিয়োগ করে যান, তাহলে একটি বড় তহবিল তৈরি হবে। ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে বিনিয়োগ করা উপকারী। চক্রবৃদ্ধির একটি বড় সুবিধা আছে –কেউ যদি ৩০ বছরের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন এবং আনুমানিক ১৫% রিটার্ন পান, তাহলে কোটিপতি হওয়ার পথ সহজ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর চক্রবৃদ্ধি। এর অর্থ হল ৩০ বছরে ১৫% সহ চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু, যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল সবচেয়ে সঠিক সূত্র, যা এসআইপিতে মান যোগ করবে। এই সূত্রটি স্টেপ আপ SIP-র। এর জন্য যা করতে হবে তা হল প্রতি বছর ১০% স্টেপ-আপ রেট বজায় রাখা। ১০% ধাপে ধাপে ৪.৫০ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি হবে –যদি কারও বয়স ৩০ বছর হয়, তাহলে দৈনিক ১০০ টাকা সঞ্চয় করে SIP-তে বিনিয়োগ করতে হবে। এর দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ৩০ বছরের লক্ষ্য। এরপর প্রতি বছর ১০% স্টেপ-আপ করতে হবে। কেউ যদি ৩০০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন, তাহলে পরের বছর তাঁকে ৩০০ টাকা বাড়াতে হবে। ৩০ বছর পর সেই মেয়াদ হবে ৪,৫০,৬৬,৮০৯ টাকা। SIP ক্যালকুলেটর অনুসারে, ৩০ বছরে সেই মোট বিনিয়োগ হবে ৫৯,২১,৭৮৫ টাকা। তবে এখানে শুধু রিটার্ন থেকে লাভ হবে ৩ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ২৫ টাকা। এইভাবে, সবচেয়ে সঠিক ফর্মুলা স্টেপ-আপের সাহায্যে, ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিশাল তহবিল থাকবে।