Tag Archives: Sitaram Yechury

Sitaram Yechury Passes Away: দ্বাদশে দেশে সেরা, দক্ষিণী ছেলের ঝরঝরে বাংলা, ফিরে দেখা ‘সীতারামের’ রাজনৈতিক যাত্রা

প্রয়াত সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত‍্যাগ করেন তিনি। গত ১৯ অগাস্ট থেকেই তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস‍্যার কারণে চিকিত্সাধীন ছিলেন। প্রথম থেকেই শারীরিক অবস্থার কারণে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
প্রয়াত সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত‍্যাগ করেন তিনি। গত ১৯ অগাস্ট থেকেই তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস‍্যার কারণে চিকিত্সাধীন ছিলেন। প্রথম থেকেই শারীরিক অবস্থার কারণে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
প্রয়াত সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত‍্যাগ করেন তিনি। গত ১৯ অগাস্ট থেকেই তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস‍্যার কারণে চিকিত্সাধীন ছিলেন। প্রথম থেকেই শারীরিক অবস্থার কারণে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
জাতীয় রাজনীতিতে টালমাটাল সিপিআইএমের তরী, মত বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে সীতারামের চলে যাওয়া নি:সন্দেহে এক অপূরণীয় ক্ষতি। যাঁকে বলা হত, দলে হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ ঘরানার শেষ নেতা। যিনি সব দলের সমস্ত নেতার কাছে ছিলেন গ্রহণযোগ্য।  সেই সীতারামের মৃত‍্যুতে ফিরে দেখা  তাঁর ছোটবেলা থেকে রাজনীতির ময়দানে শীর্ষস্থানে পৌঁছবার যাত্রা।
সীতারাম ইয়েচুরির জন্ম ১২ অগাস্ট চেন্নাইতে। হায়দরাবাদের এল সেন্টস হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা। বাবা সর্বেশ্বরা ইয়েচুরি পেশায় ছিলেন অন্ধ্রের রাজ্য পরিবহণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়র। মা-ও ছিলেন অন্ধ্রের পদস্থ সরকারি কর্মচারী।

সীতারাম ইয়েচুরির জন্ম ১২ অগাস্ট চেন্নাইতে। হায়দরাবাদের এল সেন্টস হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা। বাবা সর্বেশ্বরা ইয়েচুরি পেশায় ছিলেন অন্ধ্রের রাজ্য পরিবহণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়র। মা-ও ছিলেন অন্ধ্রের পদস্থ সরকারি কর্মচারী।
পরে তেলঙ্গানা আন্দোলনে যখন উত্তাল অন্ধ্র, সেই সময়ে সীতারামকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। ভর্তি হন দিল্লির প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুলে। এই স্কুল থেকেই সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
পরে তেলঙ্গানা আন্দোলনে যখন উত্তাল অন্ধ্র, সেই সময়ে সীতারামকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। ভর্তি হন দিল্লির প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুলে। এই স্কুল থেকেই সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
জেএনইউ-তে পড়াকালীনই রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ তাঁর। বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়াকালীন যোগ দেন ছাত্ররাজনীতিতে। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে যোগ দেন তিনি। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতিও।
জেএনইউ-তে পড়াকালীনই রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ তাঁর। বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়াকালীন যোগ দেন ছাত্ররাজনীতিতে। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে যোগ দেন তিনি। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতিও।
জেনইউ থেকে পিএচডি সম্পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। এই সময়েই পড়াকালীন ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল জেএনইউ। সীতারামকে জেলেও যেতে হয়েছিল সেসময়।
জেনইউ থেকে পিএচডি সম্পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। এই সময়েই পড়াকালীন ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল জেএনইউ। সীতারামকে জেলেও যেতে হয়েছিল সেসময়।
এর এক বছর পর ১৯৭৫ সালে সিপিআইএম-এ যোগ দেন তরুণ সীতারাম। মাত্র দু'বছর পরে ১৯৭৮-এ এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় জয়েন্টে সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এর এক বছর পর ১৯৭৫ সালে সিপিআইএম-এ যোগ দেন তরুণ সীতারাম। মাত্র দু’বছর পরে ১৯৭৮-এ এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় জয়েন্টে সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৮৫ সালে সিপিআইএমে-এর জাতীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে সিপিআইএমের জাতীয় সচিব পদে নির্বাচিত হন।

১৯৮৫ সালে সিপিআইএমে-এর জাতীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে সিপিআইএমের জাতীয় সচিব পদে নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালে সিপিআইএমের পলিট ব‍্যুরো হিসেবে নির্বাচিত হন।  ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইয়েচুরি। এমনকী তিনি দিব‍্যি বাংলা ভাষায় কথাও বলতে পারতেন। ২০১৫ সালে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ইয়েচুরি।
১৯৯২ সালে সিপিআইএমের পলিট ব‍্যুরো হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইয়েচুরি। এমনকী তিনি দিব‍্যি বাংলা ভাষায় কথাও বলতে পারতেন। ২০১৫ সালে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ইয়েচুরি।
২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার গঠনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন সিপিআইএম নেতা ইয়েচুরি। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের সঙ্গে মিলিতভাবে তিনি ঐক‍্যবদ্ধ সরকার গঠনে কাজ করেছিলেন।

২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার গঠনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন সিপিআইএম নেতা ইয়েচুরি। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের সঙ্গে মিলিতভাবে তিনি ঐক‍্যবদ্ধ সরকার গঠনে কাজ করেছিলেন।
সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের মৃত‍্যতে শোক প্রকাশ করেছেন একাধিক রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব। বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়-সহ একাধিক ব‍্যক্তিত্ব শোকাহত প্রবীণ নেতার প্রয়াণে।
সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের মৃত‍্যতে শোক প্রকাশ করেছেন একাধিক রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব। বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়-সহ একাধিক ব‍্যক্তিত্ব শোকাহত প্রবীণ নেতার প্রয়াণে।

Sitaram Yechury: বাম রাজনীতিতে নক্ষত্র পতন, সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণ জাতীয় রাজনীতির বড় ক্ষতি

৮ অগাস্ট প্রয়াত হয়েছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এক মাসের কিছু যেতে না যেতেই সিপিআইএমের আরও এক নক্ষত্র পতন। হাসপাতালে ২৫ দিনের যুদ্ধ শেষে প্রয়াত হলেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মৃত্যুকালে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ১৯ অগাস্ট শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। বিগত কয়েক দিন ধরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৫২ সালের ১২ অগাস্ট জন্ম সীতারাম ইয়েচুররির। মাদ্রাজে জন্ম হলেও তাঁর পৈত্রিক বাড়ি হায়দরাবাদে। দিল্লির প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুল থেকে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ছাত্র জীবন থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন সীতারাম। তিনবার জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশে জরুরি অবস্থার সময় জেলও খেটেছেন সীতারাম ইয়েচুরি।

এরপর থেকে ধীরে ধীরে বাম রাজনীতিতে উত্থান হতে থাকে সীতারাম ইয়েচুরির। ১৯৭৮ এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক হন তিনি। এরপর ১৯৮৪ সালে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি হন। ১৯৮৫ সালে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ১৯৯২ সালে পলিটব্যুরোর সদস্য হন। ২০০৫ থেকে ২০১৭ রাজ্যসভার সাংসাদ ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন সীতারাম ইয়েচুরি। আমৃত্যু সেই পদেই ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ Sitaram Yechury: সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল, শোকপ্রকাশ মমতা-রাহুল-অভিষেকের

প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়েছিল। বুধবার রাতে এইমস-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল। কিন্তু তারপর ফের অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Sitaram Yechury: সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল, শোকপ্রকাশ মমতা-রাহুল-অভিষেকের

প্রয়াত সিপিআইমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ১৯ অগাস্ট শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। বিগত কয়েক দিন ধরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতি মহল। সিপিআইএম পার্টির তরফ থেকে করা হয় শোকপ্রকাশ।

সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন,”সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের খবর জানতে পেরে আমি দুঃখিত। প্রবীণ রাজনীতিবিদের মত্যু জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি বড় ক্ষতি। আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধীও। একটি ছবি শেয়ার করা সীতারাম ইয়েচুরিকে বন্ধু বলেও সম্বোধন করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,”সীতারাম ইয়েচুরি আমার বন্ধু ছিলেন। আমাদের দেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও উপলব্ধি ছিল তাঁর। আমরা যে দীর্ঘ আলোচনা করতাম তা আমি মিস করব। শোকের এই মুহূর্তে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুসারীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,”প্রবীণ সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জি-এর মৃত্যুর খবর শুনে দুঃখিত। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শগত লড়াই থাকলেও, গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি বিরোধী বৈঠকে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তাঁর সরলতা, জননীতি সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এবং সংসদীয় বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছিল অসাধারণ। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি!”

আরও পড়ুনঃ Sitaram Yechury: প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, ২৫ দিনের লড়াইতে ইতি! মৃত‍্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২

প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়েছিল। বুধবার রাতে এইমস-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল। কিন্তু তারপর ফের অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Sitaram Yechury: প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, ২৫ দিনের লড়াইতে ইতি! মৃত‍্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২

নয়াদিল্লি: প্রয়াত সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ১৯ অগাস্ট ফুসফুসে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং জ্বর নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয় প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। প্রথম থেকেই আইসিইউয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার শেষ নি:শ্বাস ত‍্যাগ করলেন বর্ষীয়ান নেতা।

২৫ দিনের যুদ্ধে ইতি। ১৯ অগাস্ট থেকেই সিপিআইএমের প্রবীণ নেতাকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এইমস-এ ভর্তি করা হয়। ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস‍্যা দেখা দেওয়ায় গত সোমবার থেকে রেসপিরেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে।

সিপিআইএম-এর বর্ষীয়ান নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। এক্স হ‍্যান্ডেলে মুখ‍্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণেপ খবরে আমি শোকাহত। তাঁর মৃত‍্যু জাতীয় রাজনীতির জন‍্য এক অপূরনীয় ক্ষতি। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’’

তাঁর মৃত‍্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। এক্স হ‍্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন ‘‘সিপিআইমের বর্ষীয়ান নেতার প্রয়াণের সংবাদে আমি শোকাহত। বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বৈঠকে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছি। উনার সরলতা, জননীতি সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি এবং সংসদীয় বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছিল সত্যিই অসাধারণ। তাঁর পরিবার, পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই’’।

প্রবীণ নেতা সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। ‘সীতারামজি বন্ধু ছিলেন। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কথা খুব মনে পড়বে।’’

Sitaram Yechury health update: আরও সঙ্কটজনক সীতারাম ইয়েচুরি! ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক

নয়াদিল্লি: সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। শ্বাস প্রশ্বাসে সমস‍্যা দেখা দেওয়ায় রেসপিরেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। এখনও আইসিইউতেই রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। দিল্লির এইএমস-এ ভর্তি রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে সিপিআইএম সূত্রে। মঙ্গলবার সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে জানান হয়েছে ইয়েচুরিরি শারীরিক অবস্থা।

সিপিআইএম সূত্রে খবর, গত ১৯ অগাস্ট ফুসফুসের সংক্রমণ এবং জ্বর নিয়ে এইমসে ভর্তি করা হয় ইয়েচুরিকে৷ তারপর থেকে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷

আরও পড়ুন: ‘আপেল খেলে দূরে থাকবে ডাক্তার’! প্রবাদ মেনেই রোজ খাচ্ছেন ‘উপকারী ফল’? বড় ভুল, কাদের, কখন খেতে নেই আপেল? জেনে নিন

অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখতে হয়েছে প্রবীণ ওই সিপিএম নেতাকে৷ মঙ্গলবার আরও অবনতি হয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থার।

সিপিআইএম সূত্রে গত বৃহস্পতিবার জানান হয় ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থার সামান‍্য উন্নতি হয়েছে। তবে মঙ্গলবার ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।