Tag Archives: Sunrisers Hyderabad

IPL 2020: বঞ্চনার জবাব দিল ঋদ্ধির ব্যাট, অধিনায়ক থেকে ফ্যান সকলেই মজে বাংলার ছেলের দাপটে

#দুবাই:  সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন৷ গোটা টুর্নামেন্টে প্রথম একাদশের বাইরে৷ বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা সকলেই জানেন ঋদ্ধিমান সাহা বা বঙ্গক্রিকেটের পাপালি কতটা ফোকাসড৷ তাই বঞ্চনার জবাব মুখ বলে নয়, বলে ঘা মেরে দিতে হয় তা ভালোই জানেন৷ আর সেটাই মঙ্গলবার দেখল মরুপ্রদেশ৷

দুবাইতে তাঁর ইনিংসকে ‘এলেন,দেখলেন, জয় করলেন’ না বলে বরং বলা ভালো এক ছোবলেই ছবি- ঋদ্ধির বিষাক্ত ব্যাটে জ্বলে গেল দিল্লি ক্যাপিটাল্স৷ এই মুহূর্তে ধোনির অবসরের পর জাতীয় দলে উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতের সবচেয়ে বড় দাবিদার নাকি ঋষভ পন্থ! তাঁর ব্যাট নাকি কথা বলে৷ অন্যদিকে ভারতে এই মুহূর্তে উইকেটের পিছনে সবচেয়ে সেরা স্কিলের মালিক ঋদ্ধি -র নাকি ব্যাটটা ততটা ধামাকাদার না হওয়ায় তাঁর নামের পাশে বসে প্রশ্ন৷

বঙ্গে দুর্গোৎসব শেষ হয়ে গেছে, তাই যেন তাঁর আশিষ নিয়েই এদিন ঋদ্ধির ব্যাট অনেককে অনেক কিছুর জবাব দিল৷ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে তিনি জবাব দিলেন নিজের ফ্রাঞ্চাইজিকে , জবাব দিলেন বিসিসিআই নির্বাচকদেরও৷

এদিন ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে নেমে একেবারে কামাল করে দেন ঋদ্ধি৷ ৪৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ১২ টি চার ও ২ টি ছয়৷ অজি সুপারস্টার ও এসআরএইচের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটও এদিন ঋদ্ধির পাশে কিছুটা ফিকে হয়ে যায়৷ ওয়ার্নার এদিন করেন ৩৪ বলে ৬৬ তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৮ টি চার ও ২ টি ছয়৷

এদিকে সতীর্থ এই চমৎকার ইনিংস মূলত যার সুবাদে এখনও সানরাইজার্সের প্লে অফের স্বপ্ন বেঁচে রইল তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক ওয়ার্নার৷ তাঁর সরল স্বীকারোক্তি- “Difficult decision to leave Jonny out and get Saha in, and especially batting a batsman like Kane at 4. Incredible knock from Saha though and his strike-rate in the powerplay was incredible. Unfortunately he’s got a little groin niggle but hopefully it isn’t too bad”- অর্থাৎ জনিকে বসিয়ে সাহাকে খেলানোটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল৷ পাশাপাশি কেনকে ৪ খেলানো, কিন্তু সাহার থেকে একটি অবিশ্বাস্য ইনিংস৷ স্টাইকরেটও মারাত্মক বিধ্বংসী৷ যদিও ওঁর কুচকিতে সামাণ্য সমস্যা হয়েছে আশা করি ভালো আছে৷ ’

এদিকে অধিনায়েকর থেকে দরাজ সার্টিফিকেটের পর সাহাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে নেট দুনিয়াও৷

এদিকে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সানরাইজার্স পয়েন্ট টেবলের ৬ রইল পাশাপাশি নিজেদের প্লে অফের সম্ভবনাও বাঁচিয়ে রাখতে পারল এক বাঙালি ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে৷

IPL 2020: প্রীতির দলের ঝকঝকে পারফরম্যান্স, মুখ থুবড়ে পড়ল হায়দরাবাদ, ১২ রানে ম্যাচ জিতল কিংস

#দুবাই: পয়েন্ট টেবলে ৫ ও ৬  নম্বরে থাকা দলের লড়াই ছিল৷ জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৮৷  তবুও জমল ২২ গজের লড়াই৷ এদিন দুবাইতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে   জিতল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব৷ এই ম্যাচও যে হারা সম্ভব তা হেরে দেখাল সানরাইজার্স৷

এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স৷ শুরু  থেকেই হায়দরাবাদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না কিংসের ক্রিকেটাররা৷ অধিনায়ক কেএল রাহুল ২৭ বলে ২৭, অন্য ওপেনার মনদীপ সিং ১৪ বলে ১৭ করে আউট হয়ে যান৷ ধামাকা গেইলও কিছুই করতে পারেননি ৷ ২০ বলে ২০ রান করে হোল্ডারের শিকার তিনি৷

এরপর শুধুই আয়ারাম -গয়ারামের কাহিনি৷ পুরান ২৮ বল ৩২ করে লড়াইয়ের কিছুটা চেষ্টা করে স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করলেও বাকিরা কেউই সঙ্গত দেননি৷ সানরাইজার্সের হয়ে রশিদ খান, সন্দীপ শর্মা, হোল্ডার ২ টি করে উইকেট পান৷

এর ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৭ রানের লক্ষ্য দেয়৷ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ৷ ওয়ার্নার -বারিস্তো জুটিতে ওঠে ৫৪ রান৷

কিন্তু হঠাৎই পরপর তিনটি উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স৷ ওয়ার্নার ২০ বলে ৩৫ রান করেন৷ ৫৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে ৩ উইকেট হারায় ৬৭ রানের মধ্যে৷

এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটে হারিয়ে সহজ ম্যাচকে টানটান উত্তেজনার জায়গায় নিয়ে যায় সানরাইজার্স ৷

১১০ রানে ৫ উইকেট থেকে ১১২ রানে ৭ উইকেট হয়ে যায়৷ ফলে একটি সহজ ম্যাচ খারাপ ভাবে হারল সানরাইজার্স৷

জয়ের পর রাজস্থানের দেওয়া বিরিয়ানির অর্ডার বাতিল করল হায়দরাবাদ, বিশদে জানতে উঁকি মারুন ট্যুইটে!

১১ অক্টোবর। দুবাইয়ের মাটিতে সেদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছ থেকে নাটকীয় ভাবে জয় ছিনিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ষষ্ঠ উইকেটে দুই তরুণ ব্যাটসম্যান রাহুল তেওটিয়া ও রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত ৮৫ রানের পার্টনারশিপে সেদিন ম্যাচ জেতার পর ট্যুইটে সরব হয়েছিল রয়্যালসরা। ওয়ার্ল্ড বিরিয়ানি ডে-র কথা মাথায় রেখে হায়দরাবাদকে ব্যঙ্গ করে টুইটে হায়দরাবাদি বিরিয়ানির অর্ডার দেয় রাজস্থান রয়্যালস। কেটে গেছে ১০ দিন। এবার আট উইকেটে রাজস্থানকে হারিয়ে সেই বদলা নিল হায়দরাবাদ। ট্যুইটে দিল যোগ্য জবাব। রাজস্থানের তরফে করা বিরিয়ানির অর্ডার এ বার বাতিল করল হায়দরাবাদ।

গতকাল রাজস্থানের ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারের কাছে বশ্যতা শিকার করতে বাধ্য হন অধিনায়ক ওয়ার্নার। শুরুর দিকের ওভারেই চার রানে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। জোফরার কাছে কাবু হয়ে যান জনি বেয়ারস্টোও। ৭ বলে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। মণীশ পাণ্ডে অবশ্য মাঠ আর ক্রিজ দুটোর চেহারাই আগে-ভাগে বুঝে গিয়েছিলেন। ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের সুবিধাকে যথাসময়ে কাজে লাগান তিনি। আর ৪৭ বলে ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। উল্লেখ্য, এই ৮৩ রানের ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও চারটি চার। অন্য দিকে ক্রিজের মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন বিজয় শঙ্কর। তাঁর ৫১ বলে ৫২ রানও ম্যাচ জয়ের পথ অনেকটা সুগম করে দেয়। যার জেরে ১১ বল বাকি থাকতেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি জিতে নেয় হায়দরাবাদ।

ম্যাচ জেতার পর যোগ্য জবাব দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজস্থানের পুরনো ট্যুইট কোট করে SRH-এর জবাব, আপাতত বিরিয়ানির অর্ডার ক্যানসেল করে দেওয়া হোক। কারণ আমাদের বন্ধুরা বিরিয়ানির এত কড়া মশলা সামলাতে পারবেন না। এর থেকে ডাল-বাটি ভালো। সরব হন হায়দরাবাদ ফ্যানেরাও। ট্যুইট, রিট্যুইট আর মিমের ভিড়ে রাজস্থানকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন তাঁরা।

সানরাইজার্সের কাছে এই জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই জয়ের সুবাদে এখন আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অন্য দিকে, ১১ ম্যাচের মধ্যে সাতটি ম্যাচে হারের পর আপাতত সপ্তম স্থানে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থানের বর্তমান পয়েন্ট ৮।

 

একই বলে দু’বার আউট রশিদ খান! সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল, কী বলছেন ট্যুইটারেতিরা?

#নয়াদিল্লি:  সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে IPL-এ জয়ের সরণিতে ফিরেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু মঙ্গলবারের ম্যাচের শেষে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যান রশিদ খান কী করে আউট হলেন, তা নিয়ে।
ম্যাচের ১৮ ওভার পর্যন্ত লড়াই ছিল টানটান। চেন্নাই সুপার কিংস খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও মরিয়া লড়াই দিচ্ছিল হায়দরাবাদও। চিন্তার ভাঁজ ছিল ক্যাপ্টেন কুলের কপালেও। কিন্তু ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন তরুণ শার্দূল ঠাকুর। ডেথ ওভারে চমৎকার বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করল হায়দরাবাদ। শার্দূলের বলেই ওভারের শেষে আউট হলেন রশিদ।
জেতার জন্য শেষ সাত বলে ২২ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। ম্যাচ ততক্ষণে প্রায় পুরোপুরি হেলে গিয়েছে সিএসকের দিকে। ক্রিজে থাকা রশিদ মরিয়া হয়ে ব্যাট চালাচ্ছেন। উদ্দেশ্য, যে ভাবেই হোক বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মেরে জয়ের শেষ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখা। শেষ বলে ছয় মারতে পারলে কাজটা খানিকটা সহজ হবে হায়দরাবাদের জন্য৷ কারণ সে ক্ষেত্রে শেষ ওভারে জেতার জন্য প্রয়োজন হত ১৬ রান। IPL-এর পৃথিবীতে যেটা খানিকটা শক্ত হলেও মোটেই দুঃসাধ্য কিছু নয়।


ওভারের শেষ বল করতে রান আপ শুরু করলেন শার্দূল ঠাকুর। ক্রিজের অনেকটা ভিতরে ঢুকে এসে দাঁড়ালেন রশিদ। উদ্দেশ্য স্পষ্ট। হুক বা পুল মারার সম্ভাবনা খোলা রাখা। শার্দূলের বলে সপাটে ব্যাট চালালেন রশিদ। ব্যাটে লেগে বল চলে গেল সরাসরি দীপক চহারের হাতে। কিন্তু নাটক সেখানেই শেষ নয়। দেখা গেল, তারকা আফগান স্পিনার হিট উইকেট হয়েছেন! তাঁর পায়ে লেগে উইকেট পড়ে গিয়েছে। জ্বলে উঠেছে জিং বেল। অর্থাৎ, একই বলে জোড়া আউট রশিদ। কট আউট এবং হিট উইকেট।
রশিদ যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন, তখনই তাঁর আউট নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তিনি কট আউট না হিট উইকেট? স্কোরকার্ড অবশ্য রশিদ হিট উইকেটই দেখিয়েছে।


কেন কট আউটের পরিবর্তে হিট উইকেট দেওয়া হল রশিদকে? জানা গিয়েছে, IPL-সংক্রান্ত বিধির ৩৩.৫ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত।

তবে কেবল রশিদের অদ্ভুত আউটই নয়, ম্যাচের ১৯তম ওভারে ছিল আরও চমক। ১৮তম ওভারে একটি চার এবং একটি ছয় মেরে হায়দরাবাদকে ভালো ভাবেই লড়াইতে রেখেছিলেন রশিদ। তাঁকে আটকাতে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিতে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে ইয়র্কার দেন শার্দূল। মরিয়া হয়ে ব্যাট চালিয়েও বলের নাগাল পাননি রশিদ। আম্পায়ার পল রাফায়েল বলটিতে ওয়াইডের নির্দেশ দেন। এর পর চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক ধোনিকে দেখা যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে। ধোনি এবং শার্দূল হাতের ইঙ্গিতে বোঝাতে থাকেন বলটি কোনওমতেই ওয়াইড ডেলিভারি নয়, কারণ ব্যাটসম্যান রশিদ পিচ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।


ধোনিদের প্রতিবাদের মুখে আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন। জানিয়ে দেন, বলটি ওয়াইড নয়, বৈধ ডেলিভারি। এই নিয়েও শোরগোল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

 

IPL 2020: মুজিবুর রহমানের DRS নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, বিদ্রুপ ছাড়াল শালীনতার মাত্রা!

#কলকাতা: দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফের হারের মুখ দেখল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। নিকোলাস পুরন ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেও বাকিরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাট হাতে ম্যাক্সওয়েলও ব্যর্থ হয়েছেন। এর মাঝে একটি আউটের সিদ্ধান্ত আর DRS নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ট্রোল শুরু হয়েছে। এই আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই মুজিবুর রহমানকে ঘিরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি শেয়ার করা হয়েছে। অনেকের মতে, ম্যাচে পুরো বিষয়টি কী ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

হায়দরাবাদ ও পঞ্জাব ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস। বড় রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভারে ব্যাট করছেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মুজিবুর রহমান। ও পারে বল হাতে খলিল আহমেদ। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকঠাক যোগোযাগ হয়নি। বল ব্যাট ছুঁয়ে ততক্ষণে সোজা জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে। এর পরই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। স্বভাবতই আউটের আবেদন করা হয় হায়দরাবাদের তরফে। নট আউট না আউট সেই বিভ্রান্তির মাঝেই থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন আর এক অন ফিল্ড আম্পায়ার। এ বার বাম্প বল কি না তা দেখার জন্য, সিদ্ধান্তকে একটু খতিয়ে দেখেন থার্ড আম্পায়ার। দেখা যায় বল মাটি ছোঁয়নি। তাই ফুটেজ দেখার পর আউট দেওয়া হয় মুজিবুরকে। তবে এই ফাঁকে আলাদা করে আর আল্ট্রা এজ চেক করেননি থার্ড আম্পায়ার। প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটতে শুরুই করেছিলেন মুজিবুর, তবে এ বার এক নতুন জটিলতা তৈরি হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। নেওয়া হয় DRS রিভিউ। এ বার থার্ড আম্পায়ার আবার নতুন করে ফুটেজ দেখতে শুরু করেন। স্নিকোমিটারের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয় আলট্রা এজ। দেখা যায় মুজিবুরের ব্যাট ছুঁয়ে বেরিয়েছে বল। শেষমেশ আবার আউট দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই এই আউটের ঘটনাটিকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। অনেকে সানি দেওলের বিখ্যাত ডায়ালগ তারিখ পে তারিখের সঙ্গে DRS পে DRS মিলিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। কেউ আবার নানা মিম ক্যারেক্টারের সঙ্গে এই DRS-এর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

তবে অনেকে অবশ্য এই মিম ও মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের কথা, প্রথমে থার্ড আম্পায়ার বাম্প বলের পরীক্ষা করেছেন। পরে ব্যাটে বলে সংযোগ হয়েছে কি না তা দেখার জন্য আলট্রা এজ চেক করা হয়। এর জেরে একটি সঠিক ও নিঁখুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কোনও ভুল নেই।

উল্লেখ্য, অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জেরেই গতকালের ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টোর ৫৫ বলে ৯৭ রান ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৪০ বলে ৫৫ রানের উপর ভর করে পঞ্জাবের সামনে ২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। পরে বল হাতে রশিদ খান একাই বিপক্ষকে ধরাশায়ী করেন। হাত খুলে খেলতে গিয়েও পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা তাঁর ওভারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। গতকাল নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন রশিদ। অন্য দিকে পঞ্জাবের হয়ে নিকোলাস পুরন লড়াইটা ভালো শুরু করলেও পরের দিকে পার্টনারশিপের অভাবে অসহায় হয় পড়েন। তাঁর ৩৭ বলে ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংসও দলকে রক্ষা করতে পারেনি।