Tag Archives: Supreme Court

Mahua Moitra: অপেক্ষা বাড়ল মহুয়ার, বহিষ্কৃত সাংসদের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল মহুয়া মৈত্রের আবেদনের শুনানি৷ আগামী ৩ জানুয়ারি মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট৷ সংসদ থেকে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র৷ বিচারপতিরা জানিয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত ফাইল পড়ে দেখার জন্য সময় চাই তাঁদের৷

মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন, সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি৷ গত ৮ ডিসেম্বর সংসদে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে৷ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ধ্বনি ভোটে ভোটাভুটির পর মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে পাস হয়ে যায়৷ যদিও এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বিরোধী পক্ষের সাংসদরা৷

আরও পড়ুন: ‘অনেক খেলা বাকি আছে’, ‘যুদ্ধ’ লেগে গেল সুকান্ত-অনুপমের! বঙ্গ বিজেপিতে শোরগোল

মহুয়া এবং তাঁর পক্ষে সওয়াল করা বিরোধী পক্ষের সাংসদদের অভিযোগ ছিল, এথিক্স কমিটি শুধুমাত্র কোনও সাংসদ অভিযুক্ত কি অভিযুক্ত নন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ কিন্তু সাংসদকে বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে না তারা৷

আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়ার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন৷ এর পরই মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সংসদের এথিক্স কমিটি৷

Article 370: জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অংশ জানাল সুপ্রিম কোর্ট, ৩৭০ ধারা বাতিল বহাল

 

নয়াদিল্লি: ৩৭০ ধারা বাতিল বহাল। জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল বহাল সুপ্রিম কোর্টে। ৩৭০ ধারা রদের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অংশ জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের নীতিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয় সুপ্রিম কোর্টের। ৩৭০ ধারা রদ মামলায় একমত সুপ্রিম সাংবিধানিক বেঞ্চ।

Mahua Moitra: সাংসদ পদ খারিজে সুপ্রিম কোর্টে মামলা মহুয়া মৈত্রের, ১৫ পাতার আবেদন জমা

কলকাতা: লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহুয়া মৈত্র। সূত্রের খবর, এদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন। ১৫ পাতার আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়। তখনই সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই মহুয়া মৈত্র জানিয়েছিলেন, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব’। এর মধ্যেই ফের মহুয়া মৈত্রের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে এল। যদিও বিষয়টি নিয়ে মহুয়া মৈত্রের তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি।

Supreme Court verdict on Jammu and Kashmir: রাজ্যের স্বীকৃতি ফেরানোর নির্দেশ, জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্নু কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে৷ এ দিন নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ যার অর্থ, জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দেওয়ারই পক্ষে শীর্ষ আদালত৷

২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷

আরও পড়ুন: ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ, সুপ্রিম কোর্টে বিরাট জয় মোদি সরকারের

এ দিন অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের যে সিদ্ধান্ত সংসদ এবং রাষ্ট্রপতি নিয়েছিলেন, তা বৈধ৷ এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত এ দিন স্পষ্ট করে বলেছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ ফলে গোটা দেশের জন্য যে সাংবিধানিক আইন রয়েছে, তা জম্নু কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে৷ কারণ ভারতে মিশে যাওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরের আর নিজস্ব কোনও সার্বভৌমত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাতে সবরকম পদক্ষেপ করা হয়, আমরা সেই নির্দেশ দিচ্ছি৷ জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যের তকমা যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে দিতে হবে৷’

শুনানি চলাকালীন অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছিল, জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তুতি চলছে৷ সীমানা পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া শেষ হলেই ভোট করানো হবে৷ তবে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই থাকবে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷

 

Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মিলল না অব্যাহতি, অভিষেকের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আইনের মধ্যে থেকে সিবিআই ইডি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত৷ এ দিন বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের লেখা চিঠিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকায় তাঁকেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অভিষেক৷ যদিও সেখান থেকে মামলা ফিরে আসে হাইকোর্টে৷ তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে মামলার বেঞ্চ পরিবর্তন হয়৷ বেঞ্চ পরিবর্তন হলেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বজায় রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ উল্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি৷

আরও পড়ুন:  সাংসদ পদ খারিজ প্রায় নিশ্চিত, ‘বড়’ দিনে মহুয়া মৈত্র যা বললেন, চমকে উঠল সকলে

বিচারপতি সিনহার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন অভিষেক৷ ডিভিশন বেঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পড়ে তৃণমূল নেতার আবেদন৷ এর পর ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ সেই মামলারই আজ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
,

সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, ‘কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে হস্তক্ষেপ করছেন। আদালতের কাজ বিচার করা, তদন্ত পরিচালন করা আদালতের কাজ হতে পারে না। বিচারপতি বলে দিচ্ছেন কাকে ডাকতে হবে, কাকে গ্রেফতার করতে হবে ইত্যাদি।’

ইডি সিবিআইয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ভি রাজু বলেন, ‘এই মামলা আর পাঁচটা সাধারণ মামলার মতো নয়। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়।’

তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া না দিলেও এ দিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইডি সিবিআই-কে আইন মেনেই কাজ করতে হবে৷

মহিলাদের বিরুদ্ধেও কি ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায়? উত্তর খুঁজবে সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: একজন মহিলার বিরুদ্ধে কি ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায়? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে দেখতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট৷ একটি মামলায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন পঞ্জাবের বাসিন্দা এক মহিলা৷ ওই মামলায় মহিলার ছেলের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে৷ মহিলার আবেদনের ভিত্তিতেই এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

তবে আবেদনকারী ৬১ বছর বয়সি ওই মহিলাকে রক্ষাকবচ দিলেও একই সঙ্গে পঞ্জাব সরকারকে বিষয়টি নিয়ে জবাব দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ আূবেদনকারী ওই মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তাঁরই পুত্রবধূ৷

বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে৷ আবেনকারী মহিলাকে চার সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত৷ একই সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতার জন্যও তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

আরও পড়ুন: বিধানসভায় এসে তদন্ত, মাপজোক! বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগে তৎপর পুলিশ

ওই মহিলার হয়ে করা আবেদনে তাঁর আইনজীবী জানান, মহিলার বিরুদ্ধে যে ধারাগুলিতে মামলা হয়েছে তার মধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) ধারায় আনা বারংবার ধর্ষণের অভিযোগটিই জামিন অযোগ্য৷ ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম দশ বছরের জেল, এমন কি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তিও হতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টেরই নির্দেশ উল্লেখ করে আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, একজন মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না৷

জানা গিয়েছে, বিধবা ওই মহিলার পুত্রবধূর সঙ্গে তাঁর আমেরিকা নিবাসী ছেলের সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু কখনওই দু জনের দেখা হয়নি৷ এফআইআর অনুযায়ী, ভার্চুয়াল বিয়ের পর অভিযোগকারিণী মহিলার পুত্রবধূর হিসেবে তাঁর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন৷

এর কিছুদিন পরে ওই বৃদ্ধার ছোট ছেলে পর্তুগাল থেকে ফেরেন৷ ওই বৃদ্ধার দাবি, ছোট ছেলে ফিরে আসতেই তাঁর পুত্রবধূ বড় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান৷ উল্টে বড় ছেলের ওই পুত্রবধূ বৃদ্ধার ছোট ছেলের সঙ্গে পর্তুগালে যেতে জেদ ধরেন৷

এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়৷ শেষ পর্যন্ত মীমাংসা করতে ওই বৃদ্ধা তাঁর পুত্রবধূকে ১১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন৷ এর পরেও অভিযোগকারিণী স্থানীয় থানায় গিয়ে ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলা করে৷

JU-তে স্থায়ী উপাচার্যের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠন!

কলকাতাঃ স্থায়ী উপাচার্যের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অধ্যাপক সংগঠন। প্রধান বিচারপতিকে চিঠি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের।

এত ছোট মানসিকতা ঠিক নয়! পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ অথবা অনুষ্ঠান করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ উল্টে এত সংকীর্ণ মানসিকতা না দেখানোর জন্য আবেদনকারীকে পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং এসভিএন ভাটি জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত মামলায় বম্বে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের উপর কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন না তাঁরা৷ ফৈয়জ আনওয়ার কুরেশি নামে এক ব্যক্তি করা একই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টও৷ আবেদনকারীর দাবি তিনি সিনেমায় অভিনয়ের সঙ্গেই যুক্ত৷

আরও পড়ুন: ‘ইঁদুরের গর্ত’ খোঁড়া চালু…! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ঠিক কী চলছে এই মুহূর্তে? জানুন আপডেট

আবেদনকারীর উদ্দেশ্যে এ দিন দুই বিচারপতি পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনি অহেতুক জোর করবেন না৷ এত সংকীর্ণ মানসিকতার হওয়া উচিত নয়৷ পাশাপাশি বম্বে হাইকোর্টের দেওয়া লিখিত নির্দেশে কিছু অংশ বাদ দেওয়ার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

আবেদনকারী আর্জি জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে এমন নির্দেশ দিক যাতে কোনও ভারতীয় নাগরিক, সংস্থা, কোনও ফার্ম অথবা সংগঠন কোনো পাকিস্তানি গায়ক, অভিনেতা, শিল্পী, গীতিকার অথবা কলাকুশলীদের সঙ্গে কোনও রকম কাজের অথবা পরিষেবার চুক্তি করতে না পারেন৷

বম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দিতে গিয়ে জানিয়েছিল, এই আবেদন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, শান্তি এবং একতার পরিপন্থী৷ এই যুক্তি দেখিয়েই ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট৷

SSC: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং! সুপ্রিম কোর্টে কাভিয়েট দাখিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে কাভিয়েট দাখিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল এসএসসি। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার একতরফা শুনানি আটকাতে এই কাভিয়েট দাখিল বলেই দাবি কমিশনের।

বুধবারই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর। বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলছে। সেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় যাতে স্থগিতাদেশ না দেয় সুপ্রিম কোর্ট বা একতরফা মামলা হয়ে যাতে শুনানি না হয়ে যায় তার জন্য সতর্ক এসএসসি।

আরও পড়ুন: এক্ষুনি খাওয়া বন্ধ করুন ‘এঁরা’…! পালং শাকই হবে ‘বিষের’ সমান! আপনি নেই তো তালিকায়?

এদিকে, শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং-এর প্রক্রিয়ায় ক্রমশই বাড়ছে অনুপস্থিতির সংখ্যা। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি অনুপস্থিত থাকলেও বুধবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭৩ জন। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর বুধবারে প্রায় ৭০ জন অনুপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায়। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অন্দরে। দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময়সীমা পর উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বড় অঘটন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

‘কৃষকদের কেন ভিলেন বানাচ্ছেন?’ পঞ্জাব সরকারকে তুলোধনা সুপ্রিম কোর্টের! কী এমন ঘটল?

বছরের পর বছর ধরে এই মরশুমে রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ফসলের আগাছা পোড়ানো হয়। যা বায়ু দূষণের অন্যতম বড় কারণ। এই সময় দিল্লি এবং তার আশপাশের অংশ পুরো ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়। আর ফসলের এই আগাছা পোড়ানোর বিষয়ে কোনও রকম কড়া পদক্ষেপ না করার জন্য পঞ্জাব সরকারকে তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পর্যাপ্ত শুনানির সুযোগ না পাওয়ার ফলে কৃষকদেরই খলনায়ক বানানো হচ্ছে।

সম্প্রতি দিল্লি জুড়ে বিষাক্ত বাতাস ছেয়ে গিয়েছে বলে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। ওই আবেদনে দাবি হয়েছে যে, এহেন পরিস্থিতিতে দেশের রাজধানীর বাসিন্দাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়াই প্রায় মুশকিল হয়ে গিয়েছে। এইসব আবেদন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: জেনারেল ও স্লিপার ক্লাসের বাড়ছে চাহিদা! বিরাট চমক ভারতীয় রেলের

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারপতি এস কে কল এবং এস ধুলিয়ার একটি বেঞ্চ পঞ্জাব এবং দিল্লি সরকারকে ফসলের আগাছা পোড়ানোর বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। আসলে ফসলের আগাছা পোড়ানোর ফলে দিল্লির একিউআই সঙ্কট তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে।

ওই বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, আম আদমি পার্টি (আপ) শাসিত পঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, কৃষক এবং কৃষক-নেতাদের সঙ্গে প্রায় ৮৪০০ বৈঠক করা হয়েছে। ওই বৈঠকে তাঁদের এ-ও বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, স্টেট হাউজ অফিসারদের দিয়েই খড় পোড়ানো উচিত। তবে এখনও এই আগাছা পোড়ানোর পরিমাণ কমানো যায়নি।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড! দীপাবলিতে আগুনে পুড়ে ছাই ২ টি ঘর, রইল ভিডিও

এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালত ভগবন্ত মানের সরকারের দিকেও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে। সরকারকে আদালতের প্রশ্ন, “ফসলের অবশিষ্টাংশ বা আগাছা ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া কেন পুরোপুরি বিনামূল্যে হয় না? আর কেনই বা প্রশাসন তার জন্য প্রয়োজনীয় পেট্রোল বা ডিজেলের খরচ জোগাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ফসলের অবশিষ্টাংশের প্রক্রিয়াকরণ কেন ১০০ শতাংশ বিনামূল্যে করছে না পঞ্জাব সরকার? আর তা পোড়ানোর জন্য কৃষকদের শুধু দেশলাই জ্বালাতে হয়। আবার ফসলের অবশিষ্টাংশের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনই কৃষকদের জন্য সব কিছু নয়। এমনকী ওই মেশিন যদি বিনামূল্যে দিয়েও দেওয়া হয়, তার পরেও থেকে যায় ডিজেলের খরচ এবং মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বল।”

আর এই সব কারণে পড়শি রাজ্য হরিয়ানাকে দেখে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেছেন শীর্ষ আদালত। আসলে হরিয়ানা সরকার ফসলের আগাছা পোড়ানোর বিষয়টাকে কমিয়ে আনার জন্য আর্থিক ইনসেন্টিভ ঘোষণা করেছে। যার জেরে অনেকটাই কমেছে সমস্যা। এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “হরিয়ানার থেকে শেখা উচিত পঞ্জাবের। কারণ তারা এমন একটি কৌশল বার করেছে, যেখানে আর্থিক ইনসেন্টিভ প্রদান করা হচ্ছে।”

এর মধ্যেই আবার আগাছা পোড়ানোর বিষয়ে কৃষকদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার দাবিতে সোমবার পঞ্জাবের একাধিক কৃষক সংগঠন বিভিন্ন ডেপুটি কমিশনার এবং সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ধানের আগাছা বা খড়ের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানও দাবি করেছেন কৃষকরা। প্রতিবাদ জানানোর জন্য তাঁরা আগাছা বোঝাই করা ট্রলি নিয়ে ওইসব অফিসে গিয়েছিলেন।