Tag Archives: Survey

Forest Survey: দেশের বৃহত্তম হিজল বন বাংলায়, সার্ভের পরই হবে সংরক্ষণ

মালদহ: শিঘ্রই হিজল বন নিয়ে সার্ভে করতে চলেছে বন বিভাগ। এই সার্ভেতে দেখা হবে হিজল গাছ ছাড়াও আরও কী ক উদ্ভিদ রয়েছে সেখানে। কী কী প্রাণী ওই জঙ্গলে বসবাস করে এই সমস্ত বিষয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে এই সার্ভে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মালদহ বন বিভাগের পক্ষ থেকে বোটানিক্যাল ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

এই সার্ভের মাধ্যমে সেখানে থাকা হিজল গাছগুলির বয়স সহ বিভিন্ন তথ্য’ও সংগ্রহ করা হবে। এই দুই সার্ভে করার পরই মালদহে অবস্থিত দেশের এই বৃহত্তম হিজল বন সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করা হবে। মালদহ জেলা বন দফতরের ডিএফও জিজু জেসফার জি বলেন, এই বছরেই হিজল বন নিয়ে সার্ভে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সার্ভে করার পর কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেই সমস্ত বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে।

আর‌ও পড়ুন: ছুটির আনন্দ বদলে গেল বিষাদে, বাড়িতে এসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু জওয়ানের

মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতে অবস্থিত এই হিজল বন। একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিঙ্গাবাদ ও তিলাসন গ্রামের মাঝে অবস্থিত এই হিজল বন। বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম হিজল বন। বছরের অধিকাংশ সময় বিলের জলে ডুবে থাকে হিজল গাছ। ডিসেম্বর মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিলে জল থাকে না। সে সময়ই হিজল বনে ঘোরার উপযুক্ত সময়। প্রতিবছর শীতের মরশুমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ ভিড় করেন এই হিজল বনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিজল ফরেষ্টকে ঘিরে স্থায়ী পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার। কিন্তু এতদিন কোন‌ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এবার দেশের বৃহত্তম এই হিজল বন সংরক্ষণ করতে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

সংরক্ষণের পাশাপাশি আগামীতে কীভাবে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বন বিভাগ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হিজল ফরেস্ট প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হিজল গাছ কেটে নিচ্ছে চোরাচালানকারীরা। বন দফতরের পক্ষ থেকে তাই টহলদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিয়মিত এখানে বন কর্মীরা পাহাড়া দিচ্ছেন।

হরষিত সিংহ

Job: চাকরিজীবীরা কেন একই সংস্থায় বছরের পর বছর ধরে থেকে যেতে চান, সমীক্ষায় বেরিয়ে এল চমকে দেওয়া তথ্য

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে Apna.co-এর তরফে। যেখানে আজকালকার যুগের গতিশীল চাকরির বাজারের পটভূমির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কর্মীদের প্রত্যাশা এবং গুরুত্বের দিকটার উপরেও জোর দেওয়া হয়ে থাকে। এই সমীক্ষাটি অনলাইনে করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন চাকরির সেক্টরের প্রায় ১০০০০ কর্মীর কাছ থেকে জমা পড়েছিল জবাব। মূলত এপ্রিল-মার্চ মাসে অ্যাপ্রাইজালের মরশুমে কাজের বাজারের হালচাল কেমন, সেটার উপরেই দৃষ্টিনিবদ্ধ করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়।

আরও পড়ুনঃ ‘ওরা ঠুকঠাক করছে, এক ঘা দিলেই সিধে হয়ে যাবে’, কাদের উদ্দেশ্যে একথা বললেন দিলীপ ঘোষ!

 

সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৫৪ শতাংশ কর্মচারী বর্তমান চাকরিতে থেকেই কেরিয়ারের অগ্রগতি চেয়েছেন। যদিও পারিশ্রমিক একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এর অর্থ হল, নিজেদের কোম্পানিতে থেকেই কেরিয়ারে উন্নতি করার লক্ষ্য রয়েছে এইসব কর্মচারীদের।

নিজেদের প্রতিষ্ঠানে থেকে কেরিয়ার সংক্রান্ত উন্নতি ছাড়াও সমীক্ষায় অন্যান্য বিষয়গুলিও উঠে এসেছে। প্রতিবদন অনুযায়ী, প্রায় ৩৭ শতাংশ কর্মীর প্রতিক্রিয়া, স্বাধীনতা অর্জনের অনুভূতি ছিল তাঁদের প্রেরণা। প্রায় ২১ শতাংশ আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট নিতে বা কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত ভ্রমণে বেশি আগ্রহী ছিলেন।

সমীক্ষায় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, প্রায় ৪৪ শতাংশ কর্মচারী নিজেরা যে সংস্থায় কাজ করছেন, সেখানকার কাজের সংস্কৃতির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। এর অর্থ হল সামগ্রিক ভাবে, কর্মচারীরা তাঁদের কাজের সন্তুষ্টির জন্য একটি নন-টক্সিক এবং সুন্দর পরিবেশ খুঁজছেন।

Apna.co-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নির্মিত পারিখ বলেন, এই রিপোর্টটি আজকের দিনের গতিশীল চাকরির বাজারে পেশাদারদের ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রাধিকারগুলিকে তুলে ধরে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, পেশাদারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিজেদের সংস্থায় থাকতে চান। এই কর্মচারীরা প্রাথমিক ভাবে কর্মজীবনের অগ্রগতির সুযোগ, কাজের সংস্কৃতি এবং দক্ষতা বিকাশের আকাঙ্ক্ষার মতো কারণগুলির দ্বারা চালিত হয়। এই সমীক্ষা এবং রিপোর্টের মাধ্যমে এটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছ যে, কর্মচারীদের অগ্রগতিকে গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সেই সঙ্গে ইতিবাচক এবং নন-টক্সিক কর্মসংস্কৃতি প্রদান করতে হবে। আর তাঁদের দক্ষতা যাতে বাড়ে, তার জন্য প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সুযোগও দেওয়া আবশ্যক।