Tag Archives: Temperature

Kolkata Weather Update: অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পতন, ৪০-এর নিচে নামল পারদ! কলকাতায় কত?

৪৪ বছর পর আবার এপ্রিল মাসে রেকর্ড করল কলকাতার তাপমাত্রা। তবে, মে মাস পড়তেই খানিকটা কমল তাপমাত্রা।
৪৪ বছর পর আবার এপ্রিল মাসে রেকর্ড করল কলকাতার তাপমাত্রা। তবে, মে মাস পড়তেই খানিকটা কমল তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার, বেলা ১১.৩০ বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি, শান্তিনিকেতনের শ্রীনিকেতন ৩৯ ডিগ্রি,
 মালদা ৩৯.২ ডিগ্রি,
 দমদম ৩৮ ডিগ্রি এবং 
 আলিপুর ৩৭.২ ডিগ্রি।
বৃহস্পতিবার, বেলা ১১.৩০ বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি, শান্তিনিকেতনের শ্রীনিকেতন ৩৯ ডিগ্রি, মালদা ৩৯.২ ডিগ্রি,  দমদম ৩৮ ডিগ্রি এবং আলিপুর ৩৭.২ ডিগ্রি।
১৯৫৪ সালের ২৫ এপ্রিল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তারপর, এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ কলকাতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচন্ড গরমে প্রায় ওষ্ঠাগত মানুষের জীবন।
১৯৫৪ সালের ২৫ এপ্রিল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তারপর, এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ কলকাতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচন্ড গরমে প্রায় ওষ্ঠাগত মানুষের জীবন।
তবে, আবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শনিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বেশি থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া জেলাতে। বেলা বাড়লে জেলাগুলিতে রীতিমতো ‘লু’ বইবার সম্ভাবনা !
তবে, আবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শনিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বেশি থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া জেলাতে। বেলা বাড়লে জেলাগুলিতে রীতিমতো ‘লু’ বইবার সম্ভাবনা !
তবে, আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এই ৬ জেলায় রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
তবে, আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এই ৬ জেলায় রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
সোমবার বৃষ্টি আরও বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই সোম ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সঙ্গে থাকবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
সোমবার বৃষ্টি আরও বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই সোম ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সঙ্গে থাকবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।

Knowledge Story: সাবধান…! শরীরের তাপমাত্রা এর চেয়ে বেশি হলেই ‘মৃত্যু’! সর্বোচ্চ কতটা তাপ সহ্য করতে পারে মানুষ? শিউরে ওঠা তথ্য সমীক্ষায়

গরম বাড়তেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷ বৈশাখের দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা-সহ একাধিক রাজ্য৷ সারা দেশে তাপপ্রবাহ বাড়ছে৷ ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে একাধিক রাজ্যে৷
গরম বাড়তেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷ বৈশাখের দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা-সহ একাধিক রাজ্য৷ সারা দেশে তাপপ্রবাহ বাড়ছে৷ ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে একাধিক রাজ্যে৷
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হোক বা এল নিনোর, আবহাওয়া দফতর বলছে, এ বছর তাপপ্রবাহ রেকর্ড তৈরি করতে পারে। কিন্তু জানেন কি, মানবদেহ সর্বোচ্চ কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে?
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হোক বা এল নিনোর, আবহাওয়া দফতর বলছে, এ বছর তাপপ্রবাহ রেকর্ড তৈরি করতে পারে। কিন্তু জানেন কি, মানবদেহ সর্বোচ্চ কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে?
একজন সুস্থ মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে হিট স্ট্রোকের আগে মানুষের শরীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হতে পারে।
একজন সুস্থ মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে হিট স্ট্রোকের আগে মানুষের শরীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হতে পারে।
হিট স্ট্রোক হল একটি অবস্থা যা তখনই ঘটে যখন শরীর তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হয় এবং অবিলম্বে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাপপ্রবাহ যেহারে বাড়ছে তাতে  মৃত্যুর  ঝুঁকিও বাড়ছে৷
হিট স্ট্রোক হল একটি অবস্থা যা তখনই ঘটে যখন শরীর তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হয় এবং অবিলম্বে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাপপ্রবাহ যেহারে বাড়ছে তাতে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে৷
 মানবদেহ সর্বোচ্চ কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে তা আসলে বিতর্কের বিষয়। কারণ 'কতটা' সংজ্ঞায়িত করার সময় আমাদেরও মাথায় রাখতে হয় 'কতদিন'৷
মানবদেহ সর্বোচ্চ কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে তা আসলে বিতর্কের বিষয়। কারণ ‘কতটা’ সংজ্ঞায়িত করার সময় আমাদেরও মাথায় রাখতে হয় ‘কতদিন’৷
এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা আরও একটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে বলেছেন যে চারপাশে কী এবং কতটা আর্দ্রতা রয়েছে। কারণ উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে অতিরিক্ত আর্দ্রতা আরও মারাত্মক হতে পারে।
এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা আরও একটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে বলেছেন যে চারপাশে কী এবং কতটা আর্দ্রতা রয়েছে। কারণ উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে অতিরিক্ত আর্দ্রতা আরও মারাত্মক হতে পারে।
ভারতে সাধারণ মানুষ যে অবস্থার মধ্যে বাস করে, সেখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা মানবদেহে সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করবে।
ভারতে সাধারণ মানুষ যে অবস্থার মধ্যে বাস করে, সেখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা মানবদেহে সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করবে।
একই সময়ে, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের মতে,৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি মারাত্মক হতে পারে। তবে, শরীরের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রির মধ্যে হতে পারে। অনেক গবেষণা এটি নিশ্চিত করে।
একই সময়ে, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের মতে,৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি মারাত্মক হতে পারে। তবে, শরীরের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রির মধ্যে হতে পারে। অনেক গবেষণা এটি নিশ্চিত করে।

Zero Degree Temperature Alert: সিমলা-মুসৌরি নয়, ‘এই’ রাজ্যে হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রা! বরফ জমা ঠান্ডা নিয়ে চিন্তায় আবহাবিদরা

কনকনে ঠান্ডা উত্তর ভারত জুড়ে। সাধারণ মানুষের অবস্থা করুণ৷ হাড়হীম করা ঠান্ডায় কাঁপছে সর্বত্র৷ কিন্তু যে রাজ্যে এমন ঠান্ডা হওয়ার কথাই নয়, সেখানে হিমাঙ্কের কাছে তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা৷
কনকনে ঠান্ডা উত্তর ভারত জুড়ে। সাধারণ মানুষের অবস্থা করুণ৷ হাড়হীম করা ঠান্ডায় কাঁপছে সর্বত্র৷ কিন্তু যে রাজ্যে এমন ঠান্ডা হওয়ার কথাই নয়, সেখানে হিমাঙ্কের কাছে তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা৷
বর্তমানে তামিলনাড়ুর নীলগিরি পার্বত্য জেলার মানুষ প্রচণ্ড ঠান্ডার সম্মুখীন হচ্ছেন। এটা বেশ অস্বাভাবিক, যা ফসলের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। নীলগিরির সবুজ মাঠ, উটির মনোরম দৃশ্যের দেখা নেই, সবই হিমে ঢাকা এবং ঘন কুয়াশায় মুড়ে রয়েছে৷
বর্তমানে তামিলনাড়ুর নীলগিরি পার্বত্য জেলার মানুষ প্রচণ্ড ঠান্ডার সম্মুখীন হচ্ছেন। এটা বেশ অস্বাভাবিক, যা ফসলের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। নীলগিরির সবুজ মাঠ, উটির মনোরম দৃশ্যের দেখা নেই, সবই হিমে ঢাকা এবং ঘন কুয়াশায় মুড়ে রয়েছে৷
ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া অস্বাভাবিক।স্থানীয় লোকজন এমন কঠোর শীতের আবহাওয়ায় বসবাস করতে অভ্যস্ত নয়, তাপমাত্রা কমার কারণে তাঁরা নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। অনেক জায়গায় মানুষকে আগুনের কাছে বসে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। উধাগামন্ডলমের কাঁথাল এবং থালাইকুঁথায় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল৷
ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া অস্বাভাবিক।স্থানীয় লোকজন এমন কঠোর শীতের আবহাওয়ায় বসবাস করতে অভ্যস্ত নয়, তাপমাত্রা কমার কারণে তাঁরা নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। অনেক জায়গায় মানুষকে আগুনের কাছে বসে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। উধাগামন্ডলমের কাঁথাল এবং থালাইকুঁথায় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল৷
নীলগিরি এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ট্রাস্ট (NEST) কেভি শিবদাস বিশ্বাস করেন যে এই পরিবর্তন গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং এল নিনোর প্রভাবের কারণে। তিনি বলেছিলেন যে 'ঠান্ডা শুরু হওয়া বিলম্বিত হচ্ছে এবং এই ধরনের জলবায়ু পরিবর্তন নীলগিরির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।' এখানে বড় আকারের চা বাগানও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
নীলগিরি এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ট্রাস্ট (NEST) কেভি শিবদাস বিশ্বাস করেন যে এই পরিবর্তন গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং এল নিনোর প্রভাবের কারণে। তিনি বলেছিলেন যে ‘ঠান্ডা শুরু হওয়া বিলম্বিত হচ্ছে এবং এই ধরনের জলবায়ু পরিবর্তন নীলগিরির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’ এখানে বড় আকারের চা বাগানও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
স্থানীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি আর সুকুমারন বলেন, ডিসেম্বরে ভারী বর্ষণের পর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা চা বাগানে প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে আগামী মাসে উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সবজি চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া বিশেষ করে বাঁধাকপির ওপর প্রভাব ফেলেছে। এন রবিচন্দ্রন নামে একজন সরকারি কর্মচারী বলেন, ঠান্ডার কারণে কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন। ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড মাথাব্যথা এবং জ্বরের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা হয়।
স্থানীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি আর সুকুমারন বলেন, ডিসেম্বরে ভারী বর্ষণের পর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা চা বাগানে প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে আগামী মাসে উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সবজি চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া বিশেষ করে বাঁধাকপির ওপর প্রভাব ফেলেছে। এন রবিচন্দ্রন নামে একজন সরকারি কর্মচারী বলেন, ঠান্ডার কারণে কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন। ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড মাথাব্যথা এবং জ্বরের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা হয়।