পশ্চিম মেদিনীপুর: বাবা এবং মা দুজনে শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে রয়েছে দুই ভাই। টেস্টে আশানুরূপ ফল না হলেও পরীক্ষার আগে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় মিলেছে সফলতা। মাধ্যমিকে রাজ্যে সম্ভাব্য ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ নগরের বাসিন্দা কৌস্তভ সাহু।
ছোট থেকেই কৌস্তভের ইচ্ছে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। তবে পরীক্ষা দেওয়ার পর আশা করেছিলেন ভাল ফলের। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী কৌস্তভ। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশুনা করত কৌস্তভ। আর পাঁচজনের মতোই পড়াশোনা করত সে। তবে পরীক্ষার আগে বেশ ভালভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিল কৌস্তুভ। ভাল ফল করায় খুশির হাওয়া পরিবারে। কৌস্তভের বাবা সূর্যেন্দু বিকাশ সাহু নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ এ শিক্ষকতা করেন। মা মেদিনীপুর শহরের খয়েরুল্লাচক নেতাজি বিদ্যামন্দিরের শিক্ষিকা। বাড়িতে ভাই রয়েছে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে।
ছোটবেলায় আবৃত্তি, অঙ্কনে শিক্ষা নিয়েছে সে। তবে পরে পড়ার চাপে হয়নি সুযোগ। কৌস্তুভ বলেন, দিনে আট থেকে নয় ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। জীবনের ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। জেই মেইন, অ্যাডভ্যান্স দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ছোট থেকে ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। পরীক্ষার পর প্রস্তুতিও শুরু করেছে সে। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় সাফল্য জুটেছে। কৌস্তভের বাবা সূর্যেন্দু বিকাশ সাহু বলেন, ছেলের এই সাফল্যে আমরা সবাই খুশি।
একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন কৌস্তভকে ভাল ফল করার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং গৃহশিক্ষকেরাও সাহায্য করেছেন। এই বছর মেদিনীপুর শহরের আরও তিনজন রয়েছে সেরা দশের তালিকায়। স্বাভাবিকভাবে খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদের পাসের হারও বেশি গোটা জেলায়।
রঞ্জন চন্দ