Tag Archives: torture on women

Torture on Women: যোধপুরের হাসপাতালে গণধর্ষিতা কিশোরী, গ্রেফতার ২ অস্থায়ী সাফাইকর্মী

যোধপুর : ফের হাসপাতালে লালসার শিকার নারী। এ বার যোধপুরের হাসপাতালে গণধর্ষিতা এক নাবালিকা। ন্যক্কারজনক এই অভিযোগ উঠেছে যোধপুরের মহাত্মা গান্ধি হাসপাতালে। অভিযোগ, দুই চুক্তিভিত্তিক ঠিকাকর্মীর হাতে রবিবার গণধর্ষিতা হয়েছে ১৫ বছরের কিশোরী। অভিযুক্ত দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই কিশোরী। ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছয় হাসপাতালে। সোমবার বিকেলে তাকে উদ্ধার করা হয় হাসপাতালের ক্যান্টিন থেকে। উদ্ধারের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সুরসাগর থানায়। সেখানেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ওই কিশোরী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি-র ফুটেজ। জানা গিয়েছে দুই ধৃত ওই হাসপাতালের সাফাইকর্মী।

আরও পড়ুন : অতল মহাসাগরে লুকিয়ে রাখা হয়েছে নিখোঁজ বিমান MH370-কে? ১০ বছর পর মিলল সন্ধান? বিজ্ঞানীর দাবিতে তোলপাড়

মঙ্গলবার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণ প্রমাণিত হয়েছে। তার পরই নির্যাতিতার বয়ান গ্রহণ করা হয়। ডিসিপি (ওয়েস্ট) রাজর্ষি রাজ ভার্মা জানিয়েছেন সুরসাগর থানায় কিশোরীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ ডায়রি করা হয় রবিবার রাতে। তার বাবার অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি তাকে প্রলুব্ধ করেছে।

Reclaim the Night Origin: যৌন লাঞ্ছনা থেকে নৃশংস নারীঘাতক–বার বার মেয়েদের উপর হওয়া অপরাধের প্রতিবাদের হাতিয়ার ‘রিক্লেম দ্য নাইট’

অদ্ভুত এক আঁধারের মোকাবিলা করতে অন্ধকারকেই হাতিয়ার করল মেয়েরা৷ যে অন্ধকারকে তাঁদের ভয় পেতে শেখানো হয়েছে আজন্ম, তার সঙ্গেই যাপন বুধনিশিতে৷ পোশাকি নাম হতে পারে ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ বা রাতকে জয় করা৷ কিন্তু এই পদক্ষেপের ডাকনাম হয়তো ‘আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি’৷ আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতার রক্তবিন্দু থেকেই জন্ম নিক প্রতিবাদের রক্তবীজ৷

যে বীজ বপন করা হয়েছিল গত শতকের সাতের দশকে৷ আলোকিত টর্চ হাতে মহিলারা হেঁটেছিলেন ইংল্যান্ডের লিডস, ইয়র্ক, ব্রিস্টল, ম্যাঞ্চেস্টার, নিউক্যাসল ব্রাইটন এবং লন্ডনের রাজপথে। তাঁদের আন্দোলন ছিল ইয়র্কশায়ার রিপার-এর বিরুদ্ধে। ১৯৭৭-এর নভেম্বর মাসের মধ্যে পিটার সাটক্লিফ, যে খুনি পরিচিত ‘ইয়র্কশায়ার রিপার’ নামে, নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল সাতজন মহিলাকে। তার শিকারের অধিকাংশই ছিলেন যৌনকর্মী। ১৯৮০ সালে পুলিশের জালে ধরা পড়ে এই পৈশাচিক হত্যাকারী। তত দিনে তার হাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন মহিলার। এই ঘাতককে আরও আগেই গ্রেফতার করা যেত। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা, অকর্মণ্যতার অভিযোগ করেছিলেন ব্রিটিশ মহিলারা। তাঁদের প্রতিবাদ সোচ্চারিত হয়েছিল রাতদখলের ডাকে।

পথে নেমে পথের সাথীকে চিনে নেওয়ার এই পর্বের সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল আরও আগেই। মহিলাদের উপর যৌন লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সাবেক পশ্চিম জার্মানির মহিলারা পথে নেমেছিলেন ১৯৭৭ সালেরই, ৩০ এপ্রিল। সংগঠিত প্রতিবাদীদের সঙ্ঘবদ্ধ সেই প্রতিবাদ ও আন্দোলনকে বলা হয়েছিল ‘টেক ব্যাক দ্য নাইট’। সাবেক পশ্চিম জার্মানি থেকে ইংল্যান্ড-ফিরিয়ে দেওয়া রাতকে ফের নিজেদের মুঠোবন্দি করেছেন মহিলারা। এর পর আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো, ইতালির রোম-বিভিন্ন শহরে মহিলারা পা মিলিয়েছেন অন্ধকারকে জয় করে নেওয়ার নৈশ অভিযানে।

আরও পড়ুন : আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে ২০ সদস্যের সিবিআই দল! গোটা বিষয় নজরবন্দি দিল্লির

এ বার সেই তালিকায় যোগ হল কলকাতা। শুধু কলকাতা বললে ভুল হবে। কলকাতা ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে ভিনরাজ্য, সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশেও আজ মেয়েরা শামিল হারিয়ে যাওয়া রাতকে ফের ছিনিয়ে নিতে। ৩৬ ঘণ্টা টানা ডিউটির পর তাঁর নিজের কর্মস্থান, রাজ্যের অন্যতম সরকারি চিকি‍‍ৎসা প্রতিষ্ঠান আরজি কর হাসাপাতালে একা ঘুমিয়ে পড়ে নাকি ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতার’ পরিচয় দিয়েছিলেন তরুণী ডাক্তার! আসলে কে কতটা ভুল করছেন, তার হিসেব নিতেই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাজপথে সৃষ্টিশক্তি৷

Torture on Women: অবাধ্যতার অকথ্য ‘শাস্তি’! চলন্ত বাইকের পিছনে বেঁধে পাথুরে রাস্তায় স্ত্রীকে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল স্বামী!

জয়পুর: এক মহিলার দুই পা মুড়িয়ে বাঁধা। ওই অবস্থায় তাঁকে বাঁধা হয়েছে মোটরবাইকের সঙ্গে। তার পর মোটরবাইক চালিয়ে তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাথুরে রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছে বাইকটি। যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন মহিলা৷ কিন্তু কেউ এগিয়ে এলেন না তাঁর সাহায্যে৷ এভাবেই স্ত্রীকে ‘শাস্তি’ দিল স্বামী৷ এই নারকীয় ঘটনার সাক্ষী ছিল রাজস্থানের নগৌর জেলা৷ প্রায় মাসখানেক আগে রেকর্ড করা এই ভিডিও ক্লিপ এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷

শুধু বাইকে বেঁধে ছেঁচড়ে টেনে নিয়ে যাওয়াতেই শেষ নয়৷ ভিডিওর শেষে দেখা গিয়েছে ওই অভিযুক্ত বাইক থেকে নেমে তার ভূলুণ্ঠিত স্ত্রীর শরীরে পা তুলে দাঁড়াচ্ছে! ৪০ সেকেন্ডের এই ভাইরাল ভিডিও দেখে গা গুলিয়ে উঠছে নেটিজেনদের৷ সকলের বিস্ময়বোধক প্রশ্ন, ছবিতে একাধিক পথচলতিকে দেখা গেলেও কেউ দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলেন না৷ বাড়িয়ে দিলেন না সাহায্যের হাত৷ অথচ পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড ঠিক করা হয়েছে! আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও নির্মম হত্যার আবহে এই ভাইরাল ভিডিও দেখে ফের শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা৷

ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া

শোনা গিয়েছে, জয়সলমেরে নিজের বোনের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন বলে এভাবে ‘শিক্ষা’ দেওয়া হয়েছে ওই মহিলাকে৷ আবার এও শোনা যাচ্ছে এর পিছনে আছে বউ কেনার তত্ত্বও৷ প্রসঙ্গত ঝুনঝুনু, নগৌর, পালির মতো রাজস্থানের কিছু জেলায় এখনও চালু আছে মেয়ে ‘কিনে’ এনে বিয়ের তত্ত্ব৷ সাধারণত যে মেয়েদের এভাবে টাকার বিনিময়ে আনা হয় গ্রামে তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় স্বামীরা৷ এমনকী, মাঝে মাঝে নারকীয় সেই খেলায় অংশ নেয় অন্য পুরুষরাও৷

আরও পড়ুন : আসছে ভাদ্রমাস, অঢেল উপকারী হলেও ডায়াবেটিসে কি তালের বড়া খাওয়া যায়? পাকা তাল খেলে কতটা বাড়ে ব্লাড সুগার? জানুন

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ভাইরাল এই ভিডিওতে যে যুবককে দেখা গিয়েছে, সেই প্রেম রাম মেঘওয়ালের বয়স চল্লিশের কোঠায়৷ মাদকাসক্তির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে৷ শোনা যাচ্ছে, ১০ মাস আগে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে সে তার স্ত্রীকে কিনে এনেছে৷ অভিযুক্ত প্রেম রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তার স্ত্রী এখন জয়সলমেরে৷ যে ব্যক্তি কোনওরকম সাহায্য না করে মোবাইলে পুরো ঘটনা রেকর্ড করেছে তার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ তদন্তকারীর জানিয়েছেন নির্যাতিতার বয়ান গ্রহণের পর প্রেম রাম মেঘওয়ালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে৷