Tag Archives: Toursim

West Medinipur News: সাজানো কটেজ, ক্যাম্পাসে সবুজের ক্ষেত্র, রাত্রিযাপনের মোক্ষম ঠিকানা 

পশ্চিম মেদিনীপুর: শহরের ব্যস্ততা, কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে  নিজেকে একটু রেহাই দিতে চান? সবুজ প্রান্তর, গ্রাম, গ্রামীণ সংস্কৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে বেছে নিন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক মনোরম  ঠিকানা, বিদিশা।

এখানে নেই কোনও কোলাহল। চারিদিকে শুধু  গাছগাছালির সবুজ প্রাকৃতিক শোভা। কোথাও পাখি ডাকছে, কোথাও আবার ফুলে-ফলে ভরে রয়েছে গাছগুলো। হাতে যদি একদিনের ছুটিও থাকে, তাহলেও প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে মন হালকা করার জন্য চলে আসতে পারেন লোধা আশ্রম হোস্টেলের মাঝে বিদিশায়।

কাছে পিঠে রয়েছে পুরনো মন্দির, রাজবাড়ির মতো স্মৃতি বিজড়িত নানা দর্শনীয় স্থান। ভাবছেন জায়গাটা কোথায়? কলকাতা থেকে খুব কাছেই।  জাতীয় সড়কের পাশে লোধা আশ্রম এবং সেই আশ্রমের মধ্যেই যত্ন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কটেজ। কটেজের চারিদিকে যেমন পটের নানা ছবি আঁকা, তেমনই ভিতরে এবং বাইরের দেওয়াল সাজানো হয়েছে বাঁশের নানা কারুকার্যে।

ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে পুরনো দিনের বইয়ের লাইব্রেরী। রয়েছে দুটি হরিণও। সপরিবার রাত কাটানোর পরিকল্পনা থাকলে এর চেয়ে আরামদায়ক স্থান আর নেই! এখনই প্ল্যান করুন।

কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে নারায়ণগড় থানার বিদিশা গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে লোধাদের জন্য তৈরি বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশ্রম হোস্টেল। চারিদিকের সবুজ আর সবুজ। রাজহাঁস চড়ে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। শুধু এখানে থাকা নয়, লাইব্রেরীতে গিয়ে পুরনো দিনের লোকসংস্কৃতির ইতিহাস জানতে পারবেন। ছুটি কাটাতে এসে পড়তে পারবেন সেগুলোও।

কলকাতা থেকে ওড়িশা অভিমুখে পড়বে নারায়ণগড় থানার মকরামপুর। সেখান থেকে নারায়ণগড় বাজারের দিকে সামান্য এগোলেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বিদিশা গ্রাম। জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই রয়েছে এমন সুন্দর জায়গা। কটেজ দেখলে আপনি অভিভূত হবেন।

ভাবছেন তো খরচ কত পড়বে? মাথাপিছু থাকার খরচ মাত্র ১৩০০ টাকা। যোগাযোগ করতে পারেন প্রিয়ম ভৌমিক এর সঙ্গে। যোগাযোগ : +91 94747 58109। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/jXEvi8zNZ4WSfVur7

রঞ্জন চন্দ

Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর! ভ্রমণপিপাসু বাঙালির জন্য রইল ডুয়ার্সের নতুন ডেস্টিনেশন

প্রায় তিনবছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুজোর আগেই খুলছে ভুটান সীমান্তের চামুর্চি ইকো পার্ক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জঙ্গলে ভরে যাওয়া পার্কটি সাফাই ও মেরামতের কাজ শুরু করেছে পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি। এই খবর শোনা মাত্রই খুশির হাওয়া জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের ভুটান সীমান্তের চামুর্চি অঞ্চলের ব্যবসায়ী তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে। (সুরজিৎ দে)
প্রায় তিনবছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুজোর আগেই খুলছে ভুটান সীমান্তের চামুর্চি ইকো পার্ক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জঙ্গলে ভরে যাওয়া পার্কটি সাফাই ও মেরামতের কাজ শুরু করেছে পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি। এই খবর শোনা মাত্রই খুশির হাওয়া জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের ভুটান সীমান্তের চামুর্চি অঞ্চলের ব্যবসায়ী তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে। (সুরজিৎ দে)
২০১৬ সালে এই পার্কটি তৈরি হয়। এরপর পার্কটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর করোনাকাল থেকে ইকো পার্কটি একেবারে মুখ থুবরে পড়ে। ধুপগুড়ি ব্লক ভেঙে বানারহাটকে আলাদা ব্লক ঘোষণার পর প্রশাসনিক কিছু সমস্যার কারণেপার্কটির টেন্ডার করতে সমস্যা হচ্ছিল। ফলত, ভুটান সীমান্তের গড়ে উঠা এই পর্যটনকেন্দ্র পড়ে বিশ বাঁও জলে।
২০১৬ সালে এই পার্কটি তৈরি হয়। এরপর পার্কটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর করোনাকাল থেকে ইকো পার্কটি একেবারে মুখ থুবরে পড়ে। ধুপগুড়ি ব্লক ভেঙে বানারহাটকে আলাদা ব্লক ঘোষণার পর প্রশাসনিক কিছু সমস্যার কারণেপার্কটির টেন্ডার করতে সমস্যা হচ্ছিল। ফলত, ভুটান সীমান্তের গড়ে উঠা এই পর্যটনকেন্দ্র পড়ে বিশ বাঁও জলে।
পর্যটনে ঘুরে দাঁড়াতে চামুর্চি ইকো পার্কটি খোলার দাবি নিয়ে একাধিকবার সরব হয় স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত বানারাহাট পঞ্চায়েত সমিতির তত্বাবধানে থাকা পার্কটি টেন্ডার করে স্থানীয় একসংস্থাকে দেওয়া হয় সম্প্রতি। পার্কটি যাতে পুজোর আগেই খুলে দেওয়া হয় এই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পর্যটনে ঘুরে দাঁড়াতে চামুর্চি ইকো পার্কটি খোলার দাবি নিয়ে একাধিকবার সরব হয় স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত বানারাহাট পঞ্চায়েত সমিতির তত্বাবধানে থাকা পার্কটি টেন্ডার করে স্থানীয় একসংস্থাকে দেওয়া হয় সম্প্রতি। পার্কটি যাতে পুজোর আগেই খুলে দেওয়া হয় এই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, বানারহাট থেকে ভারত-ভুটান সড়ক দিয়ে ১০কিমি গেলেই চামুর্চি বাজারের ডানদিকে ভুটান পাহাড় ও মনোরম দৃশ্যের কথা মাথায় রেখে ভারত-ভুটান সীমান্তে থাকা পাহাড়ের কোলে নৈসর্গিক পরিবেশে চামুর্চিবাজার থেকে প্রায় দুই কিমি ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল চামুর্চিইকো পার্ক।
প্রসঙ্গত, বানারহাট থেকে ভারত-ভুটান সড়ক দিয়ে ১০কিমি গেলেই চামুর্চি বাজারের ডানদিকে ভুটান পাহাড় ও মনোরম দৃশ্যের কথা মাথায় রেখে ভারত-ভুটান সীমান্তে থাকা পাহাড়ের কোলে নৈসর্গিক পরিবেশে চামুর্চিবাজার থেকে প্রায় দুই কিমি ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল চামুর্চিইকো পার্ক।
তৎকালীন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এই পার্কের উদ্বোধন করেন। প্রতিবেশী ভুটান দেশ থেকে বয়ে আসা সুখরেতী ও খানাভর্তী দুই নদীর ধারে হিমেল শীতল পরিবেশে আকৃষ্ট করেছিল পর্যটকদের। এবার দীর্ঘ তিন বছর পর পুজোর আগেই খুলে যেতে পারে চামুর্চি ইকো পার্কের দরজা। সেই আশাতেই বুক বেঁধেছে ব্যবসায়ী থেকে পর্যটক সকলেই।
তৎকালীন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এই পার্কের উদ্বোধন করেন। প্রতিবেশী ভুটান দেশ থেকে বয়ে আসা সুখরেতী ও খানাভর্তী দুই নদীর ধারে হিমেল শীতল পরিবেশে আকৃষ্ট করেছিল পর্যটকদের। এবার দীর্ঘ তিন বছর পর পুজোর আগেই খুলে যেতে পারে চামুর্চি ইকো পার্কের দরজা। সেই আশাতেই বুক বেঁধেছে ব্যবসায়ী থেকে পর্যটক সকলেই।