উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার, ব্যবসা-বাণিজ্য Vegetables Price Hike: প্রবল বৃষ্টিপাতে হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম! পকেট পুড়ছে মধ্যবিত্তদের Gallery June 17, 2024 Bangla Digital Desk বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বেড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর। প্লাবন পরিস্থিতি ও ভাঙনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। এই কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা। আর এর ফলেই বাজারের কমে গিয়েছে সবজির জোগান। দাম বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের। তাই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে ব্যাপক নাজেহাল হচ্ছেন। বৃষ্টি পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতাদের একাংশ। বাজারের এক সবজি বিক্রেতা সমীর সাহা জানান, “বৃষ্টির ফলে বাজারে যোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমেছে। বর্তমানে আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, লঙ্কার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজারের এক ক্রেতা অজিত শীল জানান, “বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে বৃষ্টি যদি না কমে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এভাবেই ধীরে ধীরে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বেশিরভাগ সবজির দাম।” ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না। বাজারে আরেক সবজি বিক্রেতা বাবলু সরকার জানান, “বাজারের সবজির দাম শুনে বেশি সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্রেতাদের পকেটের মধ্যে আরও অসম্ভব চাপ পড়বে। তবে এই দাম তখনই কমবে যখন বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হয়ে একটানা রোদের দেখা মিলবে।” বর্তমান সময়ে বাজারের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে রীতিমত চিন্তায় রয়েছেন অধিকাংশ মানুষেরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর, ব্যবসা-বাণিজ্য Vegetables Price: একদিকে গরমের দাপট, অন্যদিকে সবজি কিনতে হাত পুড়ছে আমজনতার! কেন বাড়ছে সবজির দাম জানেন? Gallery May 1, 2024 Bangla Digital Desk দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে সবজিচাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। এর ফলে দাম বেড়েছে দ্বিগুন। বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টিহীন বাংলা। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের এমনিতেই যখন নাভিশ্বাস উঠছে তখন খাবারের পাতেও ছ্যাঁকা। বাজারে সবজি কিনতে গেলে হাতে ছ্যাকা লাগছে সাধারণ মানুষদের। উচ্ছে, বেগুন, লঙ্কা,পটল, ঝিঙে, সমস্ত সবজির দামই ঊর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহ আগেও সবজির যা দাম ছিল, এক ধাক্কায় সেই দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। কৃষকদের দাবি বিগত বছর গুলিতে এই সময়ে বাজারে সবজির যোগান খুব ভাল থাকে। বিগত এক মাসে হঠাৎ করেই তাল কেটেছে, যোগান ও চাহিদার মধ্যে। যার ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে আমজনতার। কিছুদিন আগেও পটল বালুরঘাটে খুচরো বাজারে দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। টমেটো ৪০ টাকা কেজি। করোলা ৬০ টাকা কেজি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কিন্তু সবজি উৎপাদনে দক্ষিণ দিনাজপুর প্রথম সারিতে থাকলেও সবজির দাম এত বেশি বাড়ল কেন?ব্যবসায়ীথেকে কৃষক সকলের বক্তব্য বিগত প্রায় দুই মাস বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে জল শুকিয়েছে। ফসল গাছে ধরার পর যতটা বড় হওয়ার কথা তার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে উৎপাদন কমেছে সবজির। যোগান কমেছে বাজারে। যার ফলেই লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম।