Tag Archives: Vegetable Price Hike

Vegetable Price Hike: লঙ্কা খাওয়া এবার ছাড়তে হবে, টম্যাটোও বাদ রান্না থেকে? কালোবাজারি নিয়ে বিস্ফোরক বিক্রেতারাই

কলকাতা: দুর্গাপুজোর আগে পকেটে বিরাট কোপ৷ অগ্নিমূল্য বাজারে আকাশছোঁয়া সবজির দাম৷ পাইকারি বাজারে সে অর্থে সবজির দাম না বাড়লেও খুচরো বাজারে যে যেভাবে পারছে দাম হাঁকাচ্ছে৷ যা কিনতে মাথায় হাত পড়ছে মধ্যবিত্তের৷

বাজারে লঙ্কা, ধনেপাতা কিনতে গিয়ে দামের ঝালে চোখে জল আসতে চলেছে আম বাঙালির। একলাফে হুড়মুড়িয়ে দাম বেড়েছে লঙ্কা, ধনেপাতা আদা, রসুন, টম্যাটোর মতো রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় সবজিগুলির। অথচ মজার বিষয় এদের মধ্যে একটা সবজি ও এই মুহূর্তে রাজ্যের ক্ষেত থেকে নয় বরং অন্য রাজ্য থেকে আমদানি হচ্ছে।

আরও পড়ুন-শয্যাদৃশ্যে ঝড়, একাধিক পুরুষের সঙ্গে…! ১৩৬ কোটির মালকিন এই সাহসী নায়িকা, তবুও কেন ভাড়া বাড়িতে থাকেন, চিনতে পারলেন?

লঙ্কা আসছে নাগপুর থেকে তো ধনেপাতা আসছে ব্যাঙ্গালোর থেকে। অপরদিকে টম্যাটো, আদা, রসুনের জন্য ভরসা সেই মহারাষ্ট্র। তাহলে কি বন্যার জুজু দেখিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে? বিক্রেতাদের বক্তব্য বন্যার জন্য সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে, তার সুযোগ এই বাড়ছে দাম। তবে রসুন নিয়ে সরাসরি কালোবাজারির অভিযোগ করলেন বিক্রেতা নিজেই।

একঝলকে দেখে নিন আজকের সবজির বাজারদর-

কাঁচা লঙ্কা -৯০ -২০০
ধনেপাতা – ১৫০- ৫০০
আদা কাঁচা – ৮০-১০০
শুকনো আদা – ২৫০
রসুন – ৩৫০-৪০০

আরও পড়ুন-    দিঘায় এবার তুলকালাম কাণ্ড…! কী এমন ঘটল? শুনেই সাগরে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ, জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

সবজির দামে ছ্যাঁকা লাগতে চলেছে মধ্যবিত্তের পকেটে। বন্যার কারণে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ সেই সঙ্গে সবজি বোঝাই গাড়িও ঠিকঠাক মত না আসতে পারছে না। জল জমার কারণে অনেক রাস্তাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে৷ ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে গাড়ি আটকে থাকছে৷ সবজি পচে যাচ্ছে। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে৷ আর সেটা পুষিয়ে নিতেই দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

Fair Price Vehicle: সকাল হলেই বাড়ি বাড়ি কাঁচা আনাজ পৌঁছে দেবে সরকার, দুয়ারে মিলবে ন্যায্য মূল্যের সবজি

নদিয়া: বাজারে যেতে আজকাল ভয় পাচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালি। সবজির দামে যেন আগুনের ছেঁকা। এই পরিস্থিতি থেকে আমজনতাকে কিছুটা রেহাই দিতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। এবার সরকারি গাড়িতে করে পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে যাবে টাটকা সবজি, ন্যায্য মূল্যে বাড়ির দুয়ারেই পাওয়া যাবে কাঁচা আনাজ।

বাড়ির দরজায় ন্যায্য মূল্যের কাঁচা সবজি নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার ভ্রাম্যমাণ গাড়ির উদ্বোধন করল নদিয়া জেলা প্রশাসন। কৃষ্ণনগরে জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে এই গাড়ির উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। এর আগে কলকাতায় সুফল বাংলার স্টল ও ভ্রাম্যমান গাড়ি থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করেছিল সরকার। তাতে সুবিধাও হয়েছিল আমজনতার। এবার সেই পরিষেবা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে এই ভ্রাম্যমান গাড়ি চালু করা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সুন্দরবনের খাঁড়িতে গিয়ে বৃক্ষরোপণ বিজ্ঞানমঞ্চের!

ন্যায্য মূল্যের এই সবজি বিক্রির সরকারি গাড়িগুলো উদ্বোধন হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। তাঁরা আশা করছেন, এই গাড়িগুলো থেকে বাজারে তুলনায় কম দামে সবজি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি আমজনতার দাবি, এই পরিষেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হোক। তার জন্য আরও বেশি করে ভ্রাম্যমান সরকারি গাড়ি নামুক জেলার রাস্তায়। প্রতিদিন সকাল হলেই এই গাড়ি যেন কাঁচা আনাজ নিয়ে পৌঁছে যায় প্রতিটি পাড়ায়।

মৈনাক দেবনাথ

Vegetable Price Hike: বাজারে কেমন আছে আলু-পটল-ঝিঙেরা? খোঁজ নিতে সাতসকালে হাজির বিডিও

নদিয়া: বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বাজার পরিদর্শনে ফুলিয়ার বিডিও। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে কাঁচা সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সমস্ত জিনিসপত্রের জোগান বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা৷ তারপর‌ই এই পদক্ষেপ।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর, মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর ও জেলাগুলি এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন তা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না তার মূল্যায়ন করা। সেখানে বিভিন্ন দফতর তথা পুলিশের কাছ থেকে বর্তমানে বিভিন্ন বাজারের বাজারদর সম্পর্কে জানতে চান মুখ্যসচিব। গত আট দিনে বাজারদরে কতটা পরিবর্তন এসেছে সে বিষয়েও খবর নেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: এখনও সেভাবে হচ্ছে না বৃষ্টি, পুজোয় ক্ষতি এড়াতে আগেভাগে প্রতিমা তৈরির হিড়িক

সকাল থেকেই নদিয়া জেলার ফুলিয়ার একাধিক বাজার বিডিও এবং থানার পুলিশ অধিকারিকরা যৌথ পরিদর্শন করেন। শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ, ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা এই অভিযান চালান। এই বিষয়ে শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাইকারি বাজার থেকে কত দামে কিনছেন সেই খোঁজ‌ও নিয়েছেন। এই দামে জিনিস কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের কী প্রতিক্রিয়া সেই সম্বন্ধেও খোঁজ নেন। পাশাপাশি এলাকায় সুফল বাংলার স্টলের মাধ্যমে কম দামে সবজি বিক্রি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

মৈনাক দেবনাথ

Vegetable Price Hike: নজরদারিতে কি কিছুটা কমল দাম? সবজি বাজার নিয়ে কী বলছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা

উত্তর ২৪ পরগনা: সকালে ঘুম থেকে উঠে বাজারের থলি নিয়ে সবজি বাজারে যাওয়ার অভ্যেস ভোলার জোগাড়। কাঁচা আনাজের যা দাম তাতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত বাঙালির। পটল, ঢ্যাঁড়স, টম্যাটো ঝিঙে, কাঁচালঙ্কা সমস্ত নিত্য ব্যবহার্য সবজির দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে পদক্ষেপ করেছে সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছেন বাজারে বাজারে নজরদারি চালাতে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর প্রশাসনের তরফ থেকে কলকাতার পাশাপাশি প্রতিটি জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে অভিযান শুরু হয়েছে। নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচা সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও যেন লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না ঊর্ধ্বমুখী শাক-সবজির দামে। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসতের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা থেকে বিক্রেতাদের মুখোমুখি হয়ে তারই আভাস মিলল।

আর‌ও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা, জল বের করতে জোর লড়াই

অনেকেই মনে করছেন, বর্ষা দেরিতে ঢোকার কারণে এবং বৃষ্টির ঘাটতির জেরে সবজি উৎপাদনে চাষিদের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফলনও কমেছে অনেকাংশে। আর সেই কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম। অপরদিকে ক্রেতাদের আরেকটি অংশ মনে করছে, চাষিদের থেকে বাজারে আশার মধ্যবর্তী পর্যায়ে ফোরেদের দাপটেই এতটা দাম বেড়েছে। বে নজরদারি চালানোর পর কিছুটা হলেও কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। যে আলু ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল সেটাই এখন কমে হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। পটলের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বেগুনের দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি। সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। শশা ছিল ৬০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে ধনেপাতা, শাক, পেঁপে, ঢ্যাঁড়সের দাম প্রায় একই আছে বলে জানা গিয়েছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Vegetable Market: টানা ভারী বর্ষণে বাড়ছে চরম বিপদ! সবজিতে পচন, বাজারে হাহাকার, পকেটে কোপ ক্রেতা থেকে বিক্রেতার

আলিপুরদুয়ার: লাগাতার বৃষ্টির জেরে সবজি বাজারে হাহাকার। জলে পচে যাচ্ছে সবজি। আর একদিকে বেড়েছে দাম। ব্যবসা লাটে উঠেছে বলে দাবি আলিপুরদুয়ার জেলার সবজি ব্যবসায়ীদের।

আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন সবজি বাজারে গেলে ব্যবসায়ীদের কাছে সবজি দেখা যায় না বললেই চলে। এদিকে যা দাম বেড়েছে সবজির তাতে রুষ্ট ক্রেতারা।দু’সপ্তাহ ধরে অবিশ্রান্ত বর্ষনের জেরে সবজির দাম বেড়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা হতাশ। দাম বেড়ে যাওয়ায় কম কিনছেন ক্রেতারা।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

আর বিক্রি না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন বিক্রেতারা। পটল- ৬০ টাকা।বেগুন-৬০টাকা। ঝিঙে-৬০ টাকা।করলা-৮০ টাকা। টমেটো-৮০ টাক।কাঁচালঙ্কা -১০০ টাকা।আলু- ৩৫ টাকা কিলো।ভুটান আলু- ৪০ টাকা কিলো।সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। ক্রেতারা দাম বেড়ে যাওয়ায় কম কিনছেন।আর বৃষ্টির জন্য উৎপাদন কমেছে সবজির।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা সমস্যায়।ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই সবজির মূল্য বৃদ্ধিতে তাঁদের কিছু করণীয় নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি দাম শুনে কেউ নিচ্ছেন না। এদিকে একদিনের বেশি দু’দিন সবজি রাখা যাচ্ছে না। পচন ধরছে। আরতদারদের টাকা দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি না কমলে সমস্যার সমাধান হবে না।

Annanya Dey

Paschim Bardhaman News: স্বস্তি ফিরছে মধ্যবিত্তের পকেটে, রেডের পর একটু আয়ত্তে সবজির দাম, রইল হিসেব

পশ্চিম বর্ধমান : বিগত কয়েকদিনে ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম কার্যত নাজেহাল করে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। বিভিন্ন বাজার এলাকায় পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কৃষি দফতর, পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে অভিযান চালান হয়েছে। আর তারপরেই যেন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন আমজনতা। অল্প হলেও নেমেছে বিভিন্ন সবজির দাম।

এদিন শহরের বিভিন্ন বাজারগুলিতে গিয়ে ক্রেতাদের মুখে কিছুটা স্বস্তির ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।ক্রেতারা বলছেন, বিগত কয়েকদিন যেভাবে সমস্ত শাকসবজির দাম বেড়ে গিয়েছিল, সেই তুলনায় কিছুটা হলেও দাম কমেছে। দু-তিন দিন আগে পর্যন্ত যে সমস্ত সবজির দাম ৬০-৭০ টাকা ছিল, সেগুলি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শসা যেখানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, সেগুলি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে আলুর দামেও।

আরও পড়ুন – Bankura’s Virat Kohli: বাঁকুড়ায় “বিরাট কোহলি”! কিং কোহলিকে দ্রোণাচার্য বানিয়ে বেঙ্গল স্কুল টিমে অরিজিৎ

প্রশাসনিক অভিযানের পরে কমেছে দাম। তাতে আমজনতা স্বস্তি পেয়েছেন। একই সঙ্গে তারা অভিযোগ করছেন, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী, সুযোগ বুঝে এইভাবে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। যার ফল ভোগ করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কৃত্রিমভাবে চাহিদা তৈরি করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত জোগান কম রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভে চাপ পড়েছে সাধারণ মানুষের পকেটে।

অন্যদিকে, এসবের মাঝেই সুফল বাংলা স্টোরগুলিতে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের। খুচরো বাজারগুলিতে যে দামে বিভিন্ন শাক সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে ১০ শতাংশ কম দামে জিনিসপত্র পাওয়া যায় সুফল বাংলা স্টোরগুলিতে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই সুফল বাংলার স্টোর চালানো হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। জিনিস সস্তা পেয়ে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন বহু ক্রেতা। অন্যদিকে অভিযানের পর খুচরো বাজারে কমেছে দাম।

Nayan Ghosh 

Market Visit: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের মুখে মহাকুমাশাসক

আলিপুরদুয়ার: বাজারে জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। কাঁচা আনাজে হাত ঢাকাতে পারছে না মধ্যবিত্ত বাঙালি। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরই কলকাতা শহর জেলাগুলির বিভিন্ন বাজারে গিয়ে পরিদর্শন শুরু করেছেন আধিকারিকরা।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখেন মহকুমাশাসক। বেশ কিছুদিন ধরেই সবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রীর দামি প্রায় লাগামছাড়া হয়ে পড়েছে। ফলে বেশ সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই নিয়ে আমজনতার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কানে গিয়েও পৌঁছেছে। তারপরই কঠোর অবস্থান নেয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জোরকদমে চলছে কাজ

এদিন আলিপুরদুয়ার বড়বাজারে মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার সপার্ষদ পরিদর্শন করেন। তিনি খুচরো ও পাইকারী আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেন। সবজির দাম যাতে বেশি নেওয়া না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক করেন খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের। এই বাজারে পাইকারী ব্যাবসায়ীদের কারও কাগজপত্র ঠিক নেই। নেই মূল চালান। গরমিল আছে হিসেবে। কোথা থেকে কোন জিনিসটা কেনা হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। কতটা বিক্রি করা হচ্ছে তার সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি এখানকার পাইকারি ব্যাবসায়ীরা।

তবে মহকুমাশাসকের পরিদর্শনের পর মূল পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তা নিয়ে কোন‌ও নিশ্চয়তা নেই বলে জানান ক্রেতারা। এদিকে মহকুমাশাসক দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, নিয়মিত পরিদর্শন চলবে।

অনন্যা দে

Vegetable Price Hike: সাতসকালে তুলকালাম সবজি বাজারে! ক্রেতারা খানিক স্বস্তি পেল

পশ্চিম বর্ধমান: হঠাৎ করেই যেন সকাল সকাল ব্যাগ হাতে বাজারে যাওয়ার নিয়মে ভাটা পড়েছে বাঙালির। কার্যত বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। আগে যে টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেত, এখন সেই টাকায় ব্যাগের অর্ধেকটাও ভর্তি হচ্ছে না। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী বিভিন্ন সবজির দাম। শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল, অথবা মাছ-মাংস সবকিছুর দাম‌ই অত্যন্ত চড়া। আলু, পটল, কুমড়ো, ঢেঁড়সের মতো বাঙালির নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়েছে হু-হু করে। এমন অবস্থায় কী কিনবেন, আর কী কিনবেন না তা ভেবে উঠতে পারছে না মধ্যবিত্ত বাঙালি। নিত্য প্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজের ব্যাপক দাম রীতিমত মধ্যবিত্তের হেঁসেলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

আরও পড়ুন: ওদের সব দিয়েছেন ‘দাদু’! এক ছাতার তলায় থেকে মিলছে পড়াশোনার সুযোগ

কিন্তু হঠাৎ কেন এই দাম বৃদ্ধি? মঙ্গলবার‌ই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন টাস্ক ফোর্সকে। এরপরই বুধবার সাতসকালে আসানসোলের সবজি বাজারে হাজির হন মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। ছিলেন পুলিশের বিশেষ বিভাগের কর্তারাও। এছাড়াও মেট্রলজি দফতরের আধিকারিকরা সঙ্গে ছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি মার্কেটে যে দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে সেই দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে খুচরো বাজারে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

অতিরিক্ত দাম নিয়ে সমস্ত ক্রেতারাই রীতিমত বিরক্ত। আসানসোলের বাজারে এদিন জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। তাছাড়াও বাঁধাকপি, ঢেঁড়সের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। যদিও পটলের দাম এদিন বেশ কিছুটা কম ছিল। তবে সামগ্রিকভাবে সবজির অতিরিক্ত দাম দেখে ক্রেতারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বাজার করাই বন্ধ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে মাছ, মাংসের ছড়া দাম সাধারণ মানুষের পুষ্টিতেও প্রভাব ফেলছে।

পাশাপাশি, এদিন আসানসোলের বাজারে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ওজন মেশিনে গলদ দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে সমস্ত বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স ওজন মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকজন বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে কেন পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারে দাম এত বেশি হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চান মহকুমাশাসক। অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন বিক্রেতাদের।

নয়ন ঘোষ

Vegetables Market Price: বড় বদল বাজারদরে! আলু, পেঁয়াজ, শাকসব্জির মূল্যবৃদ্ধিতে হাহাকার, তার মাঝেই বিরাট খবর

হুগলি: কয়েক দিন ধরেই বাজার দর অগ্নিমূল্য! শাকসবজি কাঁচা আনাজ কিনতে গেলে হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন আমজনতা। মুখ্যমন্ত্রী দশ দিন সময় বেধে দিয়েছেন সব্জির দাম কমাতে, আজ সকাল থেকেই হুগলির বাজারে বাজারে অভিযান শুরু। চুঁচুড়া খরুয়া বাজার, মল্লিক কাশেম হাট, শেওড়াফুলি পাইকারি বাজারে অভিযান করে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, কৃষি বিপণন দফতর ও নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির আধিকারিকরা। শেওড়াফুলি বাজারে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে ঘুরে দেখেন।

চড়া দাম রুখতে গতকাল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ সকাল থেকেই পুলিশ সঙ্গে নিয়ে শেওড়াফুলি বাজারে অভিযান করলেন মহকুমা শাসক। কেন এরকম চড়া দাম, তা জানতে চেয়ে পাইকারি বাজারে ঘুরে দেখেন মহকুমা শাসক সম্বুদ্ধ সরকার, শ্রীরামপুরের এসিপি-২ শুভঙ্কর বিশ্বাস, শ্রীরামপুর থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী, নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির সম্পাদক ফিরদৌস রহমান আধিাকারিকরা।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ! জলে ভাসছে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাড়িঘর, বন্যায় বিপর্যস্ত কালচিনির জীবনযাত্রা

একই ভাবে চুঁচুড়া খড়ুয়া বাজার, মল্লিক কাশেম হাটেও চলে অভিযান। বিক্রেতাদের দাঁড়িপাল্লা পরীক্ষা করেন আধিকারিকরা। রিনিউ না করায় কয়েকজনের দাঁড়িপাল্লা সিজ করা হয়। আলুর দাম কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকা বেশি নেওয়ায় খুচরো বিক্রেতাদের সাবধান করা হয়। এই অভিযান আগামী দিনেও চলবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

এই বিষয়ে শ্রীরামপুরের এসডিও শম্ভু দীপ সরকার বলেন, ”দিন কয়েক ধরে বাজারের দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কাঁচা আনাজ যেমন আলু, পেঁয়াজ, পটল এবং শাকসবজির দাম বাড়ায় ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে আমজনতার মধ্যে।” তাঁরা টাস্ক ফোর্স নিয়ে বাজার ঘুরে দেখেছেন এবং কীভাবে এই দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তার জন্য একটা রেগুলেটিং সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলার কথা বলেছেন। আশা করছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারদর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

রাহী হালদার