Tag Archives: west bardhaman news

Nolen Gur: নলেন গুড় কেন মাটির পাত্রেই রাখা হয় জানেন? কারণ শুনলে চমকে যাবেন

খেজুর গুড় খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি উপকারী। কিন্তু এই খেজুর গুড় তৈরি অথবা সংরক্ষণে কেন মাটির কলস ব্যবহার করা হয় জানেন? (রিপোর্টার-- নয়ন ঘোষ)
খেজুর গুড় খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি উপকারী। কিন্তু এই খেজুর গুড় তৈরি অথবা সংরক্ষণে কেন মাটির কলস ব্যবহার করা হয় জানেন? (রিপোর্টার– নয়ন ঘোষ)
গুড় বিক্রেতারা বলছেন, খেজুর রস সংগ্রহের জন্য মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করা হয়। কারণ মাটির হাঁড়িতে খেজুর রস সংগ্রহ করলে, সেই রস মজে ওঠে দ্রুত।
গুড় বিক্রেতারা বলছেন, খেজুর রস সংগ্রহের জন্য মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করা হয়। কারণ মাটির হাঁড়িতে খেজুর রস সংগ্রহ করলে, সেই রস মজে ওঠে দ্রুত।
আবার রস সংগ্রহ করে এনে তা জাল দেওয়ার আগে পর্যন্ত মাটির পাত্রে রেখে দেওয়া হয়। গুড় প্রস্তুতকারকরা বলছেন, এতে খেজুর রস অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকে।
আবার রস সংগ্রহ করে এনে তা জাল দেওয়ার আগে পর্যন্ত মাটির পাত্রে রেখে দেওয়া হয়। গুড় প্রস্তুতকারকরা বলছেন, এতে খেজুর রস অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকে।
আবার খেজুর গুড় তৈরি হয়ে গেলেও, সেটি মাটির কলসিতে রাখা হয়। কারণ প্লাস্টিকের পাত্রে রাখার থেকে মাটির পাত্রে রাখলে এই গুড় অনেক বেশি দিন ভাল থাকে।
আবার খেজুর গুড় তৈরি হয়ে গেলেও, সেটি মাটির কলসিতে রাখা হয়। কারণ প্লাস্টিকের পাত্রে রাখার থেকে মাটির পাত্রে রাখলে এই গুড় অনেক বেশি দিন ভাল থাকে।
যদিও প্লাস্টিকের পাত্রের দাম কম। পাওয়া যায় সহজে।রাখাও সহজ। তবুও গুড়ের স্বাদ, মান ভাল রাখতে আজও গুড় প্রস্তুতকারকরা মাটির পাত্রের উপরেই ভরসা রাখছেন। (রিপোর্টার-- নয়ন ঘোষ)
যদিও প্লাস্টিকের পাত্রের দাম কম। পাওয়া যায় সহজে।রাখাও সহজ। তবুও গুড়ের স্বাদ, মান ভাল রাখতে আজও গুড় প্রস্তুতকারকরা মাটির পাত্রের উপরেই ভরসা রাখছেন। (রিপোর্টার– নয়ন ঘোষ)

Kazi Nazrul Islam: ‘লৌহ কপাট’-এর পর ফের বিতর্কে নজরুল! পদ্মভূষণ পদক আসল নয়? প্রশ্ন কবির পরিবারের সদস্যদেরই

আসানসোল: বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামের পাওয়া চুরুলিয়ার সংগ্রহশালায় রাখা দুটি পদক আসল নয়। আসলে রেপ্লিকা। এই ঘটনা সামনে নিয়ে এল খোদ চুরুলিয়ায় কাজী নজরুলের পরিবার। তাহলে আসল পদক কোথায় ? সেই নিয়েই শুরু হল নয়া বিতর্ক।

কারার ওই লৌহ কপাটেক সত্ত্ব বিক্রির মধ্যেই সামনে এলো এই বিতর্ক।কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান চুরুলিয়াতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। সে সংগ্রহশালায় কবির খাট বিছানা থেকে শুরু করে ব্যবহৃত গ্রামোফোন, পোশাক, পান্ডুলিপি-সহ নানা জিনিসপত্র রাখা আছে। আর সেখানে শোভা পায় কবির দুটি পদকও। একটি ভারত সরকারের দেওয়া পদ্মভূষণ এবং অন‍্যটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া জগত্‍তারিনী পদক।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুর উৎসবে থাকছে বিশাল চমক! বিখ্যাত শিল্পীদের অনুষ্ঠান থেকে জয় রাইড সব পাবেন এখানে

সম্প্রতি দাবি উঠছে ওই দুটি পদক নাকি আসল নয়, সে দুটি রেপ্লিকা। প্রশ্ন উঠছে তবে আসল পদক দুটি কোথায় গেল? এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বুদ্ধিজীবিরা। তাদের আশঙ্কা হয়ত পাচার হয়ে গিয়েছে এই দুটি পদক। বিষয়টিকে মেনে নিয়েছেন কবি পরিবারের সদস্যরা।

চুরুলিয়ায় থাকা কবির ভাইপো কাজী রেজাউল করিম এবং সম্পর্কে নাতনি সোনালি কাজির দাবি হয়তো বা পরিবারেরই কেউ নিয়ে গিয়েছেন এই পদক দুটি। তার বদলে তারা রেপ্লিকা বসিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।

সোনালী দেবীর দাবি বেশ কিছুদিন আগে তিনি নিউ জার্সিতে একটি প্রদর্শনীতে ওই দুটি পদক দেখেছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে কেউ ব্যবসা করার জন্য এই পদকগুলি চুরুলিয়া থেকে নিয়ে গেছে বলেই তাঁর দাবি। ওই পদক যেই নিয়ে যাক না কেন পদকগুলি ফিরে আসার জন্য সবাই দাবি করেছেন। সম্প্রতি চুরুলিয়ার নজরুল একাডেমী এবং তার সংগ্রহশালাকে টেকওভার করেছে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ‍্যালয়। এবার নজরুলের পদক নিয়েও সকলে তৎপর হোক এমনটাই চাইছেন ‘বিদ্রোহী কবি’র অনুগামীরা।

দীপক শর্মা

West Burdwan News : পর্যটকদের অপেক্ষায় বছর ভর দিন গোনা! নৌকা চালকদের প্রস্তুতি তুঙ্গে

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : শীতকাল মানেই পিকনিক, ঘুরতে যাওয়া। আর জেলায় সবথেকে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হল মাইথন। দামোদরের কোলে নির্মিত এই জলধার বারবার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তাই প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর মাসে পিকনিকের জন্য বহু মানুষ ভিড় করেন। লাগাতার এক মাস ধরে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে এই এলাকায়। তাই পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মাইথন।

মাইথনে যে সমস্ত পর্যটকরা আসেন, তাদের পিকনিক করার পাশাপাশি অন্যতম লক্ষ্য থাকে মাইথন জলাধারের উপর নৌকাবিহার করা। চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই শান্ত জলাশয় নৌকাবিহারের মজা নিতে চান পর্যটকরা। যা স্থানীয় বহু মানুষের উপার্জনের অন্যতম উপায়। কারণ পর্যটকদের নৌকায় ঘুরিয়ে স্থানীয় এলাকার বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। সেজন্য নৌকা চালকদের ব্যস্ততা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: পাঠ্য বইয়ের ছবি বাস্তবে! স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থা জেলার সরকারি স্কুলে

প্রত্যেক বছর ডিসেম্বরের শুরু থেকে দেখা যায় নৌকা চালকরা নিজেদের নৌকাগুলিকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত। নৌকাগুলিতে নতুন করে রং করা হয়। যে সমস্ত নৌকাগুলি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলির মেরামত করা হয়। পাশাপাশি পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য সুন্দর করে সাজানো হয়। কারণ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। তাই তার আগে থেকে নৌকা চালকরা নৌকাগুলি সাজিয়ে তোলেন।

এ বছরও সেই ছবির অন্যথা হয়নি। নৌকা চালকরা নিজেদের নৌকাগুলি একদিকে যেমন সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত, তেমন ভাবেই স্থানীয় প্রশাসনও নানারকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ মানুষের ভিড় জমতে যখন থেকে শুরু করে, তখন প্রশাসনেরও সেদিকে নজরদারি চালাতে হয়। যাতে জলাশয় থেকে কোনও দুর্ঘটনা না হয় বা কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে প্রশাসনের কড়া নজর থাকে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই পিকনিকের মরশুম আসার আগে একদিকে যেমন মাইথনের নৌকা চালকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, একইভাবে স্থানীয় হোটেলগুলি প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারসঙ্গে প্রস্তুতি সেরে রাখছে প্রশাসন।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : এলাকাবাসীর দাবি পূরণ! আসানসোলে কমিউনিটি টয়লেট বিধায়কের উদ্যোগে

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : এলাকাবাসীর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হল। এলাকার বিধায়ক দায়িত্ব নিয়ে সেই দাবি পূরণ করে দিলেন। শৌচালয় নিয়ে যে সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিল এলাকার মানুষজনকে, সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। তাও আবার মাত্র ১৪ দিনে। আসানসোলের নরসিংবাদ এলাকায় মাত্র ১৪ দিনে তৈরি হল কমিউনিটি টয়লেট।

আসানসোলের নরসিংবাদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শৌচালয়ের সমস্যা ছিল। এলাকার দরিদ্র মানুষজনকে শৌচালয় ব্যবহার নিয়ে রীতিমতসমস্যায় ভুগতে হত। বর্ষাকালে সেই পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যেত। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সেই কঠিন পরিস্থিতি চাক্ষুষ করেছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কা অগ্নিমিত্রা পল। তারপরেই তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর জন্য শৌচালয় তৈরি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: প্রথমবার দুর্গাপুর উৎসব! এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে জমজমাট সূচনা

মাত্র ১৪ দিনের মাথায় নরসিংবাদে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে কমিউনিটি টয়লেট। ৬ টি শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। যে শৌচালয়গুলি এলাকার পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে বর্ষাকাল সহ অন্যান্য সময়ে শৌচালয় নিয়ে যে সমস্যায় ভুগতে হত স্থানীয়দের, সেই সমস্যা এবার আর পোহাতে হবে না তাদের।

আরও পড়ুন: চূড়ান্ত বেহাল অবস্থা সার্ভিস রোডের! ছিটকে আসছে পাথর, যখন তখন হবে বিপদ

এলাকার বিধায়িকা নিজে উদ্যোগ নিয়ে যেভাবে শৌচালয় তৈরিরব্যবস্থা করেছেন, তাতে খুশি স্থানীয় মানুষজন। তারা বলছেন, বর্ষাকালে তাদের খুব সমস্যা হত। গ্রাম্য এলাকায় হয়তমাঠে-ঘাটে শৌচালয়ের জন্য যাওয়া যায়,কিন্তু শহরাঞ্চলে সেই সুযোগও নেই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ফলে শৌচালয় ব্যবহার নিয়ে খুব সমস্যা হয় পোহাতে হয়েছে তাদের।বিধায়িকার এইপদক্ষেপেস্বাভাবিক ভাবেই তারা ভীষণ খুশি।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News: প্রথমবার দুর্গাপুর উৎসব! এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে জমজমাট সূচনা

পশ্চিম বর্ধমান: প্রথমবারের জন্য শুরু হচ্ছে দুর্গাপুর উৎসব। বিগত কয়েক বছর ধরে আসানসোল উৎসব দেখেছেন জেলার মানুষ। তবে এবার দুর্গাপুরে আয়োজন করা হয়েছে উৎসবের। চলবে টানা ১৫ দিন ধরে। উৎসবের আয়োজনেও কোনওরকম খামতি রাখা হচ্ছে না। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে টানা ১৫ দিন, শহরবাসীকে কার্যত আনন্দে মশগুল করে রাখতে চাইছেন উৎসবের আয়োজকরা।

আরও পড়ুন: এই গ্রামে এলে পাবেন কাঠের তৈরি দুর্দান্ত সব জিনিস, দাম নাগালের মধ্যেই

সূত্রের খবর, জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ৩ ডিসেম্বর শুরু হবে দুর্গাপুর উৎসব। চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উৎসবের ১৫ দিনই নানান নামিদামি শিল্পীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে দুর্গাপুর উৎসবের সূচনা করা হবে বলে খবর। যা শহরবাসীর কাছে এক বিরল দৃশ্য হয়ে থাকবে। পাশাপাশি রয়েছে আরও নানান আয়োজন।

আয়োজকদের দাবি, এই দুর্গাপুর উৎসব শহরবাসীর কাছে এক নতুন উৎসব হয়ে ধরা দেবে। যার জন্য বছরভর অপেক্ষা করবেন শহরের মানুষ। এই উৎসব শহরের সাংস্কৃতিক পরিবেশকে পরিপূর্ণ করবে। তেমনভাবেই এই উৎসব, মেলার মধ্যে দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে উপার্জনের নতুন পথ খুলে যাবে। স্থানীয় যে সমস্ত হস্তশিল্পীরা রয়েছেন বা যারা নিজেদের প্রতিভা সকলের সামনে তুলে আনতে চান, তাঁরাও একটি বড় মঞ্চ পাবেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

দুর্গাপুর উৎসবের আয়োজন হওয়ায় খুশি শহরের মানুষজন। সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন উৎসবের সূচনার দিকে। অন্যদিকে দুর্গাপুরের চিত্রালয় মেলা ময়দানে চলছে উৎসব শুরু হওয়ার আগেল মুহূর্তের প্রস্তুতি। মেলা ময়দান সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নানান রঙিন আলপনায়। উৎসবের জন্য চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের জন্য স্টল তৈরি হচ্ছে। সবমিলিয়ে আগামী রবিবার থেকে নতুন উৎসবের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মানুষ।

নয়ন ঘোষ

Paschim Bardhaman News : পাঠ্য বইয়ের ছবি বাস্তবে! স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থা জেলার সরকারি স্কুলে

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : পড়াশোনা হয়ে উঠবে আরও উপভোগ্য। ব্যাক বেঞ্চার্সদের মনোযোগেও কোনও খামতি দেখা যাবে না। কারণ শুধু বইয়ের পাতার পড়াশোনা নয়, চোখের সামনে উঠে আসবে সেই সমস্ত ছবি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশেষজ্ঞরা পড়ুয়াদের পাঠ দেবেন অনলাইনে। বিশাল স্মার্টবোর্ডে পড়ুয়াদের সামনে উঠে আসবে সেই ছবি। জেলার সরকারি স্কুলে এমনই হাইটেক ব্যবস্থা করা হল।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত দোমাহানি কেলেজোড়া উচ্চ বিদ্যালয় ইন্সটল করা হয়েছে স্মার্ট ক্লাস। সেখানে পড়ুয়াদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ৫৫ ইঞ্চিৎ বিশাল একটি স্মার্ট বোর্ডের। পুনের একটি সংস্থা দ্বারা এই স্মার্ট ক্লাস পরিচালনা করা হবে। যেখানে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা, গবেষকরা পড়ুয়াদের পাঠদান করবেন। ভূগোল, ইতিহাস, বিজ্ঞানের বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিষয় তারা তুলে ধরবেন পড়ুয়াদের সামনে।

আরও পড়ুন: ধোসার বিশাল সম্ভার! নিজের পছন্দ মত সাজিয়ে নিতে পারবেন ধোসা! কোথায় জানেন?

এই স্মার্ট ক্লাস উদ্বোধন করতে দোমাহানি উচ্চ বিদ্যালয় এসেছিলেন নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায়। টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে পাঠদানের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন গৌতম বাবু। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলা মিডিয়াম পড়াশোনা মানে পিছিয়ে থাকা নয়। বাংলা যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা, তাই সেই ভাষায় পড়াশোনা পড়ুয়াদের আরও বেশি বোধগম্য হবে। তারা আরও সহজে মনে রাখতে পারবে।

তবে আগামী দিনের কথা ভেবে ইংরেজিটাও শিখে রাখা প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, পুনের একটি সংস্থা দ্বারা এই পড়াশোনা পরিচালনা করা হবে। স্মার্ট ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা সমস্ত পড়ুয়াদের আকর্ষণ করবে। তাদের মনোযোগে কোনও ঘাটতি হবে না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ফলে তারা আরও ভালো পড়াশোনা করতে পারবে। নতুন এই হাইটেক ক্লাস চালু হওয়ার ফলে খুশি সমস্ত পরোয়ারা এবং তাদের অভিভাবকরাও।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : শীতে শুরুতেই আইপিএলের ধাঁচে পানাগড় প্রিমিয়ার লিগ

পানাগড়, পশ্চিম বর্ধমান : শীতের শুরুতেই যুব সম্প্রদায়কে মাঠমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ। পানাগড়ে শুরু হল আইপিএলের ধাঁচে পানাগড় প্রিমিয়ার লিগ। ছয় দিন ধরে চলবে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিজয়ী টিমের জন্য রয়েছে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের আর্থিক পুরস্কার। তাছাড়াও রানার্স আপ টিমের হাতেও পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পানাগড় রেলপাড় অগ্রগামী ময়দানে এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এদিন বৃহস্পতিবার থেকে। আগামী মঙ্গলবার শেষ হবে এই প্রতিযোগিতা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দ্বিতীয় বারের জন্য পানাগড় প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করা হল। এখানে স্থানীয় প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা যেমন অংশগ্রহণ করেছেন, তেমনভাবে আশপাশের বহু এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি টিম অংশগ্রহণ করেছে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এই ধরনের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফলে যুব সম্প্রদায়কে যেমন মাঠমুখী করা যাবে, তেমনভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠবে শীতের দুপুর। তাছাড়া প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা আগামী দিনের বড় জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন এই ধরনের মঞ্চ থেকে।

আরও পড়ুন: ছোট হলেও ঐতিহাসিক শহর রানীগঞ্জ! সেখানেই যানজটের দীর্ঘ সমস্যা, মিটবে কবে?

পানাগড়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষজন বেশ খুশি। স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ পড়ুয়া থেকে বড়, সকলে অবসর সময় স্মার্টফোনে তাকিয়ে বসে থাকছেন। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে, সকলেই স্মার্ট ফোনের বন্দি দশা ছাড়িয়ে মাঠে গিয়ে হাজির হবেন।

কেউ মাঠে খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আনন্দ পাবেন। আবার কেউ দর্শক আসনে বসে সেই আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তার ফলে মানসিক এবং শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই এমন ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ফলে স্থানীয়রা খুশি।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News : চূড়ান্ত বেহাল অবস্থা সার্ভিস রোডের! ছিটকে আসছে পাথর, যখন তখন হবে বিপদ

পানাগড়, পশ্চিম বর্ধমান : চূড়ান্ত বেহাল অবস্থা জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যখন তখন নেমে আসতে পারে যমদূত। রাস্তা থেকে ছিটকে ছিটকে আসছে পাথর। বাস থেকে যাত্রীরা নেমে রীতিমত ভয় পাচ্ছেন। ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়ারা রাস্তা পার করতে ভয় পাচ্ছে। এমনকি কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররাও যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে ডিউটি করছেন।

কাঁকসার মাস্টারপাড়া থেকে হসপিটাল মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়কের যে সার্ভিস রোডটি রয়েছে, সেখানেই ধরা পড়ছে এমন বেহাল অবস্থা। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সেই অর্থে কোনও নজর নেই। বর্ষা শেষে সেই রাস্তা আরও ভয়ংকর হয়েছে। উৎসবের মরশুমে গিয়েছে যানবাহনের চাপ। তারপর সেই রাস্তা যেন সাক্ষাৎ যমদূত হয়ে বসে আছে।

আরও পড়ুন: এবার পাহাড় যাওয়া হবে আরও সহজ! দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থা শীতের শুরুতেই পর্যটকদের দিল দারুণ উপহার

স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ করছেন, বারবার আবেদন করার পরেও এই সার্ভিস রোডের হাল ফেরানহয়নি। প্রশাসনের সহযোগিতা রয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়াররা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন,ডিউটি করেন। কিন্তু যেভাবে রাস্তা থেকে পাথর ছিটকে আসে, তাদেরও যেকোনও সময় বিপদ হতে পারে। স্থানীয় মানুষজন রাস্তা পার হতে গিয়ে রীতিমতভয় পান। জীবন হাতে নিয়ে তাদের রাস্তা পারাপার করতে হয়।

তাই তাদের আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তাটির হাল ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। নয়ত যে কোনওদিন বড়সড়বিপদ হতে পারে। এমনিতেই সামনে রয়েছে পানাগড় শিল্পতালুক। এলাকাটিও ঘনবসতিপূর্ণ। ফলে প্রচুর মানুষের বসবাস রয়েছে, তাদের যাতায়াত করতে ভরসা এই সার্ভিস রোড।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু সেটি যদি এমন অবস্থায় পড়ে থাকে, তাহলে সবথেকে বেশি অসুবিধা হবে এলাকাবাসীর। তাই এই বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা দাবি তুলেছেন তারা।

নয়ন ঘোষ

West Bardhaman News: না খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন, শত ডাকা-ডাকিতেও ভাঙল না ঘুম

পশ্চিম বর্ধমান: অসুস্থ বলে শুয়েছিলেন। রাতের খাবার খেতে চাননি। সকালে যখন ডাকা হল আর সাড়া পাওয়া গেল না। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এমনই মর্মান্তিক পরিণতি হল যশপাল সিং নামে এক লরি চালকের।

আরও পড়ুন: আবর্জনা কুড়োচ্ছেন মহকুমাশাসক! হঠাৎ হলটা কী?

জানা গিয়েছে, শরীর অসুস্থ থাকার কারণে তিনি রাতের খাবার খাননি। লরিতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সকালে যখন খালাসি তাঁকে ডেকে তুলতে যা আর সাড়া পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

ওই মৃত চালকের নাম যশপাল সিং। তিনি পঞ্জাবের কর্নেল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন কলকাতা। শরীরে অসুস্থতা নিয়ে কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই গাড়ি নিয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি জানান, শরীর অসুস্থ। তখন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা গাড়ির খালাসি মোহিত সিং গাড়ি নিয়ে রওনা দেন। ট্রাকেই ঘুমিয়ে পড়েন যশপালবাবু।

খালাসি জানিয়েছেন, গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়লে, তিনি গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে রওনা দেন। সকালে আসানসোলের কাছে পৌঁছে তিনি গাড়ি থেকে চা খাওয়ার জন্য নামেন। চা খাওয়ার জন্য তিনি ডাকতে থাকেন গাড়ির চালককেও। কিন্তু তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপরই মোহিতবাবু সরাসরি ট্রাক নিয়ে চলে যান চৌরঙ্গি ফাঁড়িতে। সেখানে পুলিশের সহযোগিতায় অসুস্থ চালককে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই অসুস্থ গাড়ি চালকের পরিবারের কাছেও খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কীভাবে ওই গাড়ি চালকের মৃত্যু হল, তার সঠিক কোনও কারণ জানা যায়নি। গাড়ির চালক যশপালবাবু কতটা অসুস্থ ছিলেন, সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনও ধারণা দিতে পারেননি গাড়ির সহকারিচালক।

নয়ন ঘোষ