নদিয়া: খেজুর গুড় ভালবাসে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়! খেজুর গুড় অর্থাৎ নলেন গুড় নদিয়া জেলায় বেশ কয়েক জায়গায় পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি মাজদিয়া নলেন গুড়ের কথা এখন মোটামুটি জানেন সকলেই। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ মাজদিয়ার এই নলেন গুড় টিউবজাত করে, প্রক্রিয়াকরণ করে রপ্তানি করা হয় দেশ-বিদেশের একাধিক জায়গায়। তবে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগ উঠে আসছে মাজদিয়ার নলেন গুড়ের বিষয়ে। জানা যাচ্ছে, গুড়ে মেশানো হচ্ছে চিনি! শিউলিরা খেজুর রস গাছ থেকে সংগ্রহ করে এনে তা জাল দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করেন খেজুর গুড়। খেজুরের রস মেশানোর সময় সেই রসে শিউলিরা ঢালছেন লাগাতার চিনি। শিউলিদের বক্তব্য কলকাতা থেকে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা তাঁদের থেকে গুড় কেনেন, তাঁরাই বলেছেন এই চিনি মেশাতে।
এর ফলে খেজুরের গুড়ের রং যেমন সঠিক থাকে, ঠিক তেমনই লাভের অঙ্কও খানিকটা বেশি হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, চিনি মেশানো নলেন গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সমস্যায় ভোজনরসিক বাঙালি। তবে সেই সমস্যার সমাধান করে দিলেন একাধিক নলেন গুড় ব্যবসায়ীরাই। কী ভাবে চিনবেন আসল নলেন গুড়? কী ভাবেই বা পার্থক্য করবেন আসল এবং ভেজাল গুড়ের মধ্যে? তা বলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাই।
আরও পড়ুন: মাইক্রোওয়েভে এই সব খাবার গরম করছেন! শরীরে ‘বিষ’ ঢুকছে না তো? সাবধান হয়ে যান আগেই
আরও পড়ুন: ডিমের কুসুম শরীরের জন্য ভাল না খারাপ? খাওয়ার আগে জেনে নিন পুষ্টিবিদের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল এবং ভেজাল নলেন গুড়ের প্রথম এবং প্রধান পার্থক্য হবে তার রঙে। এরপর দ্বিতীয় পার্থক্য হবে গুড়ের ঘনত্বেও। আসল নলেন গুড় অত্যন্ত পাতলা এবং তার মধ্যে ভেজাল কিংবা চিনি মেশানো থাকলে সেই গুড়ে ঘনত্ব হয়ে যায় বেশি। এরপরেও আসল নলেন গুড় সংরক্ষিত করে রাখলে সেই গুড় বহুদিন পর্যন্ত রয়ে যায় তবে ভেজাল মেশানো গুড় খুব বেশিদিন সংরক্ষিত করা যায় না। এছাড়াও আসল এবং ভেজাল মিশ্রিত নলেন গুড় অনেকেই মুখে দিলেই বুঝতে পারবেন বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।
মৈনাক দেবনাথ