Tag Archives: Nolen Gur

Nolen Gur: দাম দিয়ে কেনা গুড় আদৌ খাঁটি তো? আসল না ভেজাল, বুঝবেন কী ভাবে, জেনে নিন কায়দা

নদিয়া: খেজুর গুড় ভালবাসে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়! খেজুর গুড় অর্থাৎ নলেন গুড় নদিয়া জেলায় বেশ কয়েক জায়গায় পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি মাজদিয়া নলেন গুড়ের কথা এখন মোটামুটি জানেন সকলেই। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ মাজদিয়ার এই নলেন গুড় টিউবজাত করে, প্রক্রিয়াকরণ করে রপ্তানি করা হয় দেশ-বিদেশের একাধিক জায়গায়। তবে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগ উঠে আসছে মাজদিয়ার নলেন গুড়ের বিষয়ে। জানা যাচ্ছে, গুড়ে মেশানো হচ্ছে চিনি! শিউলিরা খেজুর রস গাছ থেকে সংগ্রহ করে এনে তা জাল দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করেন খেজুর গুড়। খেজুরের রস মেশানোর সময় সেই রসে শিউলিরা ঢালছেন লাগাতার চিনি। শিউলিদের বক্তব্য কলকাতা থেকে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা তাঁদের থেকে গুড় কেনেন, তাঁরাই বলেছেন এই চিনি মেশাতে।

এর ফলে খেজুরের গুড়ের রং যেমন সঠিক থাকে, ঠিক তেমনই লাভের অঙ্কও খানিকটা বেশি হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, চিনি মেশানো নলেন গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সমস্যায় ভোজনরসিক বাঙালি। তবে সেই সমস্যার সমাধান করে দিলেন একাধিক নলেন গুড় ব্যবসায়ীরাই। কী ভাবে চিনবেন আসল নলেন গুড়? কী ভাবেই বা পার্থক্য করবেন আসল এবং ভেজাল গুড়ের মধ্যে? তা বলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাই।

আরও পড়ুন: মাইক্রোওয়েভে এই সব খাবার গরম করছেন! শরীরে ‘বিষ’ ঢুকছে না তো? সাবধান হয়ে যান আগেই

আরও পড়ুন: ডিমের কুসুম শরীরের জন্য ভাল না খারাপ? খাওয়ার আগে জেনে নিন পুষ্টিবিদের পরামর্শ

বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল এবং ভেজাল নলেন গুড়ের প্রথম এবং প্রধান পার্থক্য হবে তার রঙে। এরপর দ্বিতীয় পার্থক্য হবে গুড়ের ঘনত্বেও। আসল নলেন গুড় অত্যন্ত পাতলা এবং তার মধ্যে ভেজাল কিংবা চিনি মেশানো থাকলে সেই গুড়ে ঘনত্ব হয়ে যায় বেশি। এরপরেও আসল নলেন গুড় সংরক্ষিত করে রাখলে সেই গুড় বহুদিন পর্যন্ত রয়ে যায় তবে ভেজাল মেশানো গুড় খুব বেশিদিন সংরক্ষিত করা যায় না। এছাড়াও আসল এবং ভেজাল মিশ্রিত নলেন গুড় অনেকেই মুখে দিলেই বুঝতে পারবেন বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।

মৈনাক দেবনাথ

Nolen Gur: শীতে চেটেপুটে খাচ্ছেন নলেন গুড়, কিন্তু জানেন কি আপনার অজান্তেই মেশানো হচ্ছে ‘এই’ জিনিস! কিন্তু কেন? জানলে অবাক হবেন

নদিয়া: মাজদিয়ার নলেন গুড়ে মেশানো হচ্ছে চিনি। কারণ জানতে চাইলে শিউলিরা যা বললেন তাজ্জব হয়ে যাবেন আপনিও। শীতকাল মানেই বিভিন্ন পিঠে পুলি খাওয়ার দিন। আর পিঠে পুলির সঙ্গে নলেন গুড় অথবা গুড়ের নানা রকম মিষ্টি ও পায়েস পেলে তো কথাই নেই। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় নলেন গুড় উৎপাদন হয় যার মধ্যে মাজদিয়া অন্যতম।

প্রত্যেক বছর শীতকাল পড়তেই শিউলিরা চলে আসে মাজদিয়ায়। এবং সেখানেই বিভিন্ন খেজুর গাছ থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে রস সংগ্রহ করে, সেই রস জাল দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিখ্যাত খেজুরের গুড়। মাজদিয়ায় রয়েছে একটি গুড়ের হাট, সপ্তাহে দুদিন এই গুড়ের হাট বসে যেখানে নলেন গুড় কিনতে আসে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ।

আরও পড়ুন: আর ফেরা হল না, প্রবল কুয়াশার জেরে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক শিশুর! ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসি

অনেকেই বিশ্বাস করেন এই সব জায়গায় সরাসরি গুড় তৈরি করে বিক্রি করা হয় সেখানে সাধারণত খাঁটি গুড়ই পাওয়া যায়। কিন্তু এই দৃশ্য দেখে সেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। সরাসরি গুঁড়ের মেশানো হচ্ছে চিনি! শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর এই চিনি, তা আমরা সকলেই জানি।

আরও পড়ুন: অবসর নিয়েছেন, তবে কাজ থেমে নেই! বানিয়েছেন ‘এই’ বিশেষ গাছ, দেখলে অবাক হবেন

কেন মেশানো হচ্ছে নলেন গুড়ের মধ্যে চিনি? জানতে চাইলে শিউলিরা বলেন, কলকাতা থেকে মহাজনেরা এসে তাদেরকে গুড়ের মধ্যে খানিকটা চিনি মেশাতে বলতেন। তাতে গুড়ের রংটা আরও সুন্দর হয় ফলে সেই গুড়ের চাহিদাও নাকি বেশি হয়। এছাড়াও তারা জানান বর্তমানে খেজুরের গাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রস সংগ্রহ হয় না। সেই কারণেও বাধ্য হয়ে চিনি মেশান হয়।

নলেন গুড়ের মধ্যে চিনি মেশালে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ক্ষতি হয় শরীরেরই, তা জানান চিকিৎসকেরা। তাছাড়াও স্বাদও কমে যায়। সেই কারণেই তারা পরামর্শ দিচ্ছেন সতর্কভাবে যাচাই করে তবেই নলেন গুড় কিনতে।

Mainak Debnath

Nolen Gur: মেচা থেকে জলভরা…বাঁকুড়ার নলেন গুড়ের বাজিমাত শীতের বাজারে

বাঁকুড়ার নলেন গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে রকমারি মিষ্টি। রয়েছে মেচা সন্দেশ।
বাঁকুড়ার নলেন গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে রকমারি মিষ্টি। রয়েছে মেচা সন্দেশ।
শীতের নলেন গুড় এক অন্য আকর্ষণ। এই গুড় ব্যবহার করে বাঁকুড়া ছাড়াও বাঁকুড়ার বাইরে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি।
শীতের নলেন গুড় এক অন্য আকর্ষণ। এই গুড় ব্যবহার করে বাঁকুড়া ছাড়াও বাঁকুড়ার বাইরে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি।
মানুষের চাহিদা অনুযায়ী গুড়কে ব্যাবহার করে আনা হচ্ছে মিষ্টতা।
মানুষের চাহিদা অনুযায়ী গুড়কে ব্যবহার করে আনা হচ্ছে মিষ্টতা।
সাম্প্রতিক আয়োজিত বাঁকুড়া খাদ্য মেলাতেও দেখা গেছে বাঁকুড়ার গুড়ের তৈরি মিষ্টি এবং সন্দেশ।
সাম্প্রতিক আয়োজিত বাঁকুড়া খাদ্য মেলাতেও দেখা গেছে বাঁকুড়ার গুড়ের তৈরি মিষ্টি এবং সন্দেশ।
রসের মিস্টিতেও ব্যাবহার করা হচ্ছে এই গুড়।
রসের মিষ্টিতেও ব্যাবহার করা হচ্ছে এই গুড়।
গুড় প্রস্তুতকারক রানা পণ্ডা জানান,
গুড় প্রস্তুতকারক রানা পন্ডা জানান, “বাঁকুড়া পুরুলিয়ার গুড়ের চাহিদা বিশ্বব্যাপী। এই গুড় উৎকৃষ্ট “সুইটনার”।

Nolen Gur Cake Recipe: শীতের বাজার কাঁপাচ্ছে নলেন গুড়ের নিরামিষ কেক! সহজ রেসিপিতে বানান বাড়িতেই

নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই মুহূর্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কেকের বাজার কাঁপাচ্ছে নলেন গুড়ের নিরামিষ কেক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐতিহ্য এই নলেন গুড়। আর সেই গুড় দিয়ে কেক তৈরি হলে তো আর কথাই নেই। বাজারে এই কেকের দাম থাকছে মাত্র ১৩০ টাকা। বর্ষবরণের জন্য তৈরি অস্থায়ী কেক দোকানগুলিতে এর থেকেও কম দামে মিলছে এই কেক।

তবে বাড়িতে এই কেক তৈরি করলে আরও কম খরচে এই কেক তৈরি হবে।
যেহেতু এই কেক গুড় দিয়ে তৈরি হবে, সেক্ষেত্রে এখানে ডিম দেওয়া হয় না। ডিম ছাড়াই তৈরি হয় এই নিরামিষ কেক। বাড়িতে এই কেক তৈরি করতে হলে আপনাকে আনতে হবে ময়দা, নলেন গুড়, বেকিং সোডা, কোকো পাউডার, দুধ, ভ্যানিলা এবং দই।

প্রথমেই একটি পাত্রে ময়দা, নলেন গুড়, কোকো পাউডার, বেকিং সোডা ও নুন মিশিয়ে নিতে হবে। এগুলিকে খুব ভাল ভাবে মাখাতে হবে। এর পর দুধ, ভ্যানিলা ও তেল মেশাতে হবে। অন্য পাত্রে এর সঙ্গে দই ফেটিয়ে মিশিয়ে নিয়ে।

আরও পড়ুন : পেটের রোগ থেকে ঠান্ডা লাগা! কলাপাতায় খেলে সারে এরকমই আরও বহু ক্রনিক অসুখ…জানুন

দুটি মিশ্রণ একত্রিত করতে হবে। এরপর ১৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মিশ্রণটিকে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বেক করলেই বাড়িতে তৈরি হয়ে যাবে এই কেক। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন এই সুস্বাদু নলেন গুড়ের নিরামিষ কেক। ডিম ছাড়াই এই কেক তৈরি হওয়ায় সবাই খেতে পারবেন এই কেক।

Nolen Gurer Sandesh: দোকান ছাড়ুন! এবার বাড়িতে বানান নলেন গুড়ের সন্দেশ! রইল সহজ রেসিপি

এবার নলেন গুড়ের সন্দেশ বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। অল্প সময়ের তাজা মিষ্টি খেতে হলে আর দেরি নয়। নিজে হাতেই বানিয়ে ফেলুন নলেন গুড়ের সুস্বাদু সন্দেশ।
এবার নলেন গুড়ের সন্দেশ বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। অল্প সময়ে তাজা মিষ্টি খেতে হলে আর দেরি নয়। নিজে হাতে বানিয়ে ফেলুন নলেন গুড়ের সুস্বাদু সন্দেশ।
দুধ ছানা নলেন গুড় এবং সামান্য গাওয়া ঘি। নলেন গুড়ের সন্দেশ তৈরিতে এই চারটি উপকরণই যথেষ্ট। সময় লাগে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট।
দুধ ছানা নলেন গুড় এবং সামান্য গাওয়া ঘি। নলেন গুড়ের সন্দেশ তৈরিতে এই চারটি উপকরণই যথেষ্ট। সময় লাগে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট।
২০০ গ্রাম ছাড়ার সঙ্গে প্রয়োজন ৩০০ গ্রাম দুধ, ২০০ গ্রাম নলেন গুড় এবং দু চামচ গাওয়া ঘি।
২০০ গ্রাম ছানার সঙ্গে প্রয়োজন ৩০০ গ্রাম দুধ। ২০০ গ্রাম নলেন গুড়, এবং দু চামচ গাওয়া ঘি।
আঁচে পাত্র গরম হলে প্রথমে দুধ ঢেলে দিন। তারপর আঁচ হাল্কা করে দুধে ভাল করে মাখা ছানা দিন। দুধ এবং ছানার মিশ্রণ ভাল করে হলে কিছুক্ষণ পর গুড় দিন। তারপর মিশ্রণ একটু কালার পরিবর্তন এবং গাঢ় হলে ঘি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এর কিছুক্ষণ পর সুন্দর গন্ধ আসলে একটু নরম থাকতে নামিয়ে নিন। কর পাকের জন্য কয়েক মিনিট বেশি করে নেড়ে নিন।
আঁচে পাত্র গরম হলে প্রথমে দুধ ঢেলে দিন। তারপর আঁচ হালকা করে, গরম দুধে ভাল করে মাখা ছানা দিয়ে দিন। দুধ এবং ছানার মিশ্রণ ভালভাবে তৈরি হলে, কিছুক্ষণ পর গুড় দিন। ভাল করে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ পর সুন্দর গন্ধ এলে একটু নরম থাকতেন নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে একটু টাইট ভাব হবে। কড়া পাকের ক্ষেত্রে কয়েক মিনিট বেশি নেড়ে নিন।

Nolen Gurer Rasogolla: নলেন গুড়ের রসগোল্লা যেন অমৃত! খেলেই সমাধান নানা রোগের, শীতের এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন না

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: শীতকালে বাঙালি ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাওয়া দাওয়ায় থাকে চমক। একদিকে যেমন ঋতুকালীন নানা খাবার থাকে,তেমনই মেনুতে থাকে নলেন গুড়ের রসগোল্লা। তবে শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও ভরপুর একটি সুস্বাদু খাবার হল রসগোল্লা। চিনির রসের রসগোল্লা থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি উপকারী হল নলেন গুড়ের তৈরি এই মিষ্টি। যেমন টেস্ট, তেমন গুণ। মাত্র পাঁচ টাকায় রোগের সমাধানেও কাজ করে এই মিষ্টি।

শীতকালে পাওয়া যায় নলেন গুড়। দাম একটু বেশি থাকলেও স্বাস্থ্য গুণে বেশ ভরপুর। নলেন গুড়ে আয়রন বেশি পরিমাণে থাকায়, রক্তাল্পতার সমস্যা থেকে উপশম পাওয়া যায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় প্রায় সকলের সর্দি-কাশি, জ্বর দেখা যায় তাই এই সময় বিশেষজ্ঞরা কিংবা বাড়ির বয়স্করা নলেন গুড়ে তৈরি গরম রসগোল্লা খাওয়ার পরামর্শ দেন। যার ফলে শীতকালীন শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।

আরও পড়ুন :  কালিম্পংয়ের থেকে পুরুলিয়ায় বেশি ঠান্ডা! কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে বড়দিনে কি হাড়হিম করা শীত? জানুন আপডেট

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নলেন গুড় হজম শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। বদহজমজনিত সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় নলেন গুড়। ঠান্ডার সময় অনেকেই হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন। প্রতিদিন অল্প করে নলেন গুড় এই সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। মাথাব্যথা, চোখ থেকে জল পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায় শীতকালে। সুস্থ থাকতে শীতকালে ভরসা রাখতে পারেন নলেন গুড়ের উপর। হঠাৎ মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হলে একটু গরম জল করে তাতে একটু নলেন গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন,উপকার পাবেন।

ঋতুচক্রের সময় মহিলাদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হয়। গুড় এই ধরনের সমস্যারও সমাধান করে। নলেন গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঋতু পরিবর্তনের স‌ময় সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে গুড় খুব কার্যকারী। পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন বলেন, ‘‘শীতকালে প্রত্যেককেই নলেন গুড় খাওয়া প্রয়োজন। কিংবা নলেন গুড়ি তৈরি রসগোল্লা বাজার থেকে কিনে খেলে তা উপকারী। তবে অবশ্যই নজর রাখতে হবে তা যেন আসল নলেন গুড়ের তৈরি হয়।’’

Nolen Gur: শীতে খেজুর গুড়-পাটালি তো খাচ্ছেন? অজান্তে শরীরে কী ঢুকছে জানেন? শুনলে চমকে যাবেন!

শীতকালে বাঙালি গুড় কিংবা পাটালি জাতীয় মিষ্টি খুব ব্যবহার করে।শীত পড়লেই শিউলিরা খেজুরের রস পেড়ে গুড় বানায় ও পাটালি তৈরি করে।যার ফলে এই সময় চিনির চাহিদা একেবারে কমে যায়।বাঙালির কাছে গুড় অনেকটা প্রিয় খাবার।কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে যে রকম ভাবে খেজুর গাছের সংখ্যা কমেছে, সঙ্গে শিউলিদের সংখ্যাও কমেছে। এখন প্রশ্ন, কোথা থেকে আসছে এত গুড় কিংবা পাটালি? অন্যদিকে বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে নলেন গুড়। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ভেজাল বলে দাবি বেশ কিছু বিক্রেতাদের।

রসের যোগানের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তাই চিনির ওপর ভরসা করে তৈরি হচ্ছে গুড়। বাজারে খেজুর গুড়ের গন্ধ ,আখের গুড়ের গন্ধ ,নলেন গুড়ের গন্ধ ও রং সবই পাওয়া যায়। তাই চাহিদা মেটাতে এক প্রকারের অসাধু ব্যবসায়ীরা রং এবং গন্ধ মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড়। যা খেলে মানুষের মুখের স্বাদ মেটে, কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয় অনেকটাই।

আরও পড়ুন-           বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন

আরও পড়ুন-            সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা, আবহাওয়ার বিরাট বদল বাংলায়

খেজুর রসের গুড় থেকে পাটালি তৈরি করলে সেটা অনেকটাই নরম থাকে।যদি চিনির রস ফুঁটিয়ে রং গন্ধ মিশিয়ে অন্য কিছু ব্যবহার করে পাটালি তৈরি করা হয় ,সেক্ষেত্রে পাটালি বেশ শক্ত হয়।খাবারে রং মেশানো নিয়ে খাদ্য গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নানাভাবে বারণ করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ভেজাল তৈরি হচ্ছে। দেখবেন বাজারে নলেন গুড় দু- তিন ধরনের দামে বিক্রি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নলেন গুড় দু-তিন ধরনের হতে যাবে কেন?  এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন,’ গুড়ের চাহিদার তুলনায় রস সংগ্রহ অনেক কমেছে। সেই জায়গায় মাঝে মাঝে খবর পাওয়া যায় চিনির রসের সঙ্গে রং, গন্ধ মিশিয়ে পাটালি তৈরি হচ্ছে। এমনিতেই কৃত্রিম রাসায়নিক রং ও গন্ধ মেশালে তা থেকে মানুষের শরীরে জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সব থেকে বড় কথা ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই কৃত্রিম রং, গন্ধ ব্যবহার না করাই ভাল।’

Nolen Gur: শীতে যখন-তখন নলেন গুড় খান? এতে শরীরে কী হয় না জেনেই খেয়ে যাচ্ছেন? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শীতকাল মানেই নলেন গুড়! নলেন গুড়ের রসগোল্লা, পায়েস, সন্দেশ, পিঠে... আহা, যেন অমৃত! কিন্তু নলেন গুড় বেশি খাওয়া কি ভাল? শরীরের কোনও সমস্যা হয় না তো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু স্বাদই নয়, অঢেল পুষ্টিগুণও রয়েছে নলেন গুড়ের। নলেন গুড় অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে। যেমন--
শীতকাল মানেই নলেন গুড়! নলেন গুড়ের রসগোল্লা, পায়েস, সন্দেশ, পিঠে… আহা, যেন অমৃত! কিন্তু নলেন গুড় বেশি খাওয়া কি ভাল? শরীরের কোনও সমস্যা হয় না তো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু স্বাদই নয়, অঢেল পুষ্টিগুণও রয়েছে নলেন গুড়ের। নলেন গুড় অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে। যেমন–
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে--কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায় নলেন গুড়। হজম ক্ষমতা বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে–কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায় নলেন গুড়। হজম ক্ষমতা বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে।
অ্যানিমিয়া কমায় -- মূলত শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। আর নলেন গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রোজ নলেন গুড় খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটে।
অ্যানিমিয়া কমায় — মূলত শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। আর নলেন গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রোজ নলেন গুড় খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-- শীতকালে প্রতিরোধশক্তি কিছুটা হলেও কমে যায়। এই সময় সুস্থ থাকতে নলেন গুড় খুব উপকারী। এই গুড়ের মধ্যে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, নানারকম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়– শীতকালে প্রতিরোধশক্তি কিছুটা হলেও কমে যায়। এই সময় সুস্থ থাকতে নলেন গুড় খুব উপকারী। এই গুড়ের মধ্যে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, নানারকম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে।
সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে -- শীতকাল মানেই সর্দি-কাশি, জ্বর, বুকে কফ জমার সমস্যা পিছু ছাড়েনা! ঠান্ডা লাগার সমস্যার মোকাবিলা করতে ভরসা রাখুন নলেন গুড়ের উপর। পাশাপাশি এই গুড় মাইগ্রেনের কমায়। গরম জলে নলেন গুড় মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে — শীতকাল মানেই সর্দি-কাশি, জ্বর, বুকে কফ জমার সমস্যা পিছু ছাড়েনা! ঠান্ডা লাগার সমস্যার মোকাবিলা করতে ভরসা রাখুন নলেন গুড়ের উপর। পাশাপাশি এই গুড় মাইগ্রেনের কমায়। গরম জলে নলেন গুড় মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

Nolen Gur: খাঁটি নলেন গুড় কীভাবে তৈরি হয় দেখেছেন কখনও?

রোজ বিকেলে চুন জল দিয়ে হাঁড়ি ধুয়ে নেওয়া হয়। তারপর খেজুর গাছে সূর্য ডোবার আগে বেঁধে দিয়ে আসা হয় হাঁড়ি। সারারাত ধীরে ধীরে রস জমা হয় হাঁড়ির মধ্যে।
রোজ বিকেলে চুন জল দিয়ে হাঁড়ি ধুয়ে নেওয়া হয় । তারপর খেজুর গাছে সূর্য ডোবার আগে বেঁধে দিয়ে আসা হয় হাঁড়ি। সারারাত ধীরে ধীরে রস জমা হয় হাঁড়ির মধ্যে।
ভোর তিনটে সময় উঠতে হয় শিউলিদের । ভোরে উঠে যেতে হয় খেজুর গাছ থেকে হাঁড়ি নামানোর জন্য। একটা একটা করে প্রত্যেক গাছ থেকে নামিয়ে নিয়ে আসা হয় হাঁড়ি।
ভোর তিনটে সময় উঠতে হয় শিউলিদের। ভোরে উঠে যেতে হয় খেজুর গাছ থেকে হাঁড়ি নামানোর জন্য। একটা একটা করে প্রত্যেক গাছ থেকে নামিয়ে নিয়ে আসা হয় হাঁড়ি।
রস ভর্তি হাঁড়ি এক জায়গায় জড়ো করে নেওয়া হয় । তারপর সব হাঁড়ি নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র।
রস ভর্তি হাঁড়ি এক জায়গায় জড়ো করে নেওয়া হয় । তারপর সব হাঁড়ি নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র।
রস ভর্তি হাঁড়ি নিয়ে আসার পর । প্রত্যেক হাঁড়ি থেকে রস একে একে একটা প্লাস্টিকের জারের মধ্যে ঢেলে নেওয়া হয় ।
রস ভর্তি হাঁড়ি নিয়ে আসার পর । প্রত্যেক হাঁড়ি থেকে রস একে একে একটা প্লাস্টিকের জারের মধ্যে ঢেলে নেওয়া হয় ।
প্লাস্টিকের জার থেকে সেই রস ছেঁকে ঢালা হয় টিনের পাত্রের মধ্যে। সব রস ঢালা হয়ে গেলে টিনের পাত্রটি চাপানো হয় উনোনের উপর ।
প্লাস্টিকের জার থেকে সেই রস ছেঁকে ঢালা হয় টিনের পাত্রের মধ্যে। সব রস ঢালা হয়ে গেলে টিনের পাত্রটি চাপানো হয় উনুনের উপর ।
এরপর অল্প আঁচে দীর্ঘক্ষণ ফোটানো হয় খেজুরের রস । প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ফোটানোর পরে তৈরি হয় একদম আসল নলেন গুড়।
এরপর অল্প আঁচে দীর্ঘক্ষণ ফোটানো হয় খেজুরের রস । প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ফোটানোর পরে তৈরি হয় একদম আসল নলেন গুড়।

কীভাবে সহজেই বাড়িতে বানাবেন সুস্বাদু নলেন গুড়ের বাদাম চিট, জেনে নিন পদ্ধতি

শীতকালে নলেন গুড়ের যে কোনও খাবারও আমাদের সকলের প্রিয়। তারমধ্যে অন্যতম হল নলেন গুড়ের বদাম চিট। কীভাবে সহজেই বাড়িতে বানাবেন এই বাদাম চিট? জেনে নিন উপায়।