Tag Archives: Worship

GK shiva idol: ধ্যানমগ্ন ৭৬ ফুটের শিবমূর্তি! দেশের কোথায় আছে বলতে পারবেন? বর্ষা এলেই ভিড় জমে

কলকাতা: দেশেই রয়েছে ৭৬ ফুট উচ্চতার শিবমূর্তি। এই মূর্তি দর্শনের জন্য তীর্থযাত্রীদের ভিড় জমে বছর বছর। শিবের বিগ্রহ ঘিরে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবের আয়োজন করা হয়। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে নবনির্মিত শহর বিজয়নগর, সেখানকারই কাচনার এলাকায় রয়েছে এই শিবমূর্তি। ধ্যানমগ্ন এই মূর্তি সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি।

শিবরাত্রি এবং শ্রাবণ মাসে ভক্তরা এখানে জল ঢালতে আসেন। এই সময়ে মন্দিরে বিশেষ ধরনের পুজোর আয়োজন হয়। শস্য এবং ঘিয়ের মতো নৈবেদ্য পুড়িয়ে শিবের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের রীতি আছে এখানে। এই আচারগুলি ছাড়াও, মন্দিরে আরতি হয় ঘিয়ের প্রদীপ দিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন।

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীদের জন্যই উন্মুক্ত এই শিবমন্দির। প্রবেশমূল্য নেই। তবে পার্কিং ফি এবং সাধারণ জুতো রাখার জন্য টাকা দিতে হতে পারে। ৩ একর জমিতে খোলা বাগান পরিবেষ্টিত এই শিবমূর্তি বর্তমানে পর্যটক টেনে আনছে।

আরও পড়ুন- ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা, সাবধান! এবার নতুন রূপে, জেনে নিন উপসর্গ

এই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। শেষ হয় ২০০৬ সালে। দক্ষিণ ভারতের শিমোগার এক শিল্পী এই শিবমূর্তি গড়েছিলেন। মন্দিরের শান্ত ও পবিত্র পরিবেশ ভক্তদের আধ্যাত্মিক ও মানসিক শান্তি প্রদান করে। এখানে এসে ভক্তেরা শিবের পূজা করেন। ধ্যানও করেন। মন্দির চত্ত্বরে অবস্থিত সুন্দর বাগান এবং হ্রদগুলিও ভক্তদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান।ভক্তদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল, বিশ্রামের স্থান এবং প্রসাদের খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মন্দিরের কাছেই রয়েছে বাজার। সেখানে পুজোর উপকরণ কিনতে পাওয়া যায়। শ্রাবণ মাস পড়তেই ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে এখন শিবমন্দিরে।

Howrah News: প্রায় ২০০ বছর ধরে বকুল গাছই দেবী কালী রূপে পূজিত উদয়নারায়ণপুরে

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: এখানে দেবী রূপে পুজো হয় একটি গাছ! গ্রামের মানুষের নানা বিপদ মুক্তি ঘটে এই দেবীর কৃপায়। প্রায় দু’শো বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামে এমনই মানুষের বিশ্বাস রয়েছে। আধুনিক এ সময়েও বিপদ থেকে মুক্তি পেতে মায়ের পদতলে ছুটে যান হাজার হাজার ভক্ত। গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকেও সারা বছর প্রচুর ভক্ত আসেন এখানে। বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজারো ভক্ত সমাগম ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুশো বছর আগে হাওড়া উদয়নারায়ণপুর ব্লকের হরিশপুর গ্রামে কলেরা মহামারিতে মড়ক দেখা দিয়েছিল। কোনও কিছুতেই মড়ক আটকানো যাচ্ছিল না গ্রামে। সেই সময় মা কালীর আরাধনা করে মড়ক থেকে রক্ষা পেয়েছিল গ্রাম। সেই থেকে মা কালীর পুজোর সূচনা হয় গ্রামে। পুরনো রীতি নীতি মেনে প্রায় ২০০ বছর ধরে মা কালীর পুজোর আয়োজন হচ্ছে জাঁকজমক করে। প্রায় ছয় থেকে সাত দশক আগে গ্রামের মানুষ জানতে পারেন, মন্দির সংলগ্ন বকুল গাছে আশ্রয় নেন মা কালী। সেই থেকে মন্দিরে মা কালীর মূর্তির পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন বকুল গাছকে পুজো শুরু হয়। আরও জানা যায়, মা রূপী বকুল গাছের সেভাবে কোনও পরিবর্তন দেখা যায় না।

আরও পড়ুন : আজ এই রঙের কাপড় ও অন্য জিনিস দান করুন! বাঁচুন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কুপ্রভাব থেকে

এ প্রসঙ্গে গ্রামবাসী সমীর প্রামাণিক এবং অসিতকুমার বেরা জানান, ‘‘প্রায় ২০০ বছর আগে গ্রাম মড়ক থেকে রক্ষা পেয়েছিল মায়ের কৃপায়। মাতৃরূপে পুজো হয় মন্দির সংলগ্ন বকুল গাছ। বকুল গাছকে মাতৃরূপে পরানো হয়ে শাড়ি, দেওয়া হয় ভোগ।গাছকে দেবী রূপে পুজো অর্চনা করে ভক্তরা উপবাস পালন করেন।