আলিপুরদুয়ার: কম তেল ও মশলা দিয়ে তৈরি হয় এই খাবার। গরমের দিনে কাঁচকলার টক-ঝালকে আদর্শ খাবার হিসেবে মনে করে থাকেন বোরো জনজাতির মানুষেরা।
কাঁচকলার টক-ঝাল তৈরি করতে বিশেষ উপকরণের প্রয়োজন হয় না।কাঁচকলার দরকার হয় বেশি পরিমাণে। গরমের এই সময় দেখা যায় মেচ, বোরো জনজাতির মানুষদের কলাবাগানে গিয়ে কাঁচকলা সংগ্রহ করতে।এই কাঁচকলা বাড়িতে নিয়ে এসে ছাড়ানো হয় খোসা। সবুজ অংশ যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়। খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর তা ছোট আকারে কেটে নিতে হয়। এরপর তা জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়।
আরও পড়ুন: ফেলে দিন মিক্সি, শিলেবাটা মশলাতেই ভরসা! অবলুপ্তির পথে এই শিলনোড়া, তাও পাথরে বাটা মশলার কত গুণ
কড়াইয়ে সরষের তেল গরম হলে কালো জিরে ফোরণ দিতে হয়। এই রান্নায় কাঁচকলার সঙ্গে আলু ব্যবহার করা যায়। এরপর আলু ও কাঁচা কলা ভেজে নিয়ে হলুদ ও লবণ দিতে হয়।
টম্যাটো বাটা দেওয়া যায় রান্নাটিতে। টক স্বাদ এতেই এসে যায়। ঝালের জন্য দিতে হয় সামান্য পেঁয়াজ ও লঙ্কাবাটা। কষিয়ে নিয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হয়।
Annanya Dey
কলা বললেই আমরা সাধারণত বুঝি উজ্জ্বল হলুদ রঙের ফল। কিন্তু জানেন কি সারা বিশ্বে ১ হাজারেরও বেশি কলার রকমফের হয়। সেরকমই এক ধরনের কলা হল লাল রঙের কলা।
মূলত ভারত-সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ফল হলেও আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে পাওয়া যায় লাল খোসার কলা।
ভারতের কর্নাটকের নানা জেলায় লাল কলার চাষ হয়। কর্নাটকের কমলাপুর জেলার লাল কলাকে গুণমানে সেরা বলে মনে করা হয়।
হলুদ রঙের কলার তুলনায় লাল কলা অনেক বেশি পুষ্টিকর বলে মনে করেন ডক্টর স্মিতা বরোদে।
মিষ্টত্ব ও গন্ধে হলুদ কলার থেকে লাল কলা বেশি সুস্বাদু। অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কাও কম লাল কলায়।
হলুদ কলার তুলনায় কম জনপ্রিয় এই লাল কলা খেতে হবে টসটসে পাকা অবস্থায়। না হলে এর স্বাদ ভাল লাগবে না।
ফাইবার ভরপুর লাল কলায় ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। একবার খেলে দীর্ঘ ক্ষণ খিদে পায় না। তাই ডায়েটিং করলে অবশ্যই লাল কলা খান।
লাল কলার পটাশিয়াম কিডনি পাথর রোধে কার্যকরী। এর ক্যালসিয়াম হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। নিয়মিত খেলে হৃদরোগ ও ক্যানসারের আশঙ্কা কমে।
লাল কলার জলীয় অংশ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বজায় রাখে ত্বকের স্বাস্থ্য। ডায়েটে লাল কলা থাকলে ত্বক হয় ঝলমলে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
লাল কলার ভিটামিন বি-৬ উন্নত করে রক্তের গুণমান। বজায় রাখে হিমোগ্লোবিনের যোগান। আরবিসি কাউন্ট অটুট থাকে লাল কলার গুণে।
শীতে নারকেল, তিল তেল বা আমন্ড তেলের সঙ্গে লাল কলা চটকে মিশিয়ে মাখুন স্ক্যাল্পে। এই হেয়ারপ্যাকের গুণে দূর হবে খুশকি। চুল পড়া ও শুষ্ক চুলের সমস্যাও দূর করে।
পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে লাল কলার খাদ্যগুণ। এর পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন, দেহে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে স্ট্রেসের সময়।
Just another WordPress site