পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন শহর তাম্রলিপ্ত। একসময় এর ঐতিহ্য ও গরিমা বিশ্বব্যাপী বন্দিত ছিল। কিন্তু সেসব এখন অতীত। তবে তাম্রলিপ্ত নগরীর সেই নাম আবারও বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগী হল পুরসভা।
তাম্রলিপ্ত নগরীর নিদর্শন পাওয়া যায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে। ঐতিহাসিকদের মতে, তমলুকের বয়স প্রায় কয়েক হাজার বছর। প্রাচীন তমলুক শহরের বয়স যাই হোক না কেন বর্তমান তমলুক শহরের বয়সও কিন্তু কম নয়। দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো এই শহর। তাই তাম্রলিপ্ত পুরসভা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এই শহরের প্রাচীন ও বর্তমান গরিমার কথা তুলে ধরতে।
আরও পড়ুন: কবরস্থানের উপর প্রোমোটারের নজর! হাইকোর্টে মামলা ঘিরে বিতর্ক
তমলুক শহরের ধুলোবালিতে মিশে আছে হাজার হাজার বছরের ইতিহাস। কিন্তু কালের নিয়মে তা মলিন হয়েছে। বর্তমানে পুরসভা ১৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। ফলে তমলুক শহরের প্রাচীন গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে তাম্রলিপ্ত পুরসভা। চৈনিক পরিব্রাজক ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং-দের মূর্তি বসানোর পাশাপাশি তমলুক শহরে আগত অন্যান্য মনীষীদের মূর্তি বসানো হয়েছে শহরে। এর পাশাপাশি তমলুক শহরের জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাম্রলিপ্ত দিবস উদযাপনে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। ঠিক হয়েছে, প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ তাম্রলিপ্ত দিবস হিসাবে উদযাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: কবরস্থানের উপর প্রোমোটারের নজর! হাইকোর্টে মামলা ঘিরে বিতর্ক
এই বিষয়ে তাম্রলিপ্তের পুরপ্রধান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, তমলুক শহরের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। হাজার হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস। কিন্তু কোনওকারণে তমলুক যেন পেছনের সারিতে চলে গিয়েছে। এই পুরসভার বয়সও কম নয়। এ বছর ১৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। তাই পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাম্রলিপ্ত দিবস উদযাপন ও পুরসভার জন্মদিন পালনের বিষয়ে।
সৈকত শী