Tag Archives: Tamralipta

East Medinipur News: পরাধীন ভারতবর্ষে সাধারণ মানুষের প্রথম স্বাধীন সরকার! বাংলার এই বিস্মৃত ইতিহাস জানেন কী?

তমলুক: পরাধীন ভারতে প্রথম গড়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের স্বাধীন সরকার। ভারতবর্ষের তমলুকেই প্রথম গড়ে ওঠে স্বাধীন সরকার। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন বা অগাস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতবর্ষের নানা জায়গায় মহাভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন সরকার গঠিত হয়। ভারতবর্ষের বেশ কিছু জায়গায় স্বাধীন জাতীয় সরকার গঠিত হয়।

মহারাষ্ট্রের সাতারা, উত্তরপ্রদেশের বলিয়া ও বাংলার বুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমাতে গঠিত হয় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলনের পটভূমিকায় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

ভারত তথা বাংলাকে স্বাধীনতা সংগ্রামে পথ দেখিয়েছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের মাটি। মেদিনীপুরের মাটি বরাবরই স্বাধীনতাকামী। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের আঁচ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে মেদিনীপুর জুড়ে। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে যোগদান করে।

এই আন্দোলনে স্বদেশী নেতারা সিদ্ধান্ত নেন ইংরেজদের থানা নিজেদের দখলে আনার। ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থানা দখলের দিন ধার্য হয়। ঐদিন তমলুক মহকুমার বিভিন্ন থানায় দখল করতে গিয়ে শহীদ হন বহু মানুষ। তমলুকে শহীদ হন মাতঙ্গিনী হাজরা সহ ১২ জন। মহিষাদলে দখল অভিযানে গিয়ে শহীদ হন ১৬ জন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলন সমগ্র মেদিনীপুর জুড়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে পরিণত হয়। এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। ফলে দিকে দিকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়।

এই অগাস্ট আন্দোলনের পটভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত হয় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। যার প্রথম সর্বাধিনায়ক ছিলেন সতীশচন্দ্র সামন্ত। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

পরাধীন ভারতবর্ষের প্রায় দু’বছর স্বাধীনভাবে সরকার চালানোর গৌরব অন্য কোন জাতীয় সরকারের নেই। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়েছিল মানুষের ঐকান্তিক ইচ্ছায়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সরকার হয়ে উঠেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ২১ মাস সুষ্ঠু স্বাধীনভাবে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কার্যকলাপ চালিয়ে যায় নেতারা। গান্ধিজির নির্দেশে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ সালে কংগ্রেস নেতারা তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ভেঙে দেয়।

সৈকত শী

Tamralipta Day: তাম্রলিপ্তের নাম আবারও ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বজুড়ে

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন শহর তাম্রলিপ্ত। একসময় এর ঐতিহ্য ও গরিমা বিশ্বব্যাপী বন্দিত ছিল। কিন্তু সেসব এখন অতীত। তবে তাম্রলিপ্ত নগরীর সেই নাম আবারও বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগী হল পুরসভা।

তাম্রলিপ্ত নগরীর নিদর্শন পাওয়া যায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে। ঐতিহাসিকদের মতে, তমলুকের বয়স প্রায় কয়েক হাজার বছর। প্রাচীন তমলুক শহরের বয়স যাই হোক না কেন বর্তমান তমলুক শহরের বয়স‌ও কিন্তু কম নয়। দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো এই শহর। তাই তাম্রলিপ্ত পুরসভা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এই শহরের প্রাচীন ও বর্তমান গরিমার কথা তুলে ধরতে।

আর‌ও পড়ুন: কবরস্থানের উপর প্রোমোটারের নজর! হাইকোর্টে মামলা ঘিরে বিতর্ক

তমলুক শহরের ধুলোবালিতে মিশে আছে হাজার হাজার বছরের ইতিহাস। কিন্তু কালের নিয়মে তা মলিন হয়েছে। বর্তমানে পুরসভা ১৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। ফলে তমলুক শহরের প্রাচীন গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে তাম্রলিপ্ত পুরসভা। চৈনিক পরিব্রাজক ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং-দের মূর্তি বসানোর পাশাপাশি তমলুক শহরে আগত অন্যান্য মনীষীদের মূর্তি বসানো হয়েছে শহরে। এর পাশাপাশি তমলুক শহরের জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাম্রলিপ্ত দিবস উদযাপনে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। ঠিক হয়েছে, প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ তাম্রলিপ্ত দিবস হিসাবে উদযাপন করা হবে।

আর‌ও পড়ুন: কবরস্থানের উপর প্রোমোটারের নজর! হাইকোর্টে মামলা ঘিরে বিতর্ক

এই বিষয়ে তাম্রলিপ্তের পুরপ্রধান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান, তমলুক শহরের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। হাজার হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস। কিন্তু কোনওকারণে তমলুক যেন পেছনের সারিতে চলে গিয়েছে। এই পুরসভার বয়সও কম নয়। এ বছর ১৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। তাই পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাম্রলিপ্ত দিবস উদযাপন ও পুরসভার জন্মদিন পালনের বিষয়ে।

সৈকত শী