বীরভূম: তারাপীঠ বাঙালির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।মা তারার মন্দিরের জন্য সেখানে প্রতিবার কৌশিকী অমাবস্যার লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। ২ সেপ্টেম্বর কৌশিকী অমাবস্যা শুরু।
এই দিনে কয়েক লাখ ভক্তের সমাগম হয়।কিন্তু অনেকে তারাপীঠে যেতে চান না কারণ খরচ।তাঁরা মনে করেন, তারাপীঠ গেলেই খরচ অনেক৷অন্তত কয়েক হাজার টাকা।তবে এই ধারনা ঠিক নয়৷
মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচে আপনি যেতে পারেন তারাপীঠ।সেখানে মায়ের দর্শন করে আসতে পারেন৷আর থাকা খাওয়াও সম্পূর্ণ ফ্রি-তে করতে পারবেন।
রামপুরহাট স্টেশন তো আছেই আবার তারাপীঠ রোড রেল স্টেশনও রয়েছে, অর্থাৎ আপনি ট্রেনে গেলে এই দুই স্টেশনেই নামতে পারবেন।হাওড়া বা দক্ষিণবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে গেলে এই দুই স্টেশনে নামতে পারবেন।আবার যেতে পারেন বাসেও।কলকাতা থেকে গেলে আপনি ধর্মতলা থেকে বাস পাবেন।এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে আপনি বাস পেয়ে যাবেন৷
এবার আসা যাক ট্রেনের ভাড়াতে।যদি আপনি হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে রামপুরহাট বা তারাপীঠ যান তাহলে ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ৮০ থেকে ১০০ টাকা৷ অর্থাৎ যাওয়া আসার খরচ মাত্র ২০০ টাকা৷ আবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলা থেকে গেলে আপনাকে আরও কম ভাড়া দিতে হবে।আবার যদি আপনি বাসে যান তাহলে ধর্মতলা থেকে বাস ধরতে পারেন।সেক্ষেত্রে ভাড়া দিতে হবে মাথাপিছু ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা।
তবে বাসে পৌঁছতে ট্রেনের থেকে সময় বেশি লাগবে৷ এছাড়াও বাস অনিয়মিতও। তাই ট্রেনে যাওয়া সাশ্রয়ী হবে। রামপুরহাট তো পৌঁছলেন।সেখান থেকে আপনাকে পৌঁছতে হবে তারাপীঠ মন্দিরে। স্টেশন থেকে মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার৷ অটো,ট্রেকার, বিক্রম গাড়িতেই সটানে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে৷
তারাপীঠে হোটেল অনেক। প্রতি রুমের ভাড়া ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা।আপনার যেমন বাজেট সেভাবে হোটেল পছন্দ করতে পারবেন। তারাপীঠে রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ- মাত্র ৫০ টাকা দিলেই আপনি রাত্রিবাস করতে পারেন। আবার রামপুরহাট- তারাপীঠ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের৷ নামমাত্র খরচে সেখানেও থাকতে পারেন৷ সুতরাং আপনাকে বিশাল খরচ করে হোটেলে থাকতে হবে না। অপশন আরও আছে।যেমন,তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বীরচন্দ্রপুরকে নতুনভাবে সাজিয়েছে।
বীরচন্দ্রপুরে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান।সেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাদী নিতাই বাড়ি, বাঁকারায় মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, গৌড়ীয় ইসকনের মন্দির, পঞ্চপাণ্ডব, মদনমোহন, শিব সহ বিভিন্ন মন্দির, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহ।সেখানেও অতিথিশালা রয়েছে।স্বল্প খরচে সেই অতিথিশালাতে থাকতে পারবেন।
অপশন আছে আরও।তারাপীঠের চারপাশে রয়েছে একাধিক গ্রাম।তার মধ্যে অন্যতম হল আটলা।এই গ্রামের দূরত্ব তারাপীঠ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার।তাহলে আর দেরি কেন!এই কৌশিকী অমাবস্যাতেই ঘুরে আসুন তারাপীঠ। এছাড়াও এই বছর প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেউ তিন দিনের প্যাকেজ নয়,কেউ যদি এসে একদিন থাকতে চান সে একদিনের জন্য হোটেল ভাড়া নিতে পারেন। যদি সেই হোটেলে আপনাদের এক দিনের প্যাকেজ না দেয় তাহলে আপনি সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। Input- Souvik Roy
Post navigation
Just another WordPress site