মা তারা

Tarapith: রাজরাজেশ্বরী বেশে পুজো, খিচুড়ি, পোলাও পোড়া শোলমাছ ভোগ…বুদ্ধপূর্ণিমায় তারাপীঠে অগণিত ভক্ত সমাগম

সৌভিক রায়, বীরভূম: সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ। তারাপীঠ এক অন্যতম দর্শনীয় এবং আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রত্যেক দিন মা তারার মন্দির দর্শনের জন্য দূরদূরান্ত, দেশ বিদেশ থেকে ভক্তের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে ভাদ্র মাসে কৌশিকী অমাবস্যা এবং রথযাত্রা থেকে শুরু করে দুর্গাপুজো,কালীপুজো-সহ বিশেষ বিশেষ দিনে ভক্তদের সংখ্যা পেরিয়ে যায় লক্ষাধিক।

সেই মতোই বৃহস্পতিবার বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে অগণিত ভক্তদের ভিড় তারাপীঠ মন্দিরে। বুদ্ধপূর্ণিমা মূলত বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি বুদ্ধ পূর্ণিমা ও বুদ্ধ জয়ন্তী নামে পরিচিত। এই উৎসব হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মের মানুষ পালন করে থাকে। এ বছর বুদ্ধপূর্ণিমা পালিত হচ্ছে জ্যৈষ্ঠমাসে।

আরও পড়ুন : আজও পালিত প্রাচীন রীতি! বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠা ভরে পুজো করা হয় দোকানের দাঁড়িপাল্লারও!

বুদ্ধপূর্ণিমায় সকাল থেকেই বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে উপচে পড়েছে পর্যটকদের ভিড়। প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন তীব্র তাপদাহ থাকার পর বুধবার সারাদিনে কখনও মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে অনেকটাই ঠান্ডা আবহাওয়া রয়েছে বীরভূমে। এর ফলে পর্যটকদের সংখ্যা আশানুরূপ অনেকটাই বেড়েছে। পর্যটকদের কথা চিন্তা করে গোটা মন্দির চত্বরে ত্রিপল টাঙিয়ে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিন সকালে মা তারাকে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে পুজো শুরু হয়।দুপুর বেলায় বিভিন্ন রকমের ভাজা,ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি, পোলাও, শোলমাছ পোড়া, মাছের মাথা সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যাবেলায় মা তারাকে শীতল ভোগ এবং আজ যেহেতু পূর্ণিমা তিথি সেই কারণে রাত্রে এক বিশেষ নিশি পুজোর আয়োজন করা হয় বলে তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে।