Tag Archives: Buddha Purnima

বুদ্ধ পূর্ণিমা: কাহিনী, আচার, বিশেষত্ব একনজরে

বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা ভগবান শ্রী বুদ্ধের জন্মতিথি পালিত হয় পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। একে বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী নামে অভিহিত করা হয়। নেপালের লুম্বিনী উদ্যানে ৫৬৩-৪৮৩ খ্রিস্ট পূর্বে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এশিয়ার চন্দ্রমাস অনুযায়ী বুদ্ধের জন্মদিন পালিত হয়। তবে ইংরেজি মতে সেটা এপ্রিল বা মে মাস হতে পারে।যদি লিপ ইয়ার হয় তাহলে এই দিনটি জুন মাসে পালিত হবে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে এই বিশেষ দিনটি বেসাক বলীক্তি উৎসবের অংশ হিসাবে পালিত হয়। এখানে বুদ্ধের জন্ম, তাঁর বোধি লাভ ও মৃত্যু সবটাই যুক্ত থাকে। কিন্তু পূর্ব এশিয়া, ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনামে বোধি লাভ ও মৃত্যু আলাদা ভাবে পালিত হয়।

তারিখ

মূলত বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারের বৈশাখ মাসে এবং বিক্রম সম্বত মেনে এই দিনটি পালিত হয়। বেসাখ উৎসব এই বৈশাখ নাম থেকেই এসেছে। ভারত এবং নেপালে যেখানে বুদ্ধ জন্মেছেন এবং তাঁর জীবন অতিবাহিত করেছেন সেখানে এই দিনটি পূর্ণিমা তিথিতে বৈশাখ মাসে পালিত হয়।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মঙ্গোলিয়া

ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশেগুলিতে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দিনটি পালিত হয়। একে বুদ্ধ জয়ন্তীও বলা হয়। সংস্কৃতে জয়ন্তী শব্দের অর্থ জন্মদিন।

পূর্ব এশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন

উল্লেখিত দেশগুলিতে এই দিনটি চতুর্থ মাসের চতুর্থ দিনে পালিত হয়। সেটা করা হয় চৈনিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। হংকং , ম্যাকাও ও দক্ষিণ কোরিয়াতে সেইদিন সরকারি ছুটি থাকে।

তাইওয়ান

১৯৯৯ সাল থেকে তাইওয়ান সরকার মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে বুদ্ধের জন্মদিন হিসাবে ঘোষণা করেছেন। একই দিনে ওখানে মাদারস ডেও পালিত হয়।

জাপান

মেইজি রেসটোরেশনের পর জাপান ১৮৭৩ সালে চৈনিক চন্দ্র ক্যালেন্ডারের বদলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। তবে এই ক্যালেন্ডার কার্যকরী হতে অনেক সময় লেগেছিল। এখন জাপানে এপ্রিল মাসের চার তারিখে এই দিনটি পালিত হয়। একমাত্র ওকিনাওয়াতে চৈনিক ক্যালেন্ডার মেনে চতুর্থ চন্দ্রমাসের অষ্টম দিনে এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে।

এশিয়ার অন্যান্য দেশে –

বাংলাদেশ

এটি বাংলাদেশে একটি সরকারি ছুটির দিন। বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং পুরোহিতরা বৌদ্ধ মন্দিরগুলিকে রঙিন সাজ-সজ্জা এবং মোমবাতি দিয়ে সাজান। বুদ্ধের কাছে একটি প্রার্থনা করা হয়, এবং ভক্তরা তখন মোমবাতি জ্বালান এবং তিনটি রত্ন এবং পাঁচটি উপদেশ পাঠ করে।

ভুটান

ভুটানে, বুদ্ধ পরিনির্বাণ একটি জাতীয় ছুটির দিন এবং সাগা দাওয়ার (তিব্বতি ক্যালেন্ডারের চতুর্থ মাস) পনেরোতম দিনে সাগা দাওয়া হিসাবেও পালিত হয়। ভক্ত এবং অনুগামীরা সাগা দাওয়া মাস জুড়ে নিরামিষ খাবার খান।

কাম্বোডিয়া

কাম্বোডিয়ায় বুদ্ধের জন্মদিনটি ভিসাক বোচিয়া হিসাবে পালিত হয়। এটি সরকারি ছুটির দিন।

চিন

চিনে, এই উদযাপন বৌদ্ধ মন্দিরে হয়। ভক্তরা ধূপ জ্বালান এবং সন্ন্যাসীদের জন্য খাবারের নৈবেদ্য নিয়ে আসেন।

হংকং

হংকংয়ে বুদ্ধের জন্মদিন সরকারি ছুটির দিন। বুদ্ধের জ্ঞানার্জনের প্রতীক হিসাবে লণ্ঠন জ্বালানো হয় এবং অনেক ভক্ত শ্রদ্ধা জানাতে মন্দিরে যান।

ভারত

ভারতে বুদ্ধ পূর্ণিমার জন্য সরকারি ছুটির সূচনা করেছিলেন বি.আর. আম্বেদকর। এটি বিশেষ করে সিকিম, লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, বোধগয়া, লাহৌল এবং স্পিতি জেলা, কিন্নর, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশ যেমন কালিম্পং, দার্জিলিং এবং কার্সিয়াং এবং মহারাষ্ট্রে পালিত হয়।

ভারতের বোধগয়ার মহাবোধি মন্দিরে, বুদ্ধ পূর্ণিমা অত্যন্ত বিশষ ভাবে পালিত হয়। এই মন্দিরটি রঙিন সাজে সজ্জিত হয়। যে বোধিবৃক্ষের নিচে গৌতম বুদ্ধ জ্ঞান লাভ করেছিলেন, সেখানে গৌতম বুদ্ধের ভক্তরা বিশেষ প্রার্থনা করেন। দিল্লির জাতীয় জাদুঘরে, ভগবান বুদ্ধের পবিত্র অবশিষ্টাংশ জনসাধারণের দেখার জন্য সেদিন খুলে দেওয়া হয়।

ইন্দোনেশিয়া ও মালেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া ও মালেশিয়াতে বুদ্ধের জন্মদিন ওয়াইসাক হিসাবে পালিত হয় এবং একটি সরকারি ছুটির দিন। ইন্দোনেশিয়াতে একটি বড় শোভাযাত্রা জাভার মেন্ডুতে শুরু হয় এবং বরোবুদুরে শেষ হয়।

জাপান

জাপানে এই দিনটি ৪ এপ্রিল পালিত হয় এবং সেদিন বুদ্ধকে ফুল দিয়ে স্নান করানো হয়।

এছাড়াও মায়ানমার, নেপাল, উত্তর কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামেও এই দিনটি পালিত হয়।

এশিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশ

অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই দিনটি পালিত হয়। তবে বিভিন্ন দেশে বৌদ্ধদের ভিন্ন রীতি ও প্রথা অনুযায়ী দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে।

Saga Dawa Festival: গুম্ফায় গুম্ফায় চলছে ‘সাগা দাবা’ উৎসব, কথাটা কোথা থেকে এসেছে জানেন?

আলিপুরদুয়ার: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে সাগা দাবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। বুদ্ধ পূর্ণিমার পর থেকে এই উৎসব শুরু হয়, চলে এক মাস ধরে। এই মুহূর্তে প্রতিটি গুম্ফাতে চলছে এই উৎসব।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি পবিত্র দিন হল বুদ্ধ পূর্ণিমা। কথিত আছে, আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এক বুদ্ধ পূর্ণিমাতেই নেপালের কপিলাবস্তু নগরীতে জন্ম নিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। অবশ্য বুদ্ধ পূর্ণিমা শুধুমাত্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন। সেই বুদ্ধ পূর্ণিমার পর একমাস ধরে চলে সাগা দাবা উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এই উৎসব পালন করেন।

আর‌ও পড়ুন: বিপথগামী শৈশবকে মূল স্রোতে ফেরাবে বেসরকারি হোম

তিব্বতি ভাষায় সাগা শব্দের অর্থ তারা ও দাবা শব্দের অর্থ উৎসব। এই ‘সাগা দাবা’ কথাটি একটি তিব্বতি শব্দ। গৌতম বুদ্ধ তাঁদের জীবনে উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ধ্যান-জ্ঞান’ই একমাত্র লক্ষ্য, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সেটাই বোঝানো হয়। এই একমাস সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিটি গুম্ফাতে পুজো হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা পড়েন ধর্মীয় গ্রন্থ। মালা জপ করেন তাঁরা। সাগা দাবা উৎসবে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা জ্ঞান দিয়ে থাকেন গৌতম বুদ্ধের জীবনের তিন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে। তাঁর জন্ম, বোধিসত্ব লাভ ও তাঁর প্রথম জ্ঞান দেওয়ার বিষয়ে। পুজোর সময় প্রজ্জলিত করা হয় শতাধিক প্রদীপ। এই প্রদীপ প্রজ্জলনের সময় মনের ইচ্ছে জানালে তা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস।

অনন্যা দে

Buddha Purnima 2024: শতাব্দী প্রাচীন তালশাঁসের মেলা! বুদ্ধ পূর্ণিমায় উদয়নারায়ণপুরে গেলে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন

হাওড়া: তালশাঁসের মেলা! এমনটা শুনেছেন কখন‌ও? কিন্তু হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শত বর্ষেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে এই তালশাঁসের মেলা।

এই গ্রীষ্মকালে তালশাঁস ছোট-বড় সকলের মন জয় করে। বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামে গঞ্জে আজও যথেষ্ট খাওয়া হয় তালশাঁস। শক্ত খোলকের মধ্যে নরম শাঁস, তার মধ্যে যৎসামান্য মিষ্টি পানীয় মুখে গেলে যেন মনে হয় ঠিক অমৃত। শতাব্দী প্রাচীন এই তালশাঁসের মেলা‌ই হয়ে আসছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। এবারেও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সেই মেলা বসেছে।

আরও পড়ুন: ভোটের জন্য তৈরি পুরুলিয়া, রইল প্রস্তুতির ভিডিও

একসময় গ্রামবাংলায় আকছার তালশাঁস পাওয়া যেত। যদিও বর্তমানে এর প্রচলন অনেকটাই কমেছে।কিন্তু হাওড়ার এই গ্রামে অন্য ছবি। এখানে মেলার দিন পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বহু বিক্রেতা আসেন তালশাঁস নিয়ে। এই মেলা তালশাঁস মেলা নামেই বেশি পরিচিত মানুষের কাছে। উদয়নারায়ণপুর ব্লকের কল্যানচক গ্রামে শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে এই মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে।

গ্রামের তৎকালীন জমিদার দুয়ারী পরিবারের এই মেলা শুরু করেন। প্রথমে রথের সময় মেলা শুরু হলেও প্রজাদের অনুরোধে সময় পাল্টে বুদ্ধ পূর্ণিমায় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। একইসঙ্গে নানা জিনিসের পসরা বসে। গরমের দিনে এই রথের মেলায় একইসঙ্গে দেখা যেত তালশাঁস বিক্রি হতে। ধীরে ধীরে এই মেলায় তালশাঁসের জনপ্রিয়তা দারুনভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তা থেকে এই মেলার এমন নামকরণ। আজও তালশাঁস খাওয়ার টানে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এই মেলায় ছুটে আসেন।

রাকেশ মাইতি

Tarapith: রাজরাজেশ্বরী বেশে পুজো, খিচুড়ি, পোলাও পোড়া শোলমাছ ভোগ…বুদ্ধপূর্ণিমায় তারাপীঠে অগণিত ভক্ত সমাগম

সৌভিক রায়, বীরভূম: সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ। তারাপীঠ এক অন্যতম দর্শনীয় এবং আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রত্যেক দিন মা তারার মন্দির দর্শনের জন্য দূরদূরান্ত, দেশ বিদেশ থেকে ভক্তের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে ভাদ্র মাসে কৌশিকী অমাবস্যা এবং রথযাত্রা থেকে শুরু করে দুর্গাপুজো,কালীপুজো-সহ বিশেষ বিশেষ দিনে ভক্তদের সংখ্যা পেরিয়ে যায় লক্ষাধিক।

সেই মতোই বৃহস্পতিবার বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে অগণিত ভক্তদের ভিড় তারাপীঠ মন্দিরে। বুদ্ধপূর্ণিমা মূলত বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি বুদ্ধ পূর্ণিমা ও বুদ্ধ জয়ন্তী নামে পরিচিত। এই উৎসব হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মের মানুষ পালন করে থাকে। এ বছর বুদ্ধপূর্ণিমা পালিত হচ্ছে জ্যৈষ্ঠমাসে।

আরও পড়ুন : আজও পালিত প্রাচীন রীতি! বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠা ভরে পুজো করা হয় দোকানের দাঁড়িপাল্লারও!

বুদ্ধপূর্ণিমায় সকাল থেকেই বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে উপচে পড়েছে পর্যটকদের ভিড়। প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন তীব্র তাপদাহ থাকার পর বুধবার সারাদিনে কখনও মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে অনেকটাই ঠান্ডা আবহাওয়া রয়েছে বীরভূমে। এর ফলে পর্যটকদের সংখ্যা আশানুরূপ অনেকটাই বেড়েছে। পর্যটকদের কথা চিন্তা করে গোটা মন্দির চত্বরে ত্রিপল টাঙিয়ে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিন সকালে মা তারাকে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে পুজো শুরু হয়।দুপুর বেলায় বিভিন্ন রকমের ভাজা,ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি, পোলাও, শোলমাছ পোড়া, মাছের মাথা সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যাবেলায় মা তারাকে শীতল ভোগ এবং আজ যেহেতু পূর্ণিমা তিথি সেই কারণে রাত্রে এক বিশেষ নিশি পুজোর আয়োজন করা হয় বলে তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে।

Gandheshwari Puja on Buddha Purnima: আজও পালিত প্রাচীন রীতি! বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠা ভরে পুজো করা হয় দোকানের দাঁড়িপাল্লারও!

জানেন কি বুদ্ধপূর্ণিমার দিন গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা পুজো করেন তাদের দাঁড়িপাল্লা। এমনই রীতি প্রচলিত রয়েছে বহু বছর ধরে। গন্ধবনিক সম্প্রদায় মূলত মুদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন।
জানেন কি বুদ্ধপূর্ণিমার দিন গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা পুজো করেন তাদের দাঁড়িপাল্লা। এমনই রীতি প্রচলিত রয়েছে বহু বছর ধরে। গন্ধবনিক সম্প্রদায় মূলত মুদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে তারা দেবী গন্ধেশ্বরীর পুজো করে থাকেন। তবে এই সম্প্রদায়ের যে সব ব্যক্তিরা দেবী মূর্তি ব্যয়ভার বহন করতে পারেন না তারা পুজো করেন তাদের দাড়িপাল্লার।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে তারা দেবী গন্ধেশ্বরীর পুজো করে থাকেন। তবে এই সম্প্রদায়ের যে সব ব্যক্তিরা দেবী মূর্তি ব্যয়ভার বহন করতে পারেন না তারা পুজো করেন তাদের দাড়িপাল্লার।
এই দিনে সেই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা বন্ধ রাখেন। কেউ পূজা করেন তাদের দাঁড়িপাল্লা কে কেউবা মূর্তি গড়ে পুজো করেন দেবী গন্ধেশ্বরীর।
এই দিনে সেই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা বন্ধ রাখেন। কেউ পূজা করেন তাদের দাঁড়িপাল্লা কে কেউবা মূর্তি গড়ে পুজো করেন দেবী গন্ধেশ্বরীর।
তবে এক্ষেত্রে দেবী দুর্গার মত তার থাকে না দশ হাত, চার হাত অধিষ্ঠিত দেবীর থাকে না কোন ছেলে মেয়ে। সিংহের ওপর দন্ডায়মান দেবী একাই পুজিত হন। দুদিন ব্যাপী এই পুজো করা হয় বলে জানা যায়। বৈশাখ মাসের বুদ্ধ পূর্ণিমায় দেবীর পুজো শুরু হয়।
তবে এক্ষেত্রে দেবী দুর্গার মত তার থাকে না দশ হাত, চার হাত অধিষ্ঠিত দেবীর থাকে না কোন ছেলে মেয়ে। সিংহের ওপর দন্ডায়মান দেবী একাই পুজিত হন। দুদিন ব্যাপী এই পুজো করা হয় বলে জানা যায়। বৈশাখ মাসের বুদ্ধ পূর্ণিমায় দেবীর পুজো শুরু হয়।
নদিয়ার শান্তিপুরের কাসারি পাড়ার মল্লিক বাড়িতে গত ৬০ বছর ধরে এই পুজোর রীতি চলে আসছে। ঈশ্বর কার্তিক চন্দ্র মল্লিক প্রথম এই পুজো স্থাপন করেন প্রায় ৬০ বছর পূর্বে, প্রথমদিকে দেবী মূর্তির পুজো শুরু করা হলেও পরে বেশ কয়েক বছর নিজেদের দাঁড়িপাল্লাকেই তারা পুজো করে এসেছেন।
নদিয়ার শান্তিপুরের কাসারি পাড়ার মল্লিক বাড়িতে গত ৬০ বছর ধরে এই পুজোর রীতি চলে আসছে। ঈশ্বর কার্তিক চন্দ্র মল্লিক প্রথম এই পুজো স্থাপন করেন প্রায় ৬০ বছর পূর্বে, প্রথমদিকে দেবী মূর্তির পুজো শুরু করা হলেও পরে বেশ কয়েক বছর নিজেদের দাঁড়িপাল্লাকেই তারা পুজো করে এসেছেন।
পুজোর এই দুই দিন নদিয়ার শান্তিপুরের কাসারী পাড়ার মল্লিক বাড়ির সমস্ত সদস্যেরা একত্রিত হয়ে ভক্তি সহকারে পূজার্চনা করেন।
পুজোর এই দুই দিন নদিয়ার শান্তিপুরের কাসারী পাড়ার মল্লিক বাড়ির সমস্ত সদস্যেরা একত্রিত হয়ে ভক্তি সহকারে পূজার্চনা করেন।

Purnima Tithi Rituals: পূর্ণিমা তিথিতে অবশ্যই খান এই শুভ খাবার! ঘরসংসার ভরে থাকবে সম্পদ সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যে

সনাতনী সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উপবাসব্রত পালনের পাশাপাশি আরও নানা আচার অনুষ্ঠান অনুসরণ করা হয়। তৈরি করা হয় বিশেষ খাবার।
সনাতনী সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উপবাসব্রত পালনের পাশাপাশি আরও নানা আচার অনুষ্ঠান অনুসরণ করা হয়। তৈরি করা হয় বিশেষ খাবার।

 

পূর্ণিমা তিথিতে ক্ষীর বা পায়েস বা পরমান্ন তৈরি করা এবং আহার হিসেবে গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নানা প্রান্তে নানা ভাবে তৈরি করা হয় পায়েস।
পূর্ণিমা তিথিতে ক্ষীর বা পায়েস বা পরমান্ন তৈরি করা এবং আহার হিসেবে গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নানা প্রান্তে নানা ভাবে তৈরি করা হয় পায়েস।

 

পূর্ণিমায় পায়েস তৈরি করা হবে এবং খাওয়ার কী মাহাত্ম্য, সে বিষয়ে বলেছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।
পূর্ণিমায় পায়েস তৈরি করা হবে এবং খাওয়ার কী মাহাত্ম্য, সে বিষয়ে বলেছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।

 

প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ণিমা তিথি হল চন্দ্রদেবতার উপাসনার তিথি। চাঁদ বা চন্দ্রদেবতা হলেন শান্তি, বিশুদ্ধতা এবং শুভ্রতার প্রতীক। মনে করা হয়, চন্দ্রদেবতার উপাসনা করলে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায়।
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ণিমা তিথি হল চন্দ্রদেবতার উপাসনার তিথি। চাঁদ বা চন্দ্রদেবতা হলেন শান্তি, বিশুদ্ধতা এবং শুভ্রতার প্রতীক। মনে করা হয়, চন্দ্রদেবতার উপাসনা করলে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায়।

 

পায়েসের শুভ্রতাকে চাঁদের প্রতীক বলে মনে করা হয়। তাছাড়া এই পুণ্যতিথিতে অনেকেই উপবাসব্রত পালন করেন। উপবাসব্রত ভঙ্গ করার জন্য পায়েসের মতো সাত্তিক এবং পুষ্টিকর আহার জুড়িহীন।
পায়েসের শুভ্রতাকে চাঁদের প্রতীক বলে মনে করা হয়। তাছাড়া এই পুণ্যতিথিতে অনেকেই উপবাসব্রত পালন করেন। উপবাসব্রত ভঙ্গ করার জন্য পায়েসের মতো সাত্তিক এবং পুষ্টিকর আহার জুড়িহীন।

 

দিনভর উপবাস ব্রতপালনের পর শারীরিক মানসিক ক্লান্তি আসে। সেখানে পায়েসের মতো খাবার দ্রুত কর্মশক্তি ও পুষ্টিগুণের যোগান দেয়।
দিনভর উপবাস ব্রতপালনের পর শারীরিক মানসিক ক্লান্তি আসে। সেখানে পায়েসের মতো খাবার দ্রুত কর্মশক্তি ও পুষ্টিগুণের যোগান দেয়।

 

পায়েস হল বিশুদ্ধতা এবং পবিত্রতার প্রতীক। তাই পূর্ণিমাতিথি উদযাপনের জন্য এই খাবার আদর্শ।
পায়েস হল বিশুদ্ধতা এবং পবিত্রতার প্রতীক। তাই পূর্ণিমাতিথি উদযাপনের জন্য এই খাবার আদর্শ।

 

ভারতীয় সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের প্রতীক হল পায়েস বা পরমান্ন। এই খাবার যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের অঙ্গ।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের প্রতীক হল পায়েস বা পরমান্ন। এই খাবার যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের অঙ্গ।

Buddha Purnima 2024: ২০০ বছর পর বুদ্ধ পূর্ণিমায় বিরল রাজযোগ! শনির কৃপায় ৩ রাশির সোনায় মুড়বে কপাল, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আয়-উন্নতি, সুখ- সৌভাগ্য তুঙ্গে

প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। আজ হল বুদ্ধ পূর্ণিমা৷বৈশাখ পূর্ণিমা উপবাস এবং স্নান-দানও বুদ্ধ পূর্ণিমায় পালন করা হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই এই দিনটির গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। আজ হল বুদ্ধ পূর্ণিমা৷বৈশাখ পূর্ণিমা উপবাস এবং স্নান-দানও বুদ্ধ পূর্ণিমায় পালন করা হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই এই দিনটির গুরুত্ব রয়েছে।
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে ২২শে মে বিকেল ৫.৪২ মিনিটে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ২৩ মে সন্ধ্যা ৬.৪২ পর্যন্ত। উদয় তিথি অনুসারে, পূর্ণিমা তিথির উপবাস শুধুমাত্র ২৩ মে ,অর্থাৎ আজ পালন করা হবে।
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে ২২শে মে বিকেল ৫.৪২ মিনিটে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ২৩ মে সন্ধ্যা ৬.৪২ পর্যন্ত। উদয় তিথি অনুসারে, পূর্ণিমা তিথির উপবাস শুধুমাত্র ২৩ মে ,অর্থাৎ আজ পালন করা হবে।
২০০ বছর পর এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে একাধিক শুভ যোগ তৈরি হতে চলেছে৷ বুদ্ধ পূর্ণিমায় শনির অবস্থান কয়েকটি রাশির জন্য বেশ শুভ হতে চলেছে৷ ৬ মে নক্ষত্র পরিবর্তন করে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রে প্রবেশ করেছে৷ শনি বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে৷
২০০ বছর পর এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে একাধিক শুভ যোগ তৈরি হতে চলেছে৷ বুদ্ধ পূর্ণিমায় শনির অবস্থান কয়েকটি রাশির জন্য বেশ শুভ হতে চলেছে৷ ৬ মে নক্ষত্র পরিবর্তন করে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রে প্রবেশ করেছে৷ শনি বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে৷
বুদ্ধ পূর্ণিমায় শুভ যোগ ৩ রাশি উপর বিরাট প্রভাব ফেলবে৷ এই  রাশির জাতকরা শনির কৃপায় বিরাট ধন-সম্পদ লাভের সুযোগ পাবেন৷ কোন কোন রাশি রয়েছে সেই তালিকায়৷ জেনে নিন আপনিও আছেন কিনা৷
তগম বুদ্ধ পূর্ণিমায় শুভ যোগ ৩ রাশি উপর বিরাট প্রভাব ফেলবে৷ এই রাশির জাতকরা শনির কৃপায় বিরাট ধন-সম্পদ লাভের সুযোগ পাবেন৷ কোন কোন রাশি রয়েছে সেই তালিকায়৷ জেনে নিন আপনিও আছেন কিনা৷

Buddha Purnima 2024: বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ পুজোর পর শোভাযাত্রা, ভুটানে পর্যটকের ঢল

প্রতিবেশী দেশ ভুটান সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল বুদ্ধ পূর্ণিমা
প্রতিবেশী দেশ ভুটান সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল বুদ্ধ পূর্ণিমা
এদিন ভুটানের ফুন্টশোলিং এলাকার গুম্ফা থেকে বের হয় সুসজ্জিত শোভাযাত্রা...
এদিন ভুটানের ফুন্টশোলিং এলাকার গুম্ফা থেকে বের হয় সুসজ্জিত শোভাযাত্রা…
ভুটানের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পোশাক পরে মহিলা ও পুরুষরা হাঁটেন শোভাযাত্রায়
ভুটানের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পোশাক পরে মহিলা ও পুরুষরা হাঁটেন শোভাযাত্রায়
এই শোভাযাত্রা দেখতে ব্যাপক ভিড় করে সাধারণ মানুষ
এই এই শোভাযাত্রা দেখতে ব্যাপক ভিড় করে সাধারণ মানুষ
ভুটানের ফুন্টশোলিং-এ অবস্থিত বুদ্ধ গুম্ফায় দেখা যায় পর্যটকদের ভিড়, আপনাদের জন্য রইল সেই দৃশ্য
ভুটানের ফুন্টশোলিং-এ অবস্থিত বুদ্ধ গুম্ফায় দেখা যায় পর্যটকদের ভিড়, আপনাদের জন্য রইল সেই দৃশ্য

Buddha Purnima: জীবনের সব বাধা কাটবে, অর্থাভাব দূর হবে, বুদ্ধ পূর্ণমার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে এই ৫টি জিনিস দান করুন

বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, ভগবান বুদ্ধ বোধগয়ায় জ্ঞানলাভ করেছিলেন৷ তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, সারা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী লোকেরা বোধগয়ায় পৌঁছে বোধিবৃক্ষের পুজো করে।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, ভগবান বুদ্ধ বোধগয়ায় জ্ঞানলাভ করেছিলেন৷ তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, সারা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী লোকেরা বোধগয়ায় পৌঁছে বোধিবৃক্ষের পুজো করে।
এই পূর্ণিমার দিনে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে কিছু জিনিস উৎসর্গ করলে অপার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পূর্বপুরুষরা খুশি হয়ে আশীর্বাদ দেন বলে বিশ্বাস। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করে অভাবীদের দান করুন।
এই পূর্ণিমার দিনে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে কিছু জিনিস উৎসর্গ করলে অপার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পূর্বপুরুষরা খুশি হয়ে আশীর্বাদ দেন বলে বিশ্বাস। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করে অভাবীদের দান করুন।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় একটি পাখা, একটি মাটির পাত্র ভর্তি জল, হলুদ কাপড়, চপ্পল, ছাতা, শস্য, ফল দান করা খুবই উপকারী। এছাড়াও দেব-দেবীর আশীর্বাদ রয়েছে।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় একটি পাখা, একটি মাটির পাত্র ভর্তি জল, হলুদ কাপড়, চপ্পল, ছাতা, শস্য, ফল দান করা খুবই উপকারী। এছাড়াও দেব-দেবীর আশীর্বাদ রয়েছে।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দান করার পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু, মা লক্ষ্মী এবং তুলসীজিরও পুজা করুন। এছাড়াও ভগবান বুদ্ধের উপাসনা করুন। ভগবানকে খাবার অর্পণ করুন।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দান করার পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু, মা লক্ষ্মী এবং তুলসীজিরও পুজা করুন। এছাড়াও ভগবান বুদ্ধের উপাসনা করুন। ভগবানকে খাবার অর্পণ করুন।
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা নদীতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে বাড়িতে গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান করুন। এতে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ আসবে। Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা নদীতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে বাড়িতে গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান করুন। এতে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ আসবে। Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷

Vaishakh Purnima 2024: বৈশাখ পূর্ণিমায় দুর্লভ শুভ যোগ! মা লক্ষ্মীর কৃপায় চমকাবে ভাগ্য, দু-হাত ভরে আসবে টাকা! ধন-সম্পদ বাড়াতে করুন ‘এই’ প্রতিকার

বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে দান ও ধর্মীয় কাজ করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। বৈশাখ পূর্ণিমা বুদ্ধ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।  বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা এই দিনটিকে উৎসব হিসেবে পালন করে। বিশ্বাস অনুসারে, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বাড়িতে কিছু বিশেষ জিনিস আনা খুবই শুভ।
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে দান ও ধর্মীয় কাজ করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। বৈশাখ পূর্ণিমা বুদ্ধ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা এই দিনটিকে উৎসব হিসেবে পালন করে। বিশ্বাস অনুসারে, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বাড়িতে কিছু বিশেষ জিনিস আনা খুবই শুভ।
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হতে যাচ্ছে ২২শে মে বিকেল ৫.৪২ মিনিটে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে পরের দিন অর্থাৎ ২৩ মে সন্ধ্যা ৬.৪২ পর্যন্ত। উদয় তিথি অনুসারে, পূর্ণিমা তিথির উপবাস শুধুমাত্র ২৩ মে পালন করা হবে।
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হতে যাচ্ছে ২২শে মে বিকেল ৫.৪২ মিনিটে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে পরের দিন অর্থাৎ ২৩ মে সন্ধ্যা ৬.৪২ পর্যন্ত। উদয় তিথি অনুসারে, পূর্ণিমা তিথির উপবাস শুধুমাত্র ২৩ মে পালন করা হবে।
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে ভগবান বুদ্ধের মূর্তি বাড়িতে নিয়ে আসুন। কারণ ফেং শুই অনুসারে, এটি বাড়িতে সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই এই দিনে অবশ্যই ভগবান বুদ্ধের মূর্তি আনুন। এতে সুখ-সম্পদ-সৌভাগ্য বৃদ্ধি হবে৷
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে ভগবান বুদ্ধের মূর্তি বাড়িতে নিয়ে আসুন। কারণ ফেং শুই অনুসারে, এটি বাড়িতে সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই এই দিনে অবশ্যই ভগবান বুদ্ধের মূর্তি আনুন। এতে সুখ-সম্পদ-সৌভাগ্য বৃদ্ধি হবে৷
শ্রী যন্ত্রে দেবী লক্ষ্মীকে বাস করা হয়, তাই বৈশাখ পূর্ণিমার শুভ তিথিতে শ্রী যন্ত্র বাড়িতে আনলে ধন-সম্পদ উপচে পড়বে সংসারে৷
শ্রী যন্ত্রে দেবী লক্ষ্মীকে বাস করা হয়, তাই বৈশাখ পূর্ণিমার শুভ তিথিতে শ্রী যন্ত্র বাড়িতে আনলে ধন-সম্পদ উপচে পড়বে সংসারে৷!
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন একটি পিতলের হাতি বাড়িতে আনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন একটি পিতলের হাতি বাড়িতে আনা হলে তা ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর করে এবং পরিবারে শান্তি, ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি আসে।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন একটি পিতলের হাতি বাড়িতে আনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন একটি পিতলের হাতি বাড়িতে আনা হলে তা ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর করে এবং পরিবারে শান্তি, ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি আসে।
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনেও বাড়িতে সোনা বা রৌপ্য মুদ্রা আনলে দেবী লক্ষ্মী খুব খুশি হন। বিশ্বাস অনুসারে, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে একটি রৌপ্য মুদ্রা ঘরে আনলে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনেও বাড়িতে সোনা বা রৌপ্য মুদ্রা আনলে দেবী লক্ষ্মী খুব খুশি হন। বিশ্বাস অনুসারে, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে একটি রৌপ্য মুদ্রা ঘরে আনলে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

Buddha Purnima 2024: বুদ্ধ পূর্ণিমায় অতি বিরল যোগ! এ বছর কবে পড়েছে? জানুন শুভ মুহূর্ত, তিথি ও দিনক্ষণ

প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। বৈশাখ পূর্ণিমা উপবাস এবং স্নান-দানও বুদ্ধ পূর্ণিমায় পালন করা হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই এই দিনটির গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। বৈশাখ পূর্ণিমা উপবাস এবং স্নান-দানও বুদ্ধ পূর্ণিমায় পালন করা হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই এই দিনটির গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। বৈশাখ পূর্ণিমা উপবাস এবং স্নান-দানও বুদ্ধ পূর্ণিমায় পালন করা হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই এই দিনটির গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। বৈশাখ পূর্ণিমা উপবাস এবং স্নান-দানও বুদ্ধ পূর্ণিমায় পালন করা হয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই এই দিনটির গুরুত্ব রয়েছে।
বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে বুধবার, ২২ মে সন্ধ্যা ০৬:৪৭ মিনিটে এবং ২৩ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:২২ মিনিটে শেষ হবে।
বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে বুধবার, ২২ মে সন্ধ্যা ০৬:৪৭ মিনিটে এবং ২৩ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:২২ মিনিটে শেষ হবে।
 এমন পরিস্থিতিতে উদয়তিথির ভিত্তিতে বৈশাখ পূর্ণিমা ২৩মে, তাই বুদ্ধ পূর্ণিমাও ২৩মে পালিত হবে। বৌদ্ধ ধর্মে বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে উদয়তিথির ভিত্তিতে বৈশাখ পূর্ণিমা ২৩মে, তাই বুদ্ধ পূর্ণিমাও ২৩মে পালিত হবে। বৌদ্ধ ধর্মে বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
 এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে ভগবান বুদ্ধের ২৫৮৬-তম জন্মবার্ষিকী। এবছর বুদ্ধ পূর্ণিমায় ৩ টি শুভ যোগ গঠিত হচ্ছে এবং ভাদ্র বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে পরিঘা যোগ, শিব যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ গঠিত হচ্ছে।
এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে ভগবান বুদ্ধের ২৫৮৬-তম জন্মবার্ষিকী। এবছর বুদ্ধ পূর্ণিমায় ৩ টি শুভ যোগ গঠিত হচ্ছে এবং ভাদ্র বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে পরিঘা যোগ, শিব যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ গঠিত হচ্ছে।