তারাপীঠ মহাশ্মশানের ভয়ঙ্কর অবস্থা!

Tarapith: তারাপীঠ মহাশ্মশানের ভয়ঙ্কর অবস্থা! বন্ধ হয়ে গেল ইলেকট্রিক চুল্লি! আতঙ্কের প্রহর গুণছে বীরভূম

বীরভূম: তিনদিনের একটানা ভারী বর্ষণের কারণে কোপাই নদীর জল আরও বেড়ে উঠেছে৷ যার ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে৷ অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের জেরে সতীপীঠ কঙ্কালীতলা জলমগ্ন, বন্ধ হয়ে গেল কঙ্কালী মায়ের পুজো মন্দির। পাশেই শিব মন্দিরে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছে পুজোর। মন্দিরের মধ্যে কোনভাবেই প্রবেশ করা যাচ্ছে না আর তার কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুজোর কাজ। গত মাসেও ভারী বর্ষণের কারণে একই অবস্থা হয়েছিল কঙ্কালীতলায়। এছাড়াও কোপাই নদীর জল বেড়ে বেশ কিছু গ্রাম ও জলমগ্ন হয়েছে এবং গোয়ালপাড়া থেকে সিউড়ি যাওয়ার যে রাস্তা সেই রাস্তার ব্রিজের উপর জল উঠে গেছে কোপাই নদীর তার কারণে ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনদিনের ভারী বর্ষণে দ্বারকা নদে জল বেড়ে গেছে৷ অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন তারাপীঠ মহাশ্মশান, বন্ধ হল ইলেকট্রিক চুল্লি৷ অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের জেরে একাধিক বাড়িও ভেঙে পড়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাংটে গ্রাম-সহ আশেপাশের একাধিক গ্রামে। তাতেই বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে ভেঙেছে কামারডাঙ্গাল গ্রামের কাছে বক্রেশ্বর নদীর ব্রিজ। যাতায়াত বন্ধ বেশ কয়েকটি গ্রামের। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিউড়ির সঙ্গে।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

পাশাপাশি জল বেড়েছে চন্দ্রভাগা নদীতেও। ব্রিজের ওপর দিয়ে বইছে জল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিভিন্ন সেচ ক্যানেলগুলিতেও বেড়েছে জলস্তর। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের মাঝি গ্রামের কাছে পি এইচ ই দফতরের মেশিন রুমে ঢুকল জল৷ অন্যদিকে সিউড়ি থেকে কোমা গ্রাম যাওয়ার রাস্তায় লবাগানের কাছে ব্রিজ জলের তলায়। সেখানে রাস্তা বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তারাপীঠ এলাকায় হোটেল গুলোতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে৷

আরও পড়ুন-   ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! বৃহস্পতি-চন্দ্রর মহামিলনে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৪ রাশির, গজকেশরী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ভাগ্য…

বীরভূমের অজয় নদী জয়দেব ফেরিঘাট জলের তোরে ভেঙে গেল। এর আগেও ভারী বর্ষণের কারণে এই ফেরিঘাটটি ভেঙে গেছিল , ফের আবারও ভাঙল ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাট দিয়ে দ্রুত বীরভূম থেকে দুর্গাপুরে যাওয়া যেত আর ফেরিঘাটে যাওয়া যাবে না ওই রাস্তা দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরিঘাট। ইলামবাজার হয়ে ঘুরে যেতে হবে সাধারণ মানুষকে দুর্গাপুর। প্রসঙ্গত এর আগেও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ভেঙে গেছিল অজয় নদীর জল বেড়ে পুনরায় মেরামত করে চালু করা হয়েছিল ফেরিঘাট তা আবারও আজ ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হল।

অক্ষয় ধীবর