চা পাতা

Tea Industry: টানা বৃষ্টিতে আবার সবুজ চা বাগান, মুখে হাসি মালিক থেকে শ্রমিকদের

আলিপুরদুয়ার: বৃষ্টি শুরু হতেই প্রাণ ফিরে পেল চা বাগান। গরমের কারণে শুকিয়ে যাওয়া চায়ের পাতা আবার ধীরে ধীরে সতেজ হয়ে উঠছে। ফলে খুশির হাওয়া ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে।

এবারের গ্রীষ্মকালে যে অস্বাভাবিক টানা গরম পড়েছিল তা অতীতে ডুয়ার্সে দেখা যায়নি। সবুজে ঘেরা ডুয়ার্সের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। এই গরমে টেকা দায় হয়ে পড়েছিল সকলের। সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছিল চা শিল্পে। এই বিপুল গরমের কারণে শুকিয়ে যেতে শুরু করে চা পাতা। ফলে ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল চা বাগানগুলোর উৎপাদন। চা গাছে জল দেওয়ার সময় বাড়িয়েও লাভ হচ্ছিল না। এর ফলে চা শিল্প আর বাঁচবে না ধরেই নিয়েছিলেন শ্রমিক থেকে শুরু করে মালিকপক্ষ।

আরও পড়ুন: মডেল বুথে বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে গ্রাম বাংলা, হরেক থিমের ছড়াছড়ি

তবে গত দু-তিনদিনের প্রবল বৃষ্টিতে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। চা গাছের গোড়ায় যে জল দাঁড়ানো দরকার ছিল তা জমেছে। অর্থাৎ দেড় ইঞ্চি জল জমেছে। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে রাজাভাতখাওয়া চা বাগানের ম্যানেজার জানান, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চা বাগানে বিপুল পরিমানে লোকসান হয়েছে। তবে কিছুটা হলেও সেই লোকসান কমবে বৃষ্টি হওয়ার কারণে। চা পাতা উৎপাদনে ৬০% লোকসান হয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পি কে পান্ডে। তিনি জানান, চা গাছ সংরক্ষণের জন্য আদ্র আবহাওয়ার প্রয়োজন। ফার্স্ট ফ্লাসে বৃষ্টি হয়নি। যার ফলে বাজারে এই চা পাতা দেওয়াও সম্ভব হয়নি। এখন যেমন বৃষ্টি পড়ছে। এই বৃষ্টি টানা চললে চা পাতার জন্য সুবিধা হবে।

অনন্যা দে