গাছের নীচে চলছে পাঠশালা

Teachers Day: আদিবাসী শিশুদের নিয়ে গাছতলায় পাঠশালা, যেন কবিগুরুর শান্তিনিকেতন!

মুর্শিদাবাদ: শান্তিনিকেতনের আদলে প্রত্যন্ত গ্রামে আদিবাসী শিশুদের নিয়ে গাছের নিচে পাঠশালা চালাচ্ছেন এই যুবক। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের শ্যামলাপুর গ্রামে অংশুমান ঠাকুরের কাজে কুর্নিশ করছেন সকলেই।

অংশুমান ঠাকুর নিজে একজন কলেজ শিক্ষক। ফরাক্কা সহ পার্শবর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে কিছু শিশু এখানে পড়াশোনা করতে আসে। তবে চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, এই গাছের নীচে চলে তাঁর পাঠশালা। তবে এই পাঠশালায় শুধু পড়ানো হয় না। পড়ানোর পাশাপাশি হাতের কাজও শেখানো হয় পড়ুয়াদের। যেমন মাটির মূর্তি তৈরি করা, গাছের পাতা দিয়ে রাখি, আঁকা ও নাচ শেখানো হয়। যাতে শিশুরা আগামী দিনে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: ফুটবল খেলে ফেরা হল না বাড়ি, হাতির আক্রমণে রাস্তাতেই মৃত্যু যুবকের

অংশুমান ও বাকি সদস্যরা নিজের টাকা ও অনুদানের টাকায় এই শিশুদের খাবার বন্দোবস্ত করে থাকেন। কিন্তু আদিবাসী গ্রামে এইরকম একটা পাঠশালা চালানো খুবই চ্যালেঞ্জের কাজ। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের কাছে নেই কোনও স্কুল। তবুও গাছের নীচে পাঠশালা চালিয়ে যাচ্ছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। অংশুমান ঠাকুর জানান, তিনি এক সময় শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেছেন। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার যেটুকু ধারণা সেই ভাবনাকেই এই পাঠশালা করার চেষ্ঠা করছি। ২০২১ সালে বাংলা এবং ঝাড়খন্ডের সীমান্তবর্তী একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গাছের নীচে পাঠশালা তৈরি করেন। মোট ১০৫ জন শিশু ও ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এই স্কুল চলে।

কৌশিক অধিকারী