Tag Archives: Teachers Day

Teachers Day 2024: শিক্ষকের হাতে বেতের মার খেতেই এই দিনে স্কুলে হাজির হন প্রাক্তনীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: শিক্ষক দিবসে প্রাক্তন শিক্ষক-ছাত্রদের চেনা ক্লাসরুমে ফেরাল স্কুল। এ যেন আরও একবার স্কুল জীবনে ফিরল প্রাক্তন ছাত্ররা। সেই চেনা স্কুল, সেই শিক্ষকই যিনি এক সময় স্কুলে পড়িয়েছিলেন।

কবে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সবাই এখন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কিন্তু স্কুলের উদ্যোগে প্রাক্তন ছাত্ররা সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাসরুমে একই বেঞ্চে বসে ক্লাস করলেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক যাদের কাছে এক সময়ে পড়াশোনা করেছিলেন, এই শিক্ষকের কাছে আরওএকবার পুরনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে আশীর্বাদ স্বরূপ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সামনে আরওএকবার হাত বাড়িয়ে দিলেন বেত্রাঘাত খাওয়ার জন্য। এই বেত্রাঘাতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভালোবাসার, স্নেহের পরশ। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার মালতীপুর হাইস্কুলের ঘটনা। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এদিন অভিনব স্মৃতিচারণ ধরা পড়ল।

আরও পড়ুন: আগুন কেড়ে নিল উপার্জনের শেষ রাস্তা, সামান্য পুঁজিও চুরি! সব হারিয়ে দিশেহারা দম্পতি

স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র- শিক্ষকের স্মৃতিচারণকে আরওএকবার উসকে দিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে স্কুলে ক্লাস করার সুযোগ করে দিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শ্রেণিকক্ষে প্রাক্তন ছাত্র গদগদ ভাবে হাতটি বাড়িয়ে দিলেন প্রবীণ শিক্ষকের কাছে। শিক্ষকের কাছে আবেদন,স্যার আমাকে একটু মারুন। এ যেন সেই শৈশবের স্মৃতিচারণ। শিক্ষক মহাশয় কঁপা কাঁপা হাতে ছাত্রের হাতে ভালোবাসা, স্নেহের স্পর্শে ভরিয়ে দিলেন। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ আলম জানান, বর্তমান স্কুলে প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষকদের স্কুলকে স্মৃতি মধুর করে তুলতে আমাদের এই প্রয়াস।

জুলফিকার মোল্যা

Teachers Day 2024: শিক্ষক দিবসে দেওয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতায় আরজিকর ও হাতি হত্যার প্রতিফলন

ঝাড়গ্রাম: রাজ্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া দুটি নারকীয় ঘটনায় প্রতিবাদ চলছে রাজ্য ও দেশজুড়ে। এবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানেও দেখা গেল সেই প্রতিবাদের ভাষা। ঝাড়গ্রাম ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের নিয়ে একটি দেওয়াল পত্রিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর জি করের ঘটনা এবং ঝাড়গ্রামে স্ত্রী হাতিকে জ্বলন্ত শলাকা বিদ্ধ করে খুনেরঘটনাকে সামনে রেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং নারী সুরক্ষা ও সচেতনতার ওপর দেওয়াল পত্রিকার প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: এবার সুন্দরবনের পার্কে দেখা মিলবে ডাইনোসরের! কোথায় জানুন

পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য শ্রেণী ভিত্তিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ উপর দেওয়াল পত্রিকার প্রতিযোগিতা হয়। যেখানে ছাত্রীরা স্বাধীনতা দিবসের দিন ঝাড়গ্রাম শহরে জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ করে একটি স্ত্রী হাতিকে যেভাবে খুন করা হয়েছে সেই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে তারা। তার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের গুরুত্ব এবং তাদেরকে কিভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব তাও তারা দেওয়াল পত্রিকার মধ্য দিয়ে সকলের কাছে তুলে ধরেছে। অপরদিকে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা নারী সুরক্ষা ও সচেতনতার উপর দেওয়াল পত্রিকা তৈরি করেছে। যেখানে তারা একজন নারী চিকিৎসককে কোথাও কালী কোথাও আবার দুর্গার রূপে ফুটিয়ে তুলেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের কাজ এবং ভূমিকা সকলের কাছে তুলে ধরেছে তারা। নারীরা কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত করবে তাও দেওয়াল পত্রিকার মধ্য দিয়ে বার্তা দিয়েছে ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

ঝাড়গ্রামের সাংসদ কালীপদ সরেন বলেন, দুটি ঘটনায় নিন্দনীয়। আমি চাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্য সরকার ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। ঝাড়গ্রাম ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন বলেন, আর জি কর মেডিকেল কলেজে এবং ঝাড়গ্রামের যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই নিন্দনীয়। এই দুটি ঘটনায় আমাদের জনজীবন থেকে শুরু করে ছাত্রীদের উপর প্রভাব ফেলেছে।আমরা সর্বদা চাইবো ছাত্রীরা বড় হয়ে সমাজ সচেতক একজন নাগরিক হয়ে উঠুক।

বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান এবং দেওয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কালীপদ সরেন। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের ডিআই শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা।

বুদ্ধদেব বেরা

Basanti Polao In Mid Day Meal: ভাত-ডাল-সবজি ভ্যানিশ…? মিড ডে মিলে বিরাট সারপ্রাইজ! বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষা! দেখেই ‘থ’ ছাত্র-ছাত্রীরা!

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভাত, ডাল, সবজি নিদেন পক্ষে কোনও অনুষ্ঠানে মাংস-ভাত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে পরিচিত খাবার। কিন্তু সেই মিড-ডে মিলের সাদামাটা মেন্যুতে যদি থাকে বাসন্তী পোলাও আর চিকেন কষা? তবে তো আর কোনও কথাই নেই। ছাত্রছাত্রীদের আবদার মেনে, এবার তাদের মিড ডে মিলে খাওয়ানো হল বাসন্তী পোলাও আর চিকেন কষা।

ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছে ছিল স্কুলে ভাত, ডাল, সবজির বদলে অন্য কোনও খাবার হোক। সকলের আবদার মিটিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকারা। শিক্ষক দিবসের দিন বিদ্যালয়ে হল এই পড়ুয়াদের পছন্দের পদ।

বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকায় নেই বাসন্তী পোলাও আর মাংসের মতো সুস্বাদু খাবার। প্রতিদিনই একঘেঁয়ে ডাল, ভাত, চচ্চড়ির স্বাদ বদলে শিক্ষক দিবসের দিন প্রায় শতাধিক পড়ুয়াকে বাসন্তী পোলাওয়ের সঙ্গে চিকেন কষা করে খাওয়ালেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় রাজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পাত পেড়ে তৃপ্তি করে খেল বাসন্তী পোলাও, সঙ্গে ছিল চিকেন কষা ও রসগোল্লা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ছিল শিক্ষক দিবস। এই শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আর এই অনুষ্ঠান শেষে বাসন্তী পোলাও খেয়ে খুশি পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের সামান্য পুঁজিতে বাসন্তী পোলাও কিংবা মাংস, মিষ্টি -সহ এই ধরনের রাজকীয় খাবার ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো প্রায় অসম্ভব। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের কাছে আবদার করেছিল ভিন্ন স্বাদের কিছু খাওয়ানোর জন্য। তাই শিক্ষক দিবসের দিন সারপ্রাইজ দিয়েছেন তাদের প্রিয় শিক্ষকেরা। আর এতে বেজায় খুশি পড়ুয়া ব্রিগেড।

এদিন শিক্ষক দিবস পালনের অনুষ্ঠান হয়েছে। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। শিক্ষকেরা দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগড় চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শংকর সিং। তিনিও শিক্ষক দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন পড়ুয়াদের সামনে। গতবছর এই স্কুল গতানুগতিকার বাইরে চিকেন বিরিয়ানি খাইয়েছিল পড়ুয়াদের। এবারে পড়ত বাসন্তী পোলাও ও চিকেন কষা। জমিয়ে খেয়েছে খুদে পড়ুয়ারা। আনন্দে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেছে এদিন।

রঞ্জন চন্দ

Teachers’ Day 2024 : মিড ডে মিলে পাতে ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা! ৭৬ পড়ুয়ার জন্মদিন পালন…‘শিক্ষক দিবসে’ নজির গড়ল এই প্রাইমারি স্কুল

দক্ষিণ ২৪ পরগণা: শিক্ষক দিবস উপলক্ষে স্কুলে উদযাপন হল ইলিশ উৎসবের। সেইসঙ্গেই ৭৬ জন ছাত্রছাত্রীর জন্মদিন পালন করা হল। ফলতার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে পড়ল ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা।

৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস পালন করা হল বিশেষভাবে।

আরও পড়ুন: পুষ্টির ভাণ্ডার, ভিটামিনে ঠাসা, করে হজম, কমায় বাড়তি ওজন, তবু কাদের খাওয়া বারণ পেঁপে? ভুল করবেন না, এখনই জানুন

বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় অভিনব উদ্যোগ। মিড ডে মিলে ছাত্রছাত্রীরা পেট পুরে খেল ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, শিক্ষক দিবস উদযাপন করতেই স্কুলে ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা হয় যেখানে মিড ডে মিলের খাবারে ছাত্র-ছাত্রীদের কে খাওয়ানো হয় ইলিশভাজা এবং ইলিশের ভাপা।

আরও পড়ুন: ATM কার্ড ছাড়াই দিব‍্যি তোলা যাবে ক‍্যাশ টাকা! শুধু ফোন থাকলেই…কীভাবে হাতে পাবেন কড়কড়ে নোট? ৯৯% লোকজনই জানেন না

পাশাপাশি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় সেপ্টেম্বর মাসে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্মদিন তার সংখ্যাটা প্রায় ৭৬ জন। শিক্ষক দিবসের দিনই ৭৬ জন ছাত্র ছাত্রীর জন্মদিনও পালন করা হয়। ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবসে ইলিশ উৎসব উদযাপনে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা।

আনিশ উদ্দিন মোল্লা

Teachers Day: আদিবাসী শিশুদের নিয়ে গাছতলায় পাঠশালা, যেন কবিগুরুর শান্তিনিকেতন!

মুর্শিদাবাদ: শান্তিনিকেতনের আদলে প্রত্যন্ত গ্রামে আদিবাসী শিশুদের নিয়ে গাছের নিচে পাঠশালা চালাচ্ছেন এই যুবক। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের শ্যামলাপুর গ্রামে অংশুমান ঠাকুরের কাজে কুর্নিশ করছেন সকলেই।

অংশুমান ঠাকুর নিজে একজন কলেজ শিক্ষক। ফরাক্কা সহ পার্শবর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে কিছু শিশু এখানে পড়াশোনা করতে আসে। তবে চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, এই গাছের নীচে চলে তাঁর পাঠশালা। তবে এই পাঠশালায় শুধু পড়ানো হয় না। পড়ানোর পাশাপাশি হাতের কাজও শেখানো হয় পড়ুয়াদের। যেমন মাটির মূর্তি তৈরি করা, গাছের পাতা দিয়ে রাখি, আঁকা ও নাচ শেখানো হয়। যাতে শিশুরা আগামী দিনে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: ফুটবল খেলে ফেরা হল না বাড়ি, হাতির আক্রমণে রাস্তাতেই মৃত্যু যুবকের

অংশুমান ও বাকি সদস্যরা নিজের টাকা ও অনুদানের টাকায় এই শিশুদের খাবার বন্দোবস্ত করে থাকেন। কিন্তু আদিবাসী গ্রামে এইরকম একটা পাঠশালা চালানো খুবই চ্যালেঞ্জের কাজ। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের কাছে নেই কোনও স্কুল। তবুও গাছের নীচে পাঠশালা চালিয়ে যাচ্ছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। অংশুমান ঠাকুর জানান, তিনি এক সময় শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেছেন। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার যেটুকু ধারণা সেই ভাবনাকেই এই পাঠশালা করার চেষ্ঠা করছি। ২০২১ সালে বাংলা এবং ঝাড়খন্ডের সীমান্তবর্তী একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গাছের নীচে পাঠশালা তৈরি করেন। মোট ১০৫ জন শিশু ও ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এই স্কুল চলে।

কৌশিক অধিকারী

Teachers Day 2024: বয়সের ভারে অবশেষে বন্ধ বর্ধমানের ২ টাকার পাঠশালা!

পূর্ব বর্ধমান: একসময় ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ে গমগম করা উঠোন আজ নীরব। বয়সের অনিবার্য প্রভাবে স্তব্ধ সদাই ফকিরের পাঠশালা। মন খারাপ দু’টাকার মাষ্টারমশাইয়ের। পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা এই শিক্ষকের কর্মজীবন রীতিমত অবাক করার মত।

জেলার আউশগ্রামের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা বছর আশির সুজিত চট্টোপাধ্যায়। যিনি পেশায় একজন অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। বছরের পর বছর ধরে এই ব্যক্তি যুক্ত থেকেছেন শিক্ষকতায়। দীর্ঘ চল্লিশ বছর শিক্ষকতা করেছেন রামনগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০০৪ সালে অবসর নেন তিনি। কিন্তু অবসর নিলেও ছেদ পড়েনি তাঁর শিক্ষকতায়। কেবল মাত্র ছাত্রদের কথা ভেবে শুরু করেন টিউশনি পড়ানো। সরকারি বিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পরেও চলতে থাকে ছাত্রদরদী এই শিক্ষকের শিক্ষকতা।

আরও পড়ুন: ফুটবল খেলে ফেরা হল না বাড়ি, হাতির আক্রমণে রাস্তাতেই মৃত্যু যুবকের

সদাই ফকিরের পাঠশালা নামে একটি পাঠশালা খুলে ছাত্র পড়ানো শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যুক্ত ছিলেন সেই কাজে। কিন্তু বয়সের ভারে আজ বন্ধ সেই পাঠশালা। ইচ্ছা থাকলেও বয়স আর সঙ্গ দেয় না। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে তাঁকে বন্ধ করতে হয়েছে পাঠশালা। অথচ এক সময়ে কার্যত সারাদিন বাড়ির উঠোনে পড়ুয়াদের আনাগোনা লেগেই থাকত। কিন্তু সেই উঠোন আজ ফাঁকা। সুজিত বাবুর কথায়, ওদের কষ্ট হয় বুঝতে পারি। কিন্তু আমার আর কিছু করার নেই।

এই প্রসঙ্গে অশীতিপর প্রবীণ শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত বছর অবধি পড়িয়েছি। কিন্তু এই বছর থেকে পড়ানো বন্ধ করেছি। শরীর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়তে লাগল। বাড়ির লোকেরাও বারণ করল। সেই জন্য আমি পড়ানো বন্ধ করেছি। তবে এখনও অনেকেই খবর নিতে আসে। পড়ানোর জন্য বলতে আসে। কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আমি আর পড়াতে পারি না। আমারও খারাপ লাগে।

আগে সকাল, দুপুর এবং রাত মিলিয়ে প্রায় হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী পড়তে আসত এই পাঠশালায়। গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে তাঁর পাঠশালার বাৎসরিক বেতন ছিল মাত্র ২ টাকা! এই কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার।

২০২১ সালে তাঁর হাতে পদ্মশ্রী পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।আসলে সুজিতবাবুর কাছে শিক্ষকতা কেবল তাঁর পেশা নয়, এটি তার নেশাও বটে। শিক্ষকতার পাশাপাশি সুজিত বাবু অবদান রেখেছেন সামাজিক অন্যান্য কাজেও। মূলত পেনশনের টাকা থেকেই সামাজিক নানান কাজকর্ম করেছেন সুজিত চট্টোপাধ্যায়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Teacher’s Day 2024: সারা বিশ্বে ৫ অক্টোবর, কিন্তু ভারতে কেন ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন হয়? জেনে নিন আসল সত‍্য

বিশ্ব আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ অক্টোবর, কিন্তু ভারতে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। সারাদেশে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এইদিনে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ‍্যমে উদযাপন করা হয় শিক্ষক দিবস।
বিশ্ব আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ অক্টোবর, কিন্তু ভারতে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। সারাদেশে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এইদিনে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ‍্যমে উদযাপন করা হয় শিক্ষক দিবস।
যদিও ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় শিক্ষকদের মর্যাদা সম্পর্কিত সুপারিশ স্মরণে ৫ অক্টোবরকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাহলে ভারতে শিক্ষক দিবস কেন অন‍্যদিন পালিত হয়? প্রশ্ন সকলের মনে।
যদিও ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় শিক্ষকদের মর্যাদা সম্পর্কিত সুপারিশ স্মরণে ৫ অক্টোবরকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাহলে ভারতে শিক্ষক দিবস কেন অন‍্যদিন পালিত হয়? প্রশ্ন সকলের মনে।
ভারতের শিক্ষক দিবস স্বাধীন ভারতের প্রথম সহ-রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে পালন করা হয়। একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত, দার্শনিক, এবং ভারতরত্ন প্রাপক, ডঃ রাধাকৃষ্ণান ৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রাধাকৃষ্ণান চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
ভারতের শিক্ষক দিবস স্বাধীন ভারতের প্রথম সহ-রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে পালন করা হয়। একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত, দার্শনিক, এবং ভারতরত্ন প্রাপক, ডঃ রাধাকৃষ্ণান ৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রাধাকৃষ্ণান চেন্নাইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
 তিনি অন্ধ্র প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সহ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১০ বছর পর, ১৯৬২ সালে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হন রাধাকৃষ্ণান।
তিনি অন্ধ্র প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সহ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১০ বছর পর, ১৯৬২ সালে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হন রাধাকৃষ্ণান।
১৯৬২ সালে, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর, তাঁর ছাত্ররা তাঁর জন্মদিন উদযাপনের অনুমতি চেয়ে অনুরোধ করেন। তিনিই তাঁদের এইদিনকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করতে বলেছিলেন, তাঁর কথায় “আমার জন্মদিনকে আলাদাভাবে পালন করার পরিবর্তে, যদি ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয় তবে এটি আমি বেশি আনন্দ পাবো”।
১৯৬২ সালে, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর, তাঁর ছাত্ররা তাঁর জন্মদিন উদযাপনের অনুমতি চেয়ে অনুরোধ করেন। তিনিই তাঁদের এইদিনকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করতে বলেছিলেন, তাঁর কথায় “আমার জন্মদিনকে আলাদাভাবে পালন করার পরিবর্তে, যদি ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয় তবে এটি আমি বেশি আনন্দ পাবো”।
তাই, বিশ্বব্যাপী শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর পালিত হলেও, ভারতে ১৯৬২ সাল থেকে ৫ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হয় শিক্ষক দিবস।
তাই, বিশ্বব্যাপী শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর পালিত হলেও, ভারতে ১৯৬২ সাল থেকে ৫ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হয় শিক্ষক দিবস।

Tab allowance for students: পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের! কী পদক্ষেপ সরকারের?

কলকাতা: ট্যাবলেট কেনার জন্য প্রতিবারই পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। প্রতি বার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এই পরিমাণ টাকা দেয় রাজ্য, এবার ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাবের টাকা দেওয়ার কর্মসূচি স্থগিত রাখল সরকার।

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে ব্যাপক প্রভাব, এক ধাক্কায় কমল রোগীর ভর্তির পরিমাণ এবং অস্ত্রোপচারের সংখ্যা

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ট্যাবের টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। মূলত একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। রাজ্যের মোট ১২ লক্ষ পড়ুয়ার এবার ট্য়াবের টাকা পাওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের থেকে। এতে পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়ে লাভবান হতেন পড়ুয়ারা। কিন্তু শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: আয়ু বাড়াতে চান? কমিয়ে দিন ঘুম, পরামর্শ ১২ বছর ধরে দিনে ৩০ মিনিট ঘুমানো ব্যক্তির

শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ায় ট্যাবের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখতে বলল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে স্থগিত রাখলেও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তী কালে অনুষ্ঠান করে এই ট্যাবের টাকা দেওয়া হবে। তাই আপাতত টাকা না দেওয়ার নির্দেশ বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। কবে পড়ুয়ারা ট্যাবের টাকা পান সেটাই দেখার।

Teachers’ Day: আরজি কর ইস্যুতে বিক্ষোভের আশঙ্কা? শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল স্কুল শিক্ষা দফতরের

কলকাতা: আরজি কর ইস্যুতে বিক্ষোভের আশঙ্কা? রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয়ভাবে হওয়া শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই অনুষ্ঠান থেকেই স্কুল ও শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার কথাও ছিল রাজ্যের।

ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে নির্বাচিত স্কুলগুলিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সম্মান দেওয়ার কথা। তারপরই আজ সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। আরজি কর ইস্যুতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের আশঙ্কা থেকেই অনুষ্ঠান স্থগিত? জল্পনা স্কুল শিক্ষা দফতরের অন্দরে।

এদিকে আরজি কর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির জবাবে কেন্দ্রের তরফে এবার সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, ধর্ষণ এবং খুন সংক্রান্ত জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কড়া আইনের কথাই উল্লেখ করা আছে, তাই নতুন করে আইন আনার প্রয়োজনীয়তা নেই। এই এই মর্মেই মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো দ্বিতীয় চিঠির জবাব দিল কেন্দ্র। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নারী নিরাপত্তা নিয়ে উত্তাল রাজ্য থেকে দেশ। এই ঘটনার পর বিধানসভায় ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর আইন আনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রকেও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে ক্ষেত্রে আরও কঠোর আইন আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Teachers Day 2024: শিক্ষক দিবসে স্যার’দের বিশেষ সম্মান জানাবে এই পুরসভা

পূর্ব মেদিনীপুর: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার শিক্ষকদের বিশেষভাবে সম্মানিত করবে পুরসভা। দেশ তথা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করে শিক্ষকরা। মনে করা হয় শিক্ষকরাই জাতির মেরুদন্ড গঠন করেন। তাই প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষক সম্মান এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় শিক্ষারত্ন সম্মান। প্রতিবছর ৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই পুরস্কার তুলে দেন। এবার কেন্দ্র ও রাজ্যের পাশাপাশি প্রথম কোনও পুরসভা শিক্ষক সম্মান প্রদানে উদ্যোগী হল।

আরও পড়ুন: ক্যানিং শহরে রাতভর পুলিশের টহলদারি

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দার্শনিক তথা দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ড: সর্ব্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনটি শিক্ষক দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শিক্ষকদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি বিচারে বেশ কিছু শিক্ষককে সম্মানিত করে থাকেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এই প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোন‌ও পুরসভা ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের সম্মানিত করতে চলেছে বিশেষ সম্মানে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া পূরসভা পুর শিক্ষক সম্মান শিক্ষকদের তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে।

এই বিষয়ে পাঁশকুড়া পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র জানিয়েছেন, পুরসভার কাজ সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া। এর বাইরেও পুরসভার কিছু দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্ব থেকেই এই বছর প্রথম পুর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একটি বিশেষ পুরশিক্ষক সম্মান দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই সম্মান তুলে দেওয়া হবে। ঐ দিন পুর এলাকার সমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সৈকত শী