উত্তরবঙ্গ, জলপাইগুড়ি Jalpaiguri News: এখনও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা! ফের সিঁদুরে মেঘ, তিস্তার জল ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে কি! Gallery August 7, 2024 Bangla Digital Desk প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্ভোগ অব্যাহত উত্তরবঙ্গবাসীদের! সোমবার এবং মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকে ছিলই। সেই অনুযায়ী রাতভর জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। আজ সকাল থেকেই কোথাও কোথাও হওয়া বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল ফের খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ে ক্রমাগত নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তায় জমছে জল। তিস্তার উপরে চাপ পড়ায় দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল। আজ সকাল ছয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলেই ফ্লাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি তরফে খবর। দোহমনী এবং মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় এখনও জারি রয়েছে হলুদ সংকেত। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় রয়েছে লাল সংকেত, জানা গিয়েছে সেচ দফতরের তরফে। বাংলায় এখনও সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। উত্তর-পূর্ব ভারতে রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেখানেও জারি রয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। তার প্রভাই পড়ছে বঙ্গ জুড়ে। সিকিম-ভুটান পাহাড় থেকে শুরু করে উত্তরের পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার কারণেই বাড়ছে তিস্তার জল। ফলত, ডুয়ার্সের বহু এলাকা যেমন- টোটগাঁও থেকে শুরু করে অন্যান্য পাড় লাগোয়া গ্রামগুলিতে ফের প্লাবনের আশঙ্কা। তিস্তা ও অন্যান্য শাখা নদী এবং খরস্রোতা নদীগুলোতে শুধু যে প্লাবন কিংবা হড়পা বান আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নয়। পার্বত্য এলাকা-সহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমি ধসের সম্ভাবনাও আছে। তবে কোনও অঘটন এড়াতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রত্যেকটি জেলা-সহ নবান্নের কন্ট্রোল রুম মারফত উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় নজরদারি চালানো হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।