গ্রহরাজ মন্দির

Temple: অক্ষত অবস্থায় রাস্তা থেকে সরে গেল গোটা মন্দির, এ কী কাণ্ড জিরাটে! দেখুন

উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তা সংস্কারের পরই গ্রহরাজের মন্দিরে বেশ কিছুটা অংশ নিচে বসে যায়। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই মন্দিরে ঢুকে যাচ্ছিল জল। পাশাপাশি, মন্দিরের বেশ কিছুটা অংশ বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার পাশে থাকায় যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা তৈরি হয়।

কিন্তু, স্বয়ং গ্রহরাজের এই মন্দিরে কার ক্ষমতা হাত দেওয়ার! প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট গ্রহরাজ মন্দিরটি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের উদ্যোগে বড় মন্দিরের রূপ পায়। নিয়ম করে সেখানেই চলে পুজো-পাঠ। কিন্তু গত কয়েক বছর মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়া জিরাট রোড সংস্কার হতেই, মন্দিরের থেকে বেশ কিছুটা উঁচুতে উঠে গিয়েছে রাস্তা।

আরও পড়ুন: শিক্ষিকা থেকে হঠাৎ বেকার! EMI-লোন-সংসার…বর্তমান বাংলার মুখ যেন এই দুই মহিলা!

প্রতিদিন এই ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচলের ক্ষেত্রেও, মন্দিরের দেওয়ালের কিছুটা অংশ রাস্তার উপরে উঠে যায়। পাশাপাশি, একটু বৃষ্টি হলেই মন্দিরে জল ঢুকে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। অবশেষে হাবড়ার এই গ্রহরাজ মন্দির বাঁচাতে স্থানীয়রাই এক অভিনব উদ্যোগ নেয়। সেই মতো হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে গোটা মন্দিরটি অক্ষত রেখেই স্থানান্তকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই অভিনব কাজ দেখতেই এখন রীতিমতো ভিড় জমেছে মন্দিরের সামনে।

আরও পড়ুন: ২৬ হাজার চাকরি গেল! মালদহ থেকে এক বাক্যেই মোদি বোঝালেন, আসল অস্ত্র এবার হাতে!

জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫টি জগ ব্যবহার করে, বিশেষ উপায়ে কয়েকজন দক্ষ কর্মী এই কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই মন্দিরটিকে দু’ফুট পিছনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গোটা মন্দিরটিকে এক ফুট উপরেও তোলা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে। ফলে জিরাট রোড থেকে এখন মন্দিরটিকে অনেকটাই নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল বিশেষ এই পদ্ধতিতে।

এই কাজ করার জন্য যে পারিশ্রমিক নেওয়ার কথা সংস্থার, তাও প্রায় নিচ্ছেন না তাঁরা বলেই জানা গিয়েছে মন্দির কমিটির তরফে। মন্দির না ভেঙে শিফটিং এবং লিফটিং পদ্ধতিতে এভাবে সরানো সম্ভব হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী থেকে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই।

Rudra Narayan Roy