Tag Archives: Mandir

Accident: কী ভয়ঙ্কর! ধসে পড়ল মন্দিরের দেওয়াল, মুহূর্তে মৃত্যু ৯ শিশুর! আহত বহু, কোথায় ঘটল এই ঘটনা?

ভোপাল: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মধ্যপ্রদেশে। মন্দিরের দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল ৯ শিশুর। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্য এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। শাহপুরের হরদৌল বাবা মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। আহত শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশ উদ্ধার কাজ চালায়।

আরও পড়ুন: ফের ভয়ঙ্কর ঘটনা রেলে! দাউদাউ করে আগুন লেগে গেল ট্রেনে, পুড়ে ছাই তিনটি কামরা

মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনায় ব্যথিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে। যারা তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। সরকার প্রতিটি পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা সহায়তা দেবে।”

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় দেওয়াল ধসে চার শিশু মারা যাওয়ার একদিন পরই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। ৫-৭ বছর বয়সী শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার সময় এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। মৃত সব শিশুরই বয়স ১৪ বছরের আশেপাশে।

Mandir Story: প্রতিটা ইট বুকে জড়িয়ে রেখেছে ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা ও বিশ্বাস মিলে মিশে একাকার এখানে 

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভক্তি এবং ভগবান মানুষের কাছে আরাধ্য। মানুষের ভক্তিতেই বহু বছর আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নানান মন্দির। এ যাবৎকাল পর্যন্ত নিষ্ঠাভরে পুজো করা হয় প্রাচীন মন্দিরগুলোতে। হয়ত কোথাও ভেঙে পড়ছে প্রাচীন এই নিদর্শনগুলো। তবুও যেন আচার-অনুষ্ঠানে কোথাও বাধা পড়েনি।

একদিকে যেমন মন্দিরের গঠনশৈলী, তেমনই আচার অনুষ্ঠানেও বেশ আড়ম্বরতা রয়েছে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন ঠাকুরবাড়ি আজও সেই স্মৃতি বয়ে চলে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার কুসুমদা অঞ্চলের আস্তি গ্রামে রয়েছে একটি সুপ্রাচীন ঠাকুরবাড়ি। যেখানে আজও নিয়ম মত নিত্যপুজো হয়ে আসছে। এখানে পূজিত হন রঘুনাথ জীউ। তবে কালের নিয়মে সেই ঠাকুরবাড়ির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। এই ঠাকুরবাড়ির অবস্থান এবং প্রতিষ্ঠা নিয়ে নানা মত প্রচলিত থাকলেও বহু বর্ষ প্রাচীন এ মন্দির একটি ইতিহাসের প্রাণকেন্দ্র।

আরও পড়ুন – Ind vs Pak: সামনে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, তাও মেগা ম্যাচের আগে নিজের দলের স্ট্র্যাটেজি একেবারে ফাঁস

প্রচলিত রয়েছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে এক বৈষ্ণব ভিক্ষুক এই আস্তি গ্রামে লাটা বনের গভীর জঙ্গলের মধ্যে পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন। সেখানেই গড়ে তুলেছিলেন রঘুনাথ জীউর মন্দির। তবে মন্দিরের গঠনশৈলী আপনাকে বেশ আকর্ষণ করবে। পরম্পরায় এখানে পুজো করে আসছেন সেবাইতরা।

জানা যায়, মন্দির প্রতিষ্ঠার পর নবাবী আমলে এই মন্দিরের নামে বেশ কয়েক বিঘা জায়গা থাকলেও বর্তমানে সেই পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। প্রতিদিন নিত্যপুজা হলেও কোনও বড় অনুষ্ঠান হয় না এখানে। তবে গ্রামবাসীদের আরধ্য দেবতা এই রঘুনাথ জিউ। জমিদারী আমলে এই এলাকায় শুরু হয় ধুমধাম করে পূজার্চনা, নাম সংকীর্তন এবং রাসলীলা। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন ঠাকুরবাড়িতে পুজোর অনুষ্ঠানে।

এখনও বহু মানুষ প্রচলিত বিশ্বাস নিয়ে প্রতিদিন আসেন এখানে। চারিদিকে সবুজে ঘেরা জঙ্গলাকীর্ণ জায়গার মধ্যে এই মন্দির। প্রাচীনত্ত্বের ছাপ স্পষ্ট। ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে মন্দির। তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন সকলে। তবে বিশ্বাস এবং আধ্যাত্বিকতার মেলবন্ধনে আজও প্রায় ৫০০ বছর ধরে নিজের ইতিহাসকে জিইয়ে রেখেছে এই ঠাকুরবাড়ি।

রঞ্জন চন্দ

Temple: অক্ষত অবস্থায় রাস্তা থেকে সরে গেল গোটা মন্দির, এ কী কাণ্ড জিরাটে! দেখুন

উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তা সংস্কারের পরই গ্রহরাজের মন্দিরে বেশ কিছুটা অংশ নিচে বসে যায়। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই মন্দিরে ঢুকে যাচ্ছিল জল। পাশাপাশি, মন্দিরের বেশ কিছুটা অংশ বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার পাশে থাকায় যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা তৈরি হয়।

কিন্তু, স্বয়ং গ্রহরাজের এই মন্দিরে কার ক্ষমতা হাত দেওয়ার! প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট গ্রহরাজ মন্দিরটি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের উদ্যোগে বড় মন্দিরের রূপ পায়। নিয়ম করে সেখানেই চলে পুজো-পাঠ। কিন্তু গত কয়েক বছর মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়া জিরাট রোড সংস্কার হতেই, মন্দিরের থেকে বেশ কিছুটা উঁচুতে উঠে গিয়েছে রাস্তা।

আরও পড়ুন: শিক্ষিকা থেকে হঠাৎ বেকার! EMI-লোন-সংসার…বর্তমান বাংলার মুখ যেন এই দুই মহিলা!

প্রতিদিন এই ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচলের ক্ষেত্রেও, মন্দিরের দেওয়ালের কিছুটা অংশ রাস্তার উপরে উঠে যায়। পাশাপাশি, একটু বৃষ্টি হলেই মন্দিরে জল ঢুকে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। অবশেষে হাবড়ার এই গ্রহরাজ মন্দির বাঁচাতে স্থানীয়রাই এক অভিনব উদ্যোগ নেয়। সেই মতো হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে গোটা মন্দিরটি অক্ষত রেখেই স্থানান্তকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই অভিনব কাজ দেখতেই এখন রীতিমতো ভিড় জমেছে মন্দিরের সামনে।

আরও পড়ুন: ২৬ হাজার চাকরি গেল! মালদহ থেকে এক বাক্যেই মোদি বোঝালেন, আসল অস্ত্র এবার হাতে!

জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫টি জগ ব্যবহার করে, বিশেষ উপায়ে কয়েকজন দক্ষ কর্মী এই কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই মন্দিরটিকে দু’ফুট পিছনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গোটা মন্দিরটিকে এক ফুট উপরেও তোলা হচ্ছে এই পদ্ধতিতে। ফলে জিরাট রোড থেকে এখন মন্দিরটিকে অনেকটাই নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল বিশেষ এই পদ্ধতিতে।

এই কাজ করার জন্য যে পারিশ্রমিক নেওয়ার কথা সংস্থার, তাও প্রায় নিচ্ছেন না তাঁরা বলেই জানা গিয়েছে মন্দির কমিটির তরফে। মন্দির না ভেঙে শিফটিং এবং লিফটিং পদ্ধতিতে এভাবে সরানো সম্ভব হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী থেকে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই।

Rudra Narayan Roy