এই বাঁশের সেতু দিয়েই চলছে যাতায়াত 

Bangla Video: বাঁশের সাঁকো নয়, তৈরি হবে স্হায়ী সেতু

মুর্শিদাবাদ: লোকাল ১৮ বাংলার খবরের জেরে এবার কান্দি ও খড়গ্রামের মধ্যে ব্রীজ তৈরির সিদ্ধান্ত। পরিদর্শনে গেলেন বিধায়ক, এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘদিন ধরেই মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রামের ধামালিপাড়া ও কান্দি ব্লকের পুরন্দরপুর গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা ছিল একটি সেতু নির্মাণের। কানা ময়ূরাক্ষী নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকো একমাত্র ভরসা ছিল। আর সেই সেতু এবার আগামী দিনে স্হায়ী করণ করা হবে। তাই পি ডাবলু ডি এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মানস কুমার সাহা ও খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত তারা পরিদর্শন করলেন। অবিলম্বে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলেই জানান সকলেই।

আরও পড়ুন: বর্ধমানে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় কাঠের দুর্গা, দেখলে মুগ্ধ হবেন

নদীর দুপারের বাসিন্দাদের নদী পার করে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। বাঁশের সাঁকো দিয়েই নিত্যদিন ঝুকির পারাপার করেন দুই পারের বহু মানুষ। বর্ষায় নদীতে জল বাড়লে আতঙ্ক বাড়ে নিত্য যাত্রীদের। দুর্ঘটনার সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এই ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার থেকে রেহাই পেতে দীর্ঘদিনের দাবী স্থায়ী একটি ব্রিজ নির্মাণের। বর্তমানে, সেই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়রা। কারন, দাবী মতোই এলাকা পরিদর্শনে যান খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত, পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের বিশেষ প্রতিনিধি দল। পরিদর্শন শেষে আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে এলাকা পরিদর্শন করা হল। এই রিপোর্ট তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাবেন।

এই ব্রিজ তৈরি হলে উপকৃত হবেন দুই ব্লকের বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য দ্রুত ব্রিজ নির্মান হবে, গ্রামবাসীদের স্বপ্ন পূরণ হবে বলেই আশা রাখছেন খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত। বিধায়ক বলেন- “২৫ সালের শুরুতেই ব্রিজের কাজ শুরু হয়ে যাবে”। ব্রিজ তৈরি নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন কানা ময়ূরাক্ষী নদীর ধারের দুই ব্লকের মানুষ।

কৌশিক অধিকারী