কোচবিহার: রঙিন কাগজ, বাঁশের কাঠি এবং স্টীলের তার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই ছোট্ট খেলাটি। তবে এই খেলনা কিন্তু নতুন নয় দীর্ঘ সময় ধরে এই খেলা বহু মানুষের শৈশবের সঙ্গী। তাইতো এই খেলনা হাতে নিলেই মুহূর্তে যে কেউ ফিরে যেতে পারবেন শৈশবের দিনগুলিতে। বহু মানুষ প্রতিবছর আকর্ষণের বসেই এই খেলাগুলি কিনে থাকেন। যেকোনো অনুষ্ঠানের কিংবা উৎসবের আগেই জেলার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এই বিক্রেতাদের। ভিন রাজ্য থেকে প্রতিবছর এই বিক্রেতারা আসেন জেলায়।
দুই পেপার পিন হুইল বিক্রেতা মুন্না রাজওয়ার এবং ছোট রাজওয়ার জানান,”এই খেলাগুলি ছোট থেকে বড় সকলের পছন্দ। সামান্য হাওয়াতে সুন্দর ঘুরতে থাকে এটি। তাইতো দূর থেকে রং বেরঙের এই খেলনাগুলিকে দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা এই খেলনাগুলি বিক্রি করতে জেলা কোচবিহারে এসে থাকেন। প্রতিবছর বহু মানুষ এই খেলনাগুলি কিনে নিজেদের শৈশবের দিনগুলি ফিরে পেতে চেষ্টা করেন। ছোটরাও দারুণ উৎসাহের সঙ্গে এগুলি কিনে থাকেন। মাত্র কুড়ি টাকা দামে এই বিশেষ খেলনা কমবেশি সকলের পছন্দ হয়। তাইতো বিক্রি করে মুনাফা হয় অনেকটাই।”
পেপার পিনহুইল নির্মাতা গোবিন্দ রাজওয়ার জানান,”দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছেন তিনি। প্রতিবছর পুজোর আগে কোচবিহারে আসেন এই জিনিস বিক্রি করতে। একেবারেই স্বল্পমূল্যের উপকরণ দিয়ে এই খেলনা তৈরি করা সম্ভব। আধুনিক যুগে যে সময়ে বাচ্চা থেকে বড়রা মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আসক্ত। সেই পরিস্থিতিতে এই খেলনা মুহূর্তে যেকোন মানুষকে শৈশবের দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাইতো ও রাস্তায় এই খেলাগুলি দেখলেই বহু মানুষ এগিয়ে এসে কিনে থাকেন। দাম একেবারে সামান্য হওয়ার কারণে খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয় না কোন মানুষকে।”
একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে আসক্তি ছিল না বাচ্চাদের। এই ধরনের খেলাগুলিতেই মন আকর্ষণ হতো বেশিরভাগ ছোটদের। তবে ধীরে ধীরে সেই সময় বদলেছে। তাইতো কিছুটা হলেও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিয়েছে এই পেপার পিনহুইল।
Sarthak Pandit