টাইটানিক নিয়ে বিরাট রহস্য

Titanic Mystery: টাইটানিক আসলে ডোবেইনি! পুরোটাই মিথ্যা? তোলপাড় ফেলা রহস্যের পর্দাফাঁস! তাজ্জব ঘটনা

হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ডুবল টাইটানিক। সলিল সমাধি হয়েছিল ১৫১৭ জনের। তার প্রায় ১১০ বছর পর হঠাৎ চর্চা অন্য এক থিওরি নিয়ে। টাইটানিক নাকি ডোবেইনি ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল। টাইটানিক সাজিয়ে সে দিন নিউ ইয়র্কে পাঠানো হচ্ছিল অলিম্পিক-কে। যার পিছনে ছিল বিমার অর্থ আদায়ের চেষ্টা।
হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ডুবল টাইটানিক। সলিল সমাধি হয়েছিল ১৫১৭ জনের। তার প্রায় ১১০ বছর পর হঠাৎ চর্চা অন্য এক থিওরি নিয়ে। টাইটানিক নাকি ডোবেইনি ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল। টাইটানিক সাজিয়ে সে দিন নিউ ইয়র্কে পাঠানো হচ্ছিল অলিম্পিক-কে। যার পিছনে ছিল বিমার অর্থ আদায়ের চেষ্টা।
১১২ বছর আগেকার সেই ইতিহাস, আর তাতে বেশ খানিকটা রোমান্স-মশলা দিয়ে বানানো সিনেমা যা দেখায়— হিমশৈলে ধাক্কা খেয়েই ডুবেছিল টাইটানিক। এক ব্রিটিশ গবেষকের আবার দাবি, বিপর্যয়ের ওই রাতে ভিলেন আসলে মহাজাগতিক ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা সুমেরু প্রভা। ভয়ঙ্কর সৌর ঝড়ে সৃষ্ট অরোরা-ই যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা তছনছ করে দিগ্ভ্রষ্ট করেছিল টাইটানিককে। ধোঁয়াশা বিস্তর। এরই মধ্যে আবার সম্প্রতি উঠে এসেছে নতুন এক ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’— ‘টাইটানিক’ কি আদৌ ডুবেছিল?
১১২ বছর আগেকার সেই ইতিহাস, আর তাতে বেশ খানিকটা রোমান্স-মশলা দিয়ে বানানো সিনেমা যা দেখায়— হিমশৈলে ধাক্কা খেয়েই ডুবেছিল টাইটানিক। এক ব্রিটিশ গবেষকের আবার দাবি, বিপর্যয়ের ওই রাতে ভিলেন আসলে মহাজাগতিক ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা সুমেরু প্রভা। ভয়ঙ্কর সৌর ঝড়ে সৃষ্ট অরোরা-ই যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা তছনছ করে দিগ্ভ্রষ্ট করেছিল টাইটানিককে। ধোঁয়াশা বিস্তর। এরই মধ্যে আবার সম্প্রতি উঠে এসেছে নতুন এক ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’— ‘টাইটানিক’ কি আদৌ ডুবেছিল?
এ আবার কেমন কথা! জাহাজ না-ডুবতেই দেড় হাজার লোকের সলিলসমাধি হয়ে গেল? ভোজবাজি নাকি! না, ১৯১২-র ১৫ এপ্রিল সাদাম্পটন বন্দর থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে উত্তর আটলান্টিকে সত্যিই একটা বিরাট জাহাজ ডুবেছিল। কিন্তু সেটা নাকি আদৌ টাইটানিক নয়। ‘অলিম্পিক’-কে জলে ঠেলা হয়েছিল ‘টাইটানিক’ বলে! পুরোটাই নাকি জাহাজ কোম্পানির বিমার অর্থ আদায়ের ছক!
এ আবার কেমন কথা! জাহাজ না-ডুবতেই দেড় হাজার লোকের সলিলসমাধি হয়ে গেল? ভোজবাজি নাকি! না, ১৯১২-র ১৫ এপ্রিল সাদাম্পটন বন্দর থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে উত্তর আটলান্টিকে সত্যিই একটা বিরাট জাহাজ ডুবেছিল। কিন্তু সেটা নাকি আদৌ টাইটানিক নয়। ‘অলিম্পিক’-কে জলে ঠেলা হয়েছিল ‘টাইটানিক’ বলে! পুরোটাই নাকি জাহাজ কোম্পানির বিমার অর্থ আদায়ের ছক!
মানেটা কী? তা হলে বরং ঘটনার আরও পাঁচ বছর পিছনে যাওয়া যাক। ১৯০৭-এ এক প্রতিযোগী জাহাজ-কোম্পানিকে টেক্কা দিতে তিনখানা জাম্বো জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা করে জে পি মর্গ্যানের ‘হোয়াইট স্টার লাইন’— অলিম্পিক, টাইটানিক আর ব্রিটানিক। গতিতে না হোক, প্রতিদ্বন্দ্বীকে আকার আর বিলাসে কাত করতে চেয়েছিলেন মর্গ্যান। আর এখান থেকেই ‘গন্ধটা খুব সন্দেহজনক’।
মানেটা কী? তা হলে বরং ঘটনার আরও পাঁচ বছর পিছনে যাওয়া যাক। ১৯০৭-এ এক প্রতিযোগী জাহাজ-কোম্পানিকে টেক্কা দিতে তিনখানা জাম্বো জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা করে জে পি মর্গ্যানের ‘হোয়াইট স্টার লাইন’— অলিম্পিক, টাইটানিক আর ব্রিটানিক। গতিতে না হোক, প্রতিদ্বন্দ্বীকে আকার আর বিলাসে কাত করতে চেয়েছিলেন মর্গ্যান। আর এখান থেকেই ‘গন্ধটা খুব সন্দেহজনক’।
১৯১১ সালে জলে নামে অলিম্পিক। সে কী দাপট! দিব্যি চলছিল, কিন্তু তাল কাটল ২০ সেপ্টেম্বর। পঞ্চম যাত্রায় ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ হক-এর সঙ্গে লাগল ঠোকাঠুকি। পেল্লায় দু’খানা ছেঁদা নিয়ে ঘাটে ভিড়ল জাম্বো অলিম্পিক। সারাই চাই। তাই বিমা কোম্পানির কাছে হাত পাতল স্টার লাইন। চিঁড়ে তবু ভিজল না। কারণ যত দোষ নাকি ওই অলিম্পিকেরই! অর্থ দিতে অস্বীকার করল বিমা কোম্পানি।
১৯১১ সালে জলে নামে অলিম্পিক। সে কী দাপট! দিব্যি চলছিল, কিন্তু তাল কাটল ২০ সেপ্টেম্বর। পঞ্চম যাত্রায় ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ হক-এর সঙ্গে লাগল ঠোকাঠুকি। পেল্লায় দু’খানা ছেঁদা নিয়ে ঘাটে ভিড়ল জাম্বো অলিম্পিক। সারাই চাই। তাই বিমা কোম্পানির কাছে হাত পাতল স্টার লাইন। চিঁড়ে তবু ভিজল না। কারণ যত দোষ নাকি ওই অলিম্পিকেরই! অর্থ দিতে অস্বীকার করল বিমা কোম্পানি।
এ বার? ফাঁদে পড়লেন মর্গ্যান আর তাঁর পার্টনার। তত দিনে ‘টাইটানিক’-এও বিপুল বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে। শুরু হলো নয়া ফিকির খোঁজা। ঠিক হলো— চোটগ্রস্ত অলিম্পিককেই টাইটানিক সাজিয়ে নামানো হবে প্রমোদভ্রমণে। ১৯১২-র মার্চে নাকি শেষবার পাশাপাশি রাখা হয় ‘রেডি-টু-গো’ অলিম্পিক ও টাইটানিক-কে। আর সেখানেই—হেরাফেরি!
এ বার? ফাঁদে পড়লেন মর্গ্যান আর তাঁর পার্টনার। তত দিনে ‘টাইটানিক’-এও বিপুল বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে। শুরু হলো নয়া ফিকির খোঁজা। ঠিক হলো— চোটগ্রস্ত অলিম্পিককেই টাইটানিক সাজিয়ে নামানো হবে প্রমোদভ্রমণে। ১৯১২-র মার্চে নাকি শেষবার পাশাপাশি রাখা হয় ‘রেডি-টু-গো’ অলিম্পিক ও টাইটানিক-কে। আর সেখানেই—হেরাফেরি!
আয়তনে তিনটি প্রমাণ ফুটবল মাঠের চেয়েও বড় দু’টি সমদর্শী জাহাজকে বদলে ফেলা হয় রাতারাতি। হোয়াইট স্টার লাইন দাবি করে, সারাইয়ের পরে ৭ মার্চ বেলফাস্ট বন্দর ছেড়ে বেরোয় অলিম্পিক। কিন্তু ওটাই আসলে টাইটানিক ছিল বলে একাংশের মত। এর ঠিক তিন সপ্তাহ পরে ওই বিতর্কিত যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে টাইটানিক নামধারী অলিম্পিক!
আয়তনে তিনটি প্রমাণ ফুটবল মাঠের চেয়েও বড় দু’টি সমদর্শী জাহাজকে বদলে ফেলা হয় রাতারাতি। হোয়াইট স্টার লাইন দাবি করে, সারাইয়ের পরে ৭ মার্চ বেলফাস্ট বন্দর ছেড়ে বেরোয় অলিম্পিক। কিন্তু ওটাই আসলে টাইটানিক ছিল বলে একাংশের মত। এর ঠিক তিন সপ্তাহ পরে ওই বিতর্কিত যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে টাইটানিক নামধারী অলিম্পিক!
কিন্তু ততক্ষণে গণইস্তফা দিতে শুরু করেছে জাহাজের বহু কর্মী। অনেকেরই দাবি, তাঁরা কোনও ভাবে জানতে পেরে গিয়েছিলেন এই ‘জাহাজডুবির ছক’। টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় তিনিও সফরসঙ্গী হবেন বলে জানিয়েছিলেন মর্গ্যান। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তিনি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসেন। যাত্রা বাতিল করেন জনা পঞ্চাশেক ভিভিআইপি-ও! মানে জাহাজ ডুবছেই। কিন্তু এতগুলো লোকের কী হবে? বলা হয়, ব্যাক আপ প্ল্যানও ছিল মর্গ্যানের।
কিন্তু ততক্ষণে গণইস্তফা দিতে শুরু করেছে জাহাজের বহু কর্মী। অনেকেরই দাবি, তাঁরা কোনও ভাবে জানতে পেরে গিয়েছিলেন এই ‘জাহাজডুবির ছক’। টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় তিনিও সফরসঙ্গী হবেন বলে জানিয়েছিলেন মর্গ্যান। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তিনি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসেন। যাত্রা বাতিল করেন জনা পঞ্চাশেক ভিভিআইপি-ও! মানে জাহাজ ডুবছেই। কিন্তু এতগুলো লোকের কী হবে? বলা হয়, ব্যাক আপ প্ল্যানও ছিল মর্গ্যানের।
কয়লা ধর্মঘটের কারণে তাঁদেরই পণ্যবাহী জাহাজ ক্যালিফোর্নিয়ান আটকে ছিল লন্ডন বন্দরে। হঠাৎ সেটি আমেরিকার উদ্দেশে ভোঁ বাজিয়ে দেয়। ওই জাহাজে কিন্তু তখন মাল খালাস— আয়োজন শুধু তিন হাজার কম্বল আর শীতবস্ত্র। কিন্তু প্রচণ্ড গতিতে যেতে যেতে ঠিক ১৪ এপ্রিল মাঝ-আটলান্টিকে সেটির ইঞ্জিন বন্ধ করা হলো কেন?
কয়লা ধর্মঘটের কারণে তাঁদেরই পণ্যবাহী জাহাজ ক্যালিফোর্নিয়ান আটকে ছিল লন্ডন বন্দরে। হঠাৎ সেটি আমেরিকার উদ্দেশে ভোঁ বাজিয়ে দেয়। ওই জাহাজে কিন্তু তখন মাল খালাস— আয়োজন শুধু তিন হাজার কম্বল আর শীতবস্ত্র। কিন্তু প্রচণ্ড গতিতে যেতে যেতে ঠিক ১৪ এপ্রিল মাঝ-আটলান্টিকে সেটির ইঞ্জিন বন্ধ করা হলো কেন?
উত্তর মেলেনি এমন আরও অনেক প্রশ্নের। যেমন, টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার হিমশৈল আগে দেখতে পেয়েও ক্যাপ্টেনকে সতর্ক করেননি কেন? ক্যাপ্টেনই বা কী করছিলেন? জাহাজ হিমশৈলে ধাক্কা খাওয়ার পরেও ওই বিপজ্জনক বাঁক! শোনা যায়, দুর্ঘটনার ৩৫ মিনিট পরে উদ্ধারের জন্য রেডিয়ো বার্তা পাঠায় টাইটানিক। ক্যাপ্টেন কি মির‍্যাকলের অপেক্ষা করছিলেন? লাইফবোট নামাতেও দেরি!
উত্তর মেলেনি এমন আরও অনেক প্রশ্নের। যেমন, টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার হিমশৈল আগে দেখতে পেয়েও ক্যাপ্টেনকে সতর্ক করেননি কেন? ক্যাপ্টেনই বা কী করছিলেন? জাহাজ হিমশৈলে ধাক্কা খাওয়ার পরেও ওই বিপজ্জনক বাঁক! শোনা যায়, দুর্ঘটনার ৩৫ মিনিট পরে উদ্ধারের জন্য রেডিয়ো বার্তা পাঠায় টাইটানিক। ক্যাপ্টেন কি মির‍্যাকলের অপেক্ষা করছিলেন? লাইফবোট নামাতেও দেরি!
এ দিকে টাইমিং ঠিক রেখেও কিন্তু ‘উদ্ধারকারী’ ক্যালিফোর্নিয়ান বিশেষ কিছুই করতে পারেনি সে দিন। অগুণতি জ্যাকের তাই তলিয়ে যাওয়াটাই নিয়তি ছিল। এই বিপুল অপচয়ে রানির দেশে হাহাকার পড়ল। চোখ মুছতে মুছতেই সিনেমা হল থেকে বেরিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই জাহাজডুবির যথাযথ তদন্ত হল কি? শোনা যায়, অলিম্পিক নামধারী আসল টাইটানিক দীর্ঘদিন রাজার মতো সার্ভিস দিয়ে ১৯৩৫-এ রিটায়ার করে। আর মর্গ্যান? ‘টাইটানিক’ ডোবার দু’বছরের মাথায় নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন।
এ দিকে টাইমিং ঠিক রেখেও কিন্তু ‘উদ্ধারকারী’ ক্যালিফোর্নিয়ান বিশেষ কিছুই করতে পারেনি সে দিন। অগুণতি জ্যাকের তাই তলিয়ে যাওয়াটাই নিয়তি ছিল। এই বিপুল অপচয়ে রানির দেশে হাহাকার পড়ল। চোখ মুছতে মুছতেই সিনেমা হল থেকে বেরিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই জাহাজডুবির যথাযথ তদন্ত হল কি? শোনা যায়, অলিম্পিক নামধারী আসল টাইটানিক দীর্ঘদিন রাজার মতো সার্ভিস দিয়ে ১৯৩৫-এ রিটায়ার করে। আর মর্গ্যান? ‘টাইটানিক’ ডোবার দু’বছরের মাথায় নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন।