তৃণমূল কংগ্রেস

TMC: কোনও ছাড় নয়, দলের জন্য কঠিন ‘স্ট্র্যাটেজি’ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের! নিশানায় আসলে কারা?

কলকাতা: শুদ্ধিকরণের পথে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে যে ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে সংগঠন নিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছে শাসক দল। এর আগে জমি দুর্নীতি নিয়ে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে থাকা নেতাকে সরিয়ে দিয়ে তাকে কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সাল থেকে বিজেপিকে স্বস্তি দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের ফলাফল। ফল খারাপ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কোচবিহার লোকসভা আসন ২০২৪ সালে জিতলেও উত্তর স্বস্তি দিচ্ছে না শাসক দলকে। আর এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উঠে এসেছিল, শহরাঞ্চল বা পুর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা। অনেকেই কী ছিলাম, আর কী হলাম, এই বদলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামিদিনে বড় নির্বাচন বলতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে ভাল ফল করতে গেলে প্রয়োজন উত্তরবঙ্গ থেকেও একাধিক আসন।

আরও পড়ুন: ‘আমরা জমি প্রস্তুত রেখেছি’, কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নিয়ে ঘোষণা মুখ্যসচিবের! হবে প্রচুর কর্মসংস্থান

এই অবস্থায় যদি পুর প্রতিনিধিদের আচরণ মানুষের মনে সংশয় জাগায়, তাহলে ভাল ফল সম্ভব নয়। তাই পুর এলাকায়, পুর প্রতিনিধিদের পারফরম্যান্স যাচাই শুরু হয়েছে। যার নেতৃত্বে পুরসভা চলছে তিনি কী আদৌ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য? পুরসভার প্রাথমিক যে কাজ, সেই কাজের সুবিধা কি মানুষ পাচ্ছেন? প্রকল্পের জন্য যে অর্থ পাঠানো হচ্ছে তার ব্যবহার কতটা হচ্ছে? পুর প্রতিনিধির আচরণে কতটা বদল এসেছে?পুর প্রতিনিধির ব্যক্তিগত জীবনে কতটা বদল এসেছে, যা সাধারণ মানুষের চোখে লেগেছে। এই সমস্ত একাধিক তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘জুনিয়র ডাক্তারদের যা-যা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল…’ নবান্নে স্বাস্থ্যকর্তাদের বৈঠকে কড়া মুখ্যমন্ত্রী

সূত্রের খবর, একাধিক ব্যক্তির নামে প্রশাসনিক ও দলীয় স্তরে নানা অভিযোগ এসেছে। সেগুলিকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। মাল পুরসভার চেয়ারম্যানকে প্রশাসনিক পদ ও দল থেকে বহিষ্কার করে কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় কে কী করছে, তাদের সম্পর্কে মানুষের কী ধারণা তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই সরাসরি প্রতিনিয়ত যাদের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে দল ও প্রশাসনের যোগাযোগ থাকে, তাদের পারফরম্যান্সে নজর দিয়েছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।