কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রচার

TMC: রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বড় চমক তৃণমূলের, এবার কি পাশা পাল্টে দেবেন কৃষ্ণ?

রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিধানসভার উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী প্রচারে ঝড় তুললেন। এরই মাঝে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কারণ একটাই, লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী যখন রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা সন্দীপ বিশ্বাসের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়েছিলেন, সেই সময় দেখা যায়নি সন্দীপ বিশ্বাসকে। বুধবার বিধানসভা উপনির্বাচনে যখন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী সেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার শুরু করেন তখন দেখা যায় সন্দীপ বিশ্বাসকে এগিয়ে আসতে কৃষ্ণ কল্যাণীর পাশে। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা দেখা যায়। সকলকে বলতে শোনা যায় এইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে যদি মাঠে ময়দানে নেমে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তাহলে কোনও শক্তি এবার বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয়কে আটকাতে পারবে না।

কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জের তেইশ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে দিলেন বিধানসভা উপনির্বাচনে তার প্রচার। এদিন দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে দেখা যায় পৌর প্রশাসক তথা সন্দীপ বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতেও। পুজো দেওয়ার পর লোকসভা নির্বাচনের মতো করেই প্রচার করতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে সাধারণ মানুষের সামনে গিয়ে।

আরও পড়ুন: ‘লিখে দিচ্ছি এবার NDA সরকার…’ ভোট মিটতেই বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর! করলেন বিরাট ঘোষণা

এরপর সাংবাদিকদের কাছে মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী জানান আজ থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারের ডঙ্কা আমাদের বেজে গেছে। আমরা শুরু করলাম প্রচার রায়গঞ্জের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন মানস ঘোষ, তিনি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্নেহধন্য হওয়ায় তারা আশঙ্কা করছেন বিগত দিনের যখন তৃণমূল কংগ্রেসের ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তখন তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার অবজারভার ছিলেন, আর তখন যেভাবে লুটপাটের রাজনীতি করে মানুষকে আকৃষ্ট করে দিয়েছিলেন। আজ তেমনটাই তিনি করতে চেয়েছেন। তাই তার স্নেহধন্য মানুষ ঘোষকেই প্রার্থী করেছেন তিনি। তবে তিনি বলেন সমগ্র রায়গঞ্জবাসী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রেখে যেভাবে উৎসাহ সহকারে, জাহির করছেন তাতে আগামী দিনে এই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক ভালফল করবে।

—- পিয়া গুপ্তা