উত্তর ২৪ পরগনা : সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচাতে গেলে এই মুহূর্তে প্রজন নদীবাধ রক্ষা, জানালেন গবেষক। সুন্দরবনের নদী বাঁধ রক্ষার না করতে পারলে একদিকে যেমন সুন্দরবন তার বাস্তুতন্ত্র হারাতে পারে অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এলাকার জনজীবন। এমনটি জানালেন সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক তথা অধ্যাপক অনিমেষ মন্ডল।
নদীর ধারে বাস ভাবনা বারো মাস। প্রাকৃতিক দুর্যোগের করাল গ্রাসে বারেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবন। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝে কেটেছে দীর্ঘ একটা যুগের বেশি সময়। কিন্তু সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষের চোখে আজও টাটকা ‘আয়লা’ ইয়াস, আম্ফনের মত বিধ্বংসী প্রলয়রূপের দুঃসহ স্মৃতি। নদীর পাড়ের মানুষরা দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রহর গুনতে থাকেন। প্রতিবছর কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে সুন্দরবনে। প্রকৃতি বিরূপ হলে পরিস্থিতি যে কী হতে পারে তা সেদিনের ভুক্তভোগীরা হাড়েহাড়ে টেনে পেয়েছেন। এমনকি, আজও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নির্মম স্মৃতি। সেজন্য কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই আতঙ্কে থাকেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যের পুতুল নাচকে এভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছেন শিল্পীরা
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মূল কারণ দুর্বল নদীবাঁধ। দুর্বল নদী বাঁধের ফলে একদিকে নদীর নোনা জল ঢুকে যেমন প্লাবন সৃষ্টি করে ঠিক তেমনি চাষের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবন হারাতে পারে তার বাস্তুতন্ত্রও। একটু ভারী বর্ষা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই চরম আতঙ্কে সুন্দরবন এলাকার মানুষ। এই বুঝি নদীর বাঁধ ভেঙে গেল। তবে তারা বারবারই চাইছেন কংক্রিটের নদী বাঁধ। কংক্রিটের নদী বাঁধ পেলে হয়তো বা কিছুটা নিরাপত্তা বোধ করবেন সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষ। সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরে বর্ষায় সময়েই একেরপর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী নদী পাড়ের মানুষের একটিই দাবি কংক্রিটের নদী বাঁধ। না হলে হয়তো সুন্দরবনের সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা একদিন জলের তলায় থাকতে পারে। এমনটাই জানালেন সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক অনিমেষ মন্ডল।
জুলফিকার মোল্যা