বাঁকুড়া: আচ্ছা আপনি কি জানেন কোনগুলি মাদক? সেই আলোচনা হল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। তথ্য থেকে উঠে এল যে আমাদের দেশে প্রচলিত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা, গঞ্জিকা, ফেনসিডিল, মদ, আফিম, হেরোইন, কোকেন, প্যাথেডিন, বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধ, এমনকী জুতোর আঠাও রয়েছে।
এসব ভয়ানক নেশা জাতীয় দ্রব্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে গিয়েছে। পৃথিবীতে মাদকমুক্ত করতে চিন্তাভাবনা চলছে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলেও। মাদককে ছেয়ে গেছে পৃথিবী। গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে যুবসমাজ, কর্মক্ষমতা হারিয়েছে মানুষ। মাদকের নেশায় নষ্ট হচ্ছে জীবন, তবে সচেতনতা করতে গ্রামে গ্রামে চলছে কর্মসূচি। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলেও সেই চিত্র ধরা পড়ল।
আরও পড়ুনঃ শহরে বিদ্যা-কার্তিক! ‘ভুলভুলাইয়া ৩’-এর প্রচারে হাওড়া ব্রিজ থেকে হলুদ ট্যাক্সি বাদ গেল না কিছুই!
মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সচেতনতা কর্মসূচি খাতড়ায়। মাদকাসক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল মাদকের সহজলভ্যতা। এ ছাড়াও পারিবারিক কলহ, বেকারত্ব, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা ইত্যাদির কারণেও যুবসমাজ মাদকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে। নেহরু যুব কেন্দ্র বাঁকুড়ার উদ্যোগে গদারহার অগ্রগতি সোসাইটির পরিচালনায় মাদক আসিক্ত মুক্ত সমাজ গড়তে একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল গদার হার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এমন কিছু সত্য উঠে এসছে যেগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র সচেতনতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি দিন বাঁকুড়া জেলার খাতড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০ জন পড়ুয়া ও যুবক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ মারণব্যাধি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে সকল সমস্যা বিদ্যমান তার একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে মাদকের ভয়াল থাবা। দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে দেশের এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে মাদকের কেনাবেচা হয় না। শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও এটি সহজলভ্য।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী