Tag Archives: Junglemahal

Ant Egg Chutney Easy Recipe: কাঁচালঙ্কা, রসুন পেঁয়াজের মিশেলে তৈরি হয় জঙ্গলমহলের লোভনীয় পিঁপড়ের ডিমের চাটনি! রইল সহজ রেসিপি

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অদ্ভুত অদ্ভুত খাবারের সন্ধান মুঠো ফোনে চোখে পড়ে। বহুভোজন রসিক আবার সেই খাবার চেখে দেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করে থাকেন। তবে জানেন কি জঙ্গলমহল এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় কুরকুটের চাটনি। যা বর্তমানে জেলার নানা প্রান্তে বসবাস করা আদিবাসীদের মধ্যেও দেখা যায়
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অদ্ভুত অদ্ভুত খাবারের সন্ধান মুঠো ফোনে চোখে পড়ে। বহুভোজন রসিক আবার সেই খাবার চেখে দেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করে থাকেন। তবে জানেন কি জঙ্গলমহল এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় কুরকুটের চাটনি। যা বর্তমানে জেলার নানা প্রান্তে বসবাস করা আদিবাসীদের মধ্যেও দেখা যায়
কুটকুট হল এক ধরনের লাল পিঁপড়ে। অনেকেই আবার এই ধরনের পিঁপড়ের ডিম ব্যবহার করে থাকেন মাছ ধরার কাজেও। গাছের মগডালে তিন চারটে পাতাকে মুড়ে এক ধরনের থলির আকার তৈরি করে সেখানেই বাসা বাঁধে এই লাল পিঁপড়েরা
কুটকুট হল এক ধরনের লাল পিঁপড়ে। অনেকেই আবার এই ধরনের পিঁপড়ের ডিম ব্যবহার করে থাকেন মাছ ধরার কাজেও। গাছের মগডালে তিন চারটে পাতাকে মুড়ে এক ধরনের থলির আকার তৈরি করে সেখানেই বাসা বাঁধে এই লাল পিঁপড়েরা
এই পিঁপড়ের ডিম দিয়েই তৈরি করা যায় একপ্রকারের সুস্বাদু চাটনি। এই লাল পিঁপড়ে ও তার ডিম কাঁচালঙ্কা ও সরষের তেল দিয়ে বেটে একটা টক-টক, চটপটে ও মুখরোচক আচার বা চখা বানানো হয়
এই পিঁপড়ের ডিম দিয়েই তৈরি করা যায় একপ্রকারের সুস্বাদু চাটনি। এই লাল পিঁপড়ে ও তার ডিম কাঁচালঙ্কা ও সরষের তেল দিয়ে বেটে একটা টক-টক, চটপটে ও মুখরোচক আচার বা চখা বানানো হয়
জঙ্গলমহলের দিকে বা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খন্ড বা ওড়িষ্যায় এই ধরনের পিঁপড়ের চাটনি খাবার চল রয়েছে বলেও জানা যায়। আদিবাসী এক গৃহিনির কথায়, শুকনো করে রাখলে বহুদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে এই কুটকুটের চাটনি
জঙ্গলমহলের দিকে বা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খন্ড বা ওড়িষ্যায় এই ধরনের পিঁপড়ের চাটনি খাবার চল রয়েছে বলেও জানা যায়। আদিবাসী এক গৃহিনির কথায়, শুকনো করে রাখলে বহুদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে এই কুটকুটের চাটনি
শহরাঞ্চলে সাধারণত এই ধরনের লাল পিঁপড়ের ডিম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। মূলত মাছের খাবার বা পাখির খাদ্য হিসেবে। তবে জেলার অনেক আদিবাসী মানুষজন বিভিন্ন গাছের থেকে এই পিঁপড়ের ডিম সংরক্ষণ করে খাওয়ার জন্য তৈরি করেন বিশেষ এই চাটনি
শহরাঞ্চলে সাধারণত এই ধরনের লাল পিঁপড়ের ডিম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। মূলত মাছের খাবার বা পাখির খাদ্য হিসেবে। তবে জেলার অনেক আদিবাসী মানুষজন বিভিন্ন গাছের থেকে এই পিঁপড়ের ডিম সংরক্ষণ করে খাওয়ার জন্য তৈরি করেন বিশেষ এই চাটনি
চার চামচ লাল পিঁপড়ের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা, পুদিনা পাতা, অল্প পিয়াজ, রসুন টুকরো বেটে কাঁচা সরিষার তেল আর প্রয়োজন মতো নুনের সাথে মিশিয়ে তৈরী করতে হয় কুরকুটের চাটনি। এই চাটনি অনেকে শাল পাতায় মুড়িয়ে আগুনে ঝলসে খেতে ভালোবাসেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্দি কাশিতে খুবই উপাদেয় এই চাটনি। অতি উৎসাহীন ভোজন রসিক মানুষজন অনেকেই অল্প হলেও চেখে দেখেছেন এই চাটনির স্বাদ
চার চামচ লাল পিঁপড়ের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা, পুদিনা পাতা, অল্প পিয়াজ, রসুন টুকরো বেটে কাঁচা সরিষার তেল আর প্রয়োজন মতো নুনের সাথে মিশিয়ে তৈরী করতে হয় কুরকুটের চাটনি। এই চাটনি অনেকে শাল পাতায় মুড়িয়ে আগুনে ঝলসে খেতে ভালোবাসেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্দি কাশিতে খুবই উপাদেয় এই চাটনি। অতি উৎসাহীন ভোজন রসিক মানুষজন অনেকেই অল্প হলেও চেখে দেখেছেন এই চাটনির স্বাদ

Jhargram Tourism: ইতিহাস ও প্রকৃতি মিলেমিশে একাকার, ছোট্ট ছুটিতে বেড়াতে আসুন জঙ্গলমহলে

রঞ্জন চন্দ, ঝাড়গ্রাম: ঘুরতে যেতে কমবেশি সকলেই পছন্দ করে। সকলের প্রিয় ডেস্টিনেশনের মধ্যে থাকে পাহাড় কিংবা সমুদ্র। তবে হাতে একদিন ছুটি থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন জঙ্গলমহল। চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা, মাঝখান দিয়ে চলেছে কালো পিচের রাস্তা, সে যেন এক মোহনীয় রূপ। একদিনের ছুটিতে ঘুরে দেখুন জঙ্গলমহলের পুরনো বেশ কিছু ইতিহাসক্ষেত্র ও মন্দির। একদিকে যেমন মন ভালো হবে তেমনি সবুজের সঙ্গে একাত্ম হতে পারবেন আপনিও। দিনের ক্লান্তি ভুলে একটা দিন কাটান পরিবার প্রিয়জনদের সঙ্গে।

ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের দেউলবাড় এলাকায় রয়েছে প্রাচীন শিব মন্দির। মনে করা হয় ষোড়শ শতকে রাজা চন্দ্রকেতু এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। আবার কারও মতে তৎকালীন সময়ে ময়ূরভঞ্জ রাজারা ছিলেন মারাঠাদের আশ্রয় এবং সমর্থনপুষ্ট। তৎকালীন সময়ে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এই মন্দির। তবে জনশ্রুতি নানা থাকলেও মন্দিরের গঠনশৈলী এবং জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় এত সুন্দর ভাস্কর্য ও বিশ্বাস আপনাকে বারংবার টানবে। মন্দিরটিকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে ওড়িশা রীতি অনুযায়ী মাকড়া পাথরের তৈরি এই মন্দির এবং যা পূর্বমুখী। বাইরে রয়েছে সুপ্রাচীন কাঁঠাল গাছ, যা নিত্য পুজো করা হয় এবং ভিতরে রয়েছে দেবাদিদেব মহাদেবের শিবলিঙ্গ। ভক্তদের বিশ্বাস যা মানত করা হয় তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়। প্রতিদিনই বেশ ভিড় লেগে থাকে এখানে। মন্দিরের চারপাশে বেশ কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে। তার উপর রয়েছে বৃষভমূর্তি।

আরও পড়ুন : ছাতু খেয়েই কমবে ব্লাড সুগার ও ওজন! শুধু শরবতের বদলে খান এভাবে

শুধু তাই নয়, রামেশ্বর মন্দির থেকে অনতি দূরে রয়েছে তপোবন। যা মনে করা হয় বাল্মীকি মুনির সমাধিস্থল। চারিদিক গভীর জঙ্গলে ঘেরা একটি ছোট্ট মন্দির। শাল গাছের ছায়ায় এই মন্দির বেশ মন জুড়াবে আপনার। রয়েছে রাম-সীতার মন্দিরও। প্রাচীন বিশ্বাসে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন এখানে।

তবে চারিদিকে সবুজে ঘেরা এই ক্ষেত্র। বছরে নির্দিষ্ট সময়ে পুজো এবং ভক্তসমাগম হলেও প্রতিদিনই বেশ ভিড় থাকে এখানে। শহরের ক্লান্তি কোলাহল ভুলে বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন জঙ্গলমহলের এই বিশেষ পর্যটন কেন্দ্রে। সরকারিভাবে এলাকার নানা উন্নয়ন করা হয়েছে, হয়েছে চকচকে রাস্তা। তবে পরিবার পরিজন নিয়ে একদিনে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসক্ষেত্র এবং উপভোগ করতে পারেন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা দুর্দান্ত পরিবেশ।

একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন জঙ্গলমহলের এই জায়গা থেকে

ঝাড়গ্রাম: শীতকালে সকলে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন? জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম কিংবা সবুজে ঘেরা কোনও ঘোরার জায়গা খুঁজছেন? একদিনের জন্য ঘুরে যেতে পারেন জঙ্গলমহলের এই জায়গা থেকে। একদিকে যেমন পাথরের গা বেয়ে শান্ত জল পড়ার কুলুকুলু শব্দ, তেমনই সবুজে ঘেরা চারপাশ মুগ্ধ করবে আপনাকে। কাজের চাপ আর ক্লান্তি ভুলে একদিনের জন্য পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে দেখতে পারেন জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির ঘাঘরা।

Winter Delicacy: মশলায় জারানো মাংস ঝলসানো শালপাতায় মুড়ে…জঙ্গলমহলে শীতের আমেজে দারুণ জমেছে ঝাল পিঠে

রঞ্জন চন্দ, ঝাড়গ্রাম: খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে। তারপর যদি হয় নতুন ধরনের কিছু খাবার তবে তো কোনও কথাই নেই। জঙ্গলমহলের মানুষ বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন ট্রাইবাল রেসিপি বানানোয় দক্ষ। বিভিন্ন জায়গায় তা বিক্রিও করেন তারা। শীতের সময় মূলত মাংস পিঠের কদর থাকে জঙ্গলমহলে। ঘুরতে এসেও জঙ্গলমহলের প্রিয় খাবার মাংস পিঠের স্বাদ নিচ্ছেন আট থেকে আশি সকলে।

জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বেলপাহাড়ির ঘাঘরাতে মিলছে মাংস পিঠে, তাও মাত্র ১০০ টাকায়। চেটেপুটে সেই স্বাদ নিচ্ছেন সকলে। জঙ্গলমহলের ঘাঘরা ঘুরতে আসবেন, আর মাংস পিঠে খাবেন না তাহলে আপনার জীবনের চরম মিস। মাত্র ১০০ টাকায় একদিকে যেমন পাবেন মাংসের স্বাদ তেমনই পাবেন পিঠের মজা।

আরও পড়ুন : প্রেমে বাধা হয়নি বেড়াজাল, রাশিদের ছন্দের দোসর স্ত্রী জয়িতাই, তাঁদের আনন্দ মুহূর্ত এখন স্মৃতির জলছবি

এই গ্রামেরই আদিবাসী মহিলা-পুরুষেরা সঙ্গে সঙ্গে বানিয়ে দিচ্ছেন গরম মাংস পিঠে। চেটেপুটে খাচ্ছেন পর্যটকেরা। ঘুরতে আসা এক পর্যটক সিনথিয়া সামন্ত বলেন, ‘‘আমরা সাধারণত মিষ্টি নারকেল, সন্দেশ এর পিঠেপুলিতে অভ্যস্ত। তবে এই মাংস পিঠে প্রথমবার খাওয়া। যেহেতু আঁচে তৈরি করা হচ্ছে তাই বিশেষ এক ধোঁয়া এবং শালপাতার গন্ধ রয়েছে, খেতে অসাধারণ। প্রসঙ্গত পিঠেপুলির উৎসব গ্রাম বাংলার প্রধান উৎসব। তবে জঙ্গলমহলের শীতের শুরুর আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পিঠেপুলির আয়োজন।’’

এই পিঠের মধ্যে মাংস-পিঠে অন্যতম। কীভাবে বানানো হয় এই মাংস পিঠে জানেন? প্রথমে একটি পাত্রে গুঁড়ো করে রাখা চালের গুঁড়োর সঙ্গে ম্যারিনেট করে সামান্য ভেজে রাখা মাংসের কুচি, পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, পেঁয়াজ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। শালপাতায় সামান্য তেল লাগিয়ে সেই মিশ্রণকে দিয়ে মুড়ে হালকা আঁচে পুড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে গরমাগরম মাংস পিঠে।

আরও পড়ুন : রান্নাঘরে ফেলে দেওয়া এই দুই খোসাই করবে কামাল! আপনার জবাগাছ ছেয়ে যাবে নানা রঙের ফুলে

শীতকালে মূলত এই মাংস পিঠের চাহিদা থাকলেও সারা বছর পাওয়া যায় জঙ্গলমহলে এই বিশেষ খাবার। প্রস্তুতকারী সিংহমনি মান্ডি বলেন, ‘‘মাংসের কুটির সঙ্গে চালের গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, পেঁয়াজ মিশিয়ে শালপাতায় মুড়ে তৈরি করা হয়। বিক্রি হচ্ছে বেশ।’’ ঘুরতে এসে বহু মানুষ স্বাদ নিচ্ছেন এই পিঠের।সামান্য দামে মেলায় খুশি সকলে। মাংসের সঙ্গে ঝাল ঝাল টেস্টের পিঠের প্রেমে মজেছেন সকলে।