আলিপুরদুয়ার: টোটোপাড়ার অন্ধকার যেন ঘুচতেই চায় না।রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নাম জানেন কিন্তু তাঁদের কোনওদিন দেখেননি টোটোপাড়ার বাসিন্দারা।একপ্রকার বঞ্চিত থেকেও নিজেরা এগিয়ে এসে ভোট দিচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে।
একটি ছোট পাহাড়ী গ্রাম, যা ভারত-ভুটান সীমান্তে তাদিং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। টোটোপাড়া বিশ্বে টোটো উপজাতির একমাত্র আবাসস্থল। এ গ্রাম ছাড়া বিশ্বের অন্য কোথাও এই উপজাতির বসবাস নেই। গ্রামটি মাদারিহাট থেকে প্রায় ২২ কিমি দূরে অবস্থিত। ভুটান সীমান্তের কাছে এশিয়ার একমাত্র টোটো জনজাতির গ্রাম এই টোটোপাড়া। অনেকেই জলদাপাড়া ঘুরতে আসেন কিন্তু টোটোপাড়ার কথা জানেন না।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর হলেও অভাব পিছু ছাড়ে না টোটোদের। রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব।
বর্ষার দিনে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয় টোটোপাড়া। তখন এলাকায় যাওয়ার সাতটি নদী পরিপূর্ণ থাকে। গ্রামের মোট জনসংখ্যা ৫,০০০৷ এলাকাবাসীদের অধিকাংশ টোটো উপজাতি হলেও একটি নেপালী বসতি রয়েছে। তাদের প্রাথমিক পেশা হল সুপারি চাষ। এ ছাড়া তারা কমলালেবু চাষ ও পশু-পাখি পালন করেন। গ্রামের মানুষেরা টোটো, বাংলা ও নেপালি ভাষায় কথা বলেন।
তাদের কথা কেউ ভাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন টোটোরা। পর্যটনের বিকাশ হয়নি, শিক্ষার চাহিদায় এলাকা ছাড়তে হয়। এত অসুবিধার পরেও গণতন্ত্রের অধিকার থেকে তাঁরা দুরে সরে থাকেননি। নিয়ম করে ভোট দেন কিছু পাবেন না জেনেও।
Annanya Dey