সূর্যাস্ত 

West Medinipur News: টইটম্বুর কংসাবতী, গড়িয়ে পড়া জল যেন ঝর্ণার রূপ, সূর্যাস্ত উপভোগ করুন এই জায়গায়

পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্ষার জলে টইটুম্বুর কাঁসাই। তবে এই কাঁসাই নদীতে দিনের সূর্যাস্ত এবং বাঁধ বেয়ে গড়িয়ে পড়া জলরাশি যেন ছোট ঝর্ণার এক রূপ। তাই যারা দিনের শেষে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন কিংবা সারাদিনের চাপ থেকে নিজেকে একটু রেহাই দিতে চাইছেন, তারা ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা। অন্তত বিকেলে এসে কিছুক্ষণ সময় কাটালে পরিবেশের স্নিগ্ধতা এবং জল পড়ার শব্দ পাশাপাশি বিস্তৃত জলরাশি আপনাকে এক আলাদা আনন্দ দেবে। তাই হাতে ছুটি নিয়ে ঘুরে দেখুন এই জায়গা। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে দিনের সূর্যাস্তটা এখানে উপভোগ করুন, ছবি তুলুন বেশ কিছু। স্মৃতিতে থাকবে আজীবন।

কলকাতা থেকে খুব কাছেই মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন এই জায়গা। মেদিনীপুর শহর এবং খড়গপুরকে আলাদাভাবে ভাগ করেছে কংসাবতী নদী। এই নদীর মোহনপুর এলাকায় রয়েছে অ্যানিকেট ড্যাম। যা সরকারিভাবে তৈরি একটি জলাধার। যেখানে কংসাবতী নদীর জলকে আটকে রাখা হয়। তবে ভরা নদীর জল একটি পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ার দৃশ্য সারা বছরই থাকে, তবে বর্ষার এই মরশুমে আরও মোহনীয় রূপ ধারণ করে। জল বাড়লে বেগ নিয়ে জল গড়িয়ে পড়া যেন এক আলাদা আনন্দের সৃষ্টি করে মনের মধ্যে।

যেন পাথরের গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে ঝর্ণার জল। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসে ছবি তুলছেন এখানে। বিকেলের পরিবেশ এবং নদীর এক কিনারে সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন সকলে। শুধু তাই নয় নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরার সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে পারবেন এখানে। কলকাতার খুব কাছেই এই জায়গা বিকেলে ঘুরে দেখার জন্য পারফেক্ট। কীভাবে পৌঁছানো যাবে এখানে? কলকাতা থেকে প্রাইভেট গাড়ি বাস কিংবা ট্রেনে চেপে আসা যাবে এই সুন্দর ঘোরার জায়গায়। ট্রেনে এলে নামতে হবে খড়গপুর কিংবা মেদিনীপুর স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো, অটো বা ছোট গাড়িতে আসা যাবে এই অ্যানিকেট ড্যামে।

আরও পড়ুনঃ KKR News: কোন প্লেয়ারদের এবার ধরে রাখছে কেকেআর? তালিকায় চমকে দেওয়া নাম! জানুন বিস্তারিত

পাশাপাশি বাসে এলে নামতে হবে মোহনপুর ব্রিজ কিংবা মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ধরে আসা যাবে এই জায়গায়। প্রাইভেট গাড়িতে এলে আপনি মেদিনীপুর অভিমুখে এসে বীরেন্দ্র শাসমল সেতু বা মোহনপুর ব্রিজ পেরিয়ে ডানদিকে বাঁক নিলে আসা যাবে এখানে। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/dxqeSyr2mejBSdUR7

রঞ্জন চন্দ