ট্রি টপ প্ল‍্যানটেশন

Treetops Plantation: গাছের ডালে গাছের চারা রোপণ! কী এই ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন? কেন করা হয়?

আলিপুরদুয়ার: সবুজায়নের লক্ষ্যে এবারে ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। ট্রি টপ প্ল্যান্টেশনের মধ্য দিয়ে সবুজ বিপ্লব ঘটতে চলেছে বলে দাবি বনকর্তাদের। এই অভিনব প্রক্রিয়া সবুজায়নের সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অন্যান্যরাও।

পাশাপাশি এর মাধ্যমে পাখি ও তৃণভোজী প্রাণীদের খাবারের ঘাটতি মিটবে বলে দাবি বন বিভাগের।বর্ষাকালেই পালিত হয় এই বন মহোৎসব। এই উপলক্ষে বর্ষাকাল জুড়ে ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন করা হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু কী এই ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন? এটি হল বড় গাছের ডালে অন্য গাছের চারা রোপন করা। বস্তুত বট, অশ্বথ, ডুমুর, পাকুর গাছের বীজ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নার্সারিতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার থেকে চারাগাছ বের হতে সেগুলিকে বড় গাছের ডালে মাটির মন্ড ও চটের বস্তা সমেত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদিও বন্যপ্রাণীর ভয় রয়েছে, বিশেষ করে হাতি এই চারা গাছ নষ্ট করবে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন বনকর্তারা।

আর‌ও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব জেলাতেও, দু’ঘণ্টা বন্ধ রইল চিকিৎসা পরিষেবা

২০০ চারা গাছ বিভিন্ন গাছের মগডালে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জলদাপাড়ার নর্থ, ইস্ট, ওয়েস্ট, চিলাপাতা, কোদালবস্তি এলাকায় হয়েছে এই ট্রি টপ প্ল্যান্টেশনের কাজ। চারা গাছগুলির উপর নজর রাখা হবে জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে। বন বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে পরবর্তীতে আরও চারা গাছ এই পদ্ধতিতে রোপন করা হবে।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও নবজ্যোতি দে জানিয়েছেন, মূলত পাখি ও তৃণভোজী প্রাণী যেমন কাঠবেড়ালি, খরগোশদের খাবার দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ। আর প্রকৃতিতে ফাইকাস জাতীয় গাছের মাত্রা বাড়ানো লক্ষ্য।

অনন্যা দে