ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা

Manik Saha Tripura: দুর্নীতি ইস্যুতে TMC-র সমালোচনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, প্রচারে ব্যস্ত মানিক সাহা

আগরতলা: পশ্চিমবঙ্গের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে আয়োজিত জনসমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা বলেন, ”বিরোধীদের লক্ষ্য, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা আর মানুষকে গরিব রাখা। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। সেটা তৃণমূল হোক, কংগ্রেস বা সিপিএম। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সকল অংশের মানুষের উন্নয়ন করা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ও সহযোগী দলগুলি ৪০০-র অধিক আসন নিয়ে জয়যুক্ত হবে।” দুর্নীতি, দুঃশাসন-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে অন্যতম তারকা প্রচারক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। দিল্লির হাই কমান্ডের নির্দেশে ইতিমধ্যে পশ্চিমবাংলায় কয়েক দফা প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে গত রবিবার থেকে ফের একবার বাংলায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে সামিল হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: হাতে আর ঘণ্টাখানেক! ধেয়ে আসছে বৃষ্টি, প্রবল বজ্রপাত! শক্তিশালী নিম্নচাপের জেরে ভাসবে বঙ্গের ৪ জেলা

হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দীর্ঘ রোড শোয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করেন ডা. সাহা। পরে একটি নির্বাচনী জনসভায় জনতাকে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাবেশে তিনি বলেন, ”আমরা জানি এটা ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার জন্য নির্বাচন। আমরা দুর্বল প্রধানমন্ত্রী চাই না। যেভাবে INDIA জোট হয়েছে তর্কের খাতিরে বা স্বপ্নেও আমরা যদি ভাবি যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তবে ৫ বছরে ৫ জন প্রধানমন্ত্রী হবেন। কারণ কে প্রধানমন্ত্রী হবেন এখন পর্যন্ত তারা ঘোষণা করতে পারেনি। আমরা পশ্চিমবাংলায় দেখলাম এই INDIA জোটের কোনও অস্তিত্ব নেই। কেরলেও INDIA জোটের অস্তিত্ব নেই। তবে এটা কি ধরনের জোট? মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এই INDIA জোট করা হয়েছে। আমি প্রায়শই বলি ‘শোলে’ সিনেমার কথা। সেখানে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র জেলার আসরানিকে জেলে পিস্তল আসার খবর দেন। এরপর জেলার সেন্ত্রীদের নিয়ে পিস্তল খুঁজতে গিয়ে ডানে বামে সকলকে পাঠিয়ে নিজের সঙ্গে কিছু আসতে বলেন। কিন্তু দেখা যায় তার সঙ্গে কেউ ছিল না। INDIA জোটের অবস্থাও এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। অদ্ভুত এক অবস্থা চলছে।”

সমাবেশে সম্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”দেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের রক্ষা করতে পারেন। তিনি বলেন, আমি আসার সময় শুনলাম এখানে প্রচুর সংখ্যায় সংখ্যালঘু অংশের মানুষ বসবাস করেন। আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সিপাহীজলা বলে একটা জেলার বক্সনগর ও ধনপুরে উপনির্বাচন হয়েছে। এই বক্সনগরে ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এই বক্সনগর সিপিএমের ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। এক দু’বার কংগ্রেস জিতলেও বাকি সময় সিপিএমের দখলে ছিল। এজন্য উপনির্বাচনকে ঘিরে আমি নিজেই প্রতিদিন সেখানে গিয়েছি। ধনপুরে আমরা জিতেছিলাম মাত্র সাড়ে ৩ হাজার ভোটে। ত্রিপুরা ছোট জায়গা। এক একটা বিধানসভা এলাকায় ৩৭/৩৮ হাজার ভোটার থাকে। সেখানে আমি মসজিদের ইমাম-সহ সকল অংশের মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। শুধু বলেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস, সবকা বিশ্বাসের কথা বলেন। আর এই উপনির্বাচনে আমরা শুধু বিজয়ী হইনি, তাঁদের প্রার্থীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছি। মানুষ শুধু আস্থা চায়, বিশ্বাস চায়। আর এই বিশ্বাস কে দিতে পারেন? একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটা দিতে পারেন।”