টুসু পরবে সকলে

West Medinipur News: গানের মাধ্যমে এই দেবীর আরাধনা, আবার গান গেয়েই মকর সংক্রান্তিতে হল বিসর্জন

ঝাড়গ্রাম : গ্রাম বাংলার প্রাচীন উৎসব টুসু উৎসব। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম এই টুসু পরব। মূলত গ্রাম বাংলার মেয়েরা মেতে ওঠেন এই আনন্দে। এখনও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে জঙ্গলমহল। সময়ের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আচার অনুষ্ঠানে কিছুটা ম্লান হলেও প্রাচীন এই উৎসব অনুষ্ঠান ও ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখেছে জঙ্গলমহলের মানুষ। প্রাচীন নিয়ম মেনে এখনও জঙ্গলমহলে টুসু পরবে মেতে ওঠে ৮ থেকে ৮০ সকলে।

টুসু পরব মূলত লৌকিক পরব। অগ্রহায়ণ মাসে শুরু হয় এবং শেষ হয় পৌষ সংক্রান্তির দিন। টুসু মূলত লৌকিক দেবী। যাকে জঙ্গলমহল এলাকায় মেয়ে হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। অগ্রহায়ণ মাসের শেষের আগের দিন টুসুকে থালায় বসিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গান গেয়ে চাল, টাকা সংগ্রহ করেন কুমারী মেয়েরা। এরপর সেই টুসুকে মকর সংক্রান্তির দিন নদীর জলে ভাসিয়ে টুসু পরবের সমাপ্তি ঘটানো হয়।

আরও পড়ুন : পটে রাম-রাবণ বধ, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে উন্মাদনা পিংলায়

রাজ্যের জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলায় এই টুসু পরবে মেতে ওঠেন সকলে। গ্রামীণ এলাকায় মাটির তৈরি একটি মেয়ের মূর্তিকে পুজো করে তারা। পাশাপাশি টুসু গান গেয়ে বাড়িতে বাড়িতে যান মেয়েরা। তবে মকর সংক্রান্তির দিন টুসুকে পুজো করে গান গেয়ে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্নান সেরে নতুন জামা কাপড় পড়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েরা।

টুসু উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ টুসু সংগীত। এই সংগীতের মূল বিষয়বস্তু লৌকিক ও দেহগত প্রেম। এই গান গায়িকার কল্পনা, দুঃখ, আনন্দ ও সামাজিক অভিজ্ঞতাকে ব্যক্ত করে। কুমারী মেয়ে ও বিবাহিত নারীরা তাদের সাংসারিক সুখ দুঃখকে এই সঙ্গীতের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

প্রাচীন এই রীতির রেওয়াজে কিছুটা ঘাটতি হলেও জঙ্গলমহলের বর্তমান প্রজন্ম টিকিয়ে রেখেছে তাদেরই রীতিকে।

রঞ্জন চন্দ