আলিপুরদুয়ার: কালচিনি ব্লকের পাশাপাশি দুটি চা বাগানে হাতির দেহ উদ্ধার ঘিরে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বন কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে। যদিও ইতিমধ্যে হাতির দেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি বনদফতরের তরফে।
তবে রায়মাটং চা বাগান থেকে যে মাদি হাতিটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটির মৃত্যু দলগত সংঘর্ষে হয়েছিল বলে ধারণা বন দফতরের। কিন্তু কালচিনির বুকিনবাড়ি থেকে যে হাতি শাবকটির দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মৃত্যুর কিনারা করে উঠতে পারছে না বন দফতর। শুক্রবার দুপুরে এক বুনো হাতির রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়মাটাং চা বাগানে।
আরও পড়ুন: ১৮ দিনে ৩ বড় গ্রহের গোচর! সোনায় মুড়বে ৪ রাশির কপাল, দরজায় সাফল্য, টাকার বৃষ্টি
এক পূর্ণবয়ষ্ক স্ত্রী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় চা বাগান থেকে।আলিপুরদুয়ার জেলার রায়মাটাং চা বাগানের পাঁচ নং সেকশনে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান একটি হাতিকে। সেটি বসে ছিল, অনেক সাহস নিয়ে সামনে যেতেই দেখা যায় মৃত হাতিটি।এরপর তারা বনদফতরের পানা রেঞ্জ-এ খবর দেন। ঘটনাস্থলে পানা রেঞ্জ থেকে বনকর্মীরা পৌছায় এবং হাতির দেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে সেদিন বিকেলে বুকিনবাড়ি চা বাগানের ভেতর থেকে হস্তি শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়,যারফলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।একটি হস্তিশাবকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বনদফতরের হ্যামিল্টণগঞ্জ রেঞ্জে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা পৌছে হস্তি শাবকটি উদ্ধার করে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও নবিকান্ত ঝা এর মতে, “ছোট হাতিটির মৃত্যু বজ্রাঘাতে হয়নি। হয়ত কোনও বিষধর সাপের ছোবল নয়ত কোনও দলে থাকাকালীন বড় হাতির পা অথবা পেটে চাপা পরে মারা গিয়েছে।” হস্তি শাবকটি যখন উদ্ধার হয়েছিল তখন তার সারা গায়ে মল মাখা ছিল বলে জানা যায়। ময়নাতদন্ত হয়েছে, রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। তারপর আসল কারণ জানা যাবে, ততদিন হাতির দলগুলির ওপর নজরদারি চলবে।
Annanya Dey